স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২১ জানুয়ারি শনিবার বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে ভোট গ্রহণ চলে। এতে প্রেসক্লাবের ৩৭জন সদস্য ১১টি পদের মধ্যে ৮টি পদে ভোট প্রদান করেন।
নির্বাচনের ১১টি পদে তফসিল ঘোষণার পর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সভাপতি পদে রিয়াজ উদ্দিন জামি, দপ্তর সম্পাদক পদে শাহজাহান সাজু এবং পাঠাগার সম্পাদক পদে এইচ এম সিরাজ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ বাকী ৮টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের গণনা শেষে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, সাধারণ সম্পাদক পদে মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক পদে শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সাংস্কৃতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য পদে ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও মীর মো. শাহীন জয়লাভ করেন।
নির্বাচন পরিচালনা করে এই ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও প্রেস ক্লাব নির্বাচন-২০২৩ এর নির্বাচন কমিশনার গোলাম মোস্তফা মুন্না।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শেষে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে।
২১ মে মঙ্গলবার রাতে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) কূপটির ওয়ার্কওভার কাজ সম্পন্ন করেছে। এ কূপটি থেকে প্রতিদিন ১৩-১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থিত দৈনিক ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপটি ২০০ সালে খনন করা হয়।
তবে গ্যাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় পানি ওঠায় ২০২১ সালের পহেলা নভেম্বর থেকে কূপটি বন্ধ ঘোষণা করে গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর বিজিএফসিএল পরিচালিত তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ থাকা ৭টি কূপের ওয়ার্কওভারে ৫২৩ কোটি টাকা ব্যায়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৪টি কূপের ওয়ার্কওভার কাজ করবে বাপেক্স। বাকি ৩টির কাজ দেওয়া হচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে।
গত ১৯ মার্চ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শুরু করে বাপেক্স। যা চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে শেষ হয়। এরপর গতকাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় কূপ থেকে। প্রতিদিন এ কূপ থেকে ১৩-১৫ মিলিয়নঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্যাস কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাঈল মোল্লা জানান, ১৪ নম্বর কূপটি থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। তবে এখনও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ফলে পুরোদমে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়নি। আশা করা হচ্ছে আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে কূপটি থেকে গ্যাস উৎপাদনে যাওয়া যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক অভিযানে ৪৭৩ বোতল ফেনসিডিল ও ৪ কেজি গাঁজাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ভোরে ও দুপুরে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জাহিদুল ইসলাম জাফর জেলার সদর উপজেলার কোড্ডা মধ্য পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও কোড্ডা উত্তর পাড়া গ্রামের নিশাদ, মো. নুর জামাল সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ ঢালার পাড় গ্রামের বাসিন্দা, একই উপজেলার সৈকত নগর গ্রামের শান্ত ও নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মো. রাজু আহম্মেদ।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. মশিহুর রহমান সোহেলের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, শুক্রবার জেলার বিভিন্ন জায়গায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার সদর উপজেলার কোড্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাহিদুল ও নিশাদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ২৭৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অভিযানে জেলার বিজয়নগর অভিযান পরিচালনা করে নুর জামাল, শাহিন মিয়া ও রাজু আহম্মেদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে থাকা ১৯৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সদর ও বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে গতকাল সোমবার ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালিত হয়েছে। ‘প্রগতিশীল প্রযুক্তি অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নতি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পন, র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচীর শুরু হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে র্যালি বের হয়। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক রিয়াজউদ্দিন জামি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং ১৮ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৬ জুন বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাক্ষরিত এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির দফতর সম্পাদক মো. মনির হোসেন এই কমিটি ঘোষণা দেন।
নতুন কমিটিতে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন কমিটির সহ-সভাপতি পদে মো. হেলাল উদ্দিন, মো. হেলাল উদ্দিন-২, বেগম নায়ার কবীর (মেয়র ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা) বহাল রয়েছেন।
কমিটির অন্যান্য সহ-সভাপতিরা হলেন সৈয়দ মিজানুর রেজা, কামরুজ্জামান আনছারী, সোমেশ রঞ্জন রায়, গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, মো. শাহজাহান আলম সাজু, ডা. আবু সাঈদ, প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের, কাজী হারিসুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, আব্দুল হান্নান রতন, অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা নিশাত।
আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল। কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এমবি কানিজ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আনার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল খালেক বাবুল, দফতর সম্পাদক মনির হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহআলম (হালদারপাড়া), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. মোস্তফা কামাল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহনুর ইসলাম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক নুরুন্নাহার, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক স্বপন রায়, শ্রম সম্পাদক মোশতাক আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ডিউক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, তানজিল, সৈয়দ এখতেশামুল বারী তানজিল, উপ-দফতর সম্পাদক সুজন দত্ত, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন যারা
আনিছুল হক এমপি (আইনমন্ত্রী) এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি (বাঞ্ছারামপুর) অ্যাডভোকেট শাহআলম (সাবেক সংসদ সদস্য), মইনউদ্দিন মঈন এমপি (সরাইল-আশুগঞ্জ), এবাদুল করিম বুলবুল (সাবেক সংসদ সদস্য) ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (সাবেক সংসদ সদস্য) হাজী মো. মুসলিম মিয়া, শিউলি আজাদ, জহিরুল ইসলাম ভূঞা, আল-আমিনুল হক আলামিন, অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন, এম এ এইচ মাহবুব আলম, জায়েদুল হক, ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম নবী, আবুল হোসেন, অ্যাড. লোকমান হোসেন, অ্যাড. বাকির উদ্দিন, মুর্শেদ কামাল, আবু আব্বাস, মাহমুদুর রহমান জগলু, সাইদুজ্জামান আরিফ, অ্যাড. রাশেদুল কাউসার জিবন, সিরাজুল ইসলাম, অ্যাড. শিব শংকর দাস, গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সেলিম রেজা হাবীব, রফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, হাজী বাবুল মিয়া, ডা. আশীষ চক্রবর্তী, মিনারা আলম, জাহাঙ্গীর আলম, মো. নাজির মিয়া, হাসান সারওয়ার, মোবারক হোসেন রতন। জাতীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়াকে।
উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য যারা
আরমা দত্ত এমপি, অ্যাডভোকেট আবু আমজাদ, কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হাই, আজিজুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হেবজু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার নাগ, অমৃত লাল সাহা, সুহাস দাস চৌধুরী, রেহেনা বেগম রানী, মমতাজ বাশার, সুভাষ পাল, মিজানুর রহমান, আব্দুল আউয়াল, এম এ তাহের, এ কে এম একরামুজ্জামান এমপি ও বোরহানউদ্দিন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র নির্দেশক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, নব-নির্বাচিত এই কমিটির সকল সদস্য নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা, আন্তরিকতা ও সততার সাথে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন। পাশাপাশি সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগক আরও সুদৃঢ়, সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হবে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র নেতৃত্বে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-শোষণ-বঞ্চনা ও দুর্নীতিমুক্ত একটি উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের সংগ্রামে জনগণকে সম্পৃক্ত এবং ঐক্যবদ্ধ করতে নতুন নেতৃত্ব যথাযথ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সম্মেলনের দীর্ঘ একবছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবলীগের ৪ টি ইউনিটের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা। ইউনিটগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, সদর পৌরসভা, বিজয়নগর উপজেলা ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা।
জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাড. মোঃ শাহানুর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস আজ ২ মে বৃহস্পতিবার এ কমিটি ঘোষণা করেন।
ঘোষিত কমিটির নেতৃবৃন্দ হচ্ছেন সদর উপজেলা যুবলীগের আংশিক কমিটির সভাপতি মো. আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন রানা ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল আহমেদ। সভাপতি আলী আজম ও সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন সম্মেলন পূর্ব কমিটিতে একই পদে ছিলেন। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল আহমেদ ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা শাখা যুবলীগের আংশিক কমিটির সভাপতি আল-আমিন সওদাগর, সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন রনি, সহ-সভাপতি মো. এমরান হোসেন মাসুদ এবং সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন।
বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগের আংশিক কমিটির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুখলেসুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল খান।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগের আংশিক কমিটির সভাপতি সমাপ্ত রঞ্জন সাহা, সহ-সভাপতি মো. জাকির হোসেন, সহসভাপতি মো. ইমতিয়াজ উদ্দিন বেলাল, সাধারণ সম্পাদক আবু নাছির উদ্দিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন টিপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাইন উদ্দিন।
আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে জেলা যুবলীগের অনুমোদনের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ও পৌসভা শাখা যুবলীগ, ২৮ এপ্রিল বিজয়নগর উপজেলা যুবলীগ ও ২৯ এপ্রিল বাঞ্ছারামপুর উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।