আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী জাকির খাঁ (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ কামরুজ্জামান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে আজ ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোরে ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকা তাকে আটক করে। আটক জাকির খাঁ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের আমানত খাঁর পুত্র। সে ৭ বছর ধরে পলাতক ছিল।
পুলিশ ও ভূক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সনের আগস্ট মাসের ৬ তারিখ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হয় শরীফ খাঁ (৫০)। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে একই পরিবারের ৪জনসহ ৫জনকে আসামী করে আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলো আমানত খাঁ ও তার তিন ছেলে জাকির খাঁ, গাজি খাঁ, মাহবুব খাঁ এবং আমান খাঁর ভাতিজা আমীর খাঁ। মামলা হওয়ার থেকেই জাকির খাঁ ও তার দুই ভাই পলাতক ছিল।
বিগত ২০২২ সনের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই হত্যা মামলায় জাকির খাঁসহ তার দুই ভাইয়ের মৃত্যুদন্ড এবং তাদের পিতা আমানত খাঁর যাবজ্জীবন সাজা হয়। আমানত খাঁ বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে সাজা ভোগ করছে। এই মামলার আরেক আসামী আমির খাঁ ২০১৮ সালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শরীফ খার ছেলে মোঃ রাসেল খা বলেন, আসামী আটক হওয়ায় আমরা খুশি। এজন্য প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সরকারের কাছে আবেদন দ্রুত আমার পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়। তাহলেই আমরা শান্তি পাবো।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সনে উপজেলার চানপুর গ্রামে একটি হত্যা হয়। যার প্রেক্ষিতে আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী ৭ বছর পলাতক জাকির খাকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। সে ছদ্মবেশে অজ্ঞাত স্থানে অবস্থান করে অটো চালাতো। শনিবার দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপর দুই আসামী পলাতক রয়েছে। শোনা যাচ্ছে তারা বিদেশে অবস্থান করছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৭ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা-ফসলী জমি-গাছপালা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে ভাঙনকবলিতরা।
তাদের অভিযোগ, ভাঙনরোধে পাউবো যেমন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না তেমনি ভাঙনের শিকার মানুষগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করলেও কেউ খোঁজ নিচ্ছে না। ভাঙনের শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষের। অন্যদিকে, পানি বাড়ায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
জানা যায়, গত এক সপ্তাহ যাবত যমুনা নদীর পানি পানি বাড়ছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে যমুনার অরক্ষিত তীরবর্তী বিস্তৃর্ন এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী, জালালপুর ইউনিয়ন, এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম, চৌহালীর খাসপুকুরিয়া ইউপির ভুতের মোড়, বাঘুটিয়া, ওমারপুর, বেলকুচি এবং কাজিপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর চরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ভাঙনে বসতবাড়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন আতঙ্কে নদীর তীরবর্তী মানুষ নির্ঘুম রাত পার করছে।
আর গত দেড়মাসে এসব অঞ্চলের প্রায় ৩ সহস্রাধিক বসতভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে।
শাহজাদপুরের পাঁচিল গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম, রহিমা খাতুন, শরিফুল ইসলাম ও শুকুর ফকির জানান, দুদিন আগেও বসতভিটা ছিল। হঠাৎ প্রবল ঘুর্নাবর্তের কারণে বসতভিটাসহ আসবাবপত্র সব কিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। কোনরকম ছেলে-মেয়ে নিয়ে রক্ষা পেয়েছি। বর্তমানে যাবার কোনো জায়গা না থাকায় খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবনযাপন করছি। বসতঘর তোলার জায়গা না থাকায় ঘরগুলো ওয়াপদা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানে স্তুপ করে রেখেছে। ঝড় বৃষ্টি ও রোদে পুড়ে খেয়ে না খেয়ে আমাদের জীবন পার করছি। এতো কস্টে থাকলেও কেউ আমাদের খোঁজ নিতে আসেনি।
চৌহালীর বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম জানান, ভাঙনে ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এক ইঞ্চি জায়গাও নেই। এখন একেবারে নিঃস্ব অবস্থায় পড়ে গেছি। ভবিষ্যতে কিভাবে চলবে সে চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না। সরকার বা জনপ্রতি ও প্রশাসন কেউ আমাদের একটু সহযোগিতা করছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার নদী তীর রক্ষায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকা ও চৌহালী রক্ষায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও পাউবো ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ না করায় তাদের গাফিলতির কারণে নদী ভাঙছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, যমুনা পানি বাড়ায় ভাঙ্গনও বাড়ছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতো বড় এরিয়ায় ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের সামর্থ্য পাউবোর নেই। এরপরেও যেখানে বেশি ভাঙছে সেখানে জিওব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় আজ ২০ মে সোমবার বিকেলে মোটরসাইকেল আটকে অভিযান চালায় পুলিশ।
এ সময় শতাধিক মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
আচরণবিধি অনুসারে, ১৯ মে রাত ১২টা থেকে ২২ মে রাত ১২টা নাগাদ ভোটের এলাকায় মোটর সাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কসবা পৌর এলাকার তেতৈয়া মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়।
এরপর আখাউড়া পৌর এলাকার মায়াবী সিনেমা হল মোড় ও বাইপাস এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান সম্পর্কে পুলিশ সুপার জানান, অবৈধ মোটরসাইকেল এবং নির্বাচন কমিশনের স্টিকার ছাড়া মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাদের বৈধ কাগজপত্র আছে তারা নির্বাচনের পর মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে পারবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দরের সাবেক ট্রাফিক পরিদর্শক আব্দুল কাদের জিলানীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১৪ মে রবিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
ট্রাফিক পরিদর্শক আব্দুল কাদের জিলানী বর্তমানে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে কর্মরত রয়েছেন। তিনি কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার আমড়াতলী গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আব্দুল কাদের জিলানী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর বন্দরে ট্রাফিক পরিদর্শক ছিলেন। আখাউড়া স্থলবন্দরে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রবেশ করে ২২ হাজার ৮৯০টি গাড়ি। কিন্তু অভিযুক্ত আব্দুল কাদের জিলানী ১১ হাজার ৯৮৩টি গাড়ির হিসাব রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করেছেন। বাকি ১০হাজার ৯০৭টি গাড়ি প্রবেশের তথ্য এন্ট্রি করেননি। গাড়িগুলো রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি না করে এর ফি ১২ লাখ ৬২ হাজার ৯০২টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না করে আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় রবিবার দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০ ধারা সহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দুদক স্থলবন্দর ট্রাফিক পরিদর্শক আব্দুল কাদের জিলানীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় হোটেলে রান্না করা খাবারে মরা ইঁদুর ও বাসি-পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত হোটেল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে আখাউড়া পৌর শহরের ‘অতিথি হোটেলের’ মালিক নজরুল ইসলামকে এ জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘অতিথি হোটেলে বাসি-পচা মাংস বিক্রির বিষয়ে অভিযোগ পাই। অভিযোগকারী হোটেল থেকে মাংস এনে দেয়। সেই মাংস থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। পরে অভিযান চালানো হয়। এসময় খাবারে মরা ইঁদুরও পাওয়া যায়। ভোক্তা অধিকার আইন- ২০০৯ অনুযায়ী হোটেল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’