ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা নাগরিক কমিটির উদ্যোগে প্রায় ২ শত শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে শহরের টেংকের পাড় আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ কম্বল বিতরণ করা হয়। এতে জেলা নাগরিক কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট মোঃ হাবিব উল্লাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবীন আইনজীবী এ,একে,এম মোঃ শাহদাৎ হোসেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ কুমিল্লা সমিতিরি সহসভাপতি মোঃ আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক এইচ,এম,এম জামান, অর্থ সম্পাদক মোঃ খাইরুল নোমান, দপ্তর সম্পাদক জালাল উদ্দিন মাষ্টার, প্রচার সম্পাদক মোঃ ফারুক মজুমদার প্রমুখসহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কম্বল বিতরণ কালে বক্তারা, শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে সমাজের সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান। পরে অতিথিবৃন্দ প্রায় ২ শত শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ দেড় মাস পর স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে আইনজীবীরা আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেন। বিচারপ্রার্থীরাও আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। এতে আদালতের স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা আইনজীবী সমিতিতে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় আইনজীবীরা আদালতে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। তবে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালত বর্জন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
এদিকে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা) ছুটিতে থাকায় বিচার কাজ পরিচালনা করেন ট্রাইব্যুনাল -৩ এর বিচারক। ফলে সব আদালতের কার্যক্রমেই অংশ নিচ্ছেন আইনজীবীরা।
এদিন দুপুর ১২টায় জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগারকে তার এজলাসে বসে স্বাভাবিক বিচার কাজ পরিচালনা করতে দেখা গেছে। জেলা জজের এজলাসেও আইনজীবীদের স্বাভাবিক উপস্থিতি ছিল।
এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ছুটিতে থাকায় ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) রবিউল আলম ট্রাইব্যুনাল -১ এর মামলাগুলো পরিচালনা করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী সামসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সোমবারের বিশেষ সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনজীবীর আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সব আদালতের কার্যক্রমেই অংশ নিয়েছেন।
নতুন মামলা রুজু নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১ জানুয়ারি থেকে আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করতে থাকেন।পরে জেলা ও দায়রা জজ ও নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর অপসারণ এবং নাজির মোমিনুল ইসলামের বিচারের দাবিতে গত ৪ জানুয়ারি থেকে আইনজীবীরা দফায় দফায় আদালত বর্জন করেন।
পরে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দুটি আদালত ছাড়া অন্য সব আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিতে থাকেন। এদিকে বেঁধে দেওয়া সময়ে আইনজীবীদের দাবি পূরণ না হওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বাত্মক আদালত বর্জন কর্মসূচির ঘোষণা দেন আইনজীবীরা।
এতে হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী চরম দুর্ভোগের শিকার হন। পরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে স্থানীয় এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার দায়ে চারজনকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আজ ২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করেন।
মৈন্দ গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে এলেম ভূইয়া, একই এলাকার আবদুল হাসিবের ছেলে আবদুল আওয়াল, আকরাম আলীর ছেলে সফিকুল ইসলাম ও ঢাকার সাভারের কাটঘরা গ্রামের রফিকুল সরকারের ছেলে আসিফকে এই জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খননযন্ত্রের মাধ্যমে ফসলি জমি থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন করছে কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র। এসব বালু ও মাটি পাইপ ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে পুকুরও ও জলাশয় ভরাট করা হয়।
গোপন সংবাদে জানতে পেরে মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন মৈন্দ গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চারজনকে আটক করে চার জনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও ভেকু মেশিন জব্দ করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, মৈন্দ গ্রামের কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার সময় চার জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী চারজনকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের দেয়াল টপকে মাদক দিতে যাওয়া এক যুবককে আটক করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সদর উপজেলার উড়শিউড়ায় জেলা কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
আটক যুবকের কাছ থেকে একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়। তবে কারা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না দেওয়ায় সদর মডেল থানা পুলিশ তাকে অন্য এক মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে।
আটক যুবকের নাম মো. সুমন হাজারী (২২)। সে সদর উপজেলার উড়শিউড়া গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর হাজারির ছেলে। মাদক মামলায় আদালতের মাধ্যমে আজ ৩০ ডিসেম্বর শনিবার তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
কারা তত্ত্বাবধায়ক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকেলে ওই যুবক জেলখানার সীমানা প্রাচীর টপকে মাদক নিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় জেলখানার সিসি ক্যামেরায় বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি চাকু ও কয়েক পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন জানান, ওই যুবকের কাছে কয়েক পুরিয়া গাঁজা পাওয়া যায়। তবে জেলখানা কর্তৃপক্ষ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ওই যুবককে অন্য এক মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১৪জন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গতকাল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার রেললাইন সংলগ্ন তুলা গাছের (গাছ তলা) কাছ থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামের সাচ্চু মিয়ার ছেলে রিয়াদুল ইসলাম ওরফে রিয়াদ (২২), হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার খসরু মিয়ার ছেলে মোঃ মামুন (২১), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার শ্যামবাড়ির মোঃ মনির মিয়ার ছেলে মোঃ আকাশ মিয়া (২০), শহরের কান্দিপাড়ার শফিক মিয়ার ছেলে মোঃ সাইমন (১৮), একই এলাকার করিম মিয়ার ছেলে মোঃ বিজয় মিয়া-(১৮), একই এলাকার সুজন মিয়ার ছেলে মোঃ পিয়াস (১৯),শহরের শিমরাইল কান্দি গ্রামের মৃত শেখ বাবর আলীর ছেলে শেখ সরোয়ার আলম ওরফে হৃদয় (৩২), শহরের পাইকপাড়ার আবদু রউফের ছেলে রাকিব-(২৪), আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রামের মৃত সানি উদ্দিনের ছেলে তামাজ দেওয়ান (১৮), একই উপজেলার গাজীর বাজারের মৃত হান্নান মিয়ার ছেলে মোঃ সজীব মিয়া (২৩), নাসিরনগর উপজেলার আলিয়ারা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে সাহাবুদ্দীন (১৮), একই উপজেলার চাতলপাড় গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ খায়রুল (১৮), নবীনগর উপজেলার বাঘাউড়া গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৭) ও সদর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে রিংকন মিয়া (২০)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি দা, ১টি ডেগার, ১টি স্টিলের ছুরি, ২টি স্টীলের পাইপ, ২টি সুইচ গিয়ার, ৩টি লোহার রড, ৩টি কাঠের লাঠি, ১টি স্টিলের মাল্টি টোল প্লাস কাটার উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ ৩ জুন শনিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষে ন্যাশনাল চিল্ড্রেন স টাস্ক ফোর্স এর উদ্যোগে আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু বান্ধব প্লাটফর্ম এর সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধ আল মামুন সরকার এর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলের অধ্যক্ষ সালমা বারী, ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিযা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি মোহাম্মদ সায়মন মাহমুদ।
সভার সভাপতি আল মামুন সরকার আগামী শীতে জেলায় শিশু সমাবেশ করার ঘোষণা দেন।
শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়তে হলে আগামী দিনে শিশুদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।