ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, দীর্ঘদিন যাবত কমিটি বিহীন একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিনত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটকে গতিশীল করে আর্ত মানবতার একটি কার্যকর সংগঠনে পরিনত করা হবে।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটি সভা ও বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং সুইজারল্যান্ড রেডক্রস সোসাইটির যৌথ উদ্দ্যেগে ‘‘ব্রাঞ্চ ক্যাপাসিটি ডেভালেপমেন্ট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন’’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ইউনিটের সেক্রেটারী আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রোগ্রাম ম্যানেজার তুহিন সমদ্দার, সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা আলবী রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান জায়েদুল হক, প্রেসক্লাব সেক্রেটারী বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাদেকুর রহমান শরীফ, আশিকুর রহমান পাঠান, মাসুকুল কবির, সালা উদ্দিন সরকার, ইউনিট কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, যুব রেড ক্রিসেন্টের আফরিন ফাতেমা জুঁই, মনির হোসেন ও ফাহিম মুনতাছির প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কাউতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এর পুনঃ নির্মাণ ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান ১০ নভেম্বর শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
কাউতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এর সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ সায়েদুর রহমান সর্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজকোর্টের পিপি এড. মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ এইচ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অ্যাড. লোকমান হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউতলী পঞ্চায়েত কমিটির সকল সদস্য ও কাউতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কার্যকরী কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাউতলী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম।
মোনাজাত পরিচালনা করেন জামিয়া নুরুল উলুম প্রান্তশালা, নরসিংদীর মুহাদ্দিস ও খতিব মাওঃ মুফতী হেদায়াতুল্লাহ্ নূর।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব নদী দিবসে তরী বাংলাদেশ এর র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ এর বর্ণাঢ্য র্যালি দানবীর লোকনাথ রায় চৌধুরী ময়দান থেকে শুরু হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে শেষ হয়। র্যালি শেষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের সকল নদ-নদী দখল-দূষণ, নাব্যতা সংকটসহ নদীর বালু লুন্ঠনের মহোৎসব এখনই থামানো না গেলে বাংলাদেশের নদ নদীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। যার জলন্ত উদাহরণ সাম্প্রতিক সময়ে হয়ে যাওয়া আকস্মিক বন্যার প্রকোপ। তিনি আরো বলেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান একজন পরিবেশ কর্মী এবং দীর্ঘদিন যাবৎ নদী-প্রকৃতি সুরক্ষায় কাজ করছেন। আমরা আশা করি তিনি নদী সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হবেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজের কার্যকরী কমিটির সভাপতি এবিএম মোমিনুল হক, দৈনিক কুরুলিয়া সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত, সিনিয়র সাংবাদিক কাউসার ইমরান, কমরেড নজরুল ইসলাম, নারী নেত্রী ফজিলাতুন নাহার প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক কমিটির সদস্য খালেদা মুন্নী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, সাংবাদিক হারুন আল রশিদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদীর শহরের অংশে সব ক’টি বাজারের বর্জ্য সরাসরি নদীতে যাচ্ছে এছাড়াও নদীর সাথে যুক্ত খালগুলো বিশেষ করে টাউনখাল দখল দূষণে বিলীন প্রায়।
পরিবেশ কর্মীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন কর্তৃক দখলদারদের চিহ্নিত করে তালিকা ও আংশিক উচ্ছেদ অভিযান হলেও দীর্ঘদিন তদারকি না থাকায় দখলদারেরা পুনঃদখলের পাঁয়তারা করছে।
তিতাস নদীর শিমরাইলকান্দি থাকে মেড্ডা পর্যন্ত দখলদারদের চিহ্নিত করলেও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। অনুরূপ লালপুর সড়কের পাশে থাকা প্রায় ১৪ কিলোমিটার খালে দখলদারদের চিহ্নিত করা হলেও উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়নি।
বিরাশার মোড়ে সরকারি খাল দখল করে অবৈধভাবে টিনশেড মার্কেট নির্মাণের ফলে বারোমাস জলাবদ্ধতা লেগে থাকে। এতে মারাত্বক জনদূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা হলেও সমাধান পাওয়া যায়নি। পানি উন্নউন বোর্ড কর্তৃক তিতাস নদী খননের কথা শোনা গেলেও মূলতঃ নদী থেকে বালু উত্তোলন আর বালুর ব্যবসা হয়েছে। নদীর বালু দিয়ে বিল ভরাট করা হয়েছে। উপশহরের নামে বিল লুণ্ঠনের পরিকল্পনা প্রায় শেষ পর্যায়ে। পৌরসভার পরিধি বৃদ্ধির জন্য শহরের উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও তিতাস নদীর পূর্বপাড় বিলের জায়গাকে অন্তর্ভুক্ত করার অপচেষ্টা চলছে। নদী রক্ষায় নদীর সীমানা নির্ধারণ, সঠিক খনন ও নৌপথ সচল রাখার গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা। তাঁরা আরো বলেন বিলের মাঝ দিয়ে নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-বিজয়নগর সড়কের পাশে ফসলী জমি প্লট হিসেবে বেচাকেনা হচ্ছে এবং চটকদার বিজ্ঞাপন নানা মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। কোথাও কোথাও প্লট ভরাটের কার্যক্রমও চলছে। যা পরিবেশ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। পরিশেষে বক্তারা জেলা নদী রক্ষা কমিটির আহবায়ক ও জেলা প্রশাসক হিসাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে মহোদয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবদুল মতিন শিপন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পলি কেবলস -এর বিক্রয় ও বিপণন কার্ষক্রম উন্নয়ন লক্ষ্য মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২০ অক্টোবর রোববার বেলা ১২টায় টেংকের পাড় পৌর কমিউনিটিং সেন্টার হল রুমে কেবল কোম্পানি পলি কেবলস আয়োজিত এই মতবিনিময়ে দোকান মালিকও ইলেক্ট্রিশিয়ানরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে পলি কেবলস এর বিভিন্ন পণ্য স্কিলে প্রদর্শন করা হয় এবং পণ্যেরগুলোর গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। উক্ত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আবু সায়েদ খান এর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পলি কেবল কোম্পানির উপ মহাপরিচালক মো: নুরে আলম হানিফ সিকদার। তিনি পলি কেবলসকে নিয়ে সুদূর প্রসারী ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ব্যাখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ক্রেতা ও ভোতার চাহিদা অনুযায়ি পণ্য প্রস্ততও বাজারে সরবরাহ সম্পর্ক সৃষ্টি করবে ধারণা দেওয়া হয়।
এসময় আগত ইলেক্টিশিয়ানদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন তিনি। এছাড়াও এডভোকেট জাহাঙ্গীর শিকদারের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইলেকট্রিশিয়ান এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম, রকিবুজ্জামান রকিব, সাংবাদিক ইব্রাহিম সাদত, আরিফ হোসেন ডেপুটি ম্যানেজার ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রাঞ্চ, মো: সুমন, মো: জিয়াউল হক জিয়া, মো: জহিরুল ইসলাম, আলামিন হোসেন, মো: মাহিন, মাহমুদুল হাসান, দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, মো: শামীম, ওবায়দুল হক কাজল, ইমতিয়াজ চৌধুরী, আপেল, আরিফুর ইসলাম সাইফুল প্রমুখ।