১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা আইনজীবীদের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 7 February 2023, 953 Views,

স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুনরায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দিলেন আইনজীবীরা। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইনজীবীর সমিতিরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভা ও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে তাদের সকল আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু হবে চলবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
জেলা আইনজীবী সমিতির সূত্রে জানা গেছে, আদালতের শীতকালীর ছুটির আগে গত ১ ডিসেম্বর আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন তিনটি মামলা না নেয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন শুরু করেন আইনজীবীরা। ২ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

banner

এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে একদিনের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।

এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেন আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।

এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।

মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে দুই আদালত ব্যতিত (জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত) সকল আদালতে ফিরে যান আইনজীবীরা। এতে আদালতের অচলাবস্থা দূর হয়।

গত ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আইনজীবীদের দাবি পূরন না হওয়ায় তারা ওইদিন বিশেষ সাধারণ সভা করে তারা তাদের কর্মসূচি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ৩০ জানুয়ারি মধ্যে তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় তাদের কর্মসূচি আবার ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার আইনজীবীরা তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় বিশেষ সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।

এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ তানবীর ভূঞা জানান, গত ৩০ জানুয়ারি সমিতির সাধারণ সভা করে তাদের কর্মসূচি ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। ওই সভায় বলা হয়েছিল উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে পুনরায় বিশেষ সাধারণ সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।

কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরা মঙ্গলবার পুনরায় সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। সকল আইজীবীর মতামতের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার থেকে তাদের সকল আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু হবে।

Leave a Reply

ইসরায়েলি হামলায় ইরানে ৬৩৯জন নিহত

অনলাইন ডেস্ক : ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত Read more

ইটালি প্রবাসী দিদারের মা আনোয়ারা বেগমের…

শফিকুল ইসলাম বাদল : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বিরামপুর Read more

কসবায় মায়ের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড

চলারপথে রিপোর্ট : মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে Read more
ফাইল ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : পুকুরের পানিতে ডুবে ইসরাত জাহান নোভা (৯) Read more

ইরান কখনও আপোস করবে না: আয়াতুল্লাহ…

অনলাইন ডেস্ক : জায়নবাদীদের সাথে ইরান কখনও আপোস করবে না Read more
ফাইল ছবি

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পাঁচ দিনের…

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক Read more
ফাইল ছবি

প্রতারণা করে জুলাই অভ্যুত্থানের সুবিধা নিলে…

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবার এবং আহতদের কল্যাণ Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক…

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর Read more

কারাগারে হাজতির মৃত্যু

দুলাল মিয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে Read more

আখাউড়ায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

চলারপথে রিপোর্ট : কৃষকদের সেচ দক্ষতা বাড়াতে পানি ব্যবহারকারী গ্রুপের Read more

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য: রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের Read more

স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে…

অনলাইন ডেস্ক : স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে সৌদি প্রবাসীর বাড়িতে অনশন Read more

এ্যাডটার্চ কাপ T- ২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কিংস্ চ্যাম্পিয়ন

বিনোদন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 7 March 2024, 1025 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্রীড়াঙ্গন এখন সমৃদ্ধ হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভিভাবক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে যখনই স্মরণ করি তখনই ক্রীড়াঙ্গনকে প্রসার এবং সমৃদ্ধি করার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

banner

আজ ৭ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকালে নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে এ্যাডটার্চ কাপ T- ২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট ২০২৪ এর ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে তিনি আরো বলেন, এক্স ক্রিকেট এসোসিয়েশন খেলার যে আয়োজন করেছে তা প্রশংসার দাবিদার। এে খেলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংগ সংগঠন বা ক্লাব অংশ গ্রহণ করায় খেলাটি পুরিপূর্ণতা পেয়েছ। তিনি ক্রীড়া সংস্থাকে আরোও সমৃদ্ধি করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। ডাঃ আব্দুল মতিন সেলিমের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্যে রাখেন এক্স ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সদস্য ও আম্পায়ার মাইনুল হোসেন চপল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাজমুল হক সেলিম, আব্দুস সাকির ছোটন, আলী মাসুম, আবু কাউসার খান, আল মামুন, মঞ্জুর-ই মাসুদ, সাবেক ক্রিকেটার শামীম ভূইয়া, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য মহিম চৌধুরী। ফাইনাল খেলায় ফুলবাড়িয়া স্পোর্টিং ক্লাবকে ৮ উইকেটে পরাজিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কিংস্ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের আশফাক আহমেদ রোহান।

খেলা পরিচালনা করেন আম্পায়ার মাইনুল হোসেন চপল ও নাজমুল হক সেলিম।

খেলায় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ডাঃ সাইফুদ্দিন সুব্র, আলী মাসুম, আলমগীর সুজন ও নাদিম বাবু।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ১১ জন প্রার্থীর প্রার্থীতা প্রত্যাহার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজনীতি, 17 December 2023, 836 Views,
ফাইল ছবি

চলারপথে রিপোর্ট :

banner

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১১জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে জেলার ৬টি আসন থেকেই জাকের পার্টি, ২টি আসন থেকে জাতীয় পার্টি এবং ১টি আসন থেকে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার প্রার্থীরা নিজে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ও তাদের মনোনীত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।

প্রার্থীদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে ১ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগগঞ্জ) আসনে ৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে ২ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে ২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) আসনে ২জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে ১জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেন চৌধুরী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ শাহজাহান আলম সাজু, জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী কাজী মাসুদ আহমেদ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া এবং জাকের পার্টি মনোনীত মোঃ সেলিম কবির।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও কসবা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি তারেক আহমেদ আদেল ও জাকের পার্টির মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ জমশেদ মিয়া ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী আখতার হোসেন সাঈদ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর) : এই আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জাকের পার্টির প্রার্থী মোঃ আবদুল আজিজ।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ১১জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় বর্তমানে ৬টি আসনে ৩৫জন বৈধ প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির ২জন প্রার্থী রয়েছেন।

৬টি আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন :

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ থেকে বহিষ্কৃত আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ শাহানুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন ও ওয়ার্কার্স পার্টি মনোনীত মোহাম্মদ বকুল হোসেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) : এই আসনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন মঈন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম ভ‚ঁইয়া, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবদুল হামিদ, ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসনাত, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন, তৃনমূল বিএনপির মাইনুল হোসেন তুষার, জাতীয় পার্টি থেকে দুইবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউল হক মৃধা ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ।

এই আসনে জাতীয় পার্টি থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবদুল হামিদ মনোনয়ন দাখিল করেন। আওয়ামীলীগের সাথে জাতীয় পার্টির আসন সমঝোতায় এই আসনটি মোঃ আবদুল হামিদকে দেয়া হয় কিন্তু জাতীয় পার্টির প্যাডে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্বাক্ষরিত প্যাডে আসনটি মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে দেয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সদর উপজেলা পরিষদের পদত্যাগী চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মোঃ নূরে আজম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান (ওমর), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) জামাল রানা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত সৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়জুর রহমান বাদল, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ মোবারক হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি মনোনীত জামাল সরকার, স্বতন্ত্র একেএম মামিনুল হক সাঈদ, ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত মোঃ মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন মনোনীত ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ ও তৃনমূল বিএনপি মনোনীত মুফতি হাবিবুর রহমান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬ (বাঞ্ছারামপুর) : এই আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ.বি তাজুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোঃ আমজাদ হোসেন ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি মনোনীত কবির মিয়া ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মনোনীত সফিকুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে ১১জন প্রার্থী তাদের প্রত্যাহার করেছেন। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির দলীয় প্যাডে মোঃ রেজাউল ইসলাম ভ‚ঁইয়ার নাম রয়েছে। আমরা দলীয় প্যাডকেই গুরুত্ব দিচ্ছি।

এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, জোটের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত আসন বন্টনের তালিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২- আসনে আমার নাম রয়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের স্বাক্ষরিত প্যাডে আসনটি মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে দেয়া হয়। আমি আশা করি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করবেনা।

এ ব্যাপারে জাতীয় পার্টির প্রার্থী, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, এই আসনে দুইজন প্রার্থী থাকায় এমনটি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টির সুরাহা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 3 May 2024, 337 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

banner

গতকাল বৃহস্পতিবার কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই তথ্য জানানো হয়।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস), স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ ও কলেজের শৃঙ্খলার স্বার্থে জানানো যাচ্ছে যে, কলেজ ক্যাম্পাসে মোটর বাইক এবং শ্রেনী কক্ষে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে কোনো ভাবেই প্রবেশ করা যাবেনা। কলেজ ক্যাম্পাসে মোটর বাইক নিয়ে প্রবেশ করা এবং অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ। সে জন্য কোনো শিক্ষার্থী কলেজ ক্যাম্পাসে মোটর বাইক নিয়ে প্রবেশ করলে এবং শ্রেনী কক্ষে কারো কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নোটিশে শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধান করে কলেজে আসতে বলা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্রেনী কক্ষে সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার অধিক মাত্রায় বেড়ে যায়। এতে তারা শ্রেনী কক্ষে অমনোযোগি থাকে। কখনো কখনো অতিমাত্রায় ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে একাধিকবার মৌখিক নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি অভিযান চালিয়ে মোবাইল ফোনও জব্দ করে। কিন্তু এতেও কোনো কাজ হচ্ছিল না। এছাড়া কলেজে অনেকে মোটর সাইকেল নিয়ে প্রবেশ করে এর পরিবেশ নষ্ট করে বিধায় এতেও মৌখিক নিষেধাজ্ঞা ছিলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, মোবাইল ফোনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলেজ ক্যাম্পাস একেবারেই ছোট হওয়ায় মোটর সাইকেলের চলাচল শ্রেনীকক্ষে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুজব প্রতিরোধে মানববন্ধন, গোলটেবিল বৈঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 27 March 2024, 380 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুজব প্রতিরোধে আজ ২৭ মার্চ বুধবার মানববন্ধন ও গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) নামে একটি এনজিওর উদ্যোগে এই কর্মসূচী পালিত হয়।

banner

বুধবার বেলা ১১টায় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অংশগ্রহনকারীদের হাতে ‘গুজবে হয় ক্ষতি, নষ্ট করে সম্প্রীতি’, ‘শেয়ার করার আগে তথ্য যাচাই করুন’- ইত্যাদি লেখা পোস্টার দেখা যায়। অংশগ্রহনকারীরা গুজব প্রতিরোধে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় শিক্ষা’ শীর্ষক এ গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন মাওলানা ক্বারী আনিসুর রহমান, খতিব তৌফিক আহমেদ, প্রদীপ বল্লভ, ছবি ভট্টাচার্য। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক রুমানুল ফেরদৌসি, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পিযূষ কান্তি আচার্য্য, ফারহানা মিলি প্রমুখ।

এসময় জানানো হয় গুজব প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা গড়তে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কাজ শুরু করেছে সাকমিড। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে সেতু থেকে বাস, ট্রাক পড়ে ২৭ জন নিহত হওয়ার গুজব নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে ফের সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মন্টু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজনীতি, 27 June 2024, 523 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং ১৮ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

banner

২৬ জুন বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাক্ষরিত এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির দফতর সম্পাদক মো. মনির হোসেন এই কমিটি ঘোষণা দেন।

নতুন কমিটিতে জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন কমিটির সহ-সভাপতি পদে মো. হেলাল উদ্দিন, মো. হেলাল উদ্দিন-২, বেগম নায়ার কবীর (মেয়র ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা) বহাল রয়েছেন।

কমিটির অন্যান্য সহ-সভাপতিরা হলেন সৈয়দ মিজানুর রেজা, কামরুজ্জামান আনছারী, সোমেশ রঞ্জন রায়, গোলাম মহিউদ্দিন খোকন, মো. শাহজাহান আলম সাজু, ডা. আবু সাঈদ, প্রিন্সিপাল আবুল খায়ের, কাজী হারিসুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, আব্দুল হান্নান রতন, অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা নিশাত।

আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল। কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এমবি কানিজ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. আনার, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল খালেক বাবুল, দফতর সম্পাদক মনির হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহআলম (হালদারপাড়া), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. মোস্তফা কামাল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আকবর, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহনুর ইসলাম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক নুরুন্নাহার, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক স্বপন রায়, শ্রম সম্পাদক মোশতাক আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ডিউক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. মহসিন, তানজিল, সৈয়দ এখতেশামুল বারী তানজিল, উপ-দফতর সম্পাদক সুজন দত্ত, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন যারা
আনিছুল হক এমপি (আইনমন্ত্রী) এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি (বাঞ্ছারামপুর) অ্যাডভোকেট শাহআলম (সাবেক সংসদ সদস্য), মইনউদ্দিন মঈন এমপি (সরাইল-আশুগঞ্জ), এবাদুল করিম বুলবুল (সাবেক সংসদ সদস্য) ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (সাবেক সংসদ সদস্য) হাজী মো. মুসলিম মিয়া, শিউলি আজাদ, জহিরুল ইসলাম ভূঞা, আল-আমিনুল হক আলামিন, অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন, এম এ এইচ মাহবুব আলম, জায়েদুল হক, ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম নবী, আবুল হোসেন, অ্যাড. লোকমান হোসেন, অ্যাড. বাকির উদ্দিন, মুর্শেদ কামাল, আবু আব্বাস, মাহমুদুর রহমান জগলু, সাইদুজ্জামান আরিফ, অ্যাড. রাশেদুল কাউসার জিবন, সিরাজুল ইসলাম, অ্যাড. শিব শংকর দাস, গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সেলিম রেজা হাবীব, রফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, হাজী বাবুল মিয়া, ডা. আশীষ চক্রবর্তী, মিনারা আলম, জাহাঙ্গীর আলম, মো. নাজির মিয়া, হাসান সারওয়ার, মোবারক হোসেন রতন। জাতীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়াকে।

উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য যারা
আরমা দত্ত এমপি, অ্যাডভোকেট আবু আমজাদ, কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হাই, আজিজুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হেবজু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার নাগ, অমৃত লাল সাহা, সুহাস দাস চৌধুরী, রেহেনা বেগম রানী, মমতাজ বাশার, সুভাষ পাল, মিজানুর রহমান, আব্দুল আউয়াল, এম এ তাহের, এ কে এম একরামুজ্জামান এমপি ও বোরহানউদ্দিন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র নির্দেশক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, নব-নির্বাচিত এই কমিটির সকল সদস্য নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা, আন্তরিকতা ও সততার সাথে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবেন। পাশাপাশি সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগক আরও সুদৃঢ়, সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হবে।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, আমরা বিশ্বাস করি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপি’র নেতৃত্বে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-শোষণ-বঞ্চনা ও দুর্নীতিমুক্ত একটি উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের সংগ্রামে জনগণকে সম্পৃক্ত এবং ঐক্যবদ্ধ করতে নতুন নেতৃত্ব যথাযথ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে।