স্টাফ রিপোর্টার :
ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী কালনী ও উপবন এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রেলপথে চলাচলকারী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে যাত্রী বিরতি দেয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়া প্রতিটি ট্রেনের আসন বৃদ্ধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে টিকেট কালোবাজারী মুক্ত করার দাবিতে আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার জেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযুষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদস্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, কবি দেওয়ান মারুফ, সাংবাদিক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, সাংবাদিক ইব্রাহিম খান সাদাত, খেলাঘর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম কাউছার এমরান, সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, নাগরিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, কমরেড নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন ট্রেনের আসন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন শুরু করি, তখনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিভিন্ন ট্রেনের আসন সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘাঁ এর মতো।
বক্তারা বলেন, কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে কোন টিকেট কালোবাজারী নাই, আমরাও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনকে কালোবাজারী মুক্ত দেখতে চাই। বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়া প্রতিটি ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কালনী, বিজয় ও উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি দেয়ার দাবি জানান।
বক্তারা আগামী ১ মাসের মধ্যে তাদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়া না হলে জেলার সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের সাথে কথা বলে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেবেন বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
খালি জায়গায় গাছ লাগাতে হবে, এমন শর্তে ভবনের নকশা অনুমোদনের নির্দেশনা দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
আজ ৮ জুলাই সোমবার পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের মেকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ডে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের (৮-১৪ জুলাই) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রী বলেন, বাড়ি করার জন্য রাজউক যেসব শর্তের ভিত্তিতে নকশা অনুমোদন দেয়, সেখানে একটি শর্ত যুক্ত করতে বলেছি, তারা যেন বাড়ির অবশিষ্ট জায়গায় গাছ লাগায়, অন্তত ফুলের বাগান হলেও যেন করে। তাতেও বনায়নের কিছুটা কাজ হবে।
‘পূর্বাচলে বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে অন্তত ২০ শতাংশ জমিতে যেন গাছ লাগানো হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। ফলদ, বনজ এবং ঔষধি- যে কোনো ধরনের গাছ হতে পারে। একইসঙ্গে নিজেদের খাওয়ার উপযোগী সবজি উৎপাদন করা যেতে পারে। ঘরের বারান্দায়, ছাদে বা বাড়ির আঙিনায় কাঁচামরিচ বা এ ধরনের অনেক কিছু নিজেরা আবাদ করা যায়,‘ যোগ করেন তিনি।
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে, গাছ লাগানোকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশে অনেক গাছ লাগানো হয়েছে। তবে, এক্ষেত্রে ঘাটতিও রয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণে যেসব জমি রয়েছে, তার খালি অংশে বৃক্ষরোপণ করা হবে।
‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’- প্রতিপাদ্য নিয়ে এই বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদযাপিত হচ্ছে। এ বছর ৫ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী বলেছেন, আগামী এক বছরে আমরা ৫ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যরা যারা উপস্থিত আছেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর, সংস্থায় কর্মরত সবাইকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম বলেন, গাছ লাগাতে বেশি সময় লাগে না। আমরা যেন এটা করতে গিয়ে অফিসের কাজে ফাঁকি না দেই। অফিসের কাজের পাশাপাশি অনায়াসে গাছ লাগানো যায়। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরে নগরকৃষির জনপ্রিয়তা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী ও সচিব মেকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ড চত্বরে খালি জায়গায় একটি করে নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন।
অনুষ্ঠানে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি এবং তপশিলের সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানাতে বঙ্গভবনে যান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচন নিয়ে তাঁরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেন।
বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সিইসি বলেন, শীঘ্রই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। আমরা রাষ্ট্রপতিকে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছি। উনি শুনেছেন, সন্তুষ্ট হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেছেন, আসন্ন নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এ ব্যাপারে উনার সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সে ব্যাপারে উনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও বলেছি, প্রয়োজনে আপনার সহযোগিতা আমরা কামনা করি। রাষ্ট্রপতি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে যেকোনো রকমের সহযোগিতা দিতে তিনি প্রস্তুত থাকবেন। গণতান্ত্রিক যে ধারাবাহিকতা, সাংবিধানিক যে ধারাবাহিকতা সেটা যেকোনো মূল্যে অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন।
সিইসি বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি, সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বদ্ধপরিকর। আমরা সকল রাজনৈতিক দল, সরকার ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করে যাচ্ছি। আমরা আশ্বস্ত করেছি, সকলের সহযোগিতায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবিধানিক যে বাধ্যবাধকতা আছে তার আলোকে যথাসময়ে নিষ্কণ্টকভাবে সম্পন্ন করব।
তিনি বলেন, তফসিল ও নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি। যেকোনো মূল্যে ২৯ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন করতে হবে। আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আজকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গেলাম। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সম্ভাব্য সময়সূচি নির্ধারণ করব। আমরা যেটা বলেছি, প্রথম সপ্তাহে বা দ্বিতীয় সপ্তাহে; এখনও সেই অবস্থানে আছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করি, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি’ এই প্রতিপাদ্যে বগুড়ায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালি শেষে বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আলোচনা করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক মাসুম আলী বেগ। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, জম্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বর্তমানে সরকারি সুযোগ সুবিধা নিতে হলে প্রথমে প্রয়োজন জম্ম নিবন্ধন। একটি শিশু জম্ম নেওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে জম্ম নিবন্ধন বিনা খরচে করা যায়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আল মারুফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আকতার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহনাজ পারভীন, বগুড়া পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলম, প্যানেল মেয়র-২ আলহাজ শেখ, সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতি, বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ডালিয়া নাসরিন রিক্তা।
এ সময় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিববৃন্দ, গ্রাম পুলিশের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় সারিয়াকান্দি পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতিসহ দুইজন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও একজন গ্রাম পুলিশকে-কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাঁদপুরে ব্যস্ত সময় পার করছেন ১৫০০ কামার শিল্পের প্রায় তিন হাজার কারিগর। কোরবানি উপলক্ষে রাত-দিন খেটে তৈরি করছেন, দা-বটি, ছুরিসহ লোহার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। যদিও দাম কিছুটা বেশি নেওয়ার অভিযোগ ক্রেতাদের। কাঁচামাল ও প্রয়োজনীয় মালামালের দাম বাড়ার ফলে এখন আগের মতো লাভ হচ্ছে না। এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টরা সরকারের বিশেষ সহায়তার প্রত্যাশা করছেন।
হাতুড়ি তৈরির শব্দ জানান দিচ্ছে কামারশালায় কর্মতৎপরতা বেড়েছে। বছরের অন্যান্য সময় লোহার সামগ্রীর কদর কম থাকলেও ঈদুল আজহার আগে তাদের দম ফেলার সময় থাকে না। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, বাড়ছে তত ব্যস্ততা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জিনিস সরবরাহের চাপও রয়েছে।
কামার দীপক চন্দ্র কর্মকার বলছেন, আমরাসহ কারিগররা দিনরাত খাটছি। বর্তমানে শ্রমিকদের পারিশ্রমিক, কয়লা ও লোহার দাম বেড়েছে। এসব লোহার জিনিসপত্র বানাতেও খরচ পড়ে অনেক। দরদাম তাই একটু বেশি নিয়েও পুষিয়ে উঠতে পারছি না। ব্যবসা টিকিয়ে রাখা এখন কঠিন। পূর্ব-পুরুষদের থেকে করা পেশা ছাড়তেও পারছি না।
আ. কুদ্দুস মুন্সি ও মজিবুর রহমান বলেন, প্রতিটি বটি দা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকায়, হাত দা অর্থাৎ চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, আকার ভেদে ছুরি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা। বিগত বছরের তুলানায় এবার দাম অনেকটা বেশি। তাই অনেকেই পুরানো দা ছুরিগুলো শান দিয়ে নিচ্ছেন।
চাঁদপুর বিসিক জেলা কার্যালয়ের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক মো. রবিউল আলম বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কামার শিল্পকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়ে থাকে। আমরা বিসিক’র পক্ষ থেকে তাদের সকল ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তারা আমাদের কাছে প্রশিক্ষণ বা আর্থিক সহায়তার জন্য আসলে, তখন তাদের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। আগে অনেকেই ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প থেকে ঋণ নিয়েছেন। এখনও যদি কেউ ঋণ নিতে চায়, তবে আমাদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৫০০ কামারশালা রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
গত এক বছরে একজনও কালো টাকা সাদা করেনি বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ ২ জুন শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা জানতে চান, গত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিলেও এবারের বাজেটে এ ধরনের কোনো সুযোগ কেন রাখা হয়নি। পরে এ কথা জানান মন্ত্রী।
মুস্তফা কামাল বলেন, গত বছরের বাজেটে বলেছিলাম, কেউ যদি অপ্রত্যাশিত টাকা দেশে নিয়ে আসে, তাহলে সেই টাকার কোনো কর দিতে হবে না। গত বাজেটে এ সুযোগটি দেওয়ার পরও এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রত্যাশিত টাকা বাংলাদেশে আসেনি। তাই এবারের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়নি।
গত অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, কেউ যদি বিদেশ থেকে অর্থ আনেন, তাহলে ৭ শতাংশ কর দিলেই হবে। আর বিদেশে থাকা স্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে না আনলে ওই সম্পদের মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ এবং বিদেশে থাকা অস্থাবর সম্পত্তি বাংলাদেশে না আনলে এর ওপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে। গত বছরের ১ জুলাই থেকে চলতি মাসের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ এক বছরের জন্য এ সুবিধা বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছিল।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থসচিব ফাতেমা ইয়াসমিন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।
এর আগে ১ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।