বিজয়নগর প্রতিনিধি :
টেক ব্যাক বাংলাদেশ বলে বিএনপি উন্নয়নশীল মাথা উচু করে দাড়ানো বাংলাদেশকে পাকিস্তানি আমলে বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নিতে চাই বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশ আত্মনির্ভরশীল জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনেও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতা আনার আহ্বান জানান।
তিনি আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১১ টায় বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ডাকবাংলা খেলার মাঠে বিএনপি-জামাতের অগ্নি সন্ত্রাস, ভাংচুর নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলের উত্থান ও কর্মকান্ডের সমালোচনা করে বক্তব্য কালে এই সব কথা বলেন।
বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডঃ তানবীর ভূঞা, জেলা আওয়ামীলীগে সাবেক সাংগঠনিক মাহবুবুল আলম খোকন, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়া, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড: তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি অ্যাড: শাহানুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড: সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি অ্যাড: লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম সাইদুজ্জামান আরিফ, চান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ, এম, শামীউল হক চৌধুরী, বুধন্তি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী সাইয়্যিদুল ইসলাম, পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম, বিষ্ণুপুর, ইউপি চেয়ারম্যান, মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউল হক বকুল, বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ জসিম মাহমুদ, মাওলানা মিজবাহ উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল ইসলাম ভিপি সোহেল, যুব মহিলালীগের সভাপতি হালিমা চৌধুরী প্রমুখ।
শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড: মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে বিজয়নগর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকার ইয়াকুব আলী চৌধুরী সড়ক সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বের পুকুরে মুখ বাধা অবস্থায় একটি বস্তা ভেসে উঠে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম জানান, বস্তার মুখ খুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ৫টি টুপি, ১টি ব্যাগ, ২টি হেলমেট, ২টি বেল্ট, ১টি ক্যাপ, ৫টি রেংক ব্যাজ, ৫টি নেইম প্লেট।
যাহাতে মহসিন নামটি লেখা, ১টি প্রসেস যাহাতে ক্যাপ্টেন মহসিন নামটি লেখা, ৩টি কেমোফ্লাগ ক্রিম, ১টি ব্যাজ, ২ জোড়া পিটি সু, ১টি টেপ সাদৃশ সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। এসব জিনিস পাওয়ায় আমার নিকটতম আর্মি ক্যান্টনমেন্টগুলোতে খবর পাঠিয়েছি। তবে আমাদের প্রাথমিক ধারনায় হয়তো কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে এসব ব্যবহার করত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে সর্ব সাধারণের ব্যবহারের জন্য ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন (ওয়াশরুম) উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের জায়গায় নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া অফিসের নির্মাণকরা ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারবেনা। আক্তার হোসেন বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে একটি জায়গা রয়েছে। জায়গাটি স্থানীয় রাষ্ট্রু মিয়া নামে এক ব্যক্তি ভাড়া নিয়ে সেখানে একটি মুরগীর খামার গড়ে তুলেছেন।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৬৯টি ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন স্থাপনের প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইতিমধ্যেই ৩০টির বেশি ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন বাস্তবায়ন করেছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিটি ল্যাট্টিন নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে চার লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা। প্রতিটি ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনের সাথে একটি সাব মারজিবল টিউবওয়েল রয়েছে।
সর্ব সাধারণের জন্য উপজেলার বিভিন্ন বাজার এলাকা এবং ২/৩টি বাড়ির মানুষের জন্য একটি করে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন ও নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর বাজার থেকে অনুমানিক ১০০/১৫০ গজ দূরে সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি জায়গা আছে। জায়গাটি স্থানীয় রাষ্ট্রু মিয়া নামে এক ভাড়া নিয়ে মুরগির খামার নির্মাণ করেছেন। রাস্তার পাশে থাকা ওই জায়গাটি চারপাশে প্লাষ্টিকের নেট দিয়ে বেড়া দেয়া। এর ভেতরেই নির্মান করা হয়েছে।এর ভেতরে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন। সেখানে মুরগীর খামার থাকায় সাধারণ লোকজন এই ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি ব্যবহার করতে পারেন না।
স্থানীয়দের অভিযোগ নিজেদের সুবিধার জন্যই সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন সরকারি টাকায় এই ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি নিজের জায়গায় নির্মান করেছেন। ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি যে সাধারণ লোকজনের সুবিধার জন্য করা হয়েছে তা স্থানীয়রা জানেননা। অভিযোগকারীরা বলেন, একজন সাবেক চেয়ারম্যানের জায়গায় নির্মাণ করা ল্যাট্টিন ব্যবহার করতে কে যাবে? একটি সরকারি জায়গায় উম্মুক্ত স্থানে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি নির্মাণ করা দরকার ছিলো।
এ ব্যাপারে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন বলেন, জায়গাটির আশেপাশে মার্কেট আছে, সিএনজি পাম্প আছে। সকলই এই ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি আমার জায়গায় ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি নির্মান হলেও সাধারণ লোকজন এটি ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি বলেন, জায়গার সামনে দেয়া প্লাষ্টিকের বেড়া খুলে ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি সকলের ব্যবহারের উপযোগী করে দিবো। তিনি বলেন, ল্যাট্টিনটি এখনো উদ্বোধন করা হয়নি।
এ ব্যাপারে ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল বলেন, ওই জায়গায় ইনপ্রুভড ল্যাট্টিনটি কিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে, তা আমি জানিনা। আমাকে কেউ বিষয়টি অবহিত করেনি।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমান উল্লাহ বলেন, আমরা সাধারণত কোন উম্মুক্ত জায়গা বা বাজার এলাকায় ইনপ্রুভড ল্যাট্টিন নির্মাণ করে থাকি। আবার গ্রামে ২/৩টি পরিবারের জন্যও ল্যাট্টিন নির্মাণ করে দেই।
তিনি বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের জায়গায় নির্মাণ করা ল্যাট্টিন সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারবেন বলে তিনি আমাকে আশ্বস্থ্য করেছেন। তবে এখনো ল্যাট্টিন নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি। তিনি বলেন, সেখানে যে মুরগীর খামার আছে তা আমার জানা নেই। তবে ল্যাট্টিন নির্মাণ হলে তা সবাই ব্যবহার করতে পারবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। গত ২৯ মে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয়) আদালতের বিচারক আসমা জাহান নিপা মামলাটি খারিজ করে দেন। পাশাপাশি মামলার বাদী এবং বাদীপক্ষের আইনজীবীকে মামলাটির জন্য তিরস্কার করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের মো. দলিলুর রহমানের ছেলে মো. আশিকুর রহমান ( ৪১) তার মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন। পরবর্তীতে বিচারক অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করে- যা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চক্রটি প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চক্রান্তের আশ্রয় নিয়েছে। উক্ত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে মোবাইল ফোন হারান আশিকুর রহমান। এ বিষয়ে তিনি আশুগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই মোবাইল ফোনটিতে ইউএনওর নামে রেজিস্ট্রেশনকৃত সিম ব্যবহৃত হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে মাটির ঘর ধসে রাফিন (১২) ও মিশু (১০) নামে আপন দুই ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত দুই ভাইবোন ওই গ্রামের মন্নাফ মিয়ার সন্তান। এ ঘটনায় বাবা মন্নাফ (৪৫), মা রোকসানা (৩০) ও বোন ইশু (১০) আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ইশুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, মন্নাফ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে মাটির ঘরে থাকতেন। গতকাল রাতে অন্যান্য রাতের মতোই সবাই একসঙ্গে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাতে প্রচণ্ড বৃষ্টি হলে মাটির ঘরটি ধসে পড়ে। এতে তারা পাঁচজনই মাটির নিচে চাপা পড়েন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিন ও মিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত তিনজনের মধ্যে ইশুকে আশঙ্কাজক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।