স্টাফ রিপোর্টার : আজ ২১ জানুয়ারি শনিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পশ্চিম মেড্ডা বড় বাড়ি এলাকার সবুজ আলীর বাসা থেকে শিরিনা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি সবুজ আলীর স্ত্রী। ভাড়াটিয়া আমিনকে (২৬) পিটুনির পর পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
শিরিনার ছেলে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের বসবাস করা একটি বাড়ি ছাড়াও পাশে আরো একটি বাড়ি ভাড়া দেওয়া আছে। সেখানে তিনটি ঘরে আলাদা ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন। বেলা ১১টার দিকে মা সে বাসার ভাড়া তুলতে যান। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও মাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকেলে ভাড়াটিয়া আমিন মিয়ার ঘরে খুঁজে খাটের নিচে দেখি মা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক এনামুল হক বলেন, শিরিনা বেগম হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। তার মরদেহ মর্গে রাখা আছে।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। এলাকাবাসীর পিটুনিতে আহত আমিনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহত শিরিনের গলায় দাগ আছে। ধারণা করা হচ্ছে গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন চার লেন সড়কের কাজ পুনরায় শুরু হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ফিরে আসবে। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে সড়কটি পরিদর্শনে এসে এ তথ্য জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব বলেন, ‘ভারতীয় পক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে তোমরা আসো, কাজ করো- আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। যতো দ্রুততার সঙ্গে সম্ভব কাজ করো। এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে ভারতীয় হাইকমিশনার নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাও কথা বলেছেন উল্লেখ করে সচিব মো. এহছানুল হক বলেন, ‘বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার নজরে রয়েছে। জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়কটি দেখার জন্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আমাকে পাঠিয়েছেন।’ ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চার লেন সড়ক প্রকল্পের ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী গত ১০ই আগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে যায়। এরপর থেকেই বন্ধ এই প্রকল্পের কাজ। এদিকে কাজ বন্ধ থাকায় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক কিলোমিটার চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো যানবাহন। নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘ যানজটে নাকাল হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে “সর্বজনীন পেনশন স্কীম” সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভা আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম মাহমুদুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির প্রমুখ।
সভায় বক্তব্য রাখেন কসবা পৌরসভার মেয়র এম.জি হাক্কানী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সাঈদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কমান্ডের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম।
সভায় বলা হয়, ২০১৫ সালে প্রনীত জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলে সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টি অর্ন্তভুক্ত করা হয় এবং ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের সুষ্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
এই প্রেক্ষাপটে মহান জাতীয় সংসদ কর্তৃক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ (২০২৩ সালের ৪ নং আইন) প্রনয়ন করা হয়। সর্বজনীন পেনশন স্কীমে রয়েছে “প্রবাস” “প্রগতি” “সরক্ষা” ও “সমতা” নামের ৪টি ব্যবস্থা।
“প্রবাস” স্কীমে বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী যে কোন বাংলাদেশী নাগরিক তার অভিপ্রায় অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধের শর্তে নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান পূর্বক এই স্কীমে অংশ গ্রহন করতে পারবেন। প্রবাস হতে দেশে ফিরে আসার পর সম পরিমান টাকা দেশীয় মুদ্রায় পরিশোধ করা সহ প্রয়োজনে স্কীম পরিবর্তন করতে পারবেন। পেনশন স্কীমের মেয়াদ পূর্তিতে পেনশনার দেশীয় টাকায় পেনশন পাবেন।
এই আইনের অধীনে চাঁদাদাতাগন অনলাইন প্লাটফরমে রেজিষ্ট্রেশন করে যে কোন একটি পেনশন স্কীমে যুক্ত হতে পারবেন।
“প্রগতি” স্কীমে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন কর্মচারী বা উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক তফসিলে বর্নিত হারে চাঁদা প্রদানপূর্বক এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার কর্মচারীগনের জন্য এই স্কীমে অংশ গ্রহনের ক্ষেত্রে স্কীমের চাঁদার ৫০% কর্মী এবং বাকী ৫০% প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে। কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশ গ্রহণ না করলেও উক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোন কর্মচারী নিজ উদ্যোগে এককভাবে এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
“সুরক্ষা” স্কীমে অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বা স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি যেমনঃ- কৃষক, শ্রমিক, রিকসা চালক, কামার, কুমার, জেলে তাঁতিসহ সকল অনানুষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিগন নির্ধারিত হারে চাঁদা প্রদান করে এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন।
“সমতা” স্কীমে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কর্তৃক সময়ে সময়ে প্রকাশিত আয় সীমার ভিত্তিতে দারিদ্র সীমার নি¤েœ বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিগন তফসিলে হারে চাঁদা দিয়ে এই স্কীমে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন এবং সমতা স্কীমে কর্তৃপক্ষ বিধি অনুসারে সমপরিমান অর্থ জমা দিবে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীম বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম কার্যক্রম। এটি সরকারের সর্বোত্তম কাজ। তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কীম একটি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী। যারা সরকারি চাকুরী করেন বা অন্য কোন ভাবে সরকারি ভাতা ভোগ করেন তারা এই সর্বজনীন পেনশন স্কীম করতে পারবেন না। তবে যারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ভাতাভোগী তারা যদি নিজেদের ভাতা সরকারের কাছে সারেন্ডার করলে তাহলে ওইসব ব্যক্তি পেনশন স্কীমের অর্ন্তভুক্ত হতে পারবেন।
তিনি বলেন ১৮ বছরের অধিক বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে সর্বজনীন পেনশন স্কীমের আওতায় আনা সম্ভব হলে তারা একটি সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতাভুক্ত হবেন। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা কার্যকর হলে ধীরে ধীরে বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর সুবিধাভোগীর সংখ্যা কমে আসবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আরো বলেন, ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশি নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট মূল্যমানের চাঁদাদাতা হিসেবে সর্বজনীন পেনশন স্কীমের অংশ নিতে পারবেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকগণ স্কীমে অংশগ্রহণের তারিখ থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। সকল স্কীমের জন্য চাঁদার কিস্তি প্রদানকারীর পছন্দ মাফিক মাসিক-ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক ভিত্তিতে পরিশোধের সুযোগ থাকবে। চাঁদাদাতগণ ইচ্ছে করলে অগ্রীম হিসেবে চাঁদার টাকা পেনশন ফান্ডে জমা দিতে পারবেন। সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অংশগ্রহণকারী চাঁদাদাতাগণ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চাঁদা প্রদানে শর্তে ৬০ বছর পূর্তিতে আজীবন মাসিক নির্ধারিত হারে পেনশন পাবেন। স্কীমের চাঁদাদাতা স্কীমে জমাকৃত বা জমার বিপরিতে প্রাপ্ত পেনশন বাবদ অর্থ তার মৃত্যুর পর গ্রহণ বা উত্তোলনের নিমিত্ত এক বা একাধিক নমিনি মনোনয়ন করতে পারবেন। তবে চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করার পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে জমাকৃত অর্থ মুনাফাসহ নমিনীকে ফেরত দেয়া হবে। ব্যাংকে সরাসরি গিয়ে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এবং ডেভিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে চাঁদার টাকা জমা দেয়া যাবে। প্রবাসী স্কীমে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশি নাগরিকগণ ক্রেডিটকার্ড বা ডেভিট কার্ডের বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রায় মাসিক চাঁদা জমা দিতে পারবেন।
অবহিতকরণ সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, রাজনীতিবিদ, জেলার ৯টি উপজেলার উপজেলা চেয়ারম্যানগণ, ৯টি উপজেলার ইউএনওগণ, বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রগণ, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক প্রশস্ত হচ্ছে। তবে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় প্রশস্ততা কোনো কাজে লাগছে না। সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পানি নিষ্কাশন। অথচ বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করায় কৃষি সেচ কাজে ব্যাঘাত ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়হীনতার কারণে এভাবেই উন্নয়নকাজের ব্যাঘাত ঘটছে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা তাদের আলোচনায় তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি এসব থেকে উত্তরণে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ‘ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনে’ এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। ‘স্ট্রেনথেনিং ইন্টার ডিপার্টমেন্ট ইমপ্লেমেন্টিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট : এ ডিস্ট্রিক্ট লেভেল অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক গবেষণার এ আয়োজনটির ব্যবস্থাপনায় ছিলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি থেকে সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শামসুন্নাহার।
স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। গ্রুপ পর্যায়ে আলোচনা করে উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নে বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয় বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিশল চক্রবর্তী, আশুগঞ্জ-কুমিল্লা ছয় লেন মহাসড়ক প্রকল্পের ডেপুটি ম্যানেজার শামীম আহমেদ।
এ সময় জানানো হয়, একটি উন্নয়ন কাজ করতে গেলে একাধিক দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা থাকে। কিন্তু সাধারণত যে দপ্তর কাজটি করে এর বাইরে কাউকে এতে সম্পৃক্ত করতে দেখা যায় না। এক দপ্তরের কর্মকর্তা আরেক দপ্তরের কাছে যেতে কুণ্ঠাবোধ করেন।
সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই গোঁজামিল দেওয়া হয়। সময়ের কাজ সময়ে করা হয় না। ঠিকমতো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় না। আগের কাজ পরে পরের কাজ আগে করা হয়। এমন সব সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত ঘটে। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কোনো একটি কাজের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা যারা সবগুলো দপ্তরের সমন্বয় করে কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার বলেন, ‘দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়নকাজে ব্যাঘাত ঘটার অনেক উদাহরণ আছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে কাজ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যে মতামতগুলো উঠে আসবে সেগুলো গবেষণায় কাজে লাগানো হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ওয়ান বাই ওয়ান কথা বলেও কাজের সমন্বয় করা যায়। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা তো ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখেও ব্যবস্থা নিই। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এমন একটা গবেষণা চাই যেটা সারা দেশে কাজে লাগবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
বাসচাপায় রিপা বেগম (৫০) নামে সিএনজি চালিত অটোরিক্সার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় রিপা বেগমের দুই ছেলে আকছির (১৯) ও আপন (১৫) আহত হয়েছেন। এরমধ্যে আকছিরের অবস্থা গুরুতর।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আখাউড়া সড়কের সুলতানপুর যুব উন্নয়ন অফিসের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিপা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিনপাড়ার মাহফুজ মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের ছেলে আহত আপন জানান, মায়ের সঙ্গে বোনের শ্বশুরবাড়ি সদর উপজেলার চিনাইরে যাচ্ছিলেন তারা দুই ভাই। তারা কাউতুলী থেকে সিএনজিতে ওঠেন। পথিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আখাউড়া সড়কে সুলতানপুরে যুব উন্নয়ন অফিস এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দিগন্ত পরিবহনের একটি বাস সিএনজিটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মা রিপা বেগম নিহত হন। আহত অবস্থায় তাদের দুই ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে ময়নাতদন্তের জন্যে রাখা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হেফজ বিভাগের ছাত্র মোঃ শাহরিয়া সামজিদ সম্পূর্ণ ৩০ পারা কুরআনুল কারিম হেফজ করা উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান ও দোয়া মাহফিল ২ নভেম্বর শনিবার বাদ মাগরিব মাদরাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
ফখরে বাঙ্গাল ইসলামিয়া মাদরাসার পরিচালক মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান এর পরিচালনায় উক্ত সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতী মুবারকুল্লাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
এতে হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ এর খতীব মাওলানা হাফেজ আহসান উল্লাহ, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার উস্তাদ মাওলানা আনোয়ার বিন মুসলিম, মুফতী রাকিবুল হাসান তাজ, ব্রাহ্মণবড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মাই টিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি কাউসার ইমরান, জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সাব্বির আহমদ খান, একাত্তর টিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন রুমিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী মুবারকুল্লাহ বলেন, আল্লাহতায়ালা মানবজাতির কল্যাণের জন্য কুরআন শরীফ নাযিল করেছেন। কুরআন শরীফ হেফজ করা, তার এলেম অর্জন করা, তার আদর্শ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার মাধ্যমে বান্দাহ তার রবের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। কুরআন শরীফ মানবজীবনের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন অগ্রগতি, কল্যাণ ও মুক্তির একমাত্র গ্যারান্টি। কুরআনের আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমাজকে সকল প্রকার অনৈতিককতা মূলক কর্মকান্ড মূলোৎপাটন সম্ভব। তাই প্রত্যেক অবিভাবকদের তাদের সন্তানদের আদর্শবান ও উন্নত চরিত্রের অধিকারী হিসেবে গড়ে তুলতে কুরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত করা অপরিহার্য বিষয়। পরিশেষে হেফজ সম্পন্নকারী ছাত্রদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।