স্টাফ রিপোর্টার :
সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিক হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১১ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নে সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ আজিজুল সঞ্চয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো: বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রা, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম কাউসার এমরান, জেলা নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি ফজিলাতুন্নাহার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল এবং জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বাবু প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জ্বালানি খাতের নামকড়া সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বারবার পেছানো হচ্ছে। দীর্ঘ ১১ বছর পেরুলেও আলোচিত এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন হয়নি। এর দায় রাষ্ট্রের ওপরই বর্তায়। সাগর-রুনিসহ দেশে সব সাংবাদিক হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূঁইয়া বলেছেন, যারা রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং যুবকরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার খুব নির্ভুলভাবে জুলাই অভ্যূত্থানে আহত নিহতদের তালিকা করেছেন। তিনি বলেন, আহতদের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করতে হলে আবেদন করতে হবে এবং আবেদন এর সাথে প্রমাণপত্র দাখিল করতে হবে।
আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত জুলাই অভ্যূত্থানে সদর উপজেলার শহীদ পরিবার ও আহত এবং অসমর্থ যুবকদের অনুকুলে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সরকার পর্যায়ক্রমে শহীদ পরিবার, আহত ও অসমর্থ যুবকদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার পাপিয়া আক্তার এবং আহত ও নিহতদের পক্ষে বক্তব্যে রাখেন অভিভাবক আব্দুল রহিম প্রমুখ। এসময় সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীন, আহত যুবক ও নিহত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
আজ ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বিভিন্ন স্কুলের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধন চলাকালে বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক মোঃ মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সমন্বয়ক মোঃ লোকমান হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক মোঃ কাউসার, শাহাদাত হোসেন, মোহাম্মদ টিপু, রুবি জাহান, বিল্লাল হোসেন, সহকারী শিক্ষক মোঃ মনির হোসেন, আমরিনা বেগম, মোঃ খালেদ হাসান, মোঃ সাদেকুর রহমান, মোঃ লোকমান হোসেন, জাহানার বেগম, মাসুদ মিয়া, মোঃ শাহজালাল, সুমন সেন গুপ্ত, মোঃ জাহাঙ্গীর, প্রণয় দেব প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এবং শিক্ষকরা হলেন জাতি গড়ার কারিগর। শিক্ষার মানোন্নয়নের সাথে শিক্ষকদের মানোন্নয়ন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতায় পুলিশের এস.আই, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ডিপ্লোমাধারী নার্স, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ১০ম গ্রেডে বেতন দেয়া হচ্ছে। সেখানে একই যোগ্যতার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতন দেয়া হচ্ছে। যেখানে ৮ম শ্রেনী পাশের একজন গাড়িচালক বেতন পায় ১২তম গ্রেডে। এ থেকে বোঝা যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কতটা অবহেলিত।
বক্তারা আরো বলেন, শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করতে হলে অবশ্যই প্রাথমিক শিক্ষকদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে। ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি বাস্তবায়ন আমাদের প্রতি করুনা নয়, এটি আমাদের অধিকার। এ জন্য অনতিবিলম্বে আমাদেরকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি জানাচ্ছি।
পরে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের নির্মিত ২টি সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতায় নির্মিত ১৫০টি সেতু ও বিভিন্ন মহাসড়কের ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা ১৫০টি সেতু এবং ১৪টি ওভারপাসের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২টি সেতু রয়েছে। উদ্বোধনকৃত সেতুগুলো হচ্ছে নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়কে নির্মিত তিতাস সেতু ও কোম্পানীগঞ্জ- নবীনগর সড়কে নির্মিত কড়ুইবাড়ি সেতু।
প্রধানমন্ত্রীর ১৫০টি সেতু ও বিভিন্ন মহাসড়কের ১৪টি ওভারপাসসহ বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মনিরুল ইসলাম, ইসলামী ফাউন্ডেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক আশিকুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, ঠিকাদারসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্কাউটস আয়োজিত কাব কার্নিভাল ২০২৪, গার্ল ইন স্কাউট ইউনিট লিডারগণের ওরিয়েন্টেশন ও জাতীয় কমিশনার কাজী নাজমুল নাজুর দেয়া কম্বল বিতরণ আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস. এম. শান্তনু চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এস আর এম ওসমান গনি, কুমিল্লা অঞ্চলের সম্পাদক ডিআরসি (প্রোগ্রাম) মোঃ আক্তারুজ্জামান, ডিআরসি মোঃ ছফিউল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক আবুল হাসেম, উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান, জেলা সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ ফরিদ আহমেদ খান, সহকারী কমিশনার সৈয়দ মোহাম্মদ তফসির, কাব লিডার মো: হারুন মিয়া প্রমূখ। সভাপতিত্ব করেন জেলা স্কাউট কমিশনার মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, কাব কার্নিভালে ৪০টি দলের ৪০জন ইউনিট লিডারের নেতৃত্বে ২৪০ জন কাব স্কাউটস অংশগ্রহণ করেন। গার্ল ইন স্কাউটস এর ওরিয়েন্টেশনে ৫০ জন ইউনিট লিডার প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন এবং ৫০ জন অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে মোঃ শাহিন মিয়া (২৫) ও মোঃ রাকিবুল ইসলাম (২০) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের রাধিকার মোড় থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
আজ ১৬ অক্টোবর বুধবার দুপুরে যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতারকৃতদেরকে সদর মডেল থানায় সোপর্দ করার পর বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।