ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা নাগরিক কমিটির উদ্যোগে প্রায় ২ শত শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে শহরের টেংকের পাড় আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। এতে জেলা নাগরিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট মোঃ হাবিব উল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীন আইনজীবী এ,একে,এম মোঃ শাহদাৎ হোসেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ কুমিল্লা সমিতিরি সহসভাপতি মোঃ আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক এইচ,এম,এম জামান, অর্থ সম্পাদক মোঃ খাইরুল নোমান, দপ্তর সম্পাদক জালাল উদ্দিন মাষ্টার, প্রচার সম্পাদক মোঃ ফারুক মজুমদার প্রমুখসহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কম্বল বিতরণ কালে বক্তারা, শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে সমাজের সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান। পরে অতিথিবৃন্দ প্রায় ২ শত শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মো. আবু সাঈদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মো. আবু সাঈদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আফরিন আহমেদ হ্যাপি এই আদেশ দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রভাবশালী এই চিকিৎসক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৬টায় তাকে আদালতে নেওয়া হয়। সে সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি আবু সাঈদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গতকাল তার শুনানি হয়নি। এরই প্রেক্ষিতে আজ ২৮ অক্টোবর সোমবার আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ডা. আবু সাঈদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিএমএ’র সভাপতি ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
প্রসঙ্গত, তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। তাকে ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ৬০ নম্বর আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্য মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে অস্থায়ী জামিনে রয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অধিক দামে কাপড় ও ফল বিক্রির দায়ে চার প্রতিষ্ঠানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ২৫ মার্চ সোমবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান শহরের হালদারপাড়া ও মসজিদ রোডে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারি পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান জানান, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার দুপুরে শহরে হালদারপাড়ায় কাপড়ের দোকান ও মসজিদ রোডে ফলের দোকান ও ফলের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় দেখা যায় হালদারপাড়ার ফড়িং ও ফ্রেঞ্জি নামে কাপড়ের দোকানে এক দাম লিখে রাখা হয়। কিন্তু তারা অনেকের কাছে লিখে রাখা দামের কম দামেও বিক্রি করছিলেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ফড়িংকে ১০ হাজার ও ফ্রেঞ্জিকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, মসজিদ রোডে বেশি দামে ফল বিক্রি করায় দায়ে ২ দোকানিকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার পাশাপাশি তাদের সর্তকও করা হয়। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “মায়ের দোয়া মোরগ সেন্টার” নামে একটি মোরগের দোকানে চুরি হয়েছে। চোরেরা দোকান থেকে নগদ ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩২০ টাকা ও একশত মুরগী চুরি করে নিয়ে যায়। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় শহরের কাউতলী বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে দোকানের মালিক বশির মিয়া বাদি হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৫জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বশির মিয়া কাউতলী গ্রামের আবু সামা মিয়ার ছেলে।
আসামীরা হলেন, পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের মরহুম আসমত আলীর ছেলে আনসর আলী (৬৫), আনসর আলীর ছেলে নুরুল আমিন (৩৬), কাউতলী গ্রামের মৃত ফুল মিয়ার ছেলে শাহজাহান (৫০), একই গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে হানিফ মিয়া (৫০) ও সদর উপজেলার দারমা গ্রামের রতন (৩০)। পুলিশ এ ঘটনায় আনসর আলী নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করে।
মামলার এজাহারে বাদি বশির মিয়া বলেন, তিনি কাউতলী বাজারে “মায়ের দোয়া মোরগ সেন্টার” নামক একটি মুরগীর দোকান দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন।
রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার সময় তিনি দোকান বন্ধ করে খাওয়ার জন্য বাড়িতে চলে যান। এই সুযোগে চোরেরা দোকানের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩২০ টাকা ও দোকানে থাকা ১০০ মুরগী চুরি করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে তিনি বাজারে গিয়ে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে। পরে পুলিশ পাশের দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামীদের সনাক্ত করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, মুরগীর আড়তে চুরির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আমরা মামলার প্রধান আসামী আনসর আলীকে সোমবার সকালে গ্রেফতার করে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছি। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি মডেল গার্লস হাই স্কুলের ৬য়তলা বিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আজ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম এ ভিত্তিপ্রস্তরের উদ্বোধন করেন। নির্বাচিত সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯কোটি ৫০লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬তলা বিশিষ্ট বিদ্যালয়ের এ নতুন ভবণটি নির্মিত হবে।
স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন মৃধার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসাইন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের সাধারন সম্পাদক মোবারক হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ, অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসাইন, সাবেরা সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউজ্জামান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বর্তমানে নতুন ভাবে শিক্ষার ব্যবস্থার যুগোপযোগী করে তোলার পাশাপাশি উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জামে মসজিদ রোডস্থ চেম্বার ভবনের তৃতীয় তলায় ফরিদ উদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক আলহাজ্ব আজিজুল হক।
সভায় ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন চেম্বারের সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক, ২০২৩ সালের অডিট রিপোর্ট উপস্থাপন করেন চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর, ২০২৪ সালের বাজেট উপস্থাপন করেন চেম্বারের সহ-সভাপতি হাজী মোঃ বাবুল মিয়া ও বিগত সভার কার্যবিবরণী পেশ করেন চেম্বারের সচিব মোঃ আজিম উদ্দিন।
সভায় বিগত অর্থ বছরের কার্যবিবরণী, বার্ষিক প্রতিবেদন, অডিট রিপোর্ট, প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থিত সদস্যদের অকুণ্ঠ সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সভায় অন্যান্যবারের ন্যায় ২০২৪ সালের অডিট রহমান কাসেম এন্ড কোম্পানীকে করার অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় চেম্বারের জানা অজানা যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের সকলের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
সভায় অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, চেম্বারের সাবেক ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র পাল, রেডক্রিসেন্ট ইউনিট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ভিপি জায়েদুল হক, জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম, চেম্বারের পরিচালক মোঃ শাহজাহান মিয়া, মোঃ কামাল মিয়া, মোঃ আজিজুর রহমান শামীম, সুব্রত পাল, জাবেদুল ইসলাম সোহাগ, আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম, তানভীর আহমেদ, মোঃ আল মামুন, মোঃ বাবুল মিয়া, মোঃ রেজুয়ানুল হক (মনি), মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান ভূঁইয়া, মোঃ জুয়েল খান, আবুল খায়ের, আলহাজ্ব হারুনুর রশিদ ও মোঃ আব্দুল মালেকসহ চেম্বারের বিপুল সংখ্যক সাধারণ সদস্যবৃন্দ।
সভা পরিচালনা করেন পরিচালক আলহাজ্ব মমিনুল আলম বাবু।