আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যে কয়েকটি পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়- তার মধ্যে সিংহভাগই বরফায়িত মাছ। তবে ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার আপত্তির কারণে সেখানকার ব্যবসায়ীরা মাছ আমদানি বন্ধ রাখবেন।আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ ভারতে রপ্তানি হয়। প্রতি কেজি মাছের রপ্তানি মূল্য আড়াই মার্কিন ডলার। প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ডলারের মাছ রপ্তানি হয়। তবে ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি আমদানিকৃত মাছের মান যাচাই করণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং জনবল না থাকায় মাছ আমদানি বন্ধ রাখার জন্য বলেন সেখানকার ব্যবসায়ীদের। এর ফলে আজ থেকে এক মাস মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এতে করে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি সরকারও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে। পাশাপাশি বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য আরও বেশি সংকুচিত হয়ে পড়বে।
আখাউড়া স্থলবন্দরেরর সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, চিঠির মাধ্যমে মাছ আমদানি বন্ধের বিষয়টি ভারত থেকে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে। তবে যেহেতু বন্দর কর্তৃপক্ষ মাছের ট্রাক থেকে মাশুল আদায় হয় বেশি, সেজন্য রপ্তানি বন্ধের ফলে বন্দরের আয়ে ভাটা পড়বে।
অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় সবশেষ ব্যাপক আকারে বিমান হামলা শুরুর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ইসরাইল পরামর্শ করেছিল বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। আজ ১৮ মার্চ মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ফক্স নিউজকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, গাজায় সবশেষ আক্রমণ শুরু করার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে পরামর্শ করেছিল ইসরাইল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন স্পষ্ট করে বলেছেন, হামাস, হুথি, ইরান — যারা কেবল ইসরাইলকে নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রকে আতঙ্কিত করতে চায় — তাদের মূল্য দিতে হবে এবং তাদের ওপর সমগ্র নরক ভেঙে পড়বে।
ক্যারোলিন লিভিট আরো বলেন, হুথি, হিজবুল্লাহ, হামাস, ইরান এবং ইরান-সমর্থিত প্রতিনিধিদের উচিৎ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেয়া। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, তিনি আইন মেনে চলা মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে এবং যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের বন্ধু ও মিত্র ইসরাইলের পক্ষে দাঁড়াতে ভয় পান না।
এদিকে দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর মঙ্গলবার গাজায় ব্যাপক আকারে ইসরাইলি বিমান হামলায় দুই শতাধিক প্রাণ হানির ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ এ হামলায় আহত হয়েছেন অসংখ্য ফিলিস্তিনি।
এদিকে আল জাজিরা তাদের সরাসরি সম্প্রচারিত আপডেটে জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়েছে ইসরায়েল এবং এরপর অবরুদ্ধ এই উপত্যকা জুড়ে বিমান হামলা শুরু করেছে। বর্বর এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জন ফিলিস্তিনির নিহত এবং অন্যান্য আরো অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় এটিই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রত্যেক গ্রহই সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। তাদের একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথ আছে। আগে মানে করা হতো, গ্রহগুলো বোধ হয় বৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এ ধারণা ভুল। গ্রহগুলো উপবৃত্তকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে জার্মান বিজ্ঞানী জোহান কেপলার গ্রহগুলোর উপবৃত্তাকার পথের ধারণা দেন। নিউটন কেপলারের দেওয়া ধারণাগুলোকে সমীকরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেন। ফলে প্রমাণিত হয় গ্রহগুলো উপবৃত্তাক পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে।
পৃথিবীর কথায় ধরা যাক। পৃথিবী উপবৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। তাই বছরের একটা সময়ে পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে নিকটে পৌঁছয়। ওই সময়ে পৃথিবী কক্ষপথের যে বিন্দুতে অবস্থান করে তাকে অনুসুর বিন্দু বলে।
অর্থাৎ অনুসুর বিন্দু হলো সূর্যের থেকে পৃথিবীর কক্ষপথের সবচেয়ে নিকটতম পথ। নিউটনের নিয়মানুযায়ী প্রতিটা গ্রহ এক গ্রহ বছরে একটা পূর্ণচক্র সমগ্র করতে হয়। একটা পূর্ণচক্র সম্পন্ন করা মানে ৪ সমকোণ বা ৩৬০ ডিগ্রি কৌণিক পথ ঘোরা।
কিন্তু নিউটনের পরবর্তী কালের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটা ধাঁধায় পড়ে যান। সেটা হলো বুধ গ্রহের গতি।
বুধ গ্রহ একটা অনুসুর বিন্দু পার করে পরবর্তী বছর যখন আবার অনুসুর বিন্দুতে পৌঁছয় তখন তারা একটি পূর্ণচক্র আবর্তন করে না। করে তার চেয়ে বেশি কৌণিক পথ। অর্থাৎ বুধ গ্রহের দুটি অনুসুর বিন্দুর ভেতর ৩৬০ ডিগ্রির চেয়ে বেশি কোণ উৎপন্ন হয় না। দুটি অনুসুরের মধ্যে ৩৬০ ডিগ্রি কোণ হতো যদি বুধ গ্রহ প্রতিবছর একই বিন্দুতে অনুসুর পেত। কিন্তু প্রতিবছর বুধ গ্রহের অনুসুর বিন্দু একটু একটু করে সামনের দিকে সরে যায়। তাই দুই বিন্দুর মধ্যে কৌণিক ব্যাবধান সৃষ্টি হয়। এই কৌণিক ব্যাবধান মাপার উপায় হলো সূর্য থেকে অনুসুর বিন্দু পর্যন্ত একটা সরল রেখা আঁকা।
ওপরের চিত্র বুধ গ্রহের অনুসুর দেখানো হয়েছে। A বিন্দু হলো ২০২০ সালের অনসুর বিন্দু এবং B বিন্দু হলো ২০১৬ সালের অনুসুর বিন্দু। দুটির ভেতর স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। যদিও এখানে কৌণিক ব্যাবধান যতখানি দেখানো হয়েছে হিসাব অনুযায়ী ফলটা এর চেয়ে অনেক অনেক ছোট হবে। কিন্তু বোঝার সুবিধার্থে আমরা এ রকম চিত্রই আঁকলাম।
কেন এমন হচ্ছে, দীর্ঘদিনের এ সমস্যার সমাধান দেন আইনস্টাইন। তাঁর জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটির মাধ্যমে; হিসাব কষে।
আইনস্টানের এই হিসাব জ্যোতির্বিজ্ঞানের এক দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করে। আসলে নিউটনের সময় মহাকর্ষ বলের ধারণাই ছিল অন্য রকম। তা ছাড়া নিউটন সমতল জ্যামিতির বাইরে নন-ইউক্লিডিয়ান জ্যামিতির কথা ভাবেনইনি। তা ছাড়া দুমড়ানো-মোচড়ানো বক্র মহাবিশ্বের কথা তাঁর জানা ছিল না। সুতরাং বক্র মহাবিশ্বে গ্রহ-নক্ষত্রের চলার গতির জন্য সম্পূর্ণ আলাদা কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে, তা তিনি জানতেন না। আইনস্টাইন নন-ইউক্লিডীয় জ্যামিতি ব্যবহার করে সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বের সাহায্যে বুধ গ্রহের কক্ষপথের সমস্যার সমাধান দিলেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই সমস্যা কি শুধু বুধ গ্রহের ক্ষেত্রে নাকি অন্য গ্রহগুলোর ক্ষেত্রেও একই সমস্যা তৈরি হয়? সব গ্রহের অনুসুর বিন্দু প্রতিবছর একই কৌণিক অবস্থানে থাকে না। কিন্তু তাদের মধ্যে পার্থক্য অতি সামান্য। সেগুলো ইচ্ছে করলেই এড়িয়ে যাওয়া যায়। তাই নিউটনের সূত্র দিয়ে অন্য গ্রহগুলোর গতি ব্যাখ্যা করা যায়। সূত্র : স্পেস ডট কম
চলারপথে রিপোর্ট :
চলতি মাসে শেষ হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ। প্রথমে ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক) ট্রেন চালানো হবে। যাতে কোনো ত্রুটি না থাকে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রেলপথটি চালুর আশা করছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ও সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
ভারত-বাংলাদেশ রেলওয়ে সংযোগ প্রকল্পটি আখাউড়া-ঢাকা হয়ে আগরতলা এবং কলকাতার মধ্যে ভ্রমণের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রকল্পটি চালু হলে ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৬৫০ কিলোমিটার থেকে দূরত্ব কমে দাঁড়াবে মাত্র ৫১৩ কিলোমিটার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে রেলপথে বাণিজ্যের দ্বার খুলবে, কমবে পরিবহণ খরচ- এমনটাই দাবি করছেন রেলপথ মন্ত্রী ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা।
গেল মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প কাজ প্রথমে পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। পরে পরিদর্শন করেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। তারা দু’জনই জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, ইতোমধ্যে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯০ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে এবং চলতি জুন মাসের মধ্যে বাকি কাজও সম্পূর্ণ হবে। তবে এ রেলপথটি চালু হলে প্রথমে শুধু দুই দেশে পণ্য পরিবহণ হবে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আখাউড়া থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই প্রকল্পের কাজ শুরু করে।
দুই দেশের এ রেলপথের দৈর্ঘ্য ১২.২৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিলোমিটার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৭ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভারতীয় ঋণ ৪২০ কোটি ৭৬ লাখ কোটি টাকা।
২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় এ রেলপথ নির্মাণের বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক ও ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রকৌশলী ভাস্কর বকশী জানান, করোনার কারণে আমাদের দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। প্রকল্পের কাজের মালামালও ভারত থেকে আনা যায়নি। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও মালামাল আনার অনুমতি পেতে বিলম্ব হয়েছিল। এখন আমাদের শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে।
তার দাবি, বাংলাদেশ সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব।
গত ১৭ মে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ দুই দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করছি, চলতি জুন মাসের মধ্যে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। সেপ্টেম্বরের পরে জাতীয় নির্বাচন রয়েছে। তাই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আনুষ্ঠানিকভাবে এ রেলপথ উদ্বোধন করবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
রুশ সাবমেরিন কমান্ডার আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। ৪২ বছর বয়সি কমান্ডার স্ট্যানিস্লাভ রিজিটস্কিকে সোমবার মর্নিং ওয়াকের সময় গুলি করে হত্যা করা হয়। রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ক্রাসনোদারে সামরিক অভিযানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার বরাতে এ খবর জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস।
কমান্ডার সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে দৌড়াতে বের হন। এ সময়ের মধ্যে অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় একটি ফৌজদারি মামলা হয়েছে। আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানা গেছে, কমান্ডার রিজিটস্কিকে একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কাছে দৌড়ানোর সময় চারবার গুলি করা হয়।
নিহত কর্মকর্তা রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিট সাবমেরিনের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ওই জাহাজটি ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছিল।
তিনি ২০২২ সালের জুলাইয়ে ইউক্রেনের ভিনিতসিয়া শহরে একটি সাবমেরিন-চালিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জড়িত ছিলেন। এতে শিশুসহ ২৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। তাকে হত্যার পেছনে কে জড়িত তা জানা যায়নি এখনো। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। সূত্র: আলজাজিরা
চলারপথে রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে তরিকত ফেডারেশন মনোনিত প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ নির্বাচনী গণসংযোগ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের গণসংযোগ করেন তিনি।
এসময় ধরখার বাস স্ট্যান্ড, তন্তর বাজার, ছতুরাশরীফ, রুটি বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভোটারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পথসভায় বক্তব্য রাখেন। বিকাল ৫টা পর্যন্ত তিনি গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি ভোটারদের ভোটারদের মন জয় করতে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার নির্বাচনী প্রতীক ফুলের মালায় ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। এসময় ভোটারদের মাঝেও ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে বলে জানান তার কর্মী সমর্থকরা। গণসংযোগকালে ফুলের মালার কর্মী সমর্থকেরা উপস্থিত ছিল।
পথ সভায় বক্তব্যকালে তিনি বলেন, অন্যান্য নির্বাচনে যেমন হুমকি ধমকি দিত। মাস্তানি করতো এবার সেই অবস্থা নাই। আপনারা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন। আমাকে ফুলের মালা প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আপনাদের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের মাছিহাতা গ্রামের বাসিন্দা এবং মাছিহাত দরবার শরীফের পীর।
জানা যায়, কসবা-আখাউড়া আসনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপর দুই প্রার্থী হলেন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও এনপিপি’র প্রার্থী শাহীন খান (আম)।
আখাউড়া উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৪৪টি, বুথ ২৬৯টি। প্রিজাইডিং অফিসার ৪৪ জন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ২৯৬জন এবং পুলিং অফিসার ৫৯২ জন।