বাংলাদেশ এ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা প্রশাসন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে আগামীকাল ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে ‘শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা এ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার জেলা পর্যায়ের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি থাকবেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধলে মুক্তিপণ না পেয়ে সাব্বির মিয়া (৯) নামের এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সাব্বির উপজেলার বুধল ইউনিয়নের পূর্ব খাঁটিহাতা গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পিতা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশু সাব্বির বাড়ি থেকে বের হয়। যাওয়ার সময় মা খালেদা বেগমকে (৩০) বলে যায়, সে পাঁচ টাকা নিয়ে বাড়ির পাশের দোকানে যাচ্ছে। ওই দোকানে যাওয়ার পর শিশুটি আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকজন নানা জায়গায় খুঁজেও শিশুটির কোনো সন্ধান পাননি। গত বুধবার সকাল ছয়টার দিকে বাড়ির প্রবেশপথে একটি চিরকুট পান শিশুটির মা। চিরকুটে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকিও ছিল। চিরকুটে টাকা পাঠানোর জন্য একটি মুঠোফোন নম্বর দেওয়া হয়। বুধবার সকাল থেকে গত শুক্রবার রাত পর্যন্ত ওই মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেছে শিশু সাব্বিরের পরিবারের লোকজন। তাঁরা টাকা দিতেও রাজি হয়েছেন। বুধবার রাতেই পরিবারের লোকজন সদর থানার পুলিশকে জানান। মুঠোফোনের সূত্র ধরে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার থেকে অভিযানে নামে। একাধিক জায়গায় অভিযান চালানোর পর অপহরণকারী ব্যক্তিরা শুক্রবার রাতে ওই শিশুর লাশ বাড়ির কাছের নির্জন একটি পুকুরের কাঁদাজলের মধ্যে ফেলে রাখে। গত শনিবার দুপুরে গ্রামের শিশুরা ওই লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই শিশুর লাশ দাফন করে পরিবার।
সাব্বিরের মা খালেদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা গরীব মানুষ। ট্যাহার জন্য আমার মানিকটারে মাইরা ফালাইছে। আমি এর বিচার চাই।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, দুপুরে লাশ উদ্ধার করা হলেও অনেক আগেই শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। শিশুটিকে ঠিক কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছিল না। শিশু হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি।
স্টাফ রিপোর্টার :
অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান-২০২৩ আনন্দঘন পরিবেশে ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বরদা রঞ্জন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, অষ্টগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রফেসর ডঃ দেলোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর জেলার জেলা ও দায়রা জজ শামীমা আফরোজ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্যেন্দ্র চন্দ্র চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক সোহরাব হোসেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খোকন মিয়া নামে দুই বছরের এক সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ ১৭ মার্চ রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের থলিয়ারা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত খোকন মিয়া ইউনিয়নের চান্দি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খোকন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্য পেলেন পবিত্র ঈদুল ফিতরের উপহার। ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনের ড্রিলশেডে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপহার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জহুরা আক্তার নারী পুলিশ সদস্যদের হাতে উপহার তুলে দেন এবং ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান। এরপর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন পুলিশ সদস্যদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা একই পরিবারের সদস্য। সবাই একসঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেব। তাই জেলার সকল পুলিশ সদস্যদের জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র উপহার। শুধু এই উপহারই নয়, ঈদের দিন সকল পুলিশ সদস্যরা পুলিশ লাইনে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অতীতে যেমন জাতির ক্রান্তিলগ্নে পুলিশ বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু সামলেছে। ইনশাআল্লাহ, আগামী দিনেও যদি কোনো বিপদ আসে পুলিশ সদস্যরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এসে সমাধান করবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন, অতিথি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) শিরাজুল ইসলামসহ সকল ইউনিয়নের অফিসার ইনচার্জগণ ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন বলেন, আমরা সবার সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চাই। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে দৈনিক হাজিরার স্টাফদের উপহার প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে এসপি থেকে শুরু করে পুরুষ কনস্টেবল পর্যন্ত ১ হাজার ৪১৭ জন, নারী পুলিশ সদস্য ১১৩ জন, সিভিল স্টাফ ৩৬ জন এবং দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে স্টাফ ২৬ জনকে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারা দেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৫৩ জন আক্রান্ত ব্যক্তি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখনও কারো মৃত্যু হয়নি।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের স্বজন ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো মশক নিধনের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ না ছেটানোর কারণে বিভিন্ন বর্জ্য, নালা ও ড্রেনে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বাড়ছে। এর ফলে জেলায় অনেক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ্ বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত ১৪০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৭ জন সুস্থ হয়েছে এবং ৭৩ জন রোগী জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেশি। এছাড়া আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।