চলারপথে ডেস্ক :
মাঘ সবে শুরু। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা কাঁপলেও তীব্র শীত পড়েছে মাত্র কয়েক দিন। এর মধ্যেই শীতের বিদায় ঘণ্টার পদধ্বনি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো বেড়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী কিছুদিন রাতের পারদ সামান্য নামতে পারে। জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা তেমন নেই। ফেব্রুয়ারিতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর বিদায় নিতে পারে শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, বর্ষার মতো শীত নির্দিষ্ট নিয়মে বিদায় নেয় না। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে। তবে জাঁকিয়ে শীত পড়ার মতো পরিস্থিতি আর হবে না বলেই মনে হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল শ্রীমঙ্গলে ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় তেঁতুলিয়ায় ৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের ২০টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ আজ রবিবার থেকে প্রশমিত হতে পারে। আজ ২২ জানুয়ারি রবিবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গত ৫ জানুয়ারি থেকে টানা ১৭ দিন দেশে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। এর মধ্যে এক দিন ছিল তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। এ সময় উত্তরাঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। এ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল গত শুক্রবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই এলাকায় শনিবার তাপমাত্রা বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আর না কমলে এ বছর শীতে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রির তাপমাত্রাই হবে রেকর্ড।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মানলে শীতের বিদায় নেওয়ার সময় হয়ে এসেছে। তবে এ বছর শীতের মেজাজ তেমন দুর্বল ছিল না। পৌষেই হিমেল হাওয়া আর ঠান্ডায় দেশ কেঁপেছে। ফলে আগেভাগেই শীত বিদায় নিচ্ছে। তবে শীতের চরিত্রে খামখেয়ালিপনা দেখা যাচ্ছে। আচমকা দু’দিনের শীতে কাবু হচ্ছে দেশ, তার পরেই এক লাফে পারদ উঠছে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, জানুয়ারির শেষেই বিদায় নেবে শীত। তবে ঢাকার বাইরের জেলা বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে আরও কিছু দিন ঠান্ডা থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, শীতের অকাল বিদায়ের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা বিষয় দায়ী। শীতকালে সাধারণভাবে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে। ফলে দিনে ঝকঝকে রোদ পাওয়া যায়। মাটি গরম হয়। রাত হলেই সেই তাপ দ্রুত কমে ঠান্ডা হয় মাটি। তার সঙ্গে উত্তুরে হাওয়ার যুগলবন্দিতে কনকনে ঠান্ডা পড়ে।
অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে থানায় মারধরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের স্ত্রী পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন। আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সোস্যাল মিডিয়ায় আমি বুলিংয়ের শিকার। অনেকে নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। একটি ছবি ছড়িয়ে দিয়ে হারুন স্যারের সঙ্গে আমার বিয়ের কল্পকাহিনী প্রচার করছে। যে কেউ ভালোভাবে খেয়াল করলেই বুঝবে- ওই ছবির নারী আমি নই। এর আগে অনেক ইস্যুতে অনেকেই বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন। এবার আমি এর শিকার।’
সানজিদা আরও বলেন, ‘হাসপাতালে কী ঘটেছে সে ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে পুরো বিষয় বেরিয়ে আসবে। ঘটনার দিন হাসপাতালে আমার স্বামী পৌঁছার পর আমাকে কোনো কিছু নিয়ে প্রশ্ন করেননি। আমার স্বামী প্রথম এডিসি হারুন স্যারের ওপর চড়াও হন।’
এডিসি হারুনের সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হারুন স্যারের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। তিনি শুধুমাত্র আমার কলিগ। তবে হারুন স্যারের সহযোগিতা নিয়েছিলাম। তিনি আমাকে ডাক্তারের সিরিয়ালের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া আর কিছুই জানি না।’
সানজিদা আরো বলেন, ‘ইনটেনশন (উদ্দেশ্য) দেখে মনে হয়েছে, তারা আমাদের দু’জনকে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে একটা ভিডিও করতে চাচ্ছে। পরবর্তীতে তারা সেটি ইউজ (ব্যবহার) করবেন, একটি অসৎ উদ্দেশ্যের জন্য হতে পারে।’
পরিকল্পিতভাবে আপনার স্বামী এই ঘটনা ঘটিয়েছেন কি-না জানতে চাইলে সানজিদা বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে কি-না বলতে পারব না। তবে তিনি খুব মারমুখী ছিলেন।’
সানজিদা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত এবং ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সানজিদা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আমার কার্ডিয়াক সমস্যা হচ্ছিল। ২০১৯ সাল থেকে আমি হাইপার টেনশনের মেডিসিন খাচ্ছি। চার-পাঁচ মাস ধরে সমস্যাটা বেড়ে যায়। শনিবার ব্যথা বেড়ে যায়। সেদিন ফ্রি সময় থাকায় ডাক্তার দেখাতে চাই। আমি যে ডাক্তারকে দেখাই, তিনি দেশের বাইরে থাকায় ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালে এডিসি হারুন স্যারকে একটি সিরিয়াল করে দিতে বলি। তিনি ওসির মাধ্যমে সিরিয়াল ম্যানেজ করে দেন।’
ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘সন্ধ্যায় ৬টায় আমি সেখানে যাওয়ার পরে দেখি, যেই ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া হয়েছে তিনি একটি কনফারেন্সে আছেন। বিষয়টি হারুন স্যারকে জানালে, তিনি আশপাশে থাকায় হাসপাতালে আসেন। তিনি এসে একজন ডাক্তারকে ম্যানেজ করেন। তাকে দেখানোর পর বেশ কিছু টেস্ট দেন।’
ঘটনার সময় ইটিটি রুমে ছিলেন দাবি করে সানজিদা বলেন, “এ ঘটনার সময় আমি যে রুমে ইটিটি করানো হয় সেই রুমে ছিলাম। ইটিটি করানোর ১৫-২০ মিনিট পর আমি বাইরে একটা হট্টগোলের শব্দ শুনি। প্রথম যে সাউন্ডটা (শব্দটা) কানে আসে যে স্যারই (এডিসি হারুন) চিৎকার করে বলছেন, ‘ভাই, আপনি আমার গায়ে হাত তুললেন কেন? আপনি তো আমার গায়ে হাত তুলতে পারেন না’।”
তিনি আরো বলেন, ‘আমার প্রথমে ধারণা হয়েছিল যে, হয়তো অন্য কারো সঙ্গে ঝামেলা। কিছুক্ষণ পর আমি দেখতে পাই আমার হাজব্যান্ড (আজিজুল হক মামুন), উনি আসলে ওখানে কী করছিলেন, কেন গিয়েছিলেন আমি জানি না। ওনাকে টোটালি আউট অব মাইন্ড লাগছিল (মানসিকভাবে স্থির ছিলেন না) এবং খুবই উত্তেজিত ছিলেন। ওনার সঙ্গে আরো কয়েকজন ছেলে ছিল, আমি আসলে তাদের চিনি না। তারা স্যারকে (এডিসি হারুন) মারতে মারতে ইটিটি রুমে নিয়ে এলেন।’
‘তারা মূলত স্যারকে (এডিসি হারুন) মারতে মারতে, টেনে-হিঁচড়ে এই রুমে নিয়ে আসে। স্যার তাদের হাত থেকে বাঁচতে ইটিটি রুমের এক কোনায় গিয়ে দাঁড়ান’, যোগ করেন সানজিদা।
সানজিদা বলেন, “এরপর আমার হাজব্যান্ড তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে বললেন, ‘এই ভিডিও কর।’ পরে সবাই ফোন বের করে ভিডিও করা শুরু করে। যখন তারা ভিডিও শুরু করে তখন আমি আমার হাজব্যান্ড এবং তার সঙ্গে থাকা লোকজনের সঙ্গে চিল্লাচিল্লি শুরু করি। এরপর আমি যারা ভিডিও করছে তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের হাতের সঙ্গে লেগে আমিও হাতে সামান্য ব্যথা পাই। তার কারণ আমি চাচ্ছিলাম না সেই অবস্থায় কেউ আমার ভিডিও করুক। আর তাছাড়া আমার হাজব্যান্ডের সঙ্গে যেসব ছেলে ছিল আমি তাদের কাউকে চিনতামও না।”
তিনি আরও বলেন, ‘ওই অবস্থায় আমার হাজবেন্ড আমার গায়ে হাত তোলে এবং স্যারকে বের করার চেষ্টা করে। তখন স্যারের কাছে বিষয়টি সেফ মনে হয়নি। এরপর স্যার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন। তখন হাসপাতালের সিকিউরিটির লোকজনও আসেন। এর ১০/১৫ মিনিট পর থানা ফোর্স এলে তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়।’
প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের ২ কেন্দ্রীয় নেতাকে পুলিশ নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ ওঠে। আহত ব্যক্তিরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।
ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানার ভেতিরে নিয়ে বেড়ধক পেটান। এমনকি ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পিটিয়েছেন।
সংগৃহীত
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর করা
এ উপলক্ষে আজ ১১ জুন মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে ঘরের চাবি ও দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা, সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোনাব্বের হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভূইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাভেল প্রমুখ।
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশে একযোগে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর ঘর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়ায় নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫০টি ঘরের দলিল ও চাবি উপকারভোগিদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, মুজিব শতবর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” এই শ্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২-প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন (যাদের জমি নেই ঘরও নেই) তাদের পূনর্বাসনের জন্য ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) ৫০টি পরিবারের জন্য র্গহ নির্মাণ করা হয়েছে। ২শতাংশ খাস জমিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। সব গুলো ঘর একই নকশায় নির্মিত হয়েছে। ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়া এলাকায় ৫০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ভূমিহীনদের পুর্ণবাসনের ক্ষেত্রে এটি একটি বিপ্লব।
তিনি উপকারভোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঘরের পাশে যে খালি জায়গা রয়েছে সেখানে সবজি ও গাছ রোপন করতে হবে। ঘরটাকে বাগানে পরিণত করতে হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে ২৬ নভেম্বর। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আজ ২০ নভেম্বর সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৬ নভেম্বর ফল প্রকাশের বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ৩১ অক্টোবর তিনি জানিয়েছিলেন, ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। এই তিন দিনের মধ্য থেকে যেকোনো দিন ফল প্রকাশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় শিক্ষা বোর্ডগুলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেদিন সময় দেবেন, সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়।
১৭ আগস্ট শুরু হয়েছিল এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা।
অনলাইন ডেস্ক :
মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি বন্ধে সংসদে নতুন আইন আসছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, কিছু আইন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই সংসদে আসবে। তার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নয়, মিথ্যা তথ্য ও মিথ্যা খবর দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা যাতে বন্ধ করা যায়, সে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে সম্পূরক প্রশ্নের সুযোগ নিয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার তার প্রশ্নে বলেন, অনেক অনলাইন সংবাদমাধ্যম মিথ্যা সংবাদ করে অস্থিরতা সৃষ্টি করে। নানা অপপ্রচার করে। এগুলো বন্ধে আইন করা হবে কি না?
জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে বলা আছে, মৌলিক অধিকারের মধ্যে বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা। সেই নিরিখে এবং সেটাকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে আইন প্রণয়ন করতে হয়।
আইন অলরেডি একটা আছে, যেটা হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট। তবে আমি সংসদ সদস্যকে জানাতে চাই, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট এবং আরো কিছু আইন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই সংসদে আসবে। তার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নয়, মিথ্যা তথ্য এবং মিথ্যা খবর দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা যাতে বন্ধ করা যায়, সে ব্যবস্থা সরকার নেবে। তবে ওই আইন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কোনোভাবে সরকার খর্ব করবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিরোধী দলের চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সারা দেশের অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো নিবন্ধনের জন্য সরকার রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করেছে। তথ্য অধিদপ্তর থেকে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ২০৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ১৬৮টি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের বিষয়টি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে আরো অনলাইন পোর্টালের নিবন্ধন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
একই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে অন্য অনলাইন পোর্টালগুলো নিবন্ধনের আওতায় এনে সরকারিভাবে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এ ছাড়া দেশের অনিবন্ধিত কোনো অনলাইন সংবাদপত্রে বা অনলাইনভিত্তিক পোর্টালে দেশবিরোধী সংবাদ প্রচার বা মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে তা বন্ধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি মন্তব্য করে জনগণকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, যে কোন ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে দেশে এক অসন্তোষ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। আপনারা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন এবং এই চেষ্টা যদি কেউ করে সেই চেষ্টাকে আপনারা জানতে পারলে আইনের আওতায় আনার জন্য পদক্ষেপ নিবেন। আশা করি, আমরা যদি সজাগ থাকি, সচেতন থাকি বাংলাদেশ কাংক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।
আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে প্রদত্ত গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। টানা তিন বার কসবা-আখাউড়া আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় এবং তৃতীয় মেয়াদে আইনমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিএনপি-জামাতের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেকবার যখন আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচন দেই তখন বিএনপি-জামাত ষড়যন্ত্র শুরু করে। যাতে তারা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে। নির্বাচন যাতে বাংলাদেশে না হয়। গণতন্ত্র যেন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা না পায়। জনগণের সমর্থনে প্রত্যেকবার শেখ হাসিনা তাদের ষড়যন্ত্র ধ্বংস করেছেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ প্রমান করেছে তারা শেখ হাসিনার সরকার চায়। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটা উন্নত দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে বসবে। আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করে রাখলেই আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো।
বিপুল ভোটে নির্বাচিত করায় আনিসুল হক কসবা-আখাউড়াবাসীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আপনার আমার জন্য দোয়া করবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি।
মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত তিনি জনগণের পাশে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন আনিসুল হক।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আশুগঞ্জ-সরাইল আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ড. অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। এসময় আওয়ামলীগের পক্ষে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল।
এর আগে বিকালে সংবর্ধনাস্থলে এসে পৌঁছলে মন্ত্রীকে ফুল বরণ নেয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।