আখাউড়া প্রতিনিধি :
তিন টিকেট কালোবাজারিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার চর-নারায়নপুরের হিরণ মিয়া (৩৯), পৌর শহরের বড় বাজার এলাকার মজিবুর রহমান (৪৫) ও তারাগন গ্রামের জসিম উদ্দিন (৩৫)। এর আগে সকালে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ও আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত মোঃ আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ৫১টি আসনযুক্ত টিকেট উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, টিকেট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহাত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তারা মনে করে, বিদেশে তাদের কিছু মুরুব্বির কাছে কান্নাকাটি করলে ক্ষমতায় আসতে পারবে।
আজ ৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের নবনির্মিত বনগজ সেতু উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কাজই হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ যাতে কষ্টে থাকে সে ব্যবস্থা করা। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বয়কটের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। নিরীহ মানুষকে বাসে পুড়িয়ে মেরেছে। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। মানিলন্ডারিং করে টাকা বিদেশে নিয়ে গেছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনেও বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করেছিল। মানুষের কাছে তারা ভোটের জন্য আসে না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতারা হত্যা করে রাজনীতি করতেন। বাংলাদেশের মানুষ তাদের চিনে ফেলেছে, তারা আর সেই খেলা খেলতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ ৭ জানুয়ারি ভোট দিয়ে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছে। এই জনপ্রতিনিধিরাই বাংলাদেশের মানুষের সেবা করবে।
আখাউড়া উপজেলার বড়বাজার-ধরখার সড়কের বনগজ এলাকায় নবনির্মিত একটি সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োচিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন ধরখার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শানু মিয়া।
ইউপি চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফিকের সঞ্চালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুঁইয়া, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান নাজিম, উপজেলা পরিষদের বাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেন ভুঁইয়া প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুস্থ প্রখ্যাত আউলিয়া হযরত শাহ্ সৈয়দ আহাম্মদ গেছু দারাজ (র.) প্রকাশ্য শাহ্পীর কেল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফের বার্ষিক ওরশের বিশেষ দোয়া দিবস আজ (সোমবার)।
আজ দিবাগত রাত ১২টায় মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। দোয়া পরিচালনা করবেন মাজার শরীফ জামে মসজিদের খতীব হাফেফ মাওঃ মোঃ লুৎফুর রহমান খাদেম। এর আগে ১০ আগষ্ট থেকে ৭ দিন ব্যাপী বাৎসরিক ওরশ শুরু হয়। ওরশ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার ভক্ত-আশেকান ও সাধারণ মানুষের সমাঘম ঘটেছে মাজার এলাকায়। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত্র পর্যন্ত চলে ধর্মীয় আলোচনা, জিকির, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এছাড়া ধর্মপ্রাণ মানুষ ইবাদত বন্দেগী করে সময় কাটায়।
এদিকে মাজার শরীফের বিশেষ মোনাজাতে শরীক হতে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে মাজার এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। মাজার শরীফের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। নৌপথের নিরাপত্তায় নৌকা যোগে পুলিশ টহল দিচ্ছে। মাজার সংলগ্ন রেল লাইনে অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা রোধে রেলপথসহ রেল সেতুতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও আনসার সদস্য। এছাড়া প্রায় ২’শ খাদেম স্বেচ্ছা সেবকরা ভক্ত-আশেকানদের খেদমতে নিয়োজিত থাকবে। একটি মেডিকেল টিম জরুরী স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত থাকবে। তাছাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করছে।
এদিকে মোনাজত উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ও মাজার কমিটির সভাপতি মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা এবং আখাউড়া পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
ওরশকে কেন্দ্র করে মাজার এলাকায় মাস ব্যাপী মেলা বসেছে। মেলায় কাঠ, বাঁশ, বেতের আসবাবপত্র, কসমেটিক্স, প্লাস্টিক পণ্য, খেলনাসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছে বিক্রেতারা।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ওরশ উদযাপনে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অফিসারসহ ৬ শতাধিক পুলিশ, আনসার ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। আশা করি বিগত বছরের ন্যায় শান্তিপূর্ণ ভাবে উরশ সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, ওরশের প্রথম দিন গত ১০ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাজার সংলগ্ন রেলপথে ট্রেন দূর্ঘটনায় ৪ জন ভক্তের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে এখনও কোনো কাগজপত্র আসেনি। এজন্য তাদেরকে (বিএনপি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইতে পারে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পরেও উনার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে এভার কেয়ার হাসতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন এটা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায়। সেক্ষেত্রে তারা (বিএনপি) আবেদন করার পরে সেটা দেখা যাবে।
বিএনপির হরতাল অবরোধ কর্মসূচির হুমকি প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি আইন ভঙ্গ করে তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সকাল পৌনে এগারটায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে তিনি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। পরে তিনি সড়ক পথে নিজ এলাকা কসবা উপজেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
চলারপথে ডেস্ক :
আখাউড়া পৌরশহরের খড়মপুর মাজার মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে মার্কেটের একটি হোটেলের রান্নাঘর, একটি মোমবাতির কারখানা এবং মাজার শরীফের অতিথি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছে ভূক্তভোগীরা। আজ ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে হোটেলের রান্নান চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারনা করছে ফায়ার সার্ভিস।
জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে খড়মপুর মাজার সংলগ্ন দ্বিতল বিশিষ্ট মাজার মার্কেট কাম রেষ্ট হাউজের জাহাঙ্গীর ভূইয়ার হোটেল লাগোয়া খালপাড়ে বাঁশ ও কাঠের তৈরি রান্নাঘরে আগুণ লাগে।
মুহুর্তের মধ্যে আগুন হোটেলের পাশের বাঁশ ও কাঠের তৈরি মোমবাতির কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। আগুণের লেলিখান শিখা মাজার কমপ্লেক্সের দুতলার অতিথি কক্ষে পৌছে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন খড়মপুর মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টুকে খবর দেয়। মাজার কমিটির সম্পাদক মিন্টু খাদে নিজে ফায়ার সার্ভিস অফিসে গিয়ে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিক ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আধ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ততক্ষণে হোটেলের মাচা, মোমবাতির কারখানা, কমপ্লেক্সের অতিথির কক্ষের ২টি এসি, ২টি ফ্যান, ২টি জানালার থাই গ্লাস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে তাপে মার্কেটের দেয়ালের কিছু অংশের আস্তর খসে পড়ে যায়।
মোমবাতির কারখানার মালিক রুবেল খাদেম বলেন আগুনে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
হোটেল মালিক জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেন রাত ১০টার দিকে হোটেল বন্ধ করে চলে যাই। সকাল আগুন লাগার খবর পেয়ে দোকানে আসি। কিভাবে আগুণ লেগেছে বলতে পারছি না। আগুনে হোটেলের রান্নার সরঞ্জাম, মসলা পুড়ে গছে।
জানতে চাইলে খড়মপুর মাজার কমিটির সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম খাদেম মিন্টু বলেন সকাল আটটার দিকে মোবাইল ফোনে মার্কেটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে গিয়ে খবর দেই। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভায়। অগ্নিকান্ডে মাজার শরীফ অতিতি কক্ষের ২টি এসি, ২টি ফ্যান, ২টি জানালার থাই গ্লাস পুড়ে গেছে এবং বিল্ডিংয়ের আস্তর খসে পড়েছে। এতে মাজার কমিটির ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আখাউড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফিন্সেরর স্টেশন অফিসার মুনিম সারোয়ার বলেন, সকাল আটটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করি। হোটেলের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারনা করছি।
উল্লেখ্য, এরআগেও মাজার মার্কেট কমপ্লেক্সে ২ বার আগুন লেগেছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বোনাসের টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আখাউড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
আজ ২৬ মার্চ রবিবার সকালে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন প্রদত্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার তাঁর বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিজয় দিবস উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ৫ হাজার টাকা করে বোনাস দিয়েছেন। কিন্তু ৩ মাস পেরিয়েও গেছে এখনও আমরা সেই বোনাসের টাকা পাইনি। আমলারা বলতেছে, আখাউড়ায় নাকী তিন জন মুক্তিযোদ্ধা জীবত আছে। বিষয়টি জানার পর আমার হতভম্ব হয়ে ইউএনও সাহেব এবং ডিসি সাহেবের কাছে গিয়েছি। ইউএনও সাহেব এবং ডিসি সাহেব আমাদের কথা শুনে মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে। আমরা পর পর তিন বার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সচিব সাহেবের সাথে দেখা করেছি। সচিব আমাদেরকে আপনারা নিশ্চিত থাকার অনুরোধ বলেছিলেন এই মাসের ১৫ তারিখ টাকা পাঠিয়ে দিবেন। কিন্ত ডিসেম্বর গিয়ে মার্চ মাসের আজ ২৬ তারিখ। আমরা এখনও বোনাসের টাকা পাইনি।
এসময় তিনি স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজনীতিবিদদেরকে সতর্ক করে বলেন, আমলারা আখাউড়ার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এধরনের কার্যকলাপ করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে তিনি প্রশাসনকে অনুরোধ করে বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যেন এ ধরনের আচরণ না করা হয়। নতুবা শক্ত কর্মসূচি দেওয়ারও হুঁসিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার মালদার স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ করেন বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য।
এসময় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারাও তাঁর বক্তব্যের সাথে সহমত পোষন করেন।
আখাউড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ জামসেদ শাহ’র কাছে এ ব্যপারে জানতে বলেন, আখাউড়ায় প্রায় ২৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা জীবিত রয়েছেন। আমরা বিজয় দিবসের প্রধানমন্ত্রীর বোনাসের টাকা এখনও পাইনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন সফিক আলেয়া, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হিমেল খান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ‘বিজয় দিবস ভাতা’র নামে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে ৫ হাজার টাকা প্রদান করছে সরকার।