অনলাইন ডেস্ক :
কনে হাঁটছেন সাদা গাউন পরে। এ সময় সেই পোশাক ছুরি দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে খাচ্ছেন কেউ কেউ। তারা আসলে পোশাক খাচ্ছেন না, খাচ্ছেন কেক। এমনই এক বিশাল ‘পরিধানযোগ্য কেক’ বানিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের নারী নাতাশা কোলিন কিম ফাহ লি ফোকাস।
গত ১৫ জানুয়ারি রাজধানী বার্নে এক প্রদর্শনীতে কেক দিয়ে তৈরি পোশাকটি পরে দেখান তিনি। সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে এর একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘সবচেয়ে বড় পরিধানযোগ্য কেক ড্রেস। এর ওজন ১৩১.১৫ কেজি, বানিয়েছেন সুইটিকেকসের কর্ণধার নাতাশা কোলিন কিম ফাহ লি ফোকাস।’ খবর এনডিটিভির
গিনেস ওয়ার্ল্ডস রেকর্ড জানায়, নাতাশা ২০১৪ সাল থেকে সুইটিকেকস বেকারিটি পরিচালনা করছেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের কেক বানিয়ে বিক্রি করেছেন। এবার ‘পরিধানযোগ্য কেক’ বানিয়ে গিনেস বুকে নাম লেখালেন তিনি। সুইস ওয়ার্ল্ড ওয়েডিং ফেয়ার নামে ফ্যাশন শোর শেষ দিনে ঐতিহ্যবাহী বিয়ের পোশাকের আদলে কেক দিয়ে তৈরি এই পোশাকটি দেখানো হয়। এটি কীভাবে পরতে হবে, তাও ভিডিওতে দেখিয়েছিন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে প্রকাশের পর ইতোমধ্যে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। অনেকে মন্তব্য করছেন, ‘এখানে কেক কোথায়? তিনি তো বিয়ের পোশাক পরেছেন!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আমি তো অবাক! কিন্তু এত ভারী পোশাক পরে তিনি হাঁটছেন কী করে!’
অনলাইন ডেস্ক :
স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তানের অংশ। ‘পূর্ব পাকিস্তান’ নামে এই জনপদকে তখন ‘বোঝা’ মনে করতো তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী।
সময়ের পরিক্রমায় সেই ‘বোঝা’র জনপদ এখন উন্নতির নানান সূচকে ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানকে।
বাংলাদেশের এ অভূতপূর্ব অগ্রগতিতে ‘লজ্জা’ পান বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। সেদেশের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে ২৪ এপ্রিল বুধবার এক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি। খবর ডন অনলাইনের।
১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর বাঙালিদের এ ভূখণ্ড পাকিস্তানের একটি অংশ হয়ে শাসিত হতে থাকে। কিন্তু সবকিছুতে এ জনপদের মানুষের ওপর ছিল বৈষম্য। পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে একসময় মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ শেষে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধের আগের সময়ের প্রসঙ্গ টেনে শেহবাজ শরিফ বলেন, আমি তখন অনেক তরুণ ছিলাম…তখন আমাদের বলা হতো ওই অঞ্চল (বাংলাদেশ) আমাদের জন্য বোঝা। আজ আপনারা জানেন, সেই ‘বোঝা’ কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে (অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে)। তাদের দিকে তাকালে আমি এখন লজ্জিত হই।
অনুষ্ঠানে শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
তিনি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের বিষয়েও কথা বলেন। এছাড়া দেশে ‘রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা’র জন্য পিটিআই প্রধান ইমরান খানের প্রতি তার নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গিও প্রকাশ করেন শেহবাজ।
গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শেহবাজ।
বেশ কিছু বছর ধরে পাকিস্তানের অর্থনীতি ধুঁকছে। মূল্যস্ফীতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, দুর্নীতিসহ নানা সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন শেহবাজ শরিফ।
চলারপথে ডেস্ক :
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা প্রস্তাব পাশ হয়েছে। গাজা উপত্যকায় আরও অধিক মানবিক সহায়তা পাঠানোর এ প্রস্তাবটি ১৩-০ ভোটে পাশ হয়েছে। খবর আলজাজিরা।
২২ ডিসেম্বর শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটির খসড়ায় গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। তবে যুদ্ধবিরতির কথা থাকায় এতে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরে যুদ্ধবিরতির কথা বাদ দিয়ে শুধু মানবিক সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এক সপ্তাহ ধরে ঝুলে থাকা প্রস্তাবটি শেষ পর্যন্ত পাশ হলেও গাজায় যুদ্ধবিরতি বন্ধে এতে কোনো আলোচনা করা হয়নি।
নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ দেশের মধ্যে ১৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলেও; যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল। নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য রাশিয়া বলেছে, এই প্রস্তাব একটি ‘দন্তহীন’ ও ‘অক্ষম’ প্রস্তাব।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নিবানজিয়া বলেছেন, এই প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে বলা হয়নি। এর বদলে এটির মাধ্যমে ‘মুক্তহস্তে’ ইসরাইলকে তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
গাজায় ইসরাইলের হামলায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজার পরিস্থিতিকে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা পৃথিবীর নরক বলে মন্তব্য করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
সরাসরি হজে পাঠানোর ক্ষেত্রে হজ এজেন্সির জন্য সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা কমিয়েছে সৌদি সরকার। ৫০০ জন থেকে ওই কোটা ২৫০ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে যেসব এজেন্সির হজযাত্রী ২৫০ জন হবে তারা এখন সরাসরি হজে লোক পাঠাতে পারবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি সরকার সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে কোটা কমানোর এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২৭ জানুয়ারি শনিবার হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এবং এজেন্সিগুলোকে এটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোকে জানানো হয়, সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিজরি ১৪৪৫/২০২৪ সনের হজ মৌসুমে অনুমোদিত প্রতিটি হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন ৫০০ জন হজযাত্রী থাকলে ওই এজেন্সি সৌদি আরবে সরাসরি হজযাত্রী পাঠাতে পারবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোটা কমানোর চিঠিতে জানিয়েছে, সৌদি সরকার ২০২৪ সালের হজের জন্য বাংলাদেশসহ সব দেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা প্রথমে দুই হাজার জন এবং পরবর্তী সময়ে ৫০০ জন নির্ধারণ করে পত্র দেয়। সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে আগের মতো বাংলাদেশের সব এজেন্সিকে হজযাত্রী পাঠানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সৌদি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ধর্মমন্ত্রীর নির্দেশে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার সর্বশেষ গত ২৪ জানুয়ারি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার আবদুল ফাত্তাহ সুলেমান মাশাত এবং হজ অ্যাফেয়ার্স অফিসের মহাপরিচালক ড. বদর আলসোলামির সঙ্গে টেলিফোনে কোটার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান।
অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ জানুয়ারি ভাইস মিনিস্টারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের হজ এজেন্সির সর্বনিম্ন কোটা ৫০০ জনের পরিবর্তে ২৫০ জন নির্ধারণের কথা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়।
এ ক্ষুদে বার্তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী কোনো হজ এজেন্সি ২৫০ জন হজযাত্রী থাকলে সরাসরি সৌদি আরবে পাঠাতে পারবে। যেসব এজেন্সির হজযাত্রীর সংখ্যা ২৫০-এর কম সেসব এজেন্সিকে অন্য এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে হজযাত্রী পাঠাতে হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে জানানো হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালেও বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ পালন করতে পারবেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এবার হজে যেতে সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর। গত ১০ ডিসেম্বর নিবন্ধন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নিবন্ধনে সাড়া না পাওয়ায় তিন দফা সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ বাড়ানো নিবন্ধনের সময় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
মানবদেহে ইমিউন কোষের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকরা-যেটি অ্যালার্জি এবং অন্যান্য রোগপ্রতিরোধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিচিত। সঙ্গে এই কোষটি ক্যানসার নির্মূল এবং সার্স-কোভ-২ এর মতো ভাইরাসের সঙ্গেও লড়াই করতে সক্ষম। সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের কারণেই মানুষের শরীরে করোনার সংক্রমণ ঘটে।
হিউম্যান টাইপ-২ ইনন্যাট লাইমফোইড সেলস (আইএলসি২এস) নামের এ ইমিউন কোষটি মানবদেহের বাইরেও প্রসারিত করা যায় এবং এটি টিউমারের টিকে থাকার সক্ষমতাকে পরাজিত এবং ক্যানসার কোষকে নির্মূল করতে পারে। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই তথ্য পেয়েছেন মার্কিন গবেষকরা।
বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘সেলে’ এই গবেষণার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সিটি অব হোপের— হেমাটোলোজি অ্যান্ড হেমাটোপোয়েটিক সেল ট্রান্সপ্ল্যানটেশন বিভাগের প্রফেসর জিয়ানহুয়া ইউ এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘কোষ পরিবারে আমরা আইএলসি২ কোষকে নতুন সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করেছি যেটি যে কোনো ধরনের ক্যানসারকে সরাসরি নির্মূলে সক্ষম। যার মধ্যে রক্তের ক্যানসার এবং সোলিড টিউমারও রয়েছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে এই কোষ উৎপাদন, ফ্রিজিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা এবং রোগীদের দেহে প্রয়োগ করা যাবে। টি-কোষ ভুক্ত থেরাপি যেমন সিএআর টি কোষ, যেটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে রোগীর নিজস্ব কোষের প্রয়োজন হয়— আইএলসি২এস কোষের ক্ষেত্রে এমনটি প্রয়োজন হবে না। এই কোষ শারীরিকভাবে সুস্থ কোনো দাতার কাছ থেকে সংগ্রহ করা যাবে। যেটি অ্যালোজোনিক হিসেবে আলাদা বিশেষ চিকিৎসাগত পদ্ধতি হবে। যা খুব সহজেই পাওয়া যাবে।’
এর আগে ইঁদুরের আইএলসি২এস কোষ নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। তবে ইঁদুরের কোষের পরীক্ষায় ক্যানসার নির্মূলের ক্ষেত্রে ওই সময় আশাব্যাঞ্জক কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি।
কিন্তু নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, মানবদেহের আইএলসি২এস কোষ সরাসরি ক্যানসার নির্মূলে কাজ করে। কিন্তু ইঁদুরের কোষ সেটি করতে পারে না।
মানবদেহের আইএলসি২এস কোষ পরীক্ষার জন্য প্রফেসর ইউ এবং তার দল প্রথমে একটি রক্তের নমুনা থেকে এই কোষকে আলাদা করেছেন। তারা অভিনব একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন। যেটি মানবদেহ থেকে সংগ্রহ করা আইএলসি২এস কোষকে ২০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারে।
এরপর তারা বাহ্যিকভাবে প্রসারিত করা এই কোষ সোলিড টিউমারে আক্রান্ত ইঁদুরের দেহে প্রবেশ করিয়েছেন। যারমধ্যে রয়েছে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার ও গ্লিওব্লাস্টোমা। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, এই প্রসারিত কোষ এসব টিউমারকে নির্মূল করতে পারে।
প্রফেসর ইউ বলেছেন, ‘একটি সন্তোষজনক সরাসরি প্রমাণ আমরা পেয়েছি যখন আমরা একটি আইএলসি২ কোষ এবং একটি টিউমার কোষ একসঙ্গে স্থাপন করেছি এবং দেখতে পেয়েছি টিউমার কোষটি নির্মূল হয়ে গেছে, কিন্তু আএলসি২ কোষটি অক্ষত রয়েছে।’
‘এটি প্রমাণ করে অন্যান্য কোষের অনুপস্থিতিতে আইএলসি২এস কোষ সরাসরি ক্যানসার কোষটিকে নির্মূল করেছে।’ যোগ করেন প্রফেসর ইউ।
ক্যালিফোর্নিয়ার হেমাটোলোজি অ্যান্ড হেমাটোপোয়েটিক সেল ট্রান্সপ্ল্যানটেশন বিভাগের অপর গবেষক প্রফেসর মাইকেল ক্যালিজিউরি বলেছেন, ‘আইএলসি২এস কোষটি মানবদেহে খুবই বিরল। এটি বেশিরভাগ পাওয়া যায় ফুসফুস, নাড়িভুঁড়ি এবং ত্বকে।’
তবে প্রফেসর ইউ জানিয়েছেন, আইএলসি২এস কোষটি ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর নিজস্ব কোষ থেকে নিতে হবে না। অর্থাৎ ক্যানসার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এই কোষ অন্য সুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করে রাখা যাবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার এ গবেষক বলেছেন, ‘আমরা এই গবেষণাটির ফলাফল প্রয়োগের স্বপ্ন দেখি। এমনকি ক্যানসারের বাইরে অন্য রোগের ক্ষেত্রেও এটি প্রয়োগ করা যেতে পারে। আইএলসি২এস কোষ ভাইরাসের বিরুদ্ধেও— যেমন কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।’ সূত্র: আইএএনএস
অনলাইন ডেস্ক :
তেহরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালায় তাহলে তাদেরও (ইসরায়েলের) পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালানো হবে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার দায়িত্বে থাকা বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার আহমেদ হাগতালাব এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
তিনি বলেন, তাদের (ইরানের) হাত ট্রিগারেই রয়েছে। যদি ইসরায়েল তাদের কোনো স্থাপনায় কোনো ধরনের হামলা চালায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা হামলা চালানো হবে। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলের পারমাণবিক অবকাঠামো কোথায় আছে সেটি তারা বেশ ভালোভাবে জানেন।
এই কমান্ডার আরো জানিয়েছেন, ইসরায়েল তাদের অব্যাহতভাবে হুমকি দিয়ে যাওয়ায় তারা তাদের পারমাণবিক যে নীতি রয়েছে সেটি পরিবর্তন করার ব্যাপারেও তারা ভাববেন।
১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। তাতে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এ হামলার বদলা হিসেবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একযোগে ১৭০টি ড্রোন, ১২০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান।
এই ঘটনার পর ইসরায়েল ইরানে হামলার পায়তারা করছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনী মোসাদের সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা জোহার পাল্টি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইরান যে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে সেটির বদলা নিতে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলার চিন্তা-ভাবনা করছে তারা। তার এমন বক্তব্যের পরই পাল্টা হুমকি দিয়েছে তেহরান।
ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করেন দেশটির প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ২০০০ সালে তিনি এক ডিক্রির মাধ্যমে পারমাণবিক বোমা তৈরি নিষিদ্ধ করেন। তবে ২০২১ সালে ইরানের তৎকালীন গোয়েন্দামন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন- পশ্চিমাদের চাপে পড়ে ইরানকে পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে হতে পারে।
এদিকে ইরানের সেনাপ্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল আব্দোলরহিম মৌসাভি বলেছেন, ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসন চালানো হলে কঠোরভাবে তার জবাব দেওয়া হবে। এই জবাব এমন হবে যে তাদের অনুতাপ করতে হবে। সূত্র : স্কাই নিউজ