স্টাফ রিপোর্টার :
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জেলা জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কাজী রাজিউর রহমান তানভীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুয়েল মিয়া, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হাসান ওবায়দুল্লাহ, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব স্বপন আহমেদ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। তার উপর আবার সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে বাজার নিয়ন্ত্রন করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ১২৩ জন রোগীর মধ্যে এককালীন অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১২৩ জন রোগীর প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ ও সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ নূরুল মাহমুদ ভূইয়ার সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া। বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রশীদ ভূইয়া ও আলআমিনুল হক পাভেল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা। তিনি দেশের প্রতিটি সেক্টরে অভাবনীয় উন্নয়ন করেছেন। তিনি সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায় মানুষকে জায়গাসহ ঘর নির্মান করে দিচ্ছেন। করোনাকালে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেয়া সহ, বিধবা ভাতা, মাতৃদুগ্ধভাতা, স্বামী পরিত্যক্তাদের ভাতাসহ প্রতিবন্ধীদেরকে ভাতার আওতায় এনেছেন। শুধু তাই নয় তিনি ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য অনুদান দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, আগের কোন সরকারের আমলে মানুষ এতো ভাতা পেয়েছেন কিনা জানিনা, তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন মমতাময়ী মা, তাই তিনি সকলের খবর রাখেন। তিনি কঠিন রোগে আক্রান্তদের পাশে দাড়িয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে প্রত্যেক রোগীকে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আগের সরকারের আমলে নেতারা নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে, মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১২৩ জন রোগীর প্রত্যেকের হাতে ৫০ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ, এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও সফল মৎস্য চাষিদেরকে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে মৎস্য সপ্তাহ এর উদ্বোধন করা হয়।
এতে জেলা প্রশাসক শাহাগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাাদির চৌধুরী এমপি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপক কাজ করছে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে মাছ বিদেশে রফতানি হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরামুল্লাহ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাজমহল বেগম। এ সময় সফল মৎস্য চাষীদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালি শেষে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সংলগ্ন কুরুলিয়া খালে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ১১টায় শহরের অন্নদা স্কুলের বর্ডিং মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি থেকে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি এস.এম শান্তনু চৌধুরী, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হোসেন প্রমুখ।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দৌড়, উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ, গোলক নিক্ষেপসহ ১০৮টি ইভেন্টে অংশ নেয়। পরে অতিথিরা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কমপাউন্ড থেকে সরকারি ইনজেকশন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ ৩১ জুলাই সোমবার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে হাসপাতালের কম্পাউন্ড থেকে ১০৮ পিস সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরকারি হাসপাতালে উত্তর পাশের গেটের সামনে থেকে ১০৮ পিস সোডিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সোমবার পুলিশ সাধারণ ডায়েরি করেছে।
এ বিষয়ে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, ইনজেকশন উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশ আমাকে জানিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুরে ২য় দিনের মতো জলাবদ্ধতা নিরসন ও রাস্তা প্রশস্তকরনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ।
আজ ৬ জুলাই শনিবার সকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম শেখের নির্দেশে আঐর- কাঐর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সরকারি জায়গায় অবৈধ ভাবে নির্মিত বাড়ি, দোকান, স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ভূঞা, ৬ং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ মোবারক মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম শেখের নির্দেশে আমরা আজ আঐর কাঐর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সরকারি জায়গায় নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। গত সপ্তাহে আমরা গৌতমপাড়ায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিলাম। সুহিলপুর ইউনিয়নে সরকারি জায়গায় অবৈধ ভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।