স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুনরায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দিলেন আইনজীবীরা। আজ ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইনজীবীর সমিতিরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভা ও সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে তাদের সকল আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু হবে চলবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
জেলা আইনজীবী সমিতির সূত্রে জানা গেছে, আদালতের শীতকালীর ছুটির আগে গত ১ ডিসেম্বর আদালতের শেষ কার্যদিবস ছিল। ওই দিন তিনটি মামলা না নেয়ায় ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল -১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন শুরু করেন আইনজীবীরা। ২ জানুয়ারি বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের সাথে আইনজীবীদের বাদানুবাদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে গত ৪ জানুয়ারি আদালতের কক্ষে ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে একদিনের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন পালন করে জেলা বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
এ ঘটনার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেন আইনজীবীরা। তারা জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে বিচারকের সাথে অশোভন আচরনের অভিযোগে সভাপতিসহ তিন আইনজীবীকে ১৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এছাড়াও আন্দোলন চলাকালে জেলা ও দায়রা জজের বিরুদ্ধে অশালীন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি ২১ আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব করা হয়।
এমন পরিস্থিতিতে গত ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকায় আইনমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে আইনমন্ত্রী আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আদালতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আইনজীবীরা।
মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের অপসারণ ও ও জজ আদালতের নাজির মমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে দুই আদালত ব্যতিত (জেলা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত) সকল আদালতে ফিরে যান আইনজীবীরা। এতে আদালতের অচলাবস্থা দূর হয়।
গত ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আইনজীবীদের দাবি পূরন না হওয়ায় তারা ওইদিন বিশেষ সাধারণ সভা করে তারা তাদের কর্মসূচি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। ৩০ জানুয়ারি মধ্যে তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় তাদের কর্মসূচি আবার ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার আইনজীবীরা তাদের দাবি পূরন না হওয়ায় বিশেষ সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।
এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোঃ তানবীর ভূঞা জানান, গত ৩০ জানুয়ারি সমিতির সাধারণ সভা করে তাদের কর্মসূচি ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। ওই সভায় বলা হয়েছিল উল্লেখিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না হলে পুনরায় বিশেষ সাধারণ সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।
কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় আমরা মঙ্গলবার পুনরায় সাধারণ সভা করে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। সকল আইজীবীর মতামতের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার থেকে তাদের সকল আদালত বর্জনের কর্মসূচি শুরু হবে।
চলারপথে ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের সঙ্গে অশালীন আচরণের ঘটনার একটি ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিওটি সরিয়ে নেওয়া হয়।আজ ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার রেজা ই রাকিব এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা দুটি ভিডিও ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করেছিলাম। এর মধ্যে একটি ভিডিও সরিয়ে নিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
গত ১৭ জানুয়ারি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিটিআরসিকে দ্রুত এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। আদালতে ভিডিও অপসারণের নির্দেশনা প্রার্থনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২১ জানুয়ারি শনিবার বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে ভোট গ্রহণ চলে। এতে প্রেসক্লাবের ৩৭জন সদস্য ১১টি পদের মধ্যে ৮টি পদে ভোট প্রদান করেন।
নির্বাচনের ১১টি পদে তফসিল ঘোষণার পর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় সভাপতি পদে রিয়াজ উদ্দিন জামি, দপ্তর সম্পাদক পদে শাহজাহান সাজু এবং পাঠাগার সম্পাদক পদে এইচ এম সিরাজ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ বাকী ৮টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের গণনা শেষে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, সাধারণ সম্পাদক পদে মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, যুগ্ম সম্পাদক পদে শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সাংস্কৃতিক ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য পদে ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও মীর মো. শাহীন জয়লাভ করেন।
নির্বাচন পরিচালনা করে এই ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও প্রেস ক্লাব নির্বাচন-২০২৩ এর নির্বাচন কমিশনার গোলাম মোস্তফা মুন্না।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে যুব সমাজের কোন বিকল্প নেই। আমরা মনে করি যুব সমাজ হলো দেশের আইকন। ভবিষ্যতে তাদের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা হবে।
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্স ক্রিকেটার এসোসিয়েশন আয়োজিত ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধানে অ্যাডটাচ্ কাপ টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মোঃ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরো বলেন, খেলাধূলা সুস্বাস্থ্য একটি মুল উৎস। সুস্থ সমাজ গড়তে হলে খেলাধুলার ও সংস্কৃতির কোন বিকল্প নেই। খেলাধূলা সমাজ ও এবং রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখে।
এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেডকোয়ার্টার মোঃ জয়নাল আবেদীন।
বক্তব্য রাখেন আম্পায়ার মাইনুল হোসেন চপল।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আবু কাউছার খানের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নাজমুল হক সেলিম, আল মামুন, আলী মাসুম, বাবুসহ শত শত ক্রীড়ামোদি দর্শক।
উদ্বোধনী দিনের প্রথম খেলায় শেখ হাবিবুল্লাহ স্মৃতি সংসদ, কাউতলী ৬ উইকেটে ভাদুঘর এলিভেনকে পরাজিত করে। ২য় খেলায় ফুলবাড়িয়া স্পোটির্ং ক্লাব ৬ উইকেটে উবায়দুল মোকতাদির ক্রিকেট একাডেমীকে পরাজিত করে। খেলা পরিচালনা করেন আম্পায়ার মাইনুল হোসেন চপল ও মোঃ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, স্কোরার মোঃ সুমন ও মেহেদী হাসান শ্রাবন। বুধবার ২টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
হাইওয়ে পুলিশের নির্দেশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোডের আশপাশ এলাকার চারটি সিএনজি চালিত পাম্প থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকসায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার সান্যালের লিখিত নির্দেশে গত শনিবার থেকে পাম্প মালিকরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এতে করে কয়েক হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকসার চালক চরম বিপাকে পড়েছেন। সিএনজিচালিত অটো রিকসার চালকরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দিনের বেলায় ফিলিং স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিগন মহাসড়কের উপর অবৈধভাবে পার্কিং করে গ্যাস সরবরাহ করে আসছে। ফলে মহাসড়কে প্রতিনিয়ত যানজট হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনায় রেয়েছে যে, মহাসড়কের উপর অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং করা এবং সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত থ্রী হুইলার টাইপের গাড়ি যেমন সিএনজিতে গ্যাস সরবরাহ করা সম্পূর্ন বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ অবস্থায় মহাসড়কের উপর অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং না করার জন্য এবং সিএনজি গাড়িতে সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ না করার জন্য অনুরোধ রইল। বর্নিত নির্দেশনার ব্যতয় ঘটলে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাম্প মালিকরা জানান, শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিষ কুমার সান্যাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সিএনজিচালিত অটোরিকসায় যেন, দিনের বেলায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়, এমন নির্দেশনা দেয়া হয়। এদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকসায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে হাজার হাজার অটো রিকশাচালক চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সিএনজিচালিত অটোরিকসা চালক এরশাদ মিয়া বলেন, সারারাত জেগে গ্যাস নিতে হলে, পরের দিন গাড়ি চালাতে হবে চোখে ঘুম নিয়ে। এতে সিএনজি অটো চালকদের দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরো বাড়বে।
অপর চালক হালিম হোসেন বলেন, আমাদের সিএনজিতে সকাল থেকে গ্যাস দিচ্ছে না। আমরা চলব কিভাবে। আমাদেরকে বলা হয়েছে রাত ১১টার পর গ্যাস নেয়ার জন্য। এখন আমরা যদি সারারাত গ্যাস নিয়ে সজাগ থেকে পরের দিন গাড়ী চালাই তাহলে আমাদের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে জেলা সিএনজি চালক ও মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করে পুলিশ নির্দেশ দিয়েছেন, সিএনজিতে রাতে গ্যাস দেয়ার জন্য। এতে করে আমাদের চালকেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, যদি এই সিদ্ধান্ত পরির্বতন করা না হয়, তাহলে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পুরো জেলা অচল করে দেবো।
এ ব্যাপারে সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মিয়া বলেন, আমাদের শ্রমিকদের স্বার্থে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাইওয়ে পুলিশের এই সিদ্ধান্ত বদল না করলে মহাসড়ক বন্ধ সহ বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এ বিষয়ে সিএনজি মালিক সমিতির কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: বাহার চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য আমাদেরকে তারা আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিষ কুমার সান্যাল বলেন, যানজট নিরসনের জন্যে হাইওয়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক তিনি সিএনজি পাম্প গুলোতে চিঠি দিয়েছেন।
বিআরটিএ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এবং সিলেট-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে কমপক্ষে ১৬ হাজার নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চলাচল করে।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আমাদের সমস্ত উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান আছে। কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্থবির হয়নি। রিজার্ভ নিয়েও দেশে কোনো সংকট নেই। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি রিববার দুপুরে রাজশাহীতে কর্মরত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতা সর্বত্রই বিরাজমান। এটা দূরীকরণে বর্তমান মন্ত্রীসভা কাজ করবে। দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করে কীভাবে দ্রুত কাজগুলো করা যায় তা নিয়ে কাজ করবো। আর সুন্দর ও ভালো কাজ করতে গিয়ে হয়তো বিলম্বিত হয়। প্রকল্পে সমন্বয়ের ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে কাজে দীর্ঘসূত্রিতা হয় উল্লেখ করে রাজশাহীর উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সমন্বয় সাধনে তিনি কাজ করছেন বলে জানান। আরডিএ থেকে অনুমোদন না নিয়ে কেউ আবাসন গড়ে তুললে সেটা বে-আইনি কাজ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটা দেখার দায়িত্ব জেলা প্রশাসনের। সুতরাং, জেলা প্রশাসক এটা দেখুক। এরআগে, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনের সভাপতিত্বে রাজশাহীতে কর্মরত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপূর্তমন্ত্রী।