বিশেষ প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন আগামী ১ ফেব্রুয়ারি । নির্বাচনে বিএনপির দলছুট নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াসহ চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে টাকা ও শিক্ষায় আবদুস সাত্তার এবং মামলার দিক থেকে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ। চার বছরে সাত্তারের নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে তিন গুণের বেশি।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের মধ্যে আবদুস সাত্তার ছাড়া বাকি তিন প্রার্থী আগে কখনো সংসদীয় নির্বাচনে অংশ নেননি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য উপনির্বাচন উপলক্ষে জমা দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
চার বছর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় জমা দেওয়া হলফনামায় সাত্তার জেলা শহরের একতলা পাকা ভবনের মূল্য ১০ লাখ টাকা উল্লেখ করেছিলেন। তবে এবারের হলফনামায় তিনি একই ভবনের মূল্য উল্লেখ করেছেন পাঁচ লাখ টাকা। এ ছাড়া সরাইলে তাঁর ২৭ কানি (৩০ শতকে এক কানি) জমির অর্জনকালীন দাম ২৭ হাজার ও বিয়েতে উপহার পাওয়া ৪০ ভরি সোনার দাম ৪০ হাজার টাকা উল্লেখ করেছেন তিনি।
হলফনামা অনুযায়ী, দু’জন প্রার্থী উচ্চশিক্ষিত। তাঁদের মধ্যে সাত্তার স্নাতকোত্তর ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আবদুল হামিদ এলএলবি পাস। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ উচ্চমাধ্যমিক ও জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম স্বশিক্ষিত।
প্রার্থীদের হলফনামায় দেখা গেছে, সাত্তারের পেশা আইনজীবী। তাঁর বিরুদ্ধে ২০০৯ ও ২০১০ সালে মামলা হলেও ২০২১ সালে তা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে বর্তমানে তাঁর কাছে নগদ ১ কোটি ২ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫২ টাকা আছে। কিন্তু একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় তাঁর কাছে নগদ ছিল ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ৪৪ টাকা। অর্থাৎ চার বছরে তাঁর নগদ টাকা বেড়েছে ৭০ লাখ ২০ হাজার ৪০৮ টাকা।
গত নির্বাচনের সময় সাত্তারের দুটি ব্যাংকে জমা ছিল ৮ লাখ ৯২ হাজার ৪০৬ টাকা। বর্তমানে ব্যাংকে জমা আছে ১৮ হাজার ৯২২ টাকা। অর্থাৎ চার বছরে ব্যাংকে জমার পরিমাণ কমেছে। এবারের হলফনামায় গাড়ির জায়গায় তিনি ‘প্রযোজ্য নয়’ উল্লেখ করলেও গতবারের হলফনামায় তিনি প্রায় ১৪ লাখ টাকার একটি ১৫০০ সিসির গাড়ির কথা উল্লেখ করেছেন। হলফনামায় সংসদ সদস্য হিসেবে সাত্তার বাৎসরিক সম্মানী ভাতা ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা পেতেন। এবার ব্যবসা থেকে কোনো আয় না দেখালেও গত নির্বাচনের সময় ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৪ লাখ ৫২ হাজার ৮০৬ টাকা।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী হামিদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। পেশায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। কৃষি খাত থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ২৫ হাজার ৫০০ টাকা। ব্যবসা থেকে তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয় পৌনে চার লাখ টাকা। আইন পেশা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ৭০ হাজার ৭০০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর জমা আছে ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। নিজের নামে সোনা আছে ৪০ ভরি ও স্ত্রীর নামে আছে ৩৭ ভরি। নিজের নামে মূলধন আছে ২ লাখ ১২ হাজার ৩৮৯ টাকা এবং স্ত্রীর কাছে আছে ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ টাকা। তাঁর ৯০ হাজার টাকা দামের একটি মোটরগাড়ি এবং সরাইলে ১০ বিঘা কৃষিজমি আছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা চলমান। তাঁর পেশা ব্যবসায়। তাঁর বার্ষিক আয় বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান ও অন্যান্য ভাড়া থেকে ৮ লাখ ৪২ হাজার ২০০ এবং ব্যবসা থেকে ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার ১২০ টাকা। তাঁর কাছে নগদ আছে ১০ লাখ ৫২ হাজার টাকা। তাঁর ১৬ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রাইভেট কার, নিজের নামে ১১ লাখ টাকার সোনা এবং স্ত্রীর নামে ৬০ হাজার টাকা ও ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার আসবাব আছে। আশুগঞ্জে তার ৫ শতাংশ জমির ওপর একটি বাড়ি আছে। প্রিমিয়ার ব্যাংকে ৭৬ কোটি ৪৭ লাখ ৫৬ হাজার ৬৫১ টাকার তাঁর দায়দেনা আছে।
জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুলের নামে মামলা নেই। ব্যবসা থেকে তাঁর বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। তাঁর কাছে নগদ ২ লাখ ও ২ লাখ টাকার সোনা আছে। স্ত্রীর কাছে নগদ ২ লাখ ও ২ লাখ টাকার সোনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। তাঁর নামে পৈতৃক সম্পত্তি আছে ৩০ শতক। ব্যবসার পুঁজি হিসেবে প্রায় ১৮ লাখ টাকার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৩ অক্টোবর রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ১২টার দিকে ধীতপুর গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের আক্কেল আলীর শিশু পুত্র ইনসাফ আলী (০৪) ও তার আপন ছোট ভাই আশরাফ আলীর শিশু পুত্র সাড়ে তিন বছরের আদিল নামক এই দুই শিশু বাড়ির পাশে খেলা করছিল। খেলার কোন এসময় পরিবারের সদস্যদের অজান্তে শিশুরা বাড়ির নিকট পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন তাদের দেখতে না পেয়ে আশ পাশ ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে খোঁজাখুজি শুরু করে। পরে দুপুর ১টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুরে তাদের মৃত দেহ ভেসে উঠে।
শাহবাজপুর ১০ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল হুদা চৌধুরী বাদল পানিতে ডুবে শিশুদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জে পৃথক অভিযানে ১০৪ বোতল বিদেশী মদ ও ৩০ কেজি গাঁজাসহ ৫ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ও একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত মাদক কারবারিরা হলেন, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার মৃত রাজেন্দ্র কুমার দেবের ছেলে উজ্জ্বল কুমার দেব (৪০), বিয়ানীবাজার উপজেলার মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে শামসুল ইসলাম (২৮), গোয়াইনঘাট উপজেলার মোস্তাক আহম্মদের ছেলে মাহমুদুল হাসান (১৮), নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার জামাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম (২৬) ও লক্ষীপুর জেলার মৃত সুজায়েত উল্লাহর ছেলে মোঃ রিয়াজ (৩২)।
আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল কবির জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পুলিশের নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযানে শনিবার ভোর ৬টার দিকে একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশী চালিয়ে ১০৪ বোতল বিদেশী মদসহ উজ্জ্বল কুমার দেব, মাহমুদুল ও শামসুল ইসলামকে এবং সকাল ৯টার দিকে একটি পিকআপে তল্লাশী চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজাসহ মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোঃ রিয়াজকে আটক করা হয়। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। আটক মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আশুগঞ্জ সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারিরা।
আজ ১৩ আগস্ট রবিবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজার সামনে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক- কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কবীর হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সিনিয়র-সহ-সভাপতি তৈমুর রহমান, সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন, সাবেক সিনিয়র সহ- সভাপতি জাহিদুর রহমান প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ওভারহোলিং কাজের জন্য গত ১ মার্চ থেকে দুই মাস কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিলো। ওভারহোলিং শেষে গত মে মাস থেকে কারখানা চালু করতে চাইলে গ্যাস সংকটের কারণে কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখে বিসিআইসি কর্তপক্ষ। তাই প্রায় ৬ মাস ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কারখানার যন্ত্রাংশ। এবং ওভারহোলিংয়ের কমিশনিং করাও সম্ভব হচ্ছে না।
বক্তারা বলেন, কারখানাকে বাঁচাতে শ্রমিক-কর্মচারিরা আন্দোলনে নেমেছে। গত ১ মাস ধরে কারখানার শ্রমিক কর্মচারিরা গেইট মিটিং, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন, স্মারক লিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।
বক্তারা দ্রুত কারখানায় গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়ে বলেন, তাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে। উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ সার কারখানা চালু থাকলে কারখানায় প্রতিদিন ১ হাজার ২শ মেট্টিকটন ইউনিয়া সার উৎপাদন হয়। এই সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জসহ দেশের ৮ জেলায় সরবরাহ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে মাদকের বিস্তৃতি বৃদ্ধি পাঁচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের এমন বক্তব্য স্বীকার করেছেন ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম। ওসি বলেন পুলিশের একার পক্ষে মাদক প্রতিরোধ অসম্ভব। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অভিভাবক ও সুশিল সমাজসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া মাদক প্রতিরোধ সম্ভব নয়।
আজ ২৯ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে নবনির্মিত সরাইল উপজেলা কমপ্লেক্সে ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সভায় ওসি এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর।
বক্তব্যে সরাইল সদরের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, অরূয়াইলের মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কালীকচ্ছের মো. ছায়েদ হোসেন, শাহবাজপুরের খায়রূল হুদা চৌধুরী বাদল, নোয়াগাঁও-এর মো. মনসুর আহমেদ চুন্টার মো. হুমায়ুন কবিরসহ অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান সম্প্রতি সরাইলে উল্লেখযোগ্য হারে মাদকের বিস্তৃতি নিয়ে উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেন।
সভায় উপস্থিত সুশিল সমাজের লোকজনও মাদক প্রতিরোধে পুলিশের সহায়তা কামনা করেন।
এ ছাড়া অনেকেই সরাইলের কৃষি জমির মাটি বিক্রি ও রাতের অন্ধকারে কেটে জেলা শহরে ও বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
আলোচনায় আসে অরুয়াইল সদরে স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমি খেকুদের সরকারী জায়গা, সালিসের নামে টুপাইস কামানো, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত নদীর ঘাটলা দখল ও দুই পাড়ে তিতাস নদী দখলের বিষয়টি।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম সম্প্রতি মাদকের বিস্তৃতি বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আপনার সন্তান কোথায় যাচ্ছে? বিদ্যালয়ে না গিয়ে অন্য কোথাও যাচ্ছে কিনা? কি করছে? পড়ালেখা ঠিকঠাক মত করছে কিনা? এসব খোঁজখবর রাখার দায়িত্ব আপনার। এসব না করে মাদক প্রতিরোধ বা আসক্ত ব্যক্তির বিচারের দায়িত্ব শুধু পুলিশের উপর ছেড়ে দিলে চলবে না। কারণ পুলিশের একার পক্ষে মাদক প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা আপনার এলাকায় মাদকাসক্ত ব্যবসায়ি, মাটি ও ভূমি খেঁকুদের চিহ্নিত করে গ্রাম আদালতের আওতায় আনুন। সহযোগিতার জন্য আমাদেরকে (পুলিশকে) ডাকুন। আপনাদেরকে এসব কাজে সহযোগিতা করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া মাদকসহ অন্যান্য অনিয়ম দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব না।
চলারপথে রিপোর্ট :
আশুগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩২ কেজি গাঁজা, ২টি গাড়িসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আজ ২৭ অক্টোবর রবিবার দুপুরে এসআই গাজী রবিউল ইসলাম ফোর্সসহ তাদেরকে আটক করেন।
জানা যায়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর আশুগঞ্জ টোলপ্লাজার পূর্বপাশে পাকা রাস্তার উপর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ছোনখোলা গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে মো. আইয়ুব আলী (৩২) এবং হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার জারুলিয়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মো. রুবেল মিয়া (২৩)।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।