আখাউড়া প্রতিনিধি :
তিন টিকেট কালোবাজারিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার চর-নারায়নপুরের হিরণ মিয়া (৩৯), পৌর শহরের বড় বাজার এলাকার মজিবুর রহমান (৪৫) ও তারাগন গ্রামের জসিম উদ্দিন (৩৫)। এর আগে সকালে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা ও আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত মোঃ আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ৫১টি আসনযুক্ত টিকেট উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, টিকেট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যহাত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।
আজ ১৩ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ছয়টায় একটি ট্রাকে করে বন্দর দিয়ে ৭ মেট্রিক টন জিরা এসেছে ভারত থেকে। এর মাধ্যমে আবারও সচল হলো বন্দরের আমদানি বাণিজ্য।
হাইড্রোল্যান্ড সলিউশন নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান এই জিরা আমদানি করেছে। তবে আজ থেকে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ার ঈদের আগে বন্দর থেকে জিরা খালাস না করতে পারার শঙ্কা প্রকাশ করেন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স শফিকুল ইসলাম আমদানিকৃত জিরার কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করবে।
আমদানিকারক সূত্রে জানা গেছে, প্রতি টন জিরার দাম পড়েছে দুই হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় দুই লাখ ৯২ হাজার ৫০০ টাকার মতো (প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ধরে)।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. ছাগিরুল ইসলাম বলেন, হাইড্রোল্যান্ড সলিউশন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৭ মেট্রিক টন জিরা আমদানির জন্য এলসি খুলেছে। আজকে সন্ধ্যায় জিরা নিয়ে একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। প্রথমবারের মত এই স্থলবন্দর দিয়ে দেশে জিরা আমদানি হয়েছে। আমদানি পণ্য থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত হারে শুল্ক এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাশুল পাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি কে. এম. হাফিজুল আলম বলেন, কলেজ জীবনের ২টি বছর একজন শিক্ষার্থীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কলেজ জীবনকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে স্বপ্ন পূরণের পরের ধাপ ভার্সিটি, মেডিকেল বা ইঞ্জিনিয়ারিং যে যেখানে ভর্তি হতে চাও তা সহজ হবে। অনেকে এসময় ঝড়ে পড়ে যায়। তাই তাই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কলেজ জীবনকে গুরুত্বসহকারে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ২০২৩ সনের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আজ ২১ অক্টোবর শনিবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের ধলেশ্বর গ্রামের রাবিয়া খাতুন স্মৃতি পাঠাগার ও আকছির চৌধুরী চ্যারিটি ট্রাস্ট স্কুল যৌথভাবে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথি বিচারপতি কে. এম. হাফিজুল আলম আরো বলেন, আমি জানি ভবিষ্যৎ নিয়ে তোমাদের প্রত্যেকের একটি স্বপ্ন আছে। তোমাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত কলেজে ভর্তির সময়ই নিতে হবে।
ভবিষ্যতে তোমরা যা হতে চাও তার প্রতি গভীর অনুরাগ ও ভালোবাসা এবং চেষ্টা থাকতে হবে। সে অনুযায়ী কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কোন পেশা-ই ছোট নয়, যে যেই পেশায় যেতে চাও সে পেশার যারা শ্রেষ্ট আছে তাদের মধ্যে থাকার জন্য চেষ্টা থাকতে হবে।
কাঙ্ক্ষিত পেশার শ্রেষ্ঠ মানুষদের মধ্যে এক বা একাধিক ব্যক্তিকে আইকন হিসেবে চিহ্নিত করে তাদেরকে অনুসরন করতে পারলে তোমাদের চলার পথ সহজ হবে। আমি বিশ্বাস করি লক্ষ্যে অটুট থেকে সঠিক ভাবে সময়কে কাজে লাগিয়ে পরিশ্রম করলে তোমরা নিশ্চয় সফল হতে পারবে।
ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, তোমাদেরকে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন, সৎ এবং বিজ্ঞান মনস্ক সুনাগরিক হতে হবে। কোন ধরনের মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী আকছির এম. চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা, জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সাখাওয়াত হোসেন , যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) মোঃ হারুন অর রশিদ, সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা-আখাউড়া) সার্কেল মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এড. মৌলী মোর্শেদ মৌ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে থানা পুলিশের এক এএসআইসহ দু’জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই অভিযুক্ত দুই পুলিশ মিলে আন্ত:নগর ট্রেনে করে আখাউড়া থেকে ময়মনসিংহে গাঁজা পাচার করছিলেন।
এরা হলেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় কর্মরত কনস্টেবল সোহেল রানা (২৬) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় কর্মরত এএসআই তারেক আলী। এরমধ্যে সোহেল রানার কাছ থেকে তিন কেজি নয়শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। রেলওয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর সে জানায়, তারেক আলীর কাছ থেকে সে গাঁজা বুঝে নেয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, তারেক আলীকে বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়েছে। তবে কি কারণে বরখাস্ত হয়েছে সেটি আমি জানি না। গাঁজা পাচারের সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়টিও আমার জানা নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
অবসরের বিষণ্নতা কাটিয়ে ৪০ বছরের কর্মজীবন শেষে রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা পেলেন আখাউড়া থানার পুলিশ সদস্য মো. মুজিবুল আলম ভূঁইয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এই সংবর্ধনা দিলেন আখাউড়া থানার ওসি নূরে আলম।
৩ জানুয়ারি বুধবার সকালে থানা চত্বরে পুলিশ কনস্টেবল মুজিবুল আলম ভূঁইয়ার জন্য এই বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেন। পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে তাকে সম্মাননা স্মারক ও বিভিন্ন উপহার প্রদান করা হয়।
এ সময় আখাউড়া থানার ওসির গাড়িটি ফুল দিয়ে সাজিয়ে কর্মস্থল থেকে তার নিজ বাস ভবন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তালতলা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়।
এর আগে সহকর্মীরা ভালোবাসার সঙ্গে বিদায় দেন এই পুলিশ সদস্যকে। এ সময় এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ সুপারের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ওসির এমন আয়োজনে খুশিতে আÍহারা পুলিশ কনস্টেবল মুজিবুল আলম ভূঁইয়া। এ আয়োজনে কর্মজীবনের শেষে এক সুখস্মৃতি দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
বিদায়ি অশ্রুসিক্ত পুলিশ কনস্টেবল মুজিবুল আলম ভূঁইয়া জানান, চাকরি জীবনে আমি কখনো দায়িত্বে অবহেলা করিনি। এতোদিন দেখে আসছি বড় বড় পুলিশ কর্মকর্তাদের ঢাকঢোল পিটিয়ে বিদায় দেওয়া হয়। কিন্তু একজন সাধারণ পুলিশ সদস্যকে এভাবে বিদায় জানাবে কল্পনাও করিনি। আমি ধন্য, আমি কৃতজ্ঞ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতির কথা বলতেছে, বাংলাদেশও তো ভিসানীতির কথা বলতে পারে। ভিসানীতি দিছে তো কী হয়েছে?
আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, আমার সঙ্গে যখন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর সাহেবের কথা হয়েছে, তখন তিনি বললেন, আমি এসেছি ভিসানীতি কী তা বোঝাতে। আপনি কী বলবেন? আমি বললাম, এটা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করেন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমি অপমানিত বোধ করেছি। কারণ, বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ।
মন্ত্রী বলেন, তারপর বলেছি, আপনারা বলেছেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এটা করেছেন। আপনারা যদি পক্ষপাতিত্ব না করে এটা প্রয়োগ করেন, আমাদের আপত্তি নেই। আপনারা যদি একজনের বিরুদ্ধে এটা প্রয়োগ করেন, তাহলে অবশ্যই আমার কিছু বলার আছে। তারপর বলেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশ আপনার। আপনারা ভিসানীতি দিয়েছেন, তাতে আমার কিছু আসে যায় না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন করেন বলেই কিন্তু অনেক সুদখোর, বিএনপির অনেক নেতা যারা দুর্নীতি করে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আপনারা আওয়ামী লীগের কর্মী, আপনারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মী, আপনারা মুক্তিযুদ্ধ দেখা কর্মী, আপনাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে আর কেউ খেলতে পারবে না।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।