আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যে কয়েকটি পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়- তার মধ্যে সিংহভাগই বরফায়িত মাছ। তবে ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার আপত্তির কারণে সেখানকার ব্যবসায়ীরা মাছ আমদানি বন্ধ রাখবেন।আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতে রপ্তানি হয়। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ডলারের মাছ রপ্তানি হয়। তবে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি আমদানিকৃত মাছের মান যাচাই করণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জনবল না থাকায় মাছ আমদানি বন্ধ রাখার জন্য বলেন সেখানকার ব্যবসায়ীদের। এর ফলে আজ থেকে এক মাস মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এতে করে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি সরকারও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। পাশাপাশি বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য আরও বেশি সংকুচিত হয়ে পড়বে।
আখাউড়া স্থলবন্দরেরর সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, চিঠির মাধ্যমে মাছ আমদানি বন্ধের বিষয়টি ভারত থেকে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। তবে যেহেতু বন্দর কর্তৃপক্ষ মাছের ট্রাক থেকে মাশুল আদায় হয় বেশি, সেজন্য রপ্তানি বন্ধের ফলে বন্দরের আয়ে ভাটা পড়বে।
চলারপথে রিপোর্ট :
টিউবওয়েলের মাথা (মাটির উপরের অংশ) নেই ৬/৭ মাস ধরে। কে বা কারা খুলে নিয়ে। এরপর আরলাগানো হয়নি। টিউবওয়েল না থাকায় পানি পানে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের দুতলায় পানির ব্যবস্থা রাখা হলেও অনেকটা হেঁটে সিঁড়ি ভেঙ্গে দুতলায় গিয়ে পানি পান করা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টকর। আবার অনেক সময় জগে পানিও থাকে না। ফলে তৃষ্ণা পেলে বিদ্যালয় গেইটের বাইরে চা-দোকানে যেতে হয় শিক্ষার্থীদের। তবে ছাত্ররা বাইরে যেতে পারলেও ছাত্রীরা পারে না। ফলে তৃষ্ণা চেপেই ক্লাশে বসে থাকতে হয়। পানির অভাবে বিড়ম্বনায় পড়েন বিদ্যালয়ে অপেক্ষমান অভিভাবকরা। এমন চিত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের। দ্রুত টিউবওয়েল স্থাপনের দাবী ছাত্রছাত্রীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার সবচেয়ে প্রাচীণ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির বয়স শত বছরেরও বেশি। আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের পাশাপাশি স্থানীয় ছেলে-মেয়েরাও এ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। উপজেলার একমাত্র সরকারি স্কুল এবং ফলাফল ভালো হওয়ায় এ স্কুলে পড়ার জন্য ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের আগ্রহ বেশি। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে এক হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো এত বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পানির পানের জন্য একটি টিউবওয়েল নেই। বিগত ৬/৭ মাস আগে টিউবওয়েলের উপরের অংশটি কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। এর পর আর মাথা লাগানো হয়নি। এজন্য পানি পান সহ অন্যান্য প্রয়োজনে পানি ব্যবহার করতে পারছে না ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। পানি পানের জন্য বিদ্যালয়ের বাইরে চা-স্টল এবং মসজিদের টিউবওয়েল ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু মেয়েরা বাইরে যেতে না পারায় পানির জন্য বেশি কষ্ট করছে। তবে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দুতলায় জগে পানি রাখা হয়। ছাত্রছাত্রীরা প্রয়োজনে দুতলায় গিয়ে পানি খেয়ে আসতে পারে। তবে ছাত্রছাত্রীর তুলনায় তা পর্যাপ্ত নয়। অনেক সময় জগের পানি শেষ হয়ে গেলে পানির জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আবার অনেক সময় পানি না পেয়ে ফিরে আসতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। এদিকে, তীব্র গরমে হঠাৎ একজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে গেলে দ্রুত পানি দেওয়ার মত কোন ব্যবস্থা নাই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টিউবওয়েলের উপরের অংশটি নাই। জানতে চাইলে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী বলে, ৬/৭ মাস ধরে টিউবওয়েল নষ্ট। পানি খেতে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। খেলাধুলা করার পরে হাত-পা ধুতে পারি না। দুতলায় গিয়ে অনেক সময় পানি পাই না। এসময় এক নারী অভিভাবক বলেন, গরমের মধ্যে খুব পানি তৃষ্ণা পায়। কিন্তু স্কুলের টিউবওয়েল না থাকায় পানি খেতে পারি না। হঠাৎ একটা ছেলে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যে পানি দেওয়া তবে সে রকম ব্যবস্থাও নাই। একটা সরকারি স্কুলে এতদিন যাবত টিউবওয়েল নষ্ট। এটা কি শিক্ষকদের নজরে পরে না। তিনি দ্রুত টিউবওয়েল মেরামতের জন্য দাবী জানা।
এদিকে পানির পানের গুরুত্ব বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হিমেল খান বলেন, পানির অপর নাম জীবন। পানির অভাবে শরীরে পানি শূণ্যতা দেখা দিতে পারে। হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। প্রস্রাব জ্বালাপোড়া ইনফেকশন হতে পারে। কিডনি ফেইলিউরও হতে পারে। তাছাড়া এখন তীব্র গরমে প্রচুর ঘাম বের হচ্ছে। তাই এসময় প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। এ ব্যাপারে রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা ছেলেমেয়েদেরকে বলেছি বাড়ি থেকে বোতলে করে পানি নিয়ে আসার জন্য। তাছাড়া দুতলায় জগে পানি রাখা থাকে। ছাত্রছাত্রীরা এসে পানি পান করে। টিউবওয়েলটি কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে। আবারও করব।
অনলাইন ডেস্ক :
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, তাদের যুদ্ধবিমান সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) বিবৃতি অনুসারে, সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘সামরিক অবকাঠামো’, হুদাইদাহর উপকূলীয় শহরের বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং আল-দাইলামি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে আক্রমণ করা হয়েছে।
ইসরায়েল এর এ হামলার পেছনে কারণ হলো হুথিদের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। গত সপ্তাহে ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের তেল আবিবে আঘাত করে। এতে একটি পার্কে পড়ে এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কাচ ভাঙার কারণে ১৬ জন সামান্য আহত হন।
ইসরায়েলি জরুরি চিকিৎসা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানায়, কাচ ভাঙা থেকে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুরক্ষিত স্থানে যাওয়ার সময় আরো ১৪ জন আহত হন।
হুথিদের সামরিক মুখপাত্র দাবি করেন, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েল হুথি লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালায়।
এদিকে হুথি পরিচালিত গণমাধ্যম আল-মাসিরা বিমান হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, হুথিদের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতেই এই অভিযান।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে হুথিরা ইসরায়েলের ওপর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। ইসরায়েল মাঝে মাঝে পাল্টা হামলা চালালেও সম্প্রতি হামলার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, এই হামলা ইয়েমেনে হুথিদের সামরিক কার্যক্রমকে দুর্বল করতে চালানো হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরাইলি নাগরিকদের প্রবেশে আইন জারি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পর্যটননির্ভর দেশ মালদ্বীপ। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ‘দৃঢ় সংকল্পের’ অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। আজ ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার মালদ্বীপের সংসদে আইনটি পাস হয়। এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু আইনটির অনুমোদন দেন। এটি অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রেসিডেন্টের দপ্তরের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেছেন, নতুন আইনটির অনুমোদন ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অব্যাহত নৃশংসতা এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। ফিলিস্তিনিদের লড়াইয়ের প্রতি মালদ্বীপ তার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে।
ইসরাইলিদের মালদ্বীপে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে গত বছরের জুনে জানিয়েছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। ওই সময় ইসরাইলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিতে করণীয় ঠিক করতে কমিটি ঠিক করা হয়।
সব প্রক্রিয়া শেষে আজ আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির সংসদে তোলা হয়। সংসদে পাস হওয়ার পর কোনো বিলম্ব না করেই আইনটির অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু।
দখলদার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত বছর ইসরাইলিদের মালদ্বীপ ভ্রমণে না যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
রোজার শুরুতেই ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর উপত্যকাটিতে সকল মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। ফিলিস্তিনে যখন আজ পবিত্র রমজানের দ্বিতীয় দিন- তখনই এমন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলো ইহুদিবাদী কর্তৃপক্ষ। আজ ২ মার্চ রবিবার ইসরায়েলি মিডিয়ার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আলোচনা চালিয়ে যেতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত উইটকফ একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। ইসরায়েল ওই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। তবে হামাস এই প্রস্তাব মানতে রাজি হয়নি।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এই অবস্থায় আজ ২ মার্চ সকাল থেকে গাজা উপত্যকায় সকল ধরনের ত্রাণের প্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, জিম্মিদের মুক্তি না দিলে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করবে না। হামাস যদি তাদের সিদ্ধান্ত অটল থাকে পরিণতি আরো ভয়াবহ হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের নতুন প্রতিকৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পরদিন এই প্রতিকৃতি ধারণ করা হয়। সাদাকালো এই ছবিতে তাকে কালো বিজনেস স্যুট এবং সাদা শার্টে দেখা যায়। তিনি একটি টেবিলে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছেন, যেখানে তার পেছনে ওয়াশিংটন মনুমেন্টের দৃশ্য প্রতিফলিত হয়েছে। ছবিটি তোলেছিলেন বেলজিয়ামের ফটোগ্রাফার রেজিন মাহাক্স। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিবারের ছবি তুলছেন। ২০১৭ সালে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে মেলানিয়ার আনুষ্ঠানিক প্রতিকৃতিও তার তোলা। এবারও মেলানিয়ার ছবি তোলার সুযোগ পেয়ে নিজেকে সম্মানিত মনে করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রথম মেয়াদে তোলা মেলানিয়ার প্রতিকৃতির তুলনায় এবারের ছবিতে অনেক ভিন্নতা দেখা গেছে। পোশাকের রঙ, শারীরিক ভঙ্গি এবং ছবির সামগ্রিক উপস্থাপনা পুরোপুরি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রথম ছবিটি হোয়াইট হাউসের সমর্থকদের কাছে পরিচিত ছিল। তবে এবারের ছবি মেলানিয়ার দৃঢ় আত্মবিশ্বাস এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ফার্স্ট লেডি হিসেবে তার ভূমিকার প্রতি প্রস্তুতির বার্তা দেয়।
টেবিলের ওপর রাখা তার হাত ইঙ্গিত করে, তিনি ফার্স্ট লেডি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত। তার বিজনেস স্যুট এবং অবস্থান সাধারণ নাগরিকদের চোখে প্রেসিডেন্সি আরও সহজতর এবং মানবিক রূপ দেওয়ার ইঙ্গিত বহন করে। এই লুক করপোরেট শক্তি এবং শালীনতার মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মনে হয়। এটি শপথ গ্রহণের দিন পরা সামরিক ধাঁচের পোশাকের তুলনায় ভিন্ন।
ধারণা হচ্ছে, দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব পালনের জন্য মেলানিয়া ট্রাম্প আগের চেয়ে আরও বেশি প্রস্তুতি নিয়েছেন। সমালোচকদের মতে, তার পোশাক, ভঙ্গিমা এবং প্রতিকৃতিতে থাকা ছোটখাটো উপাদানগুলো গভীর অর্থ বহন করে। একজন সাবেক ফ্যাশন মডেল হিসেবে মেলানিয়া সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রে থাকেন, আর তার নতুন ছবিটি সমালোচকদের দৃষ্টি আরো বেশি আকর্ষণ করেছে।