বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বিজয়নগরে মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম (৩৫) এর ছুরিকাঘাতে অপর চাচাতো ভাই মোঃ নিয়ামুল (২৫) নিহত হয়েছে।
আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘাতক আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত নিয়ামুল নলগরিয়া গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে এবং গ্রেফতারকৃত আশরাফুল ইসলাম একই বাড়ির আবদুল মোতালেবের ছেলে। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়েই মাদক ব্যবসা করতো। মাদক ব্যবসা নিয়েই তাদের মধ্যে বিরোধ ছিলো।
এই বিরোধের জেরে বুধবার বিকেল চারটার দিকে আশরাফুল ইসলাম নিয়ামুলকে তার বাড়ির সামনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তর্কবির্তকের এক পর্যায়ে নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করে আশরাফুল।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ামুলকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ বলেন, আশরাফুল ইসলাম ও নিয়ামুল উভয়েই মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আশরাফুল নিয়ামুলকে ছুরিকাঘাত করলে হাসপাতালে নেয়ার পর নিয়ামুল মারা যায়। আমরা ঘাতক আশরাফুলকে গ্রেফতার করেছি। নিয়ামুলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিখোঁজের ৩ দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যানপ্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমাকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৮ মে নির্বাচনি প্রচারণার সময় এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হন।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হওয়ার পর প্রীতি খন্দকার বলেন, ‘আগামী ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনে আমি নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে (পদ্মফুল প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। সার্ভারে ত্রুটির কারণে আমার মনোনয়নপত্র জমা দিতে সমস্যা হওয়ায় পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থীতা ফিরে পাই।’ কীভাবে নিখোঁজ হলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘২৮ মে দুপুরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নে দুই জন সহযোগী নিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যাই। হরষপুরের খেয়াঘাট ও ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচারণার সময় আমার সঙ্গে থাকা দু’জন নারী বাইরে এবং আমি ভেতরে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় অন্য দু’জন বোরকা পরা নারী এসে বলেন, ‘সামনে একটি মাদ্রাসা আছে, সেখানে অনেক ভোটার আছে’। এই কথা বলে আমাকে একটি পান খেতে দেয়। পানটি মুখে নিতেই আমার মাথা ঘুরতে শুরু করে। তখন তারা একটি কালো মাইক্রো বাসে করে আমাকে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের দেওয়ানবাগের একটি হাইওয়ে সড়কে আমাকে ফেলে যায়।’’
‘এতো সকালে ফাঁকা সড়কে কাউকেই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তখন সড়ক দিয়ে অনেকক্ষণ হেঁটে আসার পরে একটি অটো রিকশা দেখতে পেয়ে আশপাশে কোনও থানায় নিয়ে যেতে বলি। পরে, কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় আসার পর একজন পুলিশের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে আমার স্বামীকে ফোন দিই। পুলিশের সহায়তায় বিজয়নগর থানা পুলিশ ও আমার স্বামী এসে আমাকে উদ্ধার করেন।’
এই ভাইস চেয়ারম্যানপ্রার্থী অভিযোগ করেন, তার কাছে থাকা একটি মোবাইল, সঙ্গে থাকা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার- সব নিয়ে গেছেন ওই দুই নারী।
প্রার্থীর স্বামী মাসুদ খন্দকার বলেন, ‘সকালে আমার স্ত্রী আমাকে কল দিয়েছে। পরে থানা থেকেও আমাকে জানিয়েছে। থানা থেকে আমি কাঁচপুরে এসেছি স্ত্রীকে নিয়ে যেতে। স্ত্রী জানিয়েছে, নির্বাচন যেন না করে এজন্য তাকে তুলে নিয়ে গেছে। এখন সে অসুস্থ বেশি কথা বলতে পারছে না। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।’
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ওই নারী প্রার্থী সকালে থানায় এসে আশ্রয় চেয়েছেন। পরে বিজয়নগর থানায় যোগাযোগ করে তাকে পাঠানো হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নবীনগর ও বিজয়নগর এই তিন উপজেলার নির্বাচনের প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। জয়ের আশায় প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। প্রার্থী নিজে এবং তাদের কর্মী সমর্থকদের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতীকের প্রচার করছেন তারা। এদিকে ভোটারদের মতে, সৎ যোগ্য ও এলাকার উন্নয়নে যিনি ভূমিকা রাখবেন, যাকে সুখে দুখে পাশে পাওয়া যাবে, তাকেই তারা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন। তবে ভোটার এবং প্রার্থী সকলেই আশাবাদী একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটাররা সৎ, যোগ্য ও নিষ্ঠাবান প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে চান। তবে জয়ের ব্যাপারে সকল প্রার্থীরাই আশাবাদী। আর তাই সেই আশায় প্রার্থীরা বিরামহীন চালিয়ে যাচ্ছেন নিজ নিজ প্রচার প্রচারণা। দিন যতই যাচ্ছে প্রার্থী, কর্মী ও ভোটারদের মধ্যে বাড়ছে আুৎসবের আমেজ। প্রার্থীর পক্ষে কর্মীরা সালাম জানাচ্ছেন ভোটারদেরকে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে বাড়িতে ঢুকে উঠানে ফেলে শাশুড়ি ও পুত্রবধূকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে।
১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের আতকাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় দুই নারীকে রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গুরুতর আহতরা হলেন-ওই এলাকার নাসির মিয়ার স্ত্রী শিবলি বেগম (৪৫) এবং আকাশ মিয়ার স্ত্রী শারমিন (২২)। এই ঘটনায় রাবেয়া নামের আরও এক কিশোরীকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নাসির মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমি চট্টগ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করতাম। গত দুইমাস আগে বিজয়নগরে পরিবার নিয়ে নতুন বাড়িতে বসবাস শুরু করি। বাড়িতে আমার স্ত্রী, স্কুল পড়ুয়া একটি মেয়ে এবং গত ৬ মাস আগে বিয়ে করিয়ে আনা পুত্রবধূ বসবাস করেন। আমার বাড়ির সামনে একটি নালায় স্থানীয় ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া ও সিরাজ মিয়ার ছেলে মানিক এবং সবুজ অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বাধ দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিল। শনিবার তাদের জালের বাধের বাঁশ কে বা কারা নিয়ে যায়। এনিয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া মানিক এবং সবুজ দলবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে। এসময় বাড়িতে তারা ঢুকে আমার স্ত্রী, আমার ছেলের নববধূ ও আমার স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে উঠানে ফেলে বেধড়ক মারধর করে ফেলে চলে যায়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেই। আমার স্ত্রী রক্ত বমি করছে।
ওসি আসাদুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার শশই এলাকায় জেলা প্রশাসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর সহযোগিতায় আজ ২ এপ্রিল মঙ্গলবার ২ অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
মোবাইল কোর্টে মেসার্স সুবর্ণ শশই ব্রিকস নাম ইট ভাটাকে ১ টি মামলায় ৩,৫০,০০ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়। এবং একইসাথে ৪ টি ভাটাকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) ২০১৩ ( সংশোধিত ১০১৯) মেনে ভাটা পরিচালার বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
পরিচালিত মোবাইল কোর্টে জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর দায়িত্ব পালন করেন মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিসল চক্রবর্ত্তী এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী, আসনার বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।
এরূপ কার্যক্রম পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক অব্যাহত থাকবে বলে বিসল চক্রবর্ত্তী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
শপথ গ্রহণ করেছেন ষষ্ঠ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচিত চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরা। গতকাল ৩ জুলাই বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ১২ উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ করান চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম। এ সময় সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান বিভাগীয় কমিশনার। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানরাও জনগণের সেবক হয়ে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলা, বিজয়নগর ও নবীনগর উপজেলা, চট্টগ্রামের বাঁশখালী, পটিয়া ও লোহাগাড়া, কক্সবাজারের টেকনাফ, কুমিল্লার হোমনা, চৌদ্দগ্রাম ও নাগঙ্গলকোট, চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যানরা শপথ গ্রহণ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন বাস্তবায়নে কাজ করেবো। সদর উপজেলাকে একটি সমৃদ্ধ, আধুনিক, স্মার্ট, পরিবেশবান্ধব, শিল্পোন্নত ও সারাদেশের মধ্যে মডেল উপজেলায় রূপান্তরে নিরলসভাবে কাজ করে যাবো। শহরের সঙ্গে উপজেলার সকল ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভালো করে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব সেক্টরে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে তিনি জানান।