আখাউড়া প্রতিনিধি :
আলোচনা সমালোচনায় বহু নাটকীয়তার শেষে দুই মাস ১০ দিন পর খালাস হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা গুঁড়া পাথর। কাস্টমস জটিলতায় আটকে থাকা ২৭শ মেট্রিক টন গুঁড়া পাথরের মধ্যে অবশেষে ৭৭০ মেট্রিকটন খালাসের অনুমোদন পায়।
আজ ২৩ জানুয়ারি সোমবার সকাল থেকে ৭শত ৭০ মেট্রিক্স টন গুঁড়া পাথর খালাসের কার্যক্রম শুরু করেছে স্থলবন্দরের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ।
জানা যায়, আশুগঞ্জ নৌ বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ফোরলেন রাস্তার কাজে ব্যবহার করার জন্য গত ১৩ নভেম্বর এই গুঁড়া পাথর গুলি আমদানি করা হয়। কিন্তু এ বন্দর দিয়ে এই পাথর আমদানির অনুমোদন না থাকার অজুহাতে আটকে দেয় কাস্টমস কতৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, আমরা যখন ২ মাস ১০ দিন আগে এলসির পুরো চালান ২ হাজার ৭শত মেট্রিক টন গুঁড়া পাথর আমদানি করি। আমদানির পর কাস্টমস থেকে আমাদেরকে জানানো হয় এ বন্দর দিয়ে এই পাথর আমদানির অনুমোদন নেই। এর পর থেকে কস্টমসের নানান জটিলতায় গুঁড়া পাথর গুলো বন্দরে আটকে যায়। পরবর্তীতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এন বি আর) থেকে প্রথম চালানের ৭শত ৭০ মেট্রিক টন পাথর খালাসের অনুমোদন দেওয়া হয়। তারপরও আমাদের বন্দরে ১৯ শত ৩০ মেট্রিক টন গুঁড়া পাথর রয়ে যাবে। যার জন্য আমাদেরকে ২ মাস ১০ দিনে বন্দর মাশুল দিতে হচ্ছে ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এতে করে আমাদে অনেক আর্থিক লোকসান গুনতে হচ্ছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোঃ সামাউল ইসলাম জানান,২ হাজার ৭ শত মেট্রিক টন গুঁড়া পাথরের মধ্যে ৭শত ৭০ মেট্রিক টন খালাসের অনুমোদন পাওয়ায় স্থানীয় সি এন্ড এফ এজেন্ট সকাল থেকে খালাসের কার্যক্রম শুরু করেছে।এতে করে ২ মাস ১০দিনে বন্দর মাশুল ফি আদায় হয়েছে ২১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার আবু হানিফ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, চূর্ণপাথর আমদানি করার অনুমতি না থাকায় ছাড়পত্র দেয়া হয়নি। তবে চারলেন প্রকল্পের হওয়ায় এনবিআর বিশেষ ক্ষমতায় শর্তসাপেক্ষ ৭৭০ টনের ছাড়পত্র দিয়েছে। বাকিগুলোর জন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআরে আবেদন করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে স্থলপথে বাংলাদেশের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর। ভারতে পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি যাত্রী পারাপারও হয়ে থাকে এ বন্দর দিয়ে। ধীরে ধীরে যাত্রীদের কাছে পছন্দের রুট হয়ে উঠছে আখাউড়া স্থলবন্দর। ফলে যাত্রীদের ভ্রমণ কর বাবদ সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়ছে। তবে যাত্রীর সঙ্গে রাজস্বের পরিমাণ বাড়লেও কাঙ্ক্ষিত যাত্রীসেবা মিলছে না আখাউড়া স্থলবন্দরে। আন্তর্জাতিক এই স্থলপথের যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৪ সাল থেকে আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পণ্য রপ্তানি বাণিজ্য চলছে। পরবর্তীতে বাণিজ্যিক গুরুত্ব বাড়ায় ২০০৮ সালে স্থল শুল্ক স্টেশন থেকে পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে আখাউড়া স্থলবন্দর। বর্তমানে প্রতিদিন এক থেকে দেড় কোটি টাকার বরফায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, পাথর, তুলা, প্লাস্টিক ও কাঠের ফার্নিচারসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। রপ্তানিকৃত পণ্য ত্রিপুরা থেকে সরবরাহ করা হয় উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য রাজ্যগুলোতেও।
পণ্য রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি সরকার যাত্রীদের ভ্রমণ কর বাবদও বিপুল রাজস্ব পায় আখাউড়া স্থলবন্দর থেকে। চিকিৎসা ও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন আটশ থেকে এক হাজার যাত্রী আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করে ভারত গমন করে থাকেন। বিভিন্ন উৎসবের সময় এই সংখ্যা প্রায় তিনগুণ হয়।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর পার হলেই আগরতলা শহর। সেখান থেকে মাত্র মিনিট বিশেকের পথ পাড়ি দিলেই আগরতলা বিমানবন্দর। এছাড়া রেলস্টেশনও শহরের কাছাকাছি। এর ফলে আকাশ ও রেলপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশি যাত্রীরা সহজে কলকাতা, গৌহাটি, দিল্লি, চেন্নাই, জয়পুর, গ্যাংটক ও শিলংসহ দেশটির পর্যটন শহরগুলোতে যাতায়াত করতে পারেন। এতে খরচও সাশ্রয় হয়। মূলত এসব কারণেই আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার বাড়ছে। এছাড়া আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন চার লেনের জাতীয় মহাসড়কের কাজ শেষ হলে আখাউড়া স্থলবন্দর যাত্রী পাপারের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ততম রুট হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পারাপার হয়েছেন দুই লাখ ৫৭ হাজারের কিছু বেশি যাত্রী। এ সময় যাত্রীদের ভ্রমণ কর বাবদ সরকার রাজস্ব পেয়েছে প্রায় আট কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪৩ হাজার। সরকার রাজস্ব পেয়েছে দুই কোটি ৮০ লাখ টাকার কিছু বেশি। বিগত অর্থবছরে যাত্রীর ভ্রমণ কর পাঁচ শ টাকা থাকলেও চলতি অর্থবছর থেকে তা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। ভারতীয় যাত্রীরা বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্যও এই কর দিতে হয়। তবে বন্দরে কাঙ্ক্ষিত যাত্রীসেবা না পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
জরাজীর্ণ কাস্টমস ভবনের ছোট্ট এক কক্ষে কাস্টমসের কাজ শেষ করে যাত্রীদের আরেক ভবনে যেতে হয় ব্যাগেজ স্ক্যানিংয়ের জন্য। এরপর সেখান থেকে বিজিবি চৌকি পার হয়ে যেতে হয় ইমিগ্রেশন ভবনে। রুগ্ণ ইমিগ্রেশন ভবনটিও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে আরও কয়েক বছর আগেই। তবুও ঝুঁকি নিয়ে এই ভবনে যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের কাজ করা হয়।
ছোট্ট ইমিগ্রেশন ভবনের বেশির ভাগ অংশের পলেস্তারা খসে পড়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত জায়গা না পেয়ে ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যাত্রীদের। পাশাপাশি যাত্রীদের জন্য সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থাও নেই।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী যাত্রী আবুল কাশেম জানান, ঢাকা থেকে ভারতের সব শহরে ফ্লাইট সুবিধা নেই। এছাড়া ঢাকা থেকে ফ্লাইটে খরচও বেশি। এক্ষেত্রে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলা থেকে আকাশপথে ভারতের বিভিন্ন শহরে সহজেই যাতায়াত করা যায়। এতে সময় যেমন বাঁচে, তেমনি খরচও লাগে কম। ফলে আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করেন তিনি। তবে আগরতলা স্থলবন্দরের তুলনায় আখাউড়া স্থলবন্দরে যাত্রীদের জন্য তেমন কোনো সেবা নেই।
ফজলে রাব্বি নামে আরেক যাত্রী জানান, ট্রলি সুবিধা না থাকায় যাত্রীদের লাগেজ বহনে সমস্যা হয়। এছাড়া ইমিগ্রেশন ভবনে যাত্রীদের জন্য সুপেয় পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নেই। এতে করে নারী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। অথচ আগরতলা স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এবং ব্যাগেজ স্ক্যানিং সুবিধা মিলে একই ছাদের নিচে। সেখানে যাত্রীদের জন্য আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী মাহাবুবুর রহমান নামের এক যাত্রী জানান, ছোট্ট ইমিগ্রেশন ভবনে একসঙ্গে অনেক যাত্রী বসার সুবিধা নেই। ফলে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে গরমের সময় ভোগান্তি বাড়ে। এছাড়া বৃষ্টি হলে জমে হাঁটুপানি। এসব সমস্যা নিরসন করলে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার আরও বাড়বে এবং সরকারও বেশি রাজস্ব পাবে বলে জানান তিনি।
যাত্রী দুর্ভোগ কমানোর পাশাপাশি যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আখাউড়া স্থলবন্দরে আধুনিক ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্টরা। ২০১৬ সালে পুরাতন ইমিগ্রেশন ভবনের পাশে শুরু হয় ছয়তলা বিশিষ্ট নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণকাজ। তবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন জটিলতায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) আপত্তিতে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ভবনের নকশা পরিবর্তন এবং দুইতলা ভবন নির্মাণের শর্তে নির্মাণকাজ শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু একতলা করার পর ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আবারও বাধা আসে বিএসএফের তরফ থেকে। ফলে এখনো বন্ধ রয়েছে নতুন ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণকাজ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমরা নিজেরাও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমানোর জন্য ইমিগ্রেশন পুলিশ সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন ইমিগ্রেশন ভবনটি হয়ে গেলে যাত্রীরা এক ছাদের নিচেই সব ধরনের সেবা পাবেন। তখন আর দুর্ভোগ থাকবে না। তবে সীমান্ত আইন জটিলতায় ইমিগ্রেশন ভবনের নির্মাণকাজটি বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ ফের শুরু হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
৭ মাস পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আদা আমদানি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ১০ টন আদাভর্তি একটি ভারতীয় ট্রাক আখাউড়া স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। প্রতি টন আদা আমদানি করা হয়েছে ৪৬৩.৫ মার্কিন ডলার। এর আগে ২ মাস যাবত কোন আমদানী হয়নি।
গাজীপুরের এস. আর. এস. এম. ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান আদাগুলো আমদানি করেছে। স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাসান এন্টারপ্রাইজ এর কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ে কাজ করছে।
এর আগে গত বছরের ১০ জুলাই আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫ টন আদা আমদানি করেছিল মদিনা এন্টারপ্রাইজ নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মূলত রপ্তানিমুখী হওয়ায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি অনেকটাই অনিয়মিত।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাসান এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী হাসিবুল হাসান জানান, আমদানীকৃত আদার মূল্য ৪ হাজার ৬৩৫ মার্কিন ডলার। পরীক্ষামূলক ভাবে ১০ টন আমদানী করা হয়েছে। পরবর্তীতে হয়তো আরও আনা হবে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ কামরুল জানান প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর আদাগুলো ছাড় দেয়া হবে বন্দর থেকে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া-সিলেট রেলপথের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকা পড়ে। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে গোপাল নগর এলাকায় চলন্ত অবস্থায় ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়।
আকস্মিক এ সমস্যায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। ভানুগাছ ও শ্রীমঙ্গল স্টেশনের অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে সড়কপথে নিজ গন্তব্যে রওনা দেন।
পরে আখাউড়া জংশন থেকে বিকল্প ইঞ্জিন এনে বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে পাহাড়িকা ট্রেনটি শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।
ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমেদ বলেন, ভানুগাছ রেল স্টেশনের আউটারে রেলগেট এলাকায় চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে। পরে আখাউড়া থেকে বিকল্প একটি ইঞ্জিন এসে ট্রেনটি নিয়ে যায়। ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেনটি রেল লাইনে আটকা ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পৌরশহরের খড়মপুরে কেন্দ্র কমিটির অফিসে দোয়া ও মিলাদ পড়ানো হয়। অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেকাকর্মীরা উপস্থিত ছিল।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, সাধারণ সম্পাদক কাজী লিটন খাদেম, কেন্দ্র কমিটির আহবায়ক আবুল হাসেম খান খাদেম, সদস্য সচিব মাজার কমিটির সেক্রেটারি মোঃ রফিকুল ইসলাম খাদেম, আওয়ামীলীগ নেতা মোবাশ্বের খাদেম শিরু, নওশের খাদেম, ছগির আহমেদ প্রমুখ।
দোয়া পাঠ করেন খড়মপুর মাজার জামে মসজিদের খতীয় হাফেজ মাওঃ লুৎফুর রহমান খাদেম। এসময় আনিসুল হকের সুস্থতা কামনা এবং তাঁর বিজয়ের জন্য দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, কসবা-আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪) আসনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, এনপিপি’র শাহীন খান ও তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ।
চলারপথে রিপোর্ট :
রেলওয়ের ২০০পিস কাঠের পুরাতন স্লিপার চুরির উদ্দেশ্যে নেওয়ার সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার দক্ষিণ মাহমুদাবাদ গ্রামের নুরুল আলম সুকানির পুত্র মো. সোহেল (৩৩) ও পিরোজপুর জেলার স্বরুপ কাঠি থানার আরামকাটি গ্রামের সেকান্দার আলীর পুত্র মো. আব্দুর রাজ্জাক।
এ ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী চৌকির চীফ ইন্সপেক্টর এসআই মোঃ আবু সুফিয়ান ভূঁইয়া বাদী হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে আখাউড়া থানায় মামলা করেছেন। মামলায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের অবসরপ্রাপ্ত এসএসএই/ওয়ে মনিরুল ইসলামসহ তিনজনকে আসামী করা হয়েছে। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে ট্রাকে স্লিপার লোড করার সময় ট্রাকসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আরএনবি ও লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদে জানতে পেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলওয়ে ষ্টেশনের ১নং প্লাটফরমের পূর্ব দিকে ট্রাকে কাঠের স্লিপার লোড করার সময় আরএনবি’র এসআই মোঃ আবু সুফিয়ান ভূঁইয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দুইজনকে আটক করে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলামের সহযোগিতায় ট্রাক ভর্তি স্লিপারসহ দুই পাচারকারীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সদ্য অবসরে যাওয়া এসএসএই/ওয়ে মনিরুল ইসলাম আসামীদের নিকট স্লিপারগুলো বিক্রি করেন। প্রতি পিস স্লিপারের মূল্য ১৫০ টাকা দরে ৩০ হাজার টাকায় স্লিপারগুলো বিক্রির চুক্তি হয়। এসময় ঢাকা মেট্টো-ট-১৪৬৬৫৩ ট্রাকটি জব্দ করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী চৌকির চীফ ইন্সপেক্টর এসআই মোঃ আবু সুফিয়ান ভূইয়া বলেন, সন্দেহ হলে ট্রাকে স্লিপার লোড করার কারণ জানতে আটককৃতরা জানায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের অবসরপ্রাপ্ত এসএসএই/ওয়ে মনিরুল ইসলাম আসামীদের নিকট স্লিপারগুলো বিক্রি করেন।
এদিকে অভিযুক্ত এসএসএই/ওয়ে মনিরুল ইসলামের বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ খন্দকার জসীম উদ্দিন বলেন, আটককৃতদেরকে আদালতের মাধ্যতে জেলে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি পলাতক রয়েছে।