তিন ফসলি জমিতে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 6 February 2023, 957 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
দেশের তিন ফসলি জমিতে কোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আজ ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা জানান।

মাহবুব হোসেন বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কাছ থেকে তিন ফসলি জমিতে উন্নয়ন ও স্থাপনা তৈরির কাজের জন্য আবেদন পাওয়া যাচ্ছে। সোলার প্যানেল থেকে শুরু করে ভবন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, কোনো তিন ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না এবং প্রকল্প নেওয়া যাবে না। এগুলো সংরক্ষণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত হিসেবে চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

মাহবুব হোসেন বলেন, বিভিন্ন অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে শুরু করে যাবজ্জীবন পর্যন্ত সাজার বিধান রেখে ওষুধ ও কসমেটিক আইন-২০২৩ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত এ আইন অনুযায়ী অসৎ উদ্দেশে ওষুধের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে, কোনো নকল ওষুধ উৎপাদন ও জ্ঞাতসারে বিক্রি, মজুত, বিতরণ বা বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রদর্শন, ভেজাল ওষুধ উৎপাদন, বিক্রি ও মজুতের মতো অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন পর্যন্ত সাজা পেতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি প্রথমে শুধু ওষুধ আইন থাকলেও শেষে তাতে কসমেটিকের বিষয়টি যুক্ত করে ওষুধ ও কসমেটিক আইন করার সিদ্ধান্ত হয়। এর ফলে এখন থেকে কসমেটিক উৎপাদনের জন্যও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।

প্রস্তাবিত আইনে অন্যান্য সাজার বিষয়ে তিনি বলেন, লাইসেন্স ছাড়া বা লাইসেন্সের শর্তের বাইরে গিয়ে ওষুধ উৎপাদন, নিবন্ধন ছাড়া ওষধু উৎপাদন, আমদানি-রপ্তানি, মজুত বা প্রদর্শন এবং সরকারি ওষুধ বিক্রি বা মজুত বা প্রদর্শন করলে ১০ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড কিংবা ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধেরও বিধান রয়েছে প্রস্তাবিত এই আইনে। এই বিধান লঙ্ঘন করলে সেটি অপরাধ হবে এবং সেজন্য শাস্তি পেতে হবে। প্রস্তাবিত এই আইনে ৩০টি অপরাধের জন্য বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এ ছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে কপিরাইট আইনের খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এতে সংজ্ঞায় কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া পাইরেসি প্রতিরোধেও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। ডিজিটাল বা কম্পিউটার ভিত্তিক কর্মকাণ্ডকে প্রস্তাবিত আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, অপরাধের ধরন অনুযায়ী প্রস্তাবিত আইনে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
সূত্র : বাসস

Leave a Reply

দিল্লি মেট্রোর ১৬০০ যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা Read more

সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার:…

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত Read more

এবারের অলিম্পিকে ২০৬টি দেশের অ্যাথলেট অংশ…

অনলাইন ডেস্ক : খেলার দুনিয়ার সবকিছুকে ছাড়িয়ে যার অবস্থান। যেখানে Read more

অব্যবহৃত মোবাইল ডাটার মেয়াদ কি বাড়বে,…

অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় Read more

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লাশ বাথরুমে ফেলে…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে Read more

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো যুবকের

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক Read more

দুই মাদকসেবীর কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার চার মামলায় গ্রেফতার ৪১

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, Read more

৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে Read more

কোহলি-রোহিতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চান গম্ভীর

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ Read more

রাশিয়ার সুন্দরী বাইকার তুরস্কে দুর্ঘটনায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে Read more
ফাইল ছবি

ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি:…

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে Read more

বাংলাদেশ-ভারত কোস্টগার্ডের জোনাল কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক

জাতীয়, 28 August 2023, 483 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ ও ভারতীয় কোস্টগার্ডের মধ্যে জোনাল কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৮ আগস্ট সোমবার সকালে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন থেকে ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও ভারতীয় কোস্টগার্ডের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুই দেশের কোস্টগার্ডের বৈঠকে বাংলাদেশ মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কিবরিয়া হক, কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের পরিচালক অপারেশন্স ক্যাপ্টেন ফাইজ উদ্দিন আহমেদসহ কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময়ে ভারতীয় কোস্টগার্ডের পক্ষে ভারতীয় জোনাল কমান্ডার ইন্সপেক্টর জেনারেল ইকবাল সিং চোহান ছাড়াও ভারতীয় কোস্টগার্ডের কলকাতা আঞ্চলিক সদর দপ্তরের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ ও ভারতীয় কোস্টগার্ডের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সে দুই দেশের জোনাল কমান্ডার পর্যায়ে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় হয়। বৈঠকে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়ন, উভয় দেশের কোস্টগার্ড সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ বিনিময়, দুর্যোগকালীন সময়ে দ্বিপাক্ষিক সমন্বয় ও সার্চ এন্ড রেসকিউ কার্যক্রম জোরদারসহ উভয় দেশের মধ্যে সৌহার্দ এবং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার লক্ষ্যে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও দুই দেশের আন্তর্জাতিক পানি সীমানায় মানব পাচার, চোরাচালান, মাদক পাচার ও অবৈধভাবে মাছ আহরণ রোধে উভয় দেশের কোস্টগার্ডের করনীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

ঝিনাইগাতী মুক্ত দিবস আজ

জাতীয়, 3 December 2023, 375 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার ঝিনাইগাতী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্র বাহিনীর সহযোগীতায় মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতী অঞ্চলকে শত্রু মুক্ত করে।

দিনটি উপলক্ষে আজ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমিটি ও ঝিনাইগাতী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড শ্রদ্ধাভারে শস্মরণ করবে বলে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানায়।

পাক-হানাদার বাহিনী ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ কালো রাতে যখন ঢাকার বুকে হত্যাযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই রাতেই ৩-৪৫ মিনিটে প্রেরীত স্বাধীনতার ঘোষনার টেলিগ্রাম ম্যাসেজ ঝিনাইগাতী ভি এইচ এফ ওয়্যারলেস অফিসে এসে পৌঁছে।

ম্যাসেজ পেয়েই ওয়্যারলেস মাস্টার জামান সাহেব তার অফিসের পিয়ন পাঠিয়ে শেষ রাতের দিকে আওয়ামী লীগ নেতা ফকির আ: মান্নানের বাসায় সংবাদ দেন।স্বাধীনতার ঘোষনার সংবাদ পেয়ে পরদিন ভোরেই অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ সকালে ছাত্র নেতা ফকির আ: মান্নান, হারুনুর রশিদ মাষ্টার, বাবু অনন্ত কুমার রায়, সেকান্দর আলী ফকির সহ অনেকেই ওয়্যারলেস অফিসে এসে পৌছান।

ইংরেজীতে লেখা টেলিগ্রাম ম্যাসেজটি পেয়েই নেতৃবৃন্দ তৎক্ষনাৎ তা শেরপুর সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দের কাছে প্রেরন করেন। ২৬ মার্চ সকাল থেকেই বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো ঢাকার সর্বশেষ সংবাদ কি তা জানার জন্যে শেরপুর শহরে মানুষ সমবেত হতে থাকে।

ঝিনাইগাতী ওয়্যারলেসে পাঠানো স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি শেরপুর সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দ হাতে পেয়েই তা বাংলায় অনুবাদ করে শেরপুর নিউ মার্কেট মোড়ে জনতার স্বতঃস্ফুর্ত সমাবেশে পাঠ করে শুনানো হয়।

বঙ্গবন্ধুর পাঠানো স্বাধীনতার ঘোষনার শ্রবণ করে সমবেত জনতা মুর্হুমুর্হু শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে শেরপুরের আকাশ বাতাস। ২৭ মার্চ সকালে শেরপুর সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দ সর্বজনাব এডভোকেট আব্দুল হালিম সাবেক এমপি, মুহসিন আলী মাস্টার ও ছাত্র নেতা আমজাদ আলী ঝিনাইগাতী এসে পৌছেন।

ঝিনাইগাতীর নেতৃবৃন্দ তাদের অভ্যর্থনা জানান। ছাত্রনেতা ফকির আব্দুল মান্নানকে সঙ্গে নিয়ে তারা নকশি ইপিআর ক্যাম্পে যান। নকশি ক্যাম্পের সুবেদার হাকিম নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে বসেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।

দেশকে শত্রু মুক্ত করা সহ পাক হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে শুরু হলো প্রতিরোধ সংগ্রাম। যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসাবে রাংটিয়া পাতার ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শিবির খোলা হয়। ট্রেনিং শেষে এসব স্বেচ্ছাসেবক সহ মুজিব বাহিনী ও ইপিআর সৈনিকদের নিয়ে সুবেদার হাকিম মধুপুরে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।

পরে তা পিছু হটে পুরাতন ব্র্হ্মপুত্র নদের চরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ২৬ এপ্রিল সুবেদার হাকিম এর খোলা জীপ এসে দাঁড়ায় ঝিনাইগাতী আমতলায়। সুবেদার হাকিম জনতাকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ জানিয়ে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঝিনাইগাতী শত্রু মুক্ত ছিল। ২৭ এপ্রিল পাক বাহিনীরা বহর নিয়ে গোলা বর্ষন করতে করতে পৌছায় ঝিনাইগাতী বাজারে।

ঝিনাইগাতী প্রবেশ করেই আওয়ামী লীগ অফিস আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়ী বহর নিয়ে রাংটিয়া পাহাড় পর্যন্ত গিয়ে আবার পিছনে ফিরে এসে ঐদিন বিকালেই কোয়ারীরোডে পাক বাহিনী ক্যাম্প স্থাপন করে। পরে ঝিনাইগাতীর এক মাইল দক্ষিণে আহম্মদ নগর হাই স্কুলে তাদের সেক্টর হেড কোর্য়াটার স্থাপন করে। যা মুক্তিযোদ্ধাদের ১১নং সেক্টরের বিপরীতে পাক বাহিনীর ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তরে একমাত্র সেক্টর হেড কোর্য়াটার যার দায়িত্বে ছিলেন মেজর রিয়াজ।

এছাড়া পাক বাহিনী শালচূড়া, নকশি, হলদীগ্রাম, তাওয়াকোচা, মোল্লাপাড়ায় ক্যাম্প স্থাপন করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৬ বৈশাখ জগৎপুর গ্রামে হানা দিয়ে গ্রামটি পুড়িয়ে দেয় এবং পাক বাহিনী ৪১ জন গ্রাম বাসীকে গুলি করে হত্যা করে। ৫ জুলাই কাটাখালি ব্রীজ ধ্বংস করে মুক্তিযোদ্ধারা রাংঙ্গামাটি গ্রামে আশ্রয় নেয়। দালালদের খবরে পাক বাহিনী রাংঙ্গামাটি গ্রামে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে। শুধু রাংঙ্গামাটি বিলের দিক খোলা ছিল।

সম্মুখ যুদ্ধে কমান্ডার নাজমুল আহসান শহীদ হন। তাঁর লাশ আনতে গিয়ে আলী হুসেন ও মোফাজ্জল শহীদ হন। পরদিন রাঙ্গামাটি গ্রামে হানা দিয়ে পাক বাহিনী ৯জন গ্রাম বাসীকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। ২৩ আগষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাওয়াকুচা ক্যাম্প দখল করে এবং মুক্ত তাওয়াকুচায় বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলণ করে। তাওয়াকুচা যুদ্ধে ৪ জন পাক সৈন্য ও ৭ জন রাজাকার নিহত হলে পাক বাহিনী ক্যাম্প ছেড়ে দিয়ে পিছু হটে আসে। ৩ আগষ্ট নকশি ক্যাম্প আক্রমন করে মুক্তিযোদ্ধারা।

আগের দিন ২ আগষ্ট বিকেলে মেজর জিয়া নকশি ক্যাম্প আক্রমনের জন্যে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতিয়ারের অবস্থান গুলো পরিদর্শন করেন। ওই দিনের যুদ্ধে ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও নিখোজ হন। যুদ্ধে পাক বাহিনীর ৩৫ জন সৈন্য নিহত হয়।

২৭ নভেম্বর কমান্ডার জাফর ইকবালের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতী বাজারের রাজাকার ক্যাম্প দখল করে ৮টি রাইফেল সহ ৮ জন রাজাকারকে ধরে নিয়ে যায়।

২৮ নভেম্বর পাক বাহিনী ঝিনাইগাতী হানা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা এবিএম সিদ্দিকের ছোট ভাই ওমর (১১) ও মুক্তিযোদ্ধা মকবুলের পুত্র খালেক (১০), পাক বাহিনীর দালালদের খবরে ৮ জনকে আহম্মদ নগর ক্যাম্পের বধ্যভূমিতে ধরে নিয়ে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। পরে তাদের এক গর্তে মাটি চাপা দিয়ে পুতে রাখে।

৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টায় শালচূড়া ক্যাম্পের পাক বাহিনী কামালপুর দুর্গের পতনের আগাম সংবাদ পেয়ে পিছু হটে এবং আহম্মদ নগর হেড কোর্য়ারটারের সৈনিকদের সাথে নিয়ে রাতেই মোল্লাপাড়া ক্যাম্প গুটিয়ে শেরপুরে আশ্রয় নেয়।

এভাবে রাতের আঁধারে বিনা যুদ্ধে ঝিনাইগাতী শত্রু মুক্ত হয়। ৪ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধারা ঝিনাইগাতীতে স্বাধীন বাংলার অহংকারের পতাকা উড়ায় এবং মুক্তদিবস ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে নদী বাঁচাতেই হবে: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 4 December 2023, 431 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‌‘আমাদের নদী বাঁচাতেই হবে। বাংলাদেশ বাঁচাতে হলে নদী বাঁচাতে হবে।’

আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ ও নাব্যতা রক্ষায় প্রণীত মাস্টারপ্ল্যানের আলোকে সম্পাদিত সমীক্ষা প্রতিবেদন অবলোকন এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প গ্রহণের নীতিগত সিদ্ধান্তবিষয়ক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নদী আমাদের বাংলাদেশের জন্য তেমন, ঠিক আমাদের দেহে যেমন রক্ত চলাচলের জন্য শিরা-উপশিরা আছে। আমাদের বাংলাদেশের টিকে থাকাটাও নির্ভর করে এ নদীর ওপরে। বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখার জন্য (প্রয়োজন) সেই প্রবহমান নদী। শিরা-উপশিরার মধ্য দিয়ে রক্তধারা আমাদের শরীরকে বাঁচায়, বাংলাদেশকেও কিন্তু বাঁচায় এ পানি ও নদী। কথাটা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে।’

গত বছরগুলোতে নদীদূষণ-দখল বন্ধ এবং নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সরকারে আসার পর আমাদের সবসময় একটা প্রচেষ্টা ছিল, নদীগুলোকে কীভাবে সুরক্ষিত করা যায়, কীভাবে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা যায়। একসময় বাংলাদেশের নৌপথই ছিল পণ্য পরিবহনের একমাত্র বাহন, একমাত্র জায়গা। নৌপথগুলো কমতে কমতে অনেক জায়গায় এখন নদীপথ নেই, এমন একটা জায়গায় চলে এসেছে ‘

নদীর নাব্যতা ঠিক রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হতো না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নদী শাসনের নামে শুধু বাঁধ নির্মাণে ছিল সবার নজর। আর বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে ফসলের জমি নষ্ট হয়। নদী রক্ষা করা, নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা বা দূষণ থেকে নদীকে রক্ষা করার দিকে নজর ছিল না। অপরিকল্পিত নিচু ব্রিজ নৌ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। শুধু এখানে নয়, সারা বাংলাদেশে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে কতগুলো ব্রিজ করা হলো, সে সময় ব্রিজগুলো মানুষের খুব উপকারে এলো, কিন্তু ব্রিজগুলো করার সময় এটা মাথায় রাখা হয়নি যে, এগুলোতে নৌ চলাচল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার জন্য এখন সমস্যা হয়ে গেছে। ব্রিজগুলো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।’

রাজধানীর বাইরে অন্য শহরগুলো পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার বাইরে অন্য শহরগুলোর ক্ষেত্রেও এখনই পরিকল্পনা নিতে হবে। আমরা যে পরিকল্পনাই করি না কেন, সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানির প্রবাহ ঠিক থাকে। নদীগুলোর ড্রেজিং করার সঙ্গে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে।’

কেউ আক্রমণ করলে সমুচিত জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 20 March 2023, 962 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৭ সালে দুটি সাবমেরিনের কমিশনিং অনুষ্ঠানে বলেছিলাম, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতে চাই না। তবে কেউ আমাদের আক্রমণ করলে তার সমুচিত জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের সবসময় থাকবে। আমি সে কথাই আজ পুর্নব্যক্ত করছি।

আজ ২০ মার্চ সোমবার কক্সবাজারের পেকুয়ায় দেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’র কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গণভবন থেকে ভিডিও টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিশনিং অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে তাঁর অনুমতিক্রমে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল ঘাঁটির অধিনায়ক কমডোর মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন। এর মধ্য দিয়ে ঘাঁটিটি নৌবাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করল।

সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপদ জেটি সুবিধার জন্য নির্মিত এ ঘাঁটিতে ছয়টি সাবমেরিন রাখা যাবে। সংবেদনশীল ও কৌশলগত রণতরী হিসেবে সাবমেরিনের সর্বোত্তম ব্যবহার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি বিশেষায়িত ও স্থায়ী ঘাঁটির গুরুত্ব বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা, ঐকান্তিক আগ্রহ ও প্রচেষ্টায় ২০১৭ সালের ১২ মার্চ ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ নির্মাণে ঘাঁটির নামফলক উন্মোচিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কারণে এই সাবমেরিন ঘাঁটি একটি আধুনিক সামরিক স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত হবে। ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গড়ে তুলতে সাবমেরিন সংযোজন ছিল একটি মাইলফলক। স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্মার্ট নৌবাহিনী গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করতে হলে সমুদ্র সম্পদের টেকসই ও বহুমাত্রিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কাজেই সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও স্বার্থ রক্ষায় নৌবাহিনীকে আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে মিল রেখে সক্ষম রাখতে সবসময় সচেষ্ট রয়েছি। এ বাহিনীর প্রয়োজন শুধু যুদ্ধকালীন নয় বরং শান্তিকালীন সময়েও প্রতি মুহূর্তে জনসাধারণের দৃষ্টিসীমার আড়ালে থেকে বাহিনীটি কাজ করে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সমুুদ্রে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিশাল এক অর্থনৈতিক কর্মক্ষেত্র অর্জিত হয়েছে। মৎস্য সম্পদ আহরণ এবং সমুদ্রপথে মালপত্র পরিবহনের প্রচলিত কর্মকাণ্ডের পরিধি বিস্তারের ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। বন্দরের সংখ্যা ও সক্ষমতার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটেছে। প্রচলিত এসব কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সমুদ্রকে পর্যটন শিল্পের মূল আকর্ষণ, খনিজ সম্পদ ও জ্বালানির উৎস হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।

দেশের সার্বভৌমত্ব, সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা রক্ষা ও চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালনের জন্য নৌবাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্যনিষ্ঠার জন্য তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ ঘাঁটিতে ভিডিও টেলিকনফারেন্সে যুক্ত হলে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল তাকে স্বাগত জানান। এ সময় সাবমেরিনারদের একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত পৃষ্ঠপোষকতায় নৌবাহিনী আজ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট এবং আধুনিক সমরাস্ত্রসহ সুদক্ষ নৌসদস্য নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে একটি মর্যাদাপূর্ণ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

নৌবাহিনী সূত্র জানায়, বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটিতে সাবমেরিন নিরাপদে রাখতে বেসিন ও এন্ট্রি চ্যানেল, সাবমেরিন ফ্লিট হেডকোয়ার্টারস, যুদ্ধ জাহাজের বার্থিং ফ্যাসিলিটিজ এবং সাবমেরিন সংক্রান্ত সকল প্রকার বেস সাপোর্ট ফ্যাসিলিটিস রয়েছে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাবমেরিনের অর্ন্তভুক্তির পর থেকে এর অবস্থান ছিল কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী বানৌজা ঈসা খানে। সাবমেরিনের অপারেশনাল কার্যক্রম, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপদ বার্থিংয়ের জন্য বিশেষায়িত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ ঘাঁটি খুবই জরুরি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম, কক্সবাজার-২ আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, মুক্তিযোদ্ধা, নৌ কমান্ডো, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, নৌ সদর দপ্তরের পিএসও, বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং উর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তেলের লড়ির চাপায় বাবা-ছেলে নিহত

জাতীয়, 26 May 2023, 808 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
গাজীপুুর মহানগরের পুবাইল থানার তেলের লড়ির চাপায় বাবা ও ছেলে নিহত। এ ঘটনায় চালকসহ তেলের লড়ি আটক করেছে পুলিশ।

আজ ২৬ মে শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় মিরের বাজার-উলুখোলা সড়কের টিয়া পূর্বপাড়া এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় নিহত বাবা মো. জলিল হোসেন (৬৪) শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার জালকাটা গ্রামের উজির আলী ফকিরের ছেলে ও জলিলের ছেলে মো. শহীদ (১৪)। তারা দুজনে গাজীপুরের পুবাইল এলাকার আইয়ুব আলী পাঠানের বাড়িতে ভাড়া থেকে ভিক্ষাবৃত্তি করতো। এ ঘটনায় আটক লড়ির চালক শ্রী সুজন মাল্লা (৩৫) জামালপুর ঝেলার মাদারগঞ্জ থানার বীর ভাটিয়ানী থানার চাম্পা মাল্লার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা নাওজোর এলাকার নজরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

প্রত্যক্ষদর্র্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছেন, প্রতিবন্ধী ছেলে শহীদকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে ভিক্ষা করতো বাবা মো. জলিল হোসেন। শুক্রবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পুবাইলের মিরের বাজার-উলুখোলা সড়কের টিয়া পূর্বপাড়া এলাকা ভিক্ষা করছিল তারা। এসময় নারায়নগঞ্জ থেকে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে আসা একটি তেলের লড়ি (যশোর-ট-১১-২৯০২) হুইল চেয়ারে করে ভিক্ষা করার সময় প্রতিবন্ধী শহীদ ও জলিলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

এবিষয়ে পুবাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন কুমার কুন্ড বলেন, এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।