আখাউড়া প্রতিনিধি :
আজ বৃহস্পতিবার সরস্বতী পূজা ও শুক্রবার বাংলাদেশে সাপ্তাহিক ছুটির কারণে দুই দিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আজ ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ইন্দো-বাংলা এক্সপোর্টার-ইমপোর্টার কমিউনিকেশন সেন্টার’র সাধারণ সম্পাদক শিব শংকর দেবের স্বাক্ষরিত একটি প্যাডে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের জানানো হয়।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক স্বপন কুমার দাস জানান, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ওই দুই দিন বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি মৌসুমে আখাউড়ায় বাণিজ্যিকভাবে বাদাম চাষ হয়েছে। এখন জমি থেকে বাদাম তোলা শুরু করেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে আর সঠিকভাবে পরিচর্যার কারণে এবার বাদামের ফলন ভালো হয়েছে।
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউপির বেশ কয়েকটি গ্রামে নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে কৃষকরা বছরের পর বছর বাদম চাষ করে আসছেন। স্থানীয় বাজারে বাদামের চাহিদাও রয়েছে বেশ। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এ ফসল চাষের প্রতি উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে। উৎপাদিত বাদাম স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে বাদাম কিনে নিয়ে যান।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৩ হেক্টর জমিতে বাদাম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ফলন বৃদ্ধিতে কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। সবচেয়ে বেশি বাদামের চাষ হয়েছে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউপির কর্মমঠ, হারকোট, মিনারকোট, ধর্মসগর, ঘাঘুটিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানকার বেশিরভাগ এলাকা উঁচু হওয়ায় জমিতে সবজি চাষ করা হতো। স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এখন চাষিরা বাদাম চাষে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বাদাম আবাদ করতে প্রতি এক বিঘা জমিতে প্রায় ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘাপ্রতি ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৪ থেকে ৫ মণ বাদাম। স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকায়।
মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্মমঠ গ্রামের কৃষক মো. সোহাগ সরকার বলেন, এ গ্রামে প্রায় ৩০ বছর ধরে উচ্চ ফলনশীল দেশীয় জাতের বাদাম চাষ করছেন কৃষকরা। এ মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের বাদাম আবাদ করি। হালচাষ, বীজ রোপণসহ অন্যান্য খরচ হয়েছে প্রতি বিঘা প্রায় ৭ হাজার টাকা। তবে বাদাম চাষে কোনো কীটনাশক দেওয়া হয় না। এরই মধ্যে বাদাম তোলার কাজ শেষ হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে প্রায় ৫ মণ। স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার টাকা দরে। বাদাম বিক্রি নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। কুমিল্লা, ভৈরবসহ দেশের বিভিন্ন জায়গার পাইকাররা এসে বাদাম ক্রয় করে নিয়ে যায়। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে এ মৌসুমে প্রায় ৬০ লাখ টাকা আয় হবে।
কৃষক মো. মামুন বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আবাদ করছি। চলতি মৌসুমে প্রায় দুই বিঘা জমিতে আবাদ করা হয়। এরই মধ্যে বাদাম তোলার কাজ শুরু হয়েছে। গত বছর থেকে এবার তুলনামূলক ফলন ভালো হয়েছে। গ্রামের জমি বাদাম চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাদাম তোলার পর কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পরবর্তীতে চাষাবাদ করা হবে। বাদাম বপন থেকে উৎপাদন পর্যন্ত তিন মাস সময় লাগে। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির কারণে সময় অনেক কম লাগছে। কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।
ইউপি সদস্য মো. হামদু মিয়া বলেন, এ বছর প্রায় ২বিঘা জমিতে বাদাম আবাদ করা হয়েছে। বাদাম মাঠ থেকে তুলে বাড়ি আনা হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বাদামের ফলন ভালো হয়েছে।
তিনি বলেন, জায়গা উঁচু হওয়ায় ধানের ফলন তেমন ভালো হয় না। আমাদের গ্রামটি বাদামের গ্রাম হিসেবে বেশ পরিচিত লাভ করেছে। আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বলেন, বাদাম চাষে স্থানীয় কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষণিক কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বাদাম চাষে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ চালুর মধ্য দিয়ে দু’দেশের বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে-এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে এ লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে অনুমতি মিলেছে ভুটানে উৎপাদিত সব (সুতা ও আলু ব্যতীত) পণ্য ও ভারতের ৬০টি পণ্য। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের পণ্য উল্লেখিত রেলপথ দিয়ে রপ্তানি করা যাবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এর এক প্রজ্ঞাপন থেকে আমদানির-রপ্তানির এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৩১ অক্টোবর এ প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়। আজ ৬ নভেম্বর সোমবার এ প্রতিবেদকের হাতে প্রজ্ঞাপনটি আসে। একই প্রজ্ঞাপনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আরো চারটি পণ্য আমদানির অনুমতি মিলেছে। এসব পণ্য হচ্ছে, ভুষি, ডাল, বুট ও বাঁশ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও নতুন এ প্রজ্ঞাপন জারির কারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উৎসাহ বিরাজ করছে। রেলপথের আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ হলে কয়েক মাসের মধ্যেই ভারত থেকে পণ্য আমদানি শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন বাবুল সোমবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আখাউড়া স্থলবন্দরের বাণিজ্য খেই হারিয়ে ফেলেছে। রেলপথ দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির অনুমতি মেলায় এখন বাণিজ্যে নতুন ধারা ফিরে আসবে। ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।’
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হলে দু’দেশের বাণিজ্যে আরো গতি বাড়বে। বিশেষ করে পাথর ও গম আমদানি আমাদের সহজ হবে। ভারতের ট্রেন বাংলাদেশে চলে আসবে বলে কমে আসবে পরিহন ব্যয়। ইতিমধ্যেই পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে, ভারতের অংশে রেললাইনের কিছু কাজ বাকি থাকায় এখনই বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। আশা করছি কয়েক মাসের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করা যাবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া সীমান্ত হয়ে দু’দেশের মধ্যে রেল যোগাযোগের উদ্বোধন হয়েছে বুধবার। বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যে আরো একটি রেল যোগাযোগ স্থাপন হলো।
এদিকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য মুখিয়ে আছেন ভারতীয়রা। বিশেষ করে সেখানকার ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ মনে করছে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে কলকতা হয়ে সেদেশের বিভিন্নস্থানে গেলে তাদের অনেক সময় বেঁচে যাবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার যাওয়াটা তাদের জন্য সহজ হবে।
তবে এখনই এটা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশ হয়ে আগরতলা-কলকাতা ট্রেন চলাচল। এ ক্ষেত্রে বাধা মিটার গেজ রেললাইন। কেননা, আখাউড়া থেকে ভৈরব পর্যন্ত ব্রডগেজ (ডুয়েল গেজ) হলেও ভৈরব থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পুরোটাই এখনো মিটার গেজ রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই পথটুকু ব্রডগেজ লাইনে পরিণত না করা হয় ততক্ষণ বাংলাদেশ হয়ে সরাসরি আগরতলা থেকে কলকাতা যাওয়া সম্ভব না। ভারতের অভ্যন্তরের পুরোটাই ব্রজগেজ বিধায় বাংলাদেশ থেকেও গাড়ি যাওয়া সম্ভব না।
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের পরিচালক মো. আবু জাফরও জানিয়েছেন যে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে আগরতলা থেকে কলকাতা ট্রেন চলাচল হুট করেই সম্ভব না। তবে এক্ষেত্রে আগে ভৈরব থেকে টঙ্গী পর্যন্ত পুরো অংশে ব্রডগেজ লাইন করতে হবে।
একাধিক সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারত-বাংলাদেশ এর মধ্যে রেলওয়ের এ সংযোগ প্রকল্পটি চালু হলে মূলত ভারতীয়রা ব্যবসায়িরাই বেশি লাভবান হবেন। এক্ষেত্রে তারা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশ থেকে আনা পণ্য ট্রেনে করে ত্রিপুরাসহ আশপাশের সাতটি রাজ্যে সহজেই নিয়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম থেকে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর পর্যন্ত ব্রডগেজ লাইন থাকায় ট্রেন চলাচলের কোনো অসুবিধা হবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৬ দিন সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
আজ ২৪ জুন শনিবার স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমেদ খলিফা ও আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭ জুন মঙ্গলবার থেকে ২ জুলাই রবিবার পর্যন্ত বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ৬ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার থেকে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক দুর্ঘটনায় সহকর্মীর মৃত্যুর পর কান্নায় বুক ভাসিয়েছিলেন। কুলখানিসহ আনুষঙ্গিক কাজে লাখ লাখ টাকা খরচের কথা বলেছিলেন। এবার সেই সহকর্মীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহবুদ্দিন বেগ শাপলুর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে নিহত রিফাতের মা পারুল আক্তার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তানজিল শাহ তচ্ছন, মো. ফয়সাল ও মো. আরিফ নামে আরও তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে ওই অভিযোগে কী পরিমাণ টাকা ‘আত্মসাৎ’ করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত লেখা হয়নি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরের মো. শাহ আলমের ছেলে রিফাত পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। টিঅ্যান্ডটি এলাকায় একটি জায়গা ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে মধ্যস্থতা হয় যে, লভ্যাংশের টাকা তারা সমবণ্টন করে নেবেন। কিন্তু রিফাতের মৃত্যুর পর তার টাকা না বুঝিয়ে দিয়ে টালবাহানা করা হয়। ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া সুজন এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে তার মাধ্যমেও টাকার কথা অস্বীকার করে অভিযুক্তরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টিঅ্যান্ডটি এলাকার একটি জায়গা বিক্রি হলে রিফাতসহ অন্যরা সমবণ্টন পাবে বলে নিজেদের মধ্যে চুক্তি হয়। এরই মধ্যে রিফাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যায়। রিফাত মারা যাওয়ার পর তার কুলখানিতে অনেক টাকা খরচ করা হয়েছে বলে প্রচার করতে থাকে ছাত্রলীগ নেতা শাপলুসহ অন্যান্যরা। এরই মধ্যে শাপলু ওই টাকা খরচের দোহাই দিয়ে চাকরির বদলির তদবির করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নেয়। এসব কারণে রিফাতের কুলখানিতে টাকা খরচের বিষয়টি সামনে চলে আসে।
রিফাতের পরিবারের একাধিক সদস্য জানায়, তার একেবারে ঘনিষ্টরা নিজেরা কুলখানিতে খরচ করে। কিন্তু জায়গা বিক্রির লভ্যাংশের টাকা পরিবারের কারো কাছে দেওয়া হয়নি। এমনটি কাউন্সিলরের মাধ্যমে টাকা চাওয়া হলে তারা অস্বীকার করে। এখন পর্যন্ত তারা রিফাতের পাওনার আনুমানিক সাত-আট লাখ টাকার মধ্যে এক টাকাও দেয়নি।
এ বিষয়ে জানতে শাহবুদ্দিন বেগ শাপলুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কাউন্সিলর ইব্রাহিম মিয়া সুজন জানান, পার্টনার হিসেবে রিফাত টাকা পাওনা আছে। অনেক চেষ্টা করেও এ টাকা আদায় করা যাচ্ছে না। একজন প্রয়াত সহকর্মীর টাকা নিয়ে তারা এমন কেন করল সেটা বুঝতে পারছি না।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মায়ের মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরে বিলাপ করতে-করতে মারা গেলেন ঝান্টু মোল্লা (৫০) নামে এক ব্যক্তি। রোববার রাত ৮টায় উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া মোল্লাবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আজ ৬ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় জানাযা শেষে ঝান্টুর মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইদ্রিস মোল্লার ছেলে।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে ঝান্টুর মা রেজিয়া খাতুন (৭০) মারা যান।
স্থানীয় এলাকাবাসী দাবি করেছেন, মায়ের মৃত্যুতে মাতম করছিলেন বড় ছেলে ঝান্টু মোল্লা। শোক সইতে না পেরে বিলাপ করতে থাকেন তিনি। এতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মা-ছেলের মৃত্যুতে ঝান্টু মোল্লার স্ত্রী হাজেরা ও দুই মেয়ে সুমাইয়া এবং সামিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা পারিবারিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর, সোহাগ ভূঁইয়া ও আলম মোল্লা বলেন, ঝান্টু মোল্লা মা ভক্ত ছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে তার মায়ের মৃত্যুর পর সে লাশের পাশে বসে কাঁদছিলেন। তার মাকে কবরস্থ করার পর শোক সইতে না পেরে বিলাপ করতে থাকেন তিনি। রবিবার রাত ৮টার দিকে বুকে ব্যথা ওঠে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সোমবার জোহরের নামাজের পর জানাযা শেষে ঝান্টু মোল্লার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে শনিবার একই কবরস্থানে তার মায়েরও দাফন করা হয়েছে।
আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রহিম মিয়া বলেন, মায়ের শোকে ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। শুনেছি তাদের শোকে পরিবারের আরো তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।