আশুগঞ্জ প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে কলার ছড়া প্রতীক পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। এ কলার ছড়ার অপর নাম ‘নৌকা’ বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবো। ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর খবর হবে কলার ছড়া জিতেছে, নৌকা জিতেছে। কলার ছড়ার অপর নাম নৌকা। বেনামে দিলাম আরকি। এটা মনে করেই চলবেন। দেখলেন না, লোকজন সব আওয়ামী লীগের, নাম দিলাম সমর্থকগোষ্ঠী। আসলে ভাসুরের নাম বলা যায় না, এখানে সবই আমরা।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া সমর্থকগোষ্ঠীর ব্যানারে এক কর্মীসভায় তিনি এ কথা বলেন। ২৩ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন মিলনায়তনে এ কর্মীসভায় আয়োজন করা হয়।
সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘ওনারা (বিএনপি) এনেছেন ফারহানাকে। ফারহানা তোমার বাবা আওয়ামী লীগ করতো, পরে গিয়েছে মোশতাকের দলে। তুমি সংরক্ষিত আসনের এমপি হয়ে হাজার পাওয়ারের বাল্ব হয়ে গেলা। সে নাকি নেতৃকে চ্যালেঞ্জ করেছে। একটা চুটকি আমার নেতৃকে চ্যালেঞ্জ করে। আপনারা ১ তারিখ জবাব দেবেন কলার ছড়াতে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কলার ছড়ার প্রার্থীকে চিনি না, আমরা কলার ছড়াকে চিনি আর শেখ হাসিনাকে চিনি। আপনারা কী বোঝেন না! কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার রাজনীতি বোঝেন আপনি! বিএনপির পদত্যাগ করা প্রার্থীকে আমরা কেন দিলাম? এর রাজনৈতিক একটা তাৎপর্য আছে কিন্তু। যার আক্কেল আছে তাকে ইশারা দিলেই বোঝে, আর যে বেক্কল তাকে ধাক্কাইতে হয়। আগামী দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এটা সেমিফাইনাল, সেই সেমিফাইনালে জিততে হবে।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘আগামী এক তারিখের নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী তার নামও আমি ভুলে যাই, চিনি না আমি। প্রার্থীর জনমত নয়, আমাদের নৌকার জনমত, আওয়ামী লীগের জনমত, আওয়ামী লীগের শক্তি। এটা কী কেউ জানতে বাকি আছে, বাংলাদেশের সবাই জানে, মিডিয়ায় নিউজও করতেছে আওয়ামী লীগ এখন স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে নামছে। তার মানে আওয়ামী লীগের শক্তি যেকোনো জিরোকে হিরো করতে পারে। আওয়ামী লীগের শক্তি হিরোকে জিরো করতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হেরেছে শুধু চক্রান্তের কাছে, আন্দোলনেও হারে নাই, নির্বাচনেও হারে নাই। কারণ আমাদের নেতা হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এই নির্বাচনে জয়লাভ করা প্রয়োজন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার। সে (আব্দুস সাত্তার) আমাদের ট্রাম্পকার্ড।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ৭ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ অন্তরা বেগম ওরফে আকলিমা (২৫) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।
গতকাল শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার হোটেল সুরমা ইন এর সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আকলিমা কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার পঞ্চবটি গ্রামের বড় পুকুরপাড় এলাকার মুন্নার স্ত্রী। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে হোটেল সুরমা ইন এর সামনে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার যাত্রী আকলিমাকে আটক করা হয়। পরে তার শরীর ও তার সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ৭ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে দেড় বছর বয়সী মোহাম্মদ নামে এক শিশু মারা গেছে। ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের নাওঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মোহাম্মদ একই এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ জানান, শিশু মোহাম্মদ কয়েকদিন আগে তার মায়ের সাথে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসছিল। শিশুটি পরিবারের লোকজনদের অজান্তে বাড়ির পাশের একটি পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়।
ওসি আরো জানান, শিশুটির পরিবারের কোন অভিযোগ নেই বলে বিনা ময়নাতদন্তে শিশুর লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
একই বিদ্যালয়ে পাশাপাশি দুটি ভবন। একটি নির্মাণের চার বছর পর আরেকটি নির্মাণ করা হয়। পুরাতন ভবনটির সব ঠিক থাকলেও পরবর্তীতে নির্মাণ করা ভবনটি মাত্র ১৭ বছরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের পিলারে পলেস্তারা খসে পড়ে দেখা দিয়েছে ফাটল এবং বের হয়ে এসেছে রড। বিদ্যালয়ের ছাদ থেকেও খসে পড়ছে পলেস্তারা। ছাদের বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হলেও মেলেনি কোনো সাড়া। ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান।
এমন চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা পূর্বপাড়ায় ১৯৬৮ সালে খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে ২৪৭ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ১০৮ ও মেয়ে শিক্ষার্থী ১৩৯ জন আছে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও একজন সংযুক্তি শিক্ষকসহ পাঁচজন আছেন।
২০০১-২০০২ অর্থ বছরে বিদ্যালয় চত্বরের পূর্বদিকে একটি পাকা ভবন এবং ২০০৫-০৬ অর্থবছরে পশ্চিমদিকে আরেকটি পাকাভবন নির্মাণ করা হয়। দুটি ভবনই পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ২০০৫-২০০৬ সালে নির্মাণ করা বিদ্যালয়ের পশ্চিমদিকের ভবনের নিচের পিলার, বিমের পলেস্তরা খসে পড়েছে। বেশ কয়েকটি জায়গায় রড বের হয়ে গেছে। পশ্চিমদের ভবনে শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা, দপ্তরের ছাদের ওপর একাধিক জায়গায় ফাটল আছে। খসে পড়ছে পলেস্তরা। এর মধ্যেই প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগমসহ অন্য শিক্ষকরা ঝুঁকি নিয়েই সেখানে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। পশ্চিমদিকের জরাজীর্ণ ভবনে দুটি শ্রেণিকক্ষ, একটি দাপ্তরিক কাজ ও শিক্ষকদের বসার জন্য একটি কক্ষ এবং শৌচাগার আছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমদিকের ভবনে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রাক প্রাথমিকের এবং সাড়ে ১২টা থেকে সোয়া ৪টা পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলে। পাশের ভবনে দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির পাঠদান চলে। প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম গত বছরের শেষ দিকে বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনের কথা উল্লেখ করে নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি লিখেন। একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ভবনটির দুরবস্থার কথা জানালেও কোনো কাজ হয়নি। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই সেখানে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা।
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবদুল হাই, রোমান মিয়া, জোনাকি আক্তার জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করতে তাদের ভয় লাগে। ছাদের রড বের হয়ে গেছে। স্কুলের ছাদ থেকে সিমেন্ট খসে খসে পড়ে। সিঁড়ির দেওয়ালও ভেঙে গেছে। সিঁড়ির দিকের ফাটল দেখলে ভয় লাগে। ভয় নিয়ে আমরা ক্লাস করি।
স্থানীয় হানিফ মিয়া বলেন, চার বছর আগে নির্মাণ করা ভবন ভালো আছে। পরে নির্মাণ করা ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ ভবনে আতঙ্ক নিয়ে চলে শিক্ষা কার্যক্রম।
খড়িয়ালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিনা বেগম বলেন, সর্বশেষ ২০২২ সালের শেষের দিকে বিদ্যালয়ের একটি ভবনের জরাজীর্ণের অবস্থা উল্লেখ করে নতুন ভবনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। আগেও বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাঠদান চালানোর জন্য বিকল্প কোনো ভবন নেই। তাই বাধ্য হয়েই জরাজীর্ণ ভবনে শ্রেণির কার্যক্রম এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম চালাতে হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, জেলা ও সব উপজেলার জরাজীর্ণ ভবনের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের তালিকায় এ বিদ্যালয়ের নামও আছে।
আশুগঞ্জ প্রতিনিধি :
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় অবাঞ্চিত করেছে ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।
গতকাল শুক্রবার সকালে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার এই ঘোষনা দেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোঃ ছফিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আল-মামুন সরকার বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী দেয়নি আওয়ামীলীগ। বিএনপি উপ-নির্বাচন বর্জন করেছে। আওয়ামীলীগ উপ-নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দিলেও সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন নির্বাচনে সহযোগীতা করবে আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা।
তিনি সম্প্রতি আশুগঞ্জে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিএনপির নেত্রী ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে উপ নির্বাচনের সময়কাল পর্যন্ত ব্যারিষ্টার রুমিন ফারহানাকে নির্বাচনী এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
মতবিনিময় সভায় আল-মামুন সরকার বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা যদি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন নির্বাচন প্রতিহত, বানচাল বা বিশৃংখলার সৃষ্টির কোন অপচেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। এই আসনটি উম্মুক্ত রেখেছে আওয়ামীলীগ। উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী এই আসনের ৫ বারের সাবেক এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া “কলারছড়ি” প্রতীক, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ “মটর গাড়ি (কার)” প্রতীক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী “লাঙ্গল” প্রতীক ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল “গোলাপ” ফুল প্রতীক।
উকিল আবদুস সাত্তার দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।
উপ-নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। কিন্তু আওয়ামীলীগের তিনজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। পরে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। আজ ১৬ জানুয়ারি সোমবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিকেলে উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেছেন।
বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া পেয়েছেন “ডাব” প্রতীক, এই আসনের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন “ সিংহ” প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ পেয়েছেন “মটর গাড়ি (কার)” প্রতীক, এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন “লাঙ্গল” প্রতীক ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল পেয়েছেন “গোলাপ” ফুল প্রতীক।
উপ-নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান বিকেলে পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এখন থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন।
উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এই আসন থেকে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শুন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া বিএনপির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে পদত্যাগ করে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
উপ-নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। কিন্তু আওয়ামীলীগের তিনজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। পরে দলীয় সিদ্ধান্তে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল- মামুন সরকার বলেন, ‘এখানে যেহেতু দল কোনো প্রার্থী দেয়নি সেক্ষেত্রে দলের কথা বলে কেউ প্রার্থী হতে পারেন না। তারা স্বেচ্ছায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মূলত নির্বাচনটা হতে যাচ্ছে অনেকটা অসময়ে। দলের প্রার্থীরা সময় নিয়ে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারবেন।