জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার মজলিশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারী রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব কমরেড শাহরিয়ার মোঃ ফিরোজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবার পরিজনের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। শোকবার্তায় তিনি প্রয়াত শাহরিয়ার মোঃ ফিরোজকে একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হিসাবে আখ্যায়িত করে তাঁর মৃত্যুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী একজন দেশপ্রেমিক নেতাকে হারিয়েছে মর্মে উল্লেখ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জমি ভরাট করতে গিয়ে একটি সড়কের কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। এতে সড়কের দুই পাশের প্রায় ১০০ বিঘা ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক এসব জমিতে ফসলের বীজ বা চারা রোপণ বন্ধ রেখেছেন। প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন কৃষকরা। ইউএনও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন।
গত ১৩ মার্চ রামরাইল ও ঘাটিয়ারা গ্রামের ২০-২৫ জন কৃষক লিখিত আবেদন করেন।
মোহাম্মদপুর গ্রামের আরমান মিয়া জানান, কালভার্ট-সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে জামাল মিয়ার ছয় বিঘা জমি বছরে ৩০ হাজার টাকায় জমা নিয়ে তিনি সবজির চাষ করেন। তবে জলাবদ্ধতার শঙ্কায় তিনি উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন। এতে কয়েক লাখ টাকার লোকসান গুনতে হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ইউপি চেয়ারম্যানকে সমস্যাটি সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ইউএনওর কাছে আবেদন দেওয়ার পর কয়েক দিন অপেক্ষা করবেন। প্রশাসন কোনো প্রতিকার না করলে আরেকটি কালভার্ট ভরাটের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
রামরাইল গ্রামের কৃষক সুখলাল, মতিলাল, হীরালাল, দুলাল, নির্মল, চন্দন দেব, পরিতোষ দেব এবং ঘাটিয়ারা গ্রামের সোহাগ মিয়া, আব্দুল্লাহ মিয়া, হাবিব উল্লাহ, খবির মিয়া, আবু তাহের মিয়াও একই কথা বলেন। তাঁরা বলেন, ইচ্ছা করেই কালভার্ট বন্ধ করে মাটি ভরাট করেছেন মালিক। ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রামরাইল ও মোহাম্মদপুর গ্রামের সংযোগ সড়কের ঘাটিয়ারা গ্রামে প্রায় শত বছর ধরে কালভার্টটির মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন হয়। পার্শ্ববর্তী বিলে গিয়ে পড়ে সেই পানি। তবে এক মাস আগে মোতালেব মিয়া বাড়ি নির্মাণের জন্য জমিটি ভরাট করেন। প্রভাবশালী হওয়ায় জমি ভরাটে বাধা দেওয়ার সাহস করেনি কেউ।
এ বিষয়ে মোতালেব মিয়ার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে তাঁর ছেলে স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ জুয়েল বলেন, এ কালভার্টের নিচ দিয়ে পানি যায় না। বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজনে মাটি ভরাট করা হয়েছে। কারও প্রয়োজন হলে পাইপ-কালভার্ট নিজ খরচে করবেন।
রামরাইল ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমার সেলিম বলেন, ইউএনওর নির্দেশে সরেজমিন গিয়ে জমির মালিককে কালভার্টের মুখের মাটি সরিয়ে মোটা পাইপ বসিয়ে দিতে বলা হয়েছে; পানি নিষ্কাশনে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবদল। ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌর ও সদর উপজেলা যুবদলের যৌথ উদ্যোগে শহরের পাওয়ার হাউজ রোড থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের টি.এ. রোড প্রদিক্ষণ করে রেলগেইট সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে সংক্ষিত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার ভ‚ইয়া খোকন, এ.বি.এম মোমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম গোলাপ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পুলিশ মিথ্যা ও মনগড়া মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। তারা অবিলম্বে জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী হিসেবে শামীম মোল্লাকে গ্রেফতা করা হয়েছে। তিনি ১৫টিরও বেশী মামলার এজহারভুক্ত আসামী। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠনের একদিন পর তা বাতিলের দাবিতে মাঠে নেমেছে দলের নেতাকর্মীরা। আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে শহরের পাওয়ার হাউজ রোডে জেলা বিএনপির নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য দাবি করে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত সভায় জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এ.বি. এম মোমিনুল হক, ভিপি জহিরুল হক চৌধুরী লিটন, পৌর বিএনপির সভাপতি মো. নজির উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফুজায়েল চৌধুরী রুবেল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজ উল্লাহ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি করার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামী লীগ মনোননীত প্রার্থী ও এই আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ২৯ নভেম্বর বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এসময় তাঁর সহধর্মীনি, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ. এইচ মাহবুব আলমসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন অগ্রগতির বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যাচ্ছেন। চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডের অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করার জন্য তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন।
র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন। তিনি বলেন, আমি জনগণের জন্য কাজ করেছি। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
উল্লেখ্য, র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি টানা চতুর্থবারের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ছিলেন।
২০১০ সালের ২২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু মৃত্যুবরণ করলে উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদদের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। টানা তিনবার বিজয়ী হয়ে তিনি তার সংসদীয় এলাকায় বিপুল উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ রাসেলের ৬০ তম জন্মদিন উপলক্ষে শেখ রাসেল দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ ১৮ অক্টোবর বুধবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের নেতৃত্বে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালি শেষে শেখ রাসেল এর প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর বারী চৌধুরী মন্টুসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ পুষ্প স্তবক অর্পণ করে।
পরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি জিয়াউল হক মীর।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান, সিভিল সার্জন মোঃ একরাম উল্লাহ, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুদল কুদদুছ, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এস এম সফিকুল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যাস লায়ন ফিরুজুর রহমান ওলিও, মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, ওয়াছেল সিদ্দিকী প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি অনষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জয় স্মার্ট সার্ভিস এন্ডএমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। সভায় বিভিন্ন প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।