ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির আয়োজনে “ফার্মেসীতে মানসম্পন্ন ঔষধ বিক্রয় নিশ্চিত করতে ও নকল, ভেজাল, মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রয় প্রতিরোধে এক আলোচনা সভা আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সভাপতি আহাম্মদ হুসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু কাউছারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহ, ঔষধ প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ শাহজালাল ভূঁইয়া, প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহরুল ইসলাম মোল্লা।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আপনারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করবেন।স্রষ্টার উপর বিশ্বাস রেখে মানুষকে না ঠকিয়ে ব্যবসা করবেন। ঔষধ নিয়ে কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। তিনি নকল, ভেজাল, মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রয় না করতে ফার্মেসীর মালিকদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, মানুষ তার জীবন রক্ষা করার জন্য ঔষুধ সেবন করে, তাই জীবন রক্ষাকারী ঔষধ বিক্রিতে আপনারা কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। তিনি ঔষধ ব্যবসায়ীদের ন্যায় সঙ্গত দাবির প্রতি সব সময় পাশে থাকার ঘোষনা দেন।
আলোচনা সভায় জেলার ৯টি উপজেলা থেকে প্রায় চারশতাধিক ফার্মেসীর মালিক যোগদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণ মানুষের নেতা, নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বপ্নদ্রষ্টা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আমরা কোন অপরাধীকে পশ্রয় দেইনা। আইন সবার জন্য সমান, আইনের অধিকার সবাই সমানভাবে ভোগ করবে।
আজ ৩০ মার্চ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলার মাসিক আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি সদর উপজেলার আইন-শৃংখলার পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হঠাৎ করে কেন শহরে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।
তিনি আইন-শৃংখলা বাহিনীকে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আরো দায়িত্বশীল ও মনযোগী হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, সবাইকে দেশের কথা ভাবতে হবে। আমরা সবাই যদি সরকারি বিধিবিধান মেনে চলি তাহলেতো কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তিনি সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান। তিনি ঈদমুখী মানুষ যাতায়তে যেন কোন ভোগান্তিতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
সভায় আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যরা কাউতলী মোড়ের অবৈধ টেম্পুস্ট্যান্ডটি অপসারণ, শহরে অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার, মহাসড়ক ফোরলেনে সম্প্রসারনের জন্য জনগনের ভোগান্তি দূরীকরন ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভ‚ইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট নাসির, সদর উপজেলা ইউসিসিএর সভাপতি আবু কাউছার, ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, কামরুল ইসলাম, মোঃ শাহআলম, মোঃ নাছির উদ্দিন, আব্দুর রশীদ, আবদুল হাকিম মোল্লা ও আলামিনুল হক পাবেল প্রমুখ। সভায় সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যগন ও সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে অদ্বৈত চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ অধ্যাপক শান্তনু কায়সারকে মরণোত্তর ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণ সাহিত্য পুরস্কার’-২০২৪ প্রদান করা হয়েছে।
২৩ মে বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন (পিপিএম)।
অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কবি, গীতিকার ও কবিতা বিষয়ক গবেষক মো. আ. কুদ্দূস।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের দীর্ঘদিনের সহচর, বিশিষ্ট কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অদ্বৈত চর্চার ইতিহাস, অদ্বৈত গবেষণায় অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের অবদান এবং অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা ও কর্ম পরিধি নিয়ে বিশদ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সহকারী সম্পাদক কবি পিয়াস মজিদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম পঠান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে শান্তনু কায়সারের পরিবারের পক্ষে সম্মানজনক এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁর বড় ছেলে রাসেল রায়হান। এসময় অতিথিবৃন্দ তার হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছোটকাগজ ‘প্লাটফর্ম’-সম্পাদক হেলাল উদ্দিন হৃদয় ও কিচিরমিচির সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে এই ধরনের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন- প্রয়াত এ গুণীজনকে সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে একই সাথে অদ্বৈত মল্লবর্মণ ও অধ্যাপক শান্তনু কায়সারের সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। অনুষ্ঠানের সভাপতি মো. আ. কুদ্দূস বলেন- নতুন প্রজন্মের মাঝে অদ্বৈতর চিন্তা-চেতনাকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং অদ্বৈত গবেষণায় দ্বার উন্মুক্ত রাখতে ভবিষ্যতেও আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান থাকবে।
২০২২ সালে মো. আ. কুদ্দূস প্রতিষ্ঠিত অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের মাধ্যমে অদ্বৈতর জন্মভিটা গোকর্ণঘাটে ২০২৩ সালে প্রথম ও ২০২৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো তিন দিনব্যাপী অদ্বৈত গ্রন্থমেলা আয়োজন করা হয়েছিল। দুই বছরই দুইজন গুণী ব্যক্তিকে অদ্বৈত গবেষণায় অবদান রাখায় ‘অদ্বৈত মল্লবর্মণ সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। ২০২৩ সালে এ পুরস্কার লাভ করেন কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন। এ বছর ২০-২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এ মেলায় অধ্যাপক সান্তনু কায়সারকে এ পুরস্কার দেওয়ার কথা থাকলেও সে সময় তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিদেশে অবস্থান করায় গতকাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদান করা হলো।
অনুষ্ঠানে তার বড় ছেলে রাসেল রায়হান অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন- আমার বাবা কর্ম ও ভালোলাগার সূত্রে দীর্ঘদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বসবাস করেছেন। আমাদের ভাই-বোনদের সকলের জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে। বাবা ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে এত বেশি থেকেছেন, আসা-যাওয়া করেছেন এবং কাজ করেছেন যে দেশের অনেকেই ভাবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বুঝি তাঁর আসল বাড়ি। আজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই সম্মান পেয়ে আমরা পরিবারের সদস্যরা গর্বিত ও আনন্দিত। বাবা বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই তিনিও গর্ব অনুভব করতেন। বক্তব্যে তিনি অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক শান্তনু কায়সার ১৯৫০ সালের ৩০ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাজনমেঘ গ্রামের মুন্সী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে অধ্যাপনাকে জীবনের ব্রত হিসেবে নেন। একইসঙ্গে তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অধ্যাপনার সময় তিনি এখানকার সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় তিনি অদ্বৈত গবেষণা ও চর্চায় আত্মনিয়োগ করেন। একসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে গেলেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই জেলার সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্ক ছিল। বিস্তর কর্মজীবনে বিভিন্ন বিষয়ে তিনি প্রায় ৪৫টি গ্রন্থ রচনা করেন। যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বই অদ্বৈত গবেষণার উপর। ২০১৪ সালে প্রবন্ধ সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করা গুণী এই সাহিত্যিক ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধভাবে রেলওয়ের জলাশয় বালু ফেলে ভরাটের দায়ে জব্দ করা ১৫ হাজার ঘনফুট বালু উম্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। নিলামে ৮১ হাজার টাকায় এই বালু বিক্রি করা হয়।
গতকাল বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেনের উপস্থিতিতে এই উম্মুক্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে রেলওয়ের জলাশয় অবৈধভাবে বালু ফেলে ভরাটের প্রতিবাদে গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার বড় হরণ লেবেল ক্রসিং এলাকায় মানববন্ধন করে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
সদর উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় লোকজন ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বড়হরণ এলাকায় রেলের জলাশয় বালু ফেলে ভরাট করে ফেলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। বিষয়টি জানতে পেরে গত সোমবার দুপুরে সেখানে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন।
এ সময় বালু ভরাটের কাছে ব্যবহৃত একটি ভেকু ও জলাশয়ে ফেলা সকল বালু জব্দ করা হয় এবং চার কার্যদিবসের মধ্যে জব্দ করা বালু নিলাম ডেকে বিক্রি করে জলাশয়কে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আনতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলমকে নির্দেশ দেন তিনি।
এসিল্যান্ডের নির্দেশে বুধবার বিকেলে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে উম্মুক্ত নিলাম আহবান করেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম। সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন। নিলামে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়াগ নরসিংসার গ্রামের খলিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ মূল্য ৮১ হাজার টাকা ডাক তোলেন।
এ ব্যাপারে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, ৮১হাজার টাকায় সর্বোচ্চ মূল্য উঠে উম্মুক্ত নিলামে। আগামী শনিবার থেকে ওই ব্যক্তির কাছে বালু বুঝিয়ে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর আলোকে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জলাশয় বালু ফেলে ভরাট করার অপরাধে একটি ভেকু ও ভরাট করা বালু জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, এর আগেও গত ১৯ ফেব্রিয়ারি বালু ফেলে জলাশয় ভরাটের দায়ে বড় হরণে অভিযান চালিয়ে খননযন্ত্র জব্দসহ এক লাখ টাকা করিমানা করা হয়। তিনি বলেন, পরিবেশ আইনে জলাশয় কোনোভাবেই ভরাট করার সুযোগ নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বালুবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সাকে চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় দৌড়ে আত্মরক্ষা করেন অটোরিক্সা চালক।
৩০ আগস্ট বুধবার বিকেলে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাউতুলী কুরুলিয়া সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শঙ্কর কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বিকেলে একটি বালুবাহী ট্রাক কুমিল্লার দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি কাউতুলী সেতুতে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছনের দিকে আসতে থাকে। এসময় দাঁড়িয়ে থাকায় একটি খালি অটোরিক্সাকে ট্রাকটি পিষ্ট করে। তবে ট্রাকটি আসতে দেখেই অটোরিক্সাচালক দৌড়ে আত্মরক্ষা করেন। তাই কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এএসআই শঙ্কর কুমার বলেন, ঘটনার পর ট্রাক মালিক সমিতির স্থানীয় নেতারা অটোরিক্সার মালিকের সঙ্গে বসে বিষয়টি মীমাংসা করেন। তারা অটোরিক্সাটির ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দুঃশাসনের মাধ্যমে যারা জোর করে ক্ষমতায় আছে, তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। আজ গোটা জাতি শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় আছে।
আজ ৩০ মে মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জিল্লুর রহমানের নামাজে জানাযা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে জিল্লুর রহমানের মতো ত্যাগী নেতার চলে যাওয়া দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। মূলত নির্যাতন নীপিড়নের শিকার হয়েই অকালে তিনি চলে গেছেন। শহরের টেংকের মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত জানাজায় বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা একেএম একরামুজ্জামান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বিএনপির তুখোর রাজনীতিবিদ মরহুম জিল্লুর রহমানের কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানান নেতাকর্মীরা। পরে শহরের শেরপুরস্থ কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা শহরের জেল রোডস্থ দি ল্যাব এইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে, রাজনৈতিককর্মীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবত কিডনি রোগ ও হেপাটাইটিস-বি’তে আক্রান্ত ছিলেন। এদিকে, তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মরহুমের বাড়িতে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ সজ্জন ও স্বজনরা তাকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন। এ সময় এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সালে তিনি ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেন। তবে বিএনপি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জেলা বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন।