কসবা প্রতিনিধি :
কসবায় ৪ হাজার ২শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে টাস্কফোর্স। এ সময় ৪টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে কসবা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব সরকার ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কসবা উপজেলার মিজানুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মিজানুর রহমান ও একই এলাকার আমির মিয়া (৩৮)।
এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় আবারও আইন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল হক।
আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জাতীয় চারনেতা হত্যা মামলার প্রধান কৌশলী। এ ছাড়া, বিডিআর হত্যা মামলা, দুদকের মামলাসহ রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন। ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে পরিচিত আনিসুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
আনিসুল হকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ গ্রামে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। আনিসুল হকের প্রয়াত পিতা সিরাজুল হক ওরফে বাচ্চু ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন। আনিসুল হকের বাবা-মা দু’জনই মুক্তিযোদ্ধা।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ১শ ৩০ কেজি ভারতীয় গাঁজা উদ্ধার করেছে কসবা থানা পুলিশ। আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের দীঘিরপাড় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় এসব গাঁজা।
এ সময় বস্তাভর্তি গাঁজা ফেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় মাদককারবারিরা। এ ঘটনায় পাচারে জড়িত তিন মাদক কারবারিকে আসামি করে মাদক আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
আজ দুপুরে এক প্রেস বিপ্ততিতে জানায় কসবা থানা পুলিশ। জানা যায়, বুধবার রাতে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের দীঘিরপাড় ও খুড়াইসার এলাকা দিয়ে ভারত থেকে আসা গাঁজার বড় চালান পাচার হওয়ার সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে পাচারের অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ দেখতে পায় মাথায় করে তিন মাদককারবারি বস্তাভর্তি গাঁজা নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে গাঁজা ফেলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে ফেলে যাওয়া গাঁজা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, আজ ভোররাতের দিকে পাচারের সময় এসব গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পাচারকারীরা পালিয়ে গেলেও তাদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা এলাকার চিহ্নিত মাদককারবারি। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনকে (৫১) শ্যুটার গানসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ৪ মে বৃহস্পতিবার দুপুরের তাকে উপজেলা খাড়েরা ইউনিয়নের দারোগাবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শরীফুল উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হকের ছেলে। গ্রেফতারের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানায় নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্র জানান, আগামী ০৬ এপ্রিল উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনে নির্বাচন হওয়ার কথা। এ লক্ষ্যে সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনসহ উপজেলা বিএনপির নেতা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফখর উদ্দিন আহাম্মদ খানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী-পাতাইসার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পর হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনা হয়। পরে বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে দারোগাবাড়ী এলাকায় স্বপনের শরীর তল্লাশি করে একটি লোডেড শ্যুটার গান পাওয়া যায়। এ সময় অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে এবং আগের একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ০৬ মে কসবায় উপজেলা বিএনপি কমিটি গঠনের বিষয়ে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উপজেলা বিএনপি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় গ্রেফতার হওয়া শরীফুল হক স্বপনকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন জেলা বিএনপি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের নয়নপুর বাজারের দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে ৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৩ জুলাই শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়। অভিযানের সময় গুদামের মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যান।
কসবা থানার ওসি মো. রাজু আহাম্মেদ জানান, শনিবার রাতে নয়নপুর বাজারের ব্যবসায়ী আইয়ুব খান ও অমিত হাসান জয়ের গোডাউন থেকে ৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নির্বাচনে সীমাহীন অনিয়ম ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সহযোগীতায় ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে ২০ কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) এবং নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান (তালা প্রতীক) মোঃ মনির হোসেন।
আজ ২২ মে বুধবার দুপুরে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের বাসভবনের সামনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভূইয়া জীবন অভিযোগ করে গত ২১ মে মঙ্গলবার কসবায় প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে উপজেলার ৮৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মান্দারপুর ভোট কেন্দ্র, শাহপুর ভোট কেন্দ্রসহ ২০টি ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের ( আনারস প্রতীক) বের করে দিয়ে প্রতিপক্ষ ও বিজয়ী প্রার্থী ছাইদুর রহমান স্বপনের (কাপ পিরিচ প্রতীক) সমর্থকরা আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগীতায় ব্যালেট পেপারে সীল মেরেছে।
তিনি বলেন, আমি ও মনির (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) বার বার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবিহিত করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের দিন আইন-শৃংখলা বাহিনীর এলোপাথারি মারধোরে তার ৫ শতাধিক কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ২০টি ভোট কেন্দ্রের সামনে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের কর্মী সমর্থকদেরকে মারধোর করে সরিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা কেন্দ্রে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ব্যালেট পেপারে সীল মারে। এসব ঘটনার স্থিরচিত্র ও ভিডিও তার কাছে আছে দাবি করে তিনি প্রহসনের এই ভোটের ফলাফল বাতিল করে ২০টি কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মনির হোসেন বলেন, উপজেলার বায়েক এলাকার তাদের একজন কর্মীকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করে তুলে নিয়ে গেলেও তার কোনো সন্ধান এখনো তারা পাননি। তারা বলেন, প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের হামলা-মামলার ভয়ে তাদের সমর্থকরা এখন আতঙ্কে আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী (তালা প্রতীক) মোঃ মনির হোসেন, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মানিক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলার কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান স্বপন (কাপ পিরিচ প্রতীক) ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট।
অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন।
অপর দিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ শফিকুল ইসলাম (চশমা প্রতীক) ৭৬৫৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন (তালা প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯১৯১ ভোট।