অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২০২৩ আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৫ সদস্যের দলকে নিগার সুলতানা জ্যোতি নেতৃত্ব দিবেন।
আগামী ২৩ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মঞ্চে নামার আগে আয়ারল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।
এরপর বিশ্বকাপের আগে আইসিসির নির্ধারিত দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৬ ফেব্রুয়ারি কেপটাউনে পাকিস্তানের বিপক্ষে এবং ৮ ফেব্রুয়ারি ভারত বিপক্ষে মাঠে নামবে জ্যোতির দল।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া আসরে এ’তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। ১২ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের পরের ম্যাচগুলো যথাক্রমে- ১৪ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ১৭ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এবং ২১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
গ্রুপ-‘বি’তে আছে ইংল্যান্ড, ভারত, আয়ারল্যান্ড, পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল : নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), মারুফা আকতার, দিলারা আকতার, ফাহিমা খাতুন, সালমা খাতুন, জাহানারা আলম, শামীমা সুলতানা, রুমানা আহমেদ, লতা মন্ডল, স্বর্ণা আকতার, নাহিদা আকতার, মুর্শিদা খাতুন, রিতু মনি, দিশা বিশ্বাস ও সোবহানা মোস্তারি।
স্ট্যান্ড বাই : রাবেয়া, সানজিদা আক্তার মেঘলা, ফারজানা হক পিংকি, শারমীন আক্তার সুপ্তা।
অনলাইন ডেস্ক :
বিচ্ছেদের পরও বন্ধুত্ব বজায় রেখে চলেছেন বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট অভিনেতা আমির খান ও তার স্ত্রী কিরণ রাও। বাসস্থান আলাদা হলেও এখনো তাদের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে ছেলে আজাদের জন্য। আজাদের ওপর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের প্রভাব পড়েছিলো কিনা তা নিয়েই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন কিরণ রাও।
আরও পড়ুন
দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অ্যাঞ্জেলিনা জোলি খুলে দিয়েছেন বাড়ি
বিচ্ছেদ নিয়ে প্রথম থেকেই খোলাখুলি কথা বলেন সাবেক আমিরপত্নী। কিরণ বলেন, বিচ্ছেদ মানে কোনো দড়ি কেটে ফেলা নয়; বরং দড়িতে গিঁট পড়লে সেটি ছাড়ানোর নামই বিচ্ছেদ। তিনি বলেন, আমাদের খুব সহজভাবেই বিচ্ছেদ হয়েছিলো। তার কারণ আমরা বিচ্ছেদের জন্য ততোদিনে প্রস্তুত ছিলাম। বিবাহিত থাকাকালীন আমাদের মধ্যে সব ঠিকই ছিল। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তও আমরা ভেবেচিন্তেই নিয়েছিলাম। কখনই আমরা ঝগড়া করিনি। তর্ক করেছি, যা ১২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা মিটিয়ে নিয়েছি। এ ধরনের সমস্যা সাধারণত আমাদের বাবা-মায়ের সাথেও হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন
তরুণীর গায়ে মদ ঢেলে তারকার টক্সিক জন্মদিন!
আমির ও কিরণ বরাবর সতর্ক থেকেছেন, আজাদের যাতে কোনো কিছুতে খারাপ না লাগে। সন্তানের এ প্রসঙ্গে কিরণ বলেন, আমাদের সম্পর্কে বাঁচিয়ে রাখার মতো অনেক কিছুই ছিল। আমরা আমাদের সন্তানকে ছুড়ে ফেলে দিতে চাইনি। আমরা এমনভাবে এগিয়েছি, যাতে একটা দড়ি টুকরো না হয়ে যায়। বরং একটা দড়ি থেকে গিঁট ছাড়ানোর চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, আমরা সময় নিয়ে সেই গিঁট ছাড়িয়েছি।
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন যেসব হলিউড তারকারা
বিচ্ছেদের পর বন্ধুত্ব নিয়ে সাবেক আমিরপত্নী বলেন, আমরা বিবাহিত হয়ে থাকতে চাই না ঠিকই, কিন্তু তার মানে এই নয়, আমরা পরস্পরকে ভালোবাসি না। সঙ্গীর বহু জিনিসই অপছন্দ হতে পারে, তার জন্য ঝগড়াও হতে পারে। কিন্তু এমন কারণও থাকে, যার জন্য সঙ্গীকে আপনি ভালোবাসবেন।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে বিয়ে করেছিলেন আমির ও কিরণ। ২০২১ সালে তারা বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন।
অনলাইন ডেস্ক :
চীনের তিব্বতের প্রত্যন্ত এলাকায় এক ভূমিকম্পে অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। সূত্র : আল জাজিরা
চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) বলেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ওই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থল ছিল নেপাল সীমান্তের কাছে তিব্বতের ডিংরি কাউন্টি।
সিইএনসি ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৮ বললেও মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ১ ছিল বলে জানিয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি বলেছে, ডিংরি কাউন্টি ও এর আশপাশের এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পন অনুভূত হয়েছে এবং ভূমিকম্পের উৎপত্তি স্থলের (এপিসেন্টার) কাছের বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। আঞ্চলিক দুর্যোগ ত্রাণ সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ৫৩ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৬২ জন।
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে বিহার, আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়।
নেপাল ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত, যেখানে ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে হিমালয় পর্বতমালা গঠিত হয়েছে। এ কারণে এ অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প ঘটে। ২০১৫ সালে নেপালে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার মানুষ প্রাণ হারান এবং ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন। ওই ভূমিকম্পে অর্ধ-লক্ষাধিক বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (এনসিএস) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। প্রথম ভূমিকম্পের পরপরই ওই অঞ্চলে আরো দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রত্যেক গ্রহই সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। তাদের একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথ আছে। আগে মানে করা হতো, গ্রহগুলো বোধ হয় বৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এ ধারণা ভুল। গ্রহগুলো উপবৃত্তকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে জার্মান বিজ্ঞানী জোহান কেপলার গ্রহগুলোর উপবৃত্তাকার পথের ধারণা দেন। নিউটন কেপলারের দেওয়া ধারণাগুলোকে সমীকরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেন। ফলে প্রমাণিত হয় গ্রহগুলো উপবৃত্তাক পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে।
পৃথিবীর কথায় ধরা যাক। পৃথিবী উপবৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। তাই বছরের একটা সময়ে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে নিকটে পৌঁছয়। ওই সময়ে পৃথিবী কক্ষপথের যে বিন্দুতে অবস্থান করে তাকে অনুসুর বিন্দু বলে।
অর্থাৎ অনুসুর বিন্দু হলো সূর্যের থেকে পৃথিবীর কক্ষপথের সবচেয়ে নিকটতম পথ। নিউটনের নিয়মানুযায়ী প্রতিটা গ্রহ এক গ্রহ বছরে একটা পূর্ণচক্র সমগ্র করতে হয়। একটা পূর্ণচক্র সম্পন্ন করা মানে ৪ সমকোণ বা ৩৬০ ডিগ্রি কৌণিক পথ ঘোরা।
কিন্তু নিউটনের পরবর্তী কালের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটা ধাঁধায় পড়ে যান। সেটা হলো বুধ গ্রহের গতি।
বুধ গ্রহ একটা অনুসুর বিন্দু পার করে পরবর্তী বছর যখন আবার অনুসুর বিন্দুতে পৌঁছয় তখন তারা একটি পূর্ণচক্র আবর্তন করে না। করে তার চেয়ে বেশি কৌণিক পথ। অর্থাৎ বুধ গ্রহের দুটি অনুসুর বিন্দুর ভেতর ৩৬০ ডিগ্রির চেয়ে বেশি কোণ উৎপন্ন হয় না। দুটি অনুসুরের মধ্যে ৩৬০ ডিগ্রি কোণ হতো যদি বুধ গ্রহ প্রতিবছর একই বিন্দুতে অনুসুর পেত। কিন্তু প্রতিবছর বুধ গ্রহের অনুসুর বিন্দু একটু একটু করে সামনের দিকে সরে যায়। তাই দুই বিন্দুর মধ্যে কৌণিক ব্যাবধান সৃষ্টি হয়। এই কৌণিক ব্যাবধান মাপার উপায় হলো সূর্য থেকে অনুসুর বিন্দু পর্যন্ত একটা সরল রেখা আঁকা।
ওপরের চিত্র বুধ গ্রহের অনুসুর দেখানো হয়েছে। A বিন্দু হলো ২০২০ সালের অনসুর বিন্দু এবং B বিন্দু হলো ২০১৬ সালের অনুসুর বিন্দু। দুটির ভেতর স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। যদিও এখানে কৌণিক ব্যাবধান যতখানি দেখানো হয়েছে হিসাব অনুযায়ী ফলটা এর চেয়ে অনেক অনেক ছোট হবে। কিন্তু বোঝার সুবিধার্থে আমরা এ রকম চিত্রই আঁকলাম।
কেন এমন হচ্ছে, দীর্ঘদিনের এ সমস্যার সমাধান দেন আইনস্টাইন। তাঁর জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটির মাধ্যমে; হিসাব কষে।
আইনস্টানের এই হিসাব জ্যোতির্বিজ্ঞানের এক দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করে। আসলে নিউটনের সময় মহাকর্ষ বলের ধারণাই ছিল অন্য রকম। তা ছাড়া নিউটন সমতল জ্যামিতির বাইরে নন-ইউক্লিডিয়ান জ্যামিতির কথা ভাবেনইনি। তা ছাড়া দুমড়ানো-মোচড়ানো বক্র মহাবিশ্বের কথা তাঁর জানা ছিল না। সুতরাং বক্র মহাবিশ্বে গ্রহ-নক্ষত্রের চলার গতির জন্য সম্পূর্ণ আলাদা কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে, তা তিনি জানতেন না। আইনস্টাইন নন-ইউক্লিডীয় জ্যামিতি ব্যবহার করে সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের সাহায্যে বুধ গ্রহের কক্ষপথের সমস্যার সমাধান দিলেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সমস্যা কি শুধু বুধ গ্রহের ক্ষেত্রে নাকি অন্য গ্রহগুলোর ক্ষেত্রেও একই সমস্যা তৈরি হয়? সব গ্রহের অনুসুর বিন্দু প্রতিবছর একই কৌণিক অবস্থানে থাকে না। কিন্তু তাদের মধ্যে পার্থক্য অতি সামান্য। সেগুলো ইচ্ছে করলেই এড়িয়ে যাওয়া যায়। তাই নিউটনের সূত্র দিয়ে অন্য গ্রহগুলোর গতি ব্যাখ্যা করা যায়। সূত্র : স্পেস ডট কম
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ জিয়াউল হক মীর বলেছেন, প্রতিবন্ধী বলতে কিছু নেই, আমরা প্রতিবন্ধী না বলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বা ব্যক্তি বলতে পারি। তাদেরকে অবহেলা করলে হবে না। আমরা তাদেরকে ভাল আচরণ করে সমাজের মুল শ্রোতে আনতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য রয়েছে আলাদা চিন্তা এবং তাদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার একটি মহা পরিকল্পনা।
আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০টায় টেংকেরপাড় আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চে জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৩-২৪ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া উৎসব এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, প্রধামন্ত্রী সুবর্ণ নাগরিক সন্তাদের নিয়ে একটি ক্রীড়াযজ্ঞ তৈরী করেছে এবং তাদের এ ক্রীড়ার মাধ্যমে উৎসাহিত করছে।
কণ্ঠ শিল্পী আনিসুল হক রিপনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন সমাজ সেবা উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ মোঃ ওয়ালী উল্লাহ, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা গায়ত্রী দেবনাথ। এসময় আসমনাতুন্নেছা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলসহ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ে প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধী, মুক বধির ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ শতাধিক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের ক্রীড়া উৎসবে অংশ গ্রহন করেন।
উভেন্টের মধ্যে ছিলো ফুটবল, দড়ি লাফ, ৫০ মিটার দৌড়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ২০ মিটার হাটা এবং পরে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিগণ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হতে দেখা যায়। হাতাহাতি, কখনো আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য ভিডিও বানানোর মতো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। শুধু তাই-ই নয়, ভরা মেট্রোর মধ্যেই কখনো আবার ‘দুষ্কর্মের’ ছবিও ধরা পড়েছে। এবার এসব ঘটনা কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে শুক্রবার এ তথ্য জানা গেছে।
দিল্লি মেট্রো রেল করপোরেশন (ডিএমআরসি) সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনার জন্য এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে এক হাজার ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, যা গত বছরে একই সময়ের তুলনায় ৩ শতাংশ বেশি। মেট্রো রেলের তথ্য বলছে, এই তিন মাসে এক হাজার ৬৪৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।
ডিএমআরসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, মেট্রো ও মেট্রো চত্বরে ঝামেলা, অশান্তির জন্য এই জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তবে কর্মীর অভাবে সব ঘটনায় নজরদারি চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সিসিটিভি ফুটেজে যদি এই ধরনের ঘটনা ধরা পড়ে, তা হলে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।’
এ ছাড়া বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে এই ধরনের ঘটনা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।