সময় টিভির বার্তা প্রধানসহ সারাদেশে সাংবাদিক হয়রানির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 6 February 2023, 1375 Views,

স্টাফ রিপোর্টার :
সময় টিভির বার্তা প্রধান মুজতবা দানিশ এবং সময় টিভির রংপুর অফিসের ব্যুরো প্রধান রতন সরকারের বিরুদ্ধে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল হক কর্তৃক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে আজ ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত সর্বস্তরের সাংবাদিক ও সূধীজন এর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামির সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও যায়যায়দিনের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরি বাপ্পি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক ও সমকালের স্টাফ রিপোর্টার আবদুন নূর, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম কাউছার এমরান, সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, শিহাব উদ্দিন বিপু, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি অসীম কুমার বর্ধন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি পিযূষ কান্তি আচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবু হোরায়রাহ, খেলাঘর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, মোজ্জামেল চৌধুরি, সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু, জালাল উদ্দিন রুমি প্রমুখ।

সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সময় টিভির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যুরো প্রধান উজ্জ্বল চক্রবর্তী প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে না। কিন্তু বাস্তবে এই কথার উল্টো চিত্র আমরা দেখছি। সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার জন্য সারা দেশেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়া হচ্ছে।

বক্তারা বলেন, মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করা যাবেনা। বক্তারা অবিলম্বে সময় টিভির বার্তা প্রধান মুজতবা দানিশ এবং সময় টিভির রংপুর অফিসের ব্যুরো প্রধান রতন সরকারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও জিডিটাল নিরাপত্তা আইনটি বাতিল করার দাবি জানান।

Leave a Reply

দিল্লি মেট্রোর ১৬০০ যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক : ভারতের দিল্লিতে মেট্রোয় আসন নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা Read more

সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে সরকার:…

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় দলমত Read more

এবারের অলিম্পিকে ২০৬টি দেশের অ্যাথলেট অংশ…

অনলাইন ডেস্ক : খেলার দুনিয়ার সবকিছুকে ছাড়িয়ে যার অবস্থান। যেখানে Read more

অব্যবহৃত মোবাইল ডাটার মেয়াদ কি বাড়বে,…

অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করে মোবাইল ইন্টারনেট শাটডাউন হয়ে যায় Read more

স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, লাশ বাথরুমে ফেলে…

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগম (৩৬)কে Read more

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো যুবকের

চলারপথে রিপোর্ট : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আখতার হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক Read more

দুই মাদকসেবীর কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আরিফ মিয়া (২৭) ও ছাত্তার মিয়া Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতার চার মামলায় গ্রেফতার ৪১

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, Read more

৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে Read more

কোহলি-রোহিতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপে চান গম্ভীর

অনলাইন ডেস্ক : আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপের সময় বিরাট কোহলি ৩৮ Read more

রাশিয়ার সুন্দরী বাইকার তুরস্কে দুর্ঘটনায় নিহত

অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার বিখ্যাত সামাজিক ইনফ্লুয়েন্সার তাতায়ানা ওজোলিনা তুরস্কে Read more
ফাইল ছবি

ট্রেন চলাচল নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি:…

অনলাইন ডেস্ক : দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কবে থেকে ট্রেন চলবে Read more

আজ বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস

আখাউড়া, কসবা, জাতীয়, নাসিরনগর, বিজয়নগর, রাজনীতি, সরাইল, 9 January 2023, 5070 Views,
স্টাফ রিপোর্টার:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি তিনি সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেন তিনি। পরে তিনি পাকিস্তান থেকে লন্ডন যান। তারপর দিল্লী হয়ে ঢাকা ফেরেন বঙ্গবন্ধু। দিবসটি পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যবহিত পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের পর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।
জাতির পিতা পাকিস্তান থেকে ছাড়া পান ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি ভোর রাতে ইংরেজি হিসেবে ৮ জানুয়ারি। এদিন বঙ্গবন্ধু ও ড. কামাল হোসেনকে বিমানে তুলে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় তারা পৌঁছান লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে। বেলা ১০টার পর থেকে বঙ্গবন্ধু কথা বলেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ, তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ অনেকের সঙ্গে। পরে ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে পরের দিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন।
১০ জানুয়ারি সকালেই তিনি নামেন দিল্লীতে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, সমগ্র মন্ত্রিসভা, শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধান এবং অন্যান্য অতিথি ও সেদেশের জনগণের কাছ থেকে উষ্ণ সংবর্ধনা লাভ করেন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ভারতের নেতৃবৃন্দ এবং জনগণের কাছে তাদের অকৃপণ সাহায্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা হিসেবে।’
এদিন বেলা ১টা ৪১ মিনিটে তিনি ঢাকা এসে পৌঁছেন। চূড়ান্ত বিজয়ের পর ১০ জানুয়ারি বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য প্রাণবন্ত অপেক্ষায় ছিল। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষ ঢাকা বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত তাঁকে স্বতঃস্ফূর্ত সংবর্ধনা জানান। বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ লোকের উপস্থিতিতে তিনি ভাষণ দেন। পরের দিন দৈনিক ইত্তেফাক, সংবাদসহ বিভিন্ন পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে এভাবেই লিখা হয়- ‘স্বদেশের মাটি ছুঁয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা শিশুর মতো আবেগে আকুল হলেন। আনন্দ-বেদনার অশ্রুধারা নামলো তার দু’চোখ বেয়ে। প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ধ্বনিতে প্রকম্পিত করে তোলে বাংলার আকাশ-বাতাস।’
জনগণ নন্দিত শেখ মুজিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে তাঁর ঐতিহাসিক ধ্রুপদি বক্তৃতায় বলেন, ‘যে মাটিকে আমি এত ভালবাসি, যে মানুষকে আমি এত ভালবাসি, যে জাতিকে আমি এত ভালবাসি, আমি জানতাম না সে বাংলায় আমি যেতে পারবো কিনা। আজ আমি বাংলায় ফিরে এসেছি বাংলার ভাইয়েদের কাছে, মায়েদের কাছে, বোনদের কাছে। বাংলা আমার স্বাধীন, বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। সশ্রদ্ধ চিত্তে তিনি সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করে বলেন, ‘আজ থেকে আমার অনুরোধ, আজ থেকে আমার আদেশ, আজ থেকে আমার হুকুম ভাই হিসেবে, নেতা হিসেবে নয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়। আমি তোমাদের ভাই, তোমরা আমার ভাই। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়, এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের যুবক যারা আছে তারা চাকরি না পায়। মুক্তিবাহিনী, ছাত্র সমাজ তোমাদের মোবারকবাদ জানাই তোমরা গেরিলা হয়েছো, তোমরা রক্ত দিয়েছো, রক্ত বৃথা যাবে না, রক্ত বৃথা যায় নাই।
বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘একটা কথা-আজ থেকে বাংলায় যেন আর চুরি-ডাকাতি না হয়। বাংলায় যেন আর লুটতরাজ না হয়। বাংলায় যারা অন্য লোক আছে অন্য দেশের লোক, পশ্চিম পাকিস্তানের লোক বাংলায় কথা বলে না, তাদের বলছি তোমরা বাঙালি হয়ে যাও। আর আমি আমার ভাইদের বলছি তাদের উপর হাত তুলো না আমরা মানুষ, মানুষ ভালোবাসি। ‘তবে যারা দালালি করেছে যারা আমার লোকদের ঘরে ঢুকে হত্যা করেছে তাদের বিচার হবে এবং শাস্তি হবে’ উল্লেখ করে জাতির পিতা বলেন, ‘তাদের বাংলার স্বাধীন সরকারের হাতে ছেড়ে দেন, একজনকেও ক্ষমা করা হবে না। তবে আমি চাই স্বাধীন দেশে স্বাধীন আদালতে বিচার হয়ে এদের শাস্তি হবে। আমি দেখিয়ে দিতে চাই দুনিয়ার কাছে শান্তিপূর্ণ বাঙালি রক্ত দিতে জানে, শান্তিপূর্ণ বাঙালি শান্তি বজায় রাখতেও জানে।’ বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমায় আপনারা পেয়েছেন। আমি আসছি। জানতাম না আমার ফাঁসির হুকুম হয়ে গেছে। আমার সেলের পাশে আমার জন্য কবর খোড়া হয়েছিলো। আমি প্রস্তুত হয়েছিলাম, বলেছিলাম আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, মুসলমান একবার মরে দুইবার মরে না। আমি বলেছিলাম, আমার মৃত্যু আসে যদি আমি হাসতে হাসতে যাবো। আমার বাঙালি জাতকে অপমান করে যাবো না, তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইবো না। এবং যাবার সময় বলে যাবো জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান।’
বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী সরকার তাঁর নির্দেশিত যুদ্ধ পরিচালনা করে। নয় মাসের যুদ্ধের এক পর্যায়ে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত রূপ নিতে শুরু করে। ধীরে ধীরে স্বাধীনতা অর্জনের পথে মুক্তিযোদ্ধা, জনতা ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণ তীব্র হয়। জয় তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় মাত্র। একই সাথে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলা হয় প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হলে পাকিস্তানী বর্বর শাসকগোষ্ঠী বাধ্য হয় তাঁকে সসম্মানে মুক্তি দিতে।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। এর আগে সরকার পরিচালনা করে অস্থায়ী প্রবাসী সরকার। ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ২৩ সদস্য বিশিষ্ট আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে। ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ জারিকৃত প্রেসিডেন্সিয়াল আদেশ বলে গণপরিষদ গঠন করে নভেম্বর মাসের মধ্যেই দেশের জন্য একটি সংবিধান উপহার দেয়া হয় এবং যা ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। বাসস।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি

জাতীয়, 3 January 2024, 302 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রপ্রধান ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনের ক্রেডিনশিয়াল হলে ডাকযোগে ভোট দেন।

দেশবাসীর উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আসুন নিজে ভোট দেই এবং অন্যকে ভোট দানে উৎসাহিত করি। একজন নাগরিক হিসেবে ভোট দেওয়া প্রত্যেকের দায়িত্ব। ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক রায় দেয়। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটই হচ্ছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি। সকলের অংশগ্রহণে এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।’

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) অনুচ্ছেদ ২৭ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে সক্ষম হন। নিবন্ধিত ভোটার, যারা কারাবন্দী বা আইনি হেফাজতে আছেন, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা, যারা অন্য কোনো ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন তারা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

ভোটকেন্দ্রে যেতে অসমর্থ এমন চার ধরনের ভোটাররা ডাকে (পোস্টাল ব্যালটে) ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে এ বিধান চালু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে এবারের সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উৎসাহিত করতে প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উৎসাহিত করতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে প্রচারণার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ইসির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একজন ব্যক্তি যিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আগ্রহী, তাকে পোস্টাল ব্যালট পেপারের জন্য তার নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনে অবশ্যই ভোটারের নাম, ডাক ঠিকানা এবং ভোটার তালিকায় ক্রমিক নম্বর থাকতে হবে। রাষ্ট্রপতির ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টি জনপ্রিয় করতে চায় নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী পাবনা সদরের ভোটার। রিটার্নিং অফিসার সময়সীমার মধ্যে তাদের প্রাপ্ত পোস্টাল ভোটগুলো বিবেচনা করবেন এবং সেই ভোটগুলো গণনা করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবেন।

এসময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

গণভবনে গাছ লাগিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

জাতীয়, 5 June 2023, 674 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে গণভবনে গাছের চারা রোপণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সবাইকে বেশি করে বৃক্ষরোপণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ ৫ জুন সোমবার গণভবন প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণের মধ্যদিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা, ২০২৩ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান।

এর আগে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা, ২০২৩’ উপলক্ষে ৪ জুন রবিবার এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণসহ প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ টেকসই পরিবেশ সংরক্ষণ, কার্বন আধার সৃষ্টি, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৩ পালিত হচ্ছে জেনে আনন্দিত। এ বছর জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য–‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ খুবই যৌক্তিক এবং সময়োপযোগী হয়েছে।

এ বছর যারা ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন, ২০২২’, ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার, ২০২১’ এবং যেসব উপকারভোগী সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশ পেয়েছেন তাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার টেকসই বন ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন বাড়ানোর জন্য সরকারি বনভ‚মিসহ প্রান্তিক ভূমিতে সামাজিক বনায়ন এবং উপকূলীয় এলাকায় নতুন জেগে ওঠা চরভ‚মিতে উপকূলীয় বনায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে, বন সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের পাশাপাশি দেশীয় স্থানোপযোগী প্রজাতির বনায়ন করে অবক্ষয়িত বন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছে। এভাবে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের বৃক্ষাচ্ছাদন ২৫ ভাগে উন্নীত করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। বন উজাড় ও অবক্ষয় রোধ, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বায়ুমন্ডল থেকে কার্বন অপসারণ ও বন খাতের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর জন্য আমাদের সরকার কর্তৃক ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল রেড প্লাস স্ট্রাটেজি’ গ্রহণ করা হয়েছে।’

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা সবুজ-শ্যামল এ বাংলাদেশ এক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি। দেশকে আরও সবুজে আচ্ছাদিত করার লক্ষ্যে এ বছরও জাতীয় পর্যায়সহ সারা দেশে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হচ্ছে এবং তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘উন্নত প্রজাতির বৃক্ষের সঙ্গে পরিচয় এবং চারা সংগ্রহের জন্য বৃক্ষমেলার আয়োজন সহায়ক হবে বলে আশা করি। তা ছাড়া বৃক্ষরোপণ অভিযানের মাধ্যমে দেশের জনসাধারণের মাঝে বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব তুলে ধরে দেশবাসীকে বৃক্ষরোপণে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করা যাবে বলে মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আজীবন স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়তে প্রত্যেকে অন্তত একটি করে বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে তার যত্ন নেয়া এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা নিরাপদ বাসযোগ্য আবাসভূমি গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

তিনি ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা, ২০২৩’-এর সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ছিদ্র করে তেল চুরি, চারজন আটক

জাতীয়, 25 November 2023, 404 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ছিদ্র করে তেল চুরির অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ ২৫ নভেম্বর শনিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এর আগে শুক্রবার দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের ফতেজংপুর ইউনিয়নের ফেরোশাডাঙ্গা চক ইসবপুর গ্রামে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন ছিদ্র করে তেল চুরির ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম (২৭), মো. মানিক শাহ (৪৫), মো. নজমুল হক (৬৫) ও মো. আমিনুল ইসলাম (৪৮)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিরিরবন্দর থানার ওসি বজলুর রশিদ।

জানা যায়, শুক্রবার ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড সেন্সরের মাধ্যমে বুঝতে পারে বাংলাদেশ সীমান্তে পাইপ লিকেজ হয়েছে। পরে বাংলাদেশের পার্বতীপুর অয়েল হেড ডিপোতে জানালে তারা দ্রুত পাইপ চেক করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের ফেরোশাডাঙ্গা এলাকায় দেখতে পান মাটি ভেজা। তখন সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে লাইনম্যানরা মাটি খুঁড়ে দেখতে পান তেলের পাইপ ফুটো করা এবং সেটা ক্লিপ দিয়ে বন্ধ করা।

চিরিরবন্দর থানার ওসি বজলুর রশিদ জানান, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইন থেকে তেল চুরি হয়েছে, এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছয় ফুট গর্ত করা হয়েছে। ১০ ইঞ্চির মূল পাইপ ফুটো করে তাতে স্ক্রু লাগানো হয়েছে। সেখান থেকে একটি পৃথক চিকন পাইপ লাগানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই পাইপ দিয়ে তেল সরানো হয়েছে। এ ঘটনায় জমির মালিক, ইরি সেচ দেওয়া শ্যালো মেশিনের মালিকসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে, আরও কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, ভারত থেকে সরাসরি পাইপলাইনে তেল আমদানির জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেডের শিলিগুড়ির মার্কেটিং রেল টার্মিনাল থেকে পাইপলাইন শুরু হয়েছে। পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে পাইপলাইনটি। এরপর শেষ হয়েছে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) রেলহেড অয়েল ডিপোতে। ১৩১ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপলাইন বাংলাদেশ অংশে ১২৬ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার এবং ভারতীয় অংশে ৫ কিলোমিটার পড়েছে। গত ১৮ মার্চ উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে এই পাইপলাইনের তেল সরবরাহ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পে বেশি নজর দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 24 January 2024, 313 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
বৈদেশিক অর্থায়নভুক্ত প্রকল্পগুলোর দিকে বেশি নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা কমিশনের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।

আজ ২৪ জানুয়ারি বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিশন চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী কিছু অনুশাসন দিয়ে বলেছেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে বিশেষ নজর দিতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অর্থাৎ প্রকল্প পরিচালকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের কারণে যে সময় ব্যয় হয়েছে তা মেটাতে আরও বেশি কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। এজন্য সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম আরও কার্যকরভাবে চালু করতে হবে। বৈদেশিক ঋণ বা অনুদান যেন দ্রুত ছাড় পাওয়া যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগের দিকে অধিকতর নজর দিতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের ভেতরে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে হবে। জমি অনাবাদি রাখা যাবে না। উৎপাদন বাড়াতে হবে। গবেষণা বাড়াতে হবে। পরনির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে হবে। প্রকল্প পরিচালক প্যানেল করে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া যায়। এ বিষয়ে একটি গাইড লাইন করা যায়। এর নাম ‘বিশেষজ্ঞ প্যানেল’ হতে পারে।

তিনি বলেন, নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে খুব বেশি আউট সোর্সিংয়ের ওপর নির্ভর করা যাবে না। পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, আইসিটি, ডিজিটাল ডিভাইস ইত্যাদিতে নজর দিতে হবে। পানি ও নৌ-পরিবহন খাতে নজর দিতে হবে।

বৈঠকে কমিশনের বিকল্প চেয়ারপারসন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, ভাইস চেয়ারপারসন পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা এবং গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি পরিকল্পনা কমিশনের সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় সেজন্য মুখ্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দুই মাস পর রিভিউ করবে। বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সঠিকভাবে টাকা ছাড় হচ্ছে কি না, এসব বিষয় দেখভাল করবে এ কমিটি।

বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেন, এটা প্রথম সভা। এটা অনেকের জন্য নতুন সভা। ৯ বছর আগে সবশেষ এ সভা হয়েছিল। প্রথম সভায় এজেন্ডা দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী কথাবার্তা বলেছেন। শেখ মুজিবের আদর্শ বাস্তবায়ন ও নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনকে উন্নয়নের মেরুদণ্ড বলা হয়। উন্নয়ন ধরে রাখতে হবে। এগুলো তথ্য পর্যায়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের কিছু বিষয়ে বার্তা দিয়েছে, আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করবো।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের জন্য প্রয়োজন এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রকল্প নিতে হবে। অহেতুক নতুন প্রকল্প নেওয়া যাবে না। সাধারণ মানুষ কতটুকু লাভবান হবে সেটা দেখতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।