স্টাফ রিপোর্টার : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া এই আসনের ৫ বারের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া (কলারছড়ি প্রতীক) বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৮১৭ ভোট।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৮৩। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ (মোটর গাড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ৩ হাজার ২৩৮ ভোট। আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
তবে, পুলিশের দাবি আবু আসিফ নিজেই আত্মগোপন করেছেন। ভোট গণনা শেষে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন একটি সূত্র এই ফলাফল নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের ব্যবস্থাপনায় ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় আজ ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাও পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকের প্রধান অতিথি হিসাবে ভিডিও কলের মাধ্যমে সংযুক্ত হন কুমিল্লা জেলার সিনিয়র তথ্য অফিসার অফিসার মোহাম্মদ নূরুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াগাও পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেওয়ান জাহাঙ্গীর মিয়া, নোয়াগাও পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহীনা আক্তার, নোয়াগাও পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ খোকন মিয়া, নোয়াগাও পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছাঃ শাকেরা বেগম, নোয়াগাও পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুম আলী।
জনগণকে রাষ্ট্রের অন্যতম উপাদান হিসাবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি সিনিয়র তথ্য অফিসার অফিসার মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন, জনগণকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কোন কারণে যদি রাষ্ট্রের জনগণ মাদকের দিকে আসক্ত হয় তাহলে সে রাষ্ট্র ধবংস হওয়া ছাড়া অন্য কোন পথ নেই।
তিনি আরো বলেন, অশিক্ষাই সকল অজ্ঞতার মূল। আমরা বর্তমান সমাজে যে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা দেখতে পায় যেমন বাল্য বিবাহ, মাদক আসক্ত, চুরি, ডাকাত, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি তার মুলে আছে প্রকৃত নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার অভাব। যদি আমরা এসব সামাজিক সমস্যার মূলোৎপাটন করতে চায়, একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করতে চাই তাহলে নৈতিকতা সম্পূর্ণ শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।
নারী সমাবেশে বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্তকে একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবে আখ্যা দিয়ে প্রধান অতিথি বলেন বলেন, বাল্য বিবাহ ও মাদক আসক্ত আমাদের জন্য একটি ভয়াভহ সমস্যা। এ সমস্যা দূর করার জন্য একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। একটি বাল্য বিবাহ শুধু একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করেন তা নয় বরং দুটি পরিবারই শেষ হয়ে যায়, ঠিক তেমনি মাদক আসক্ত ব্যক্তি পুরো সমাজের জন্য হুমকি স্বরুপ।
জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাসের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে উঠান বৈঠকের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। উক্ত উঠান বৈঠকে তিন শতাধিক নারী ও পুরুষ উপস্থিত ছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সভায় যোগদান শেষে ঢাকায় ফেরার পথে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জািতক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে বহনকারী প্রাইভেটকারকে ধাওয়া করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
৮ এপ্রিল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে, পুলিশী তৎপরতায় অল্পের জন্যে হামলার হাত থেকে বেঁচে যান তিনি।
এর আগে দুপুরে আশুগঞ্জে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচীতে যোগদান শেষে সরাইল উপজেলা সদরের গরুর বাজার এলাকায় সরাইল উপজেলা বিএনপি আয়োজিত অবস্থান সভায় যোগ দেন তিনি।
সরাইলের সভায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সম্প্রতি সরাইলে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, সরাইলের মানুষ আপনাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী দিনেও আপনাদেরকে একইভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, সরাইলের মাটি বিএনপির ঘাঁটি, তারেক রহমানের ঘাঁটি, বেগম জিয়ার ঘাঁটি। সরাইলের মানুষকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবেনা।
এদিকে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরাইলে আসার খবর পেয়ে সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উচালিয়াপাড়া মোড়ে জড়ো হয়। পরে তারা প্রতিবাদ মিছিল বের করে। সভা শেষে পুলিশী প্রহরায় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার গাড়িটি উচালিয়া পাড়া মোড়ে পৌছামাত্র ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা গাড়িটিকে ধাওয়া করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনে গাড়ীটিকে নিরাপদে স্থান ত্যাগ করার সুযোগ করে দেন।
এ সময় সরাইল উপজেলা ছাত্র ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফ উদ্দিন বলেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা সরাইল-আশুগঞ্জের কেউ নন। তিনি এই এলাকায় বহিরাগত। তিনি প্রায়ই সরাইল এলাকার এসে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেন। পাশাপাশি সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে কটুক্তি করেন। তার প্রতিবাদে আমরা তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছি। আগামীদিনেও একইভাবে তার মিথ্যাচারকে প্রতিহত করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাবেক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান (মোটর সাইকেল) প্রতীকের প্রার্থী মো. শের আলম মিয়া বিজয়ী হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীকের প্রার্থী হানিফ আহমেদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাঁস প্রতীকের রোকেয়া বেগম বিজয়ী হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম টানা দ্বিতীয়বার নির্বাচনে বিজয়ী হলেন। আজ ৮ মে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বে- সরকারি ফলাফল ঘোষণা করেছেন।
সরাইল প্রতিনিধি :
সরাইলে মাকে মারধোর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বড়ই বাড়ির গ্রামের মুন্সী বাড়ি ও সাদুল্লাহর বাড়ির লোকদের মধ্যে দফায় দফায় এই সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার দুপুরে মুন্সী বাড়ির আলী আকবরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন তার মাকে মারধোর করলে সাদ্দামের মামাতো ভাই অলি আহমেদ তাকে বাঁধা দেয়। এতে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ সময় অলির বড় ভাই জালাল আহমেদ এসে ঝগড়া থামাতে দু’জনকে চড়-থাপ্পর দেয়।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সাদ্দাম হোসেন মামাতো ভাই জালাল আহমেদকে মারার জন্য ওইদিন সন্ধ্যায় লোহার রড নিয়ে রাস্তায় উৎপেতে বসে থাকে। সন্ধ্যায় জালাল আহমেদ রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে সাদ্দাম তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আহত জালাল বর্তমানে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাদ্দাম হোসেন ও জালাল আহমেদের গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কয়েক দফা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, মা-ছেলের মধ্যে দ্বন্দ্বের ঘটনা নিয়ে প্রথমে মামাতো ভাই ও ফুফাতো ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হলে গ্রাম্য সর্দাররা বিষয়টি উস্কে দেয়। এর জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে এলাকায় অভিযান চলছে।