চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি বলেছেন, বিএনপির দুঃশাসনের কেয়ারটেকার গভঃমেন্ট ব্যবস্থার প্রর্বতন হয়েছিল।
সুপ্রীম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদে আইন সংশোধন করে কেয়ারটেকার ব্যবস্থার বিলুপ্ত করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী কেয়ারটেয়ার সরকার ফিরে আসার আর কোন সুযোগ নাই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে। বিএনপির সাহেবরা সংবিধান পড়েন না ।
তিনি আজ ১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের আধুনিকায়ন কাজের উদ্বোধন শেষে আয়োজিত সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি আরো বলেন, বাংলাদেশ কারোর দয়ায় স্বাধীন হয়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের শামনামলের সবক্ষেত্রেই যে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবই এর উদাহরণ।
অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতের অচলাবস্থার প্রসঙ্গে টেনে বলেন, সকালে বিষয়টির সমাধান হয়েছে। আগামীকাল অথবা মঙ্গলবার থেকে আইনজীবীরা আদালতের কার্যক্রমের ফিরে যাবেন আশা করছি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞা, সংরক্ষিত নারী সাংসদ উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন।
এর আগে সকালে প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে কার্যকরী কমিটির নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ সার্কিট হাউজে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর আমরা মুক্তিযোদ্ধারা ভুলেই গিয়েছিলাম বাংলাদেশটা মুক্তিযোদ্ধাদের। প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বুঝিয়ে দিলেন বাংলাদেশটা মুক্তিযোদ্ধাদের।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন ও সম্মাণজনক সম্মাণী ভাতার ব্যবস্থা করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বণি জয়বাংলা আবারো প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবার ও চেতনার মানুষদের ঐক্যবদ্ধ থেকে লড়াই করতে হবে।
আজ ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুর ১২ টায় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদ আয়োজিত মুক্ত দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদ সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলুর সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমিটির নেতা সাইদুজ্জামান আরিফের সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঞা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গাজি রতন মিয়া, সাবেক সদর উপজেলা কমান্ডার আবু হোরায়রাহ।
অনলাইন ডেস্ক :
বিচার প্রক্রিয়া সহজতর করে মামলাজট কমিয়ে আনতে দেওয়ানী কার্যবিধি সংশোধনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়া সহজতর করে মামলাজট কমিয়ে আনতে ১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধি যুগোপযোগী করে সংশোধনের কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়।
আজ ৪ জুন মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় গৃহীত প্রকল্প ‘ডেভেলপমেন্ট অব মেডিয়েশন এন্ড সিভিল লিটিগেশন প্র্যারকটিসেস ফর এনহেন্সমেন্ট অব এক্সেস টু জাস্টিস’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণের ন্যায়বিচারে সমান প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আইন মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, সকল নাগরিকের ন্যায়বিচারের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে সারাদেশে লিগ্যাল এইড অফিস প্রতিষ্ঠা, সরকারি খরচে আইনি সহায়তা কার্যক্রম চালু, বিচার প্রক্রিয়ায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি প্রবর্তনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, লিগ্যাল এইড অফিসাররা কেবল বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ১৮০ কোটি ৪৫ লাখ ২৭ হাজার ৪২৫ টাকা আদায় করে দিয়েছে, যার সুবিধা পেয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৩৫৯ জন মানুষ।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিযুক্ত জাপানী রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরি প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) উম্মে কুলসুম, প্রকল্পের চিফ এডভাইজার (এক্সপার্ট) ফুজিওকা টাকুরো।
এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর আইন ও বিচার বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও জাইকার প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি (রেকর্ড অব ডিসকাশনস) স্বাক্ষরিত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রধান বাহক ছিলেন। তিনি গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি হিসেবে স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পাশাপাশি তিনি সমাজের প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচারের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে আইনি সহায়তা প্রদানের গুরুত্ব অনুধাবন করেন এবং সমাজে অবিচার ও অসমতা মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন।
আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘স্ট্রেংদেনিং ক্যাপাসিটি অব জুডিসিয়াল সিস্টেম ফর চাইল্ড প্রোটেকশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় শিশু সংবেদনশীল আদালত কক্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ন্যায়বিচার ও সমতার নীতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় দূরদৃষ্টি, সাহস ও নিষ্ঠা বাঙালি জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথপ্রদর্শক উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রথমেই নব্য স্বাধীন দেশের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠাকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন, যাতে সকলের নাগরিক অধিকার সু-প্রতিষ্ঠিত হয় ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, নতুন অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু বিশ্বমানের একটি সংবিধান প্রণয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন এবং মাত্র ১০ মাসের মধ্যে তা সম্ভব করে তুলেছিলেন। এই সংবিধানে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের নীতি নির্ধারণ করা হয়, যা দেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থার শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করে।
মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বঙ্গবন্ধু সংবিধান প্রণয়ন ছাড়াও সকল নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইনের সংস্কার ও নতুন নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, শিশুদের নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, স্বাস্থ্য এবং সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ প্রণয়ন করা হয়। এরও ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শিশু আইন প্রণয়ন করেন, যা বাংলাদেশে শিশু অধিকার ও শিশু সুরক্ষার ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে।
আনিসুল হক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের কল্যাণে যুগান্তকারী বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০১৩ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করা হয়, যা শিশুদের সুরক্ষা, অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য একটি আইনি কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করেছে। শিশুদের কল্যাণ ও সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর অক্লান্ত প্রচেষ্টা আমাদের সকলের নিকট অনুসরণীয় এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাঁর সরকারের আমলে প্রণীত শিশু আইনের বিভিন্ন ধারায় আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশু, আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর অধিকার রক্ষাসহ শিশুর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের কার্যকর বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে। এই আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণে পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্ট, পৃথক আদালত কক্ষ, উপযুক্ত পরিবেশ এবং প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন। একই সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রাসঙ্গিক জ্ঞান ও দক্ষতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট বলেন, ইউনিসেফ সুরক্ষা ও পরিচর্যার প্রয়োজন রয়েছে, এমন সকল শিশুর ক্ষেত্রে অপ্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার প্রয়োগে বিশ্বাস করে। আইনের সাথে সংঘাতে জড়িত শিশুদের স্বাধীনতা হরণ এবং আটকাবস্থা শুধু শেষ উপায় এবং যতটা সম্ভব কম সময়ের জন্য ব্যবহার করা উচিত।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক শেখ হুমায়ুন করীর বক্তৃতা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সিপিসি-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি আভিযানিক দল আজ ১২ সেপ্টেম্বর রাতে বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন শ্যামপুর ইউনিয়নের বাজিতপুর পুরাতন গ্রামস্থ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ তোজাম্মেল হক (৩৭) (মূলহোতা), পিতা- মোঃ ফয়েজ উদ্দিন, ২। মোঃ মাসুদ রানা (৪৫), পিতা- মৃত লায়েস উদ্দিন, উভয় সাং-বাজিতপুর (পুরাতন গ্রাম) , থানা- শিবগঞ্জ, জেলা- চাঁপাইনবাবগঞ্জদ্বয় কে ১০০(একশত) গ্রাম হেরোইন সহ গ্রেফতার করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় উল্লেখিত আসামী মোঃ তোজাম্মেল হক মাদক বিক্রির উদ্দেশ্যে মাদক বহন করে অন্যত্র যাচ্ছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব এর একটি চৌকস আভিযানিক দল শিবগঞ্জ থানার বাজিতপুর গ্রামে ফাঁকা রাস্তায় তাকে আটক করে।
আটকের পরে জিজ্ঞাসা বাদে সে জানায় যে, সে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে মোঃ মাসুদ রানা এর বাড়ীতে হেফাজতে রাখে। আভিযানিক দলটি তাকে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে নিরপেক্ষ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তল্লাশি করে তার ঘর থেকে ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে এবং তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানা যায় যে মো: তোজাম্মেল হক প্রায়শঃই মাদক ক্রয় করে উক্ত ব্যক্তির কাছে হেফাজতে রেখে তার মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করত।
উপরোক্ত ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। র্যাব-বিশেষ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাতে সুমন মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। আজ ২৬ জুন বুধবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন।
সুমন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত গোপালগঞ্জ জেলার গোপিনাথপুর এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে নূরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, বেতবাড়িয়া গ্রামের সুরমা আক্তার পাখির সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নূরুল ইসলামের। তাদের মধ্যে প্রায় সময় মোবাইল ফোনে কথা-বার্তা হত। কথা-বার্তার সূত্রে নূরুল ইসলাম প্রায় সময় পাখির সঙ্গে দেখা করতে রাতে তাদের বাড়িতে আসতো। এদিকে সুরমা আক্তার পাখির সঙ্গে তার চাচাত ভাই সুমন মিয়াও প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। কিছু দিন আগে নূরুল ইসলাম পাখিদের বাড়িতে এসে সুমন ও পাখির সম্পর্ক দেখতে পান। পাখির সঙ্গে সুমন প্রায় সময় রাত্রিযাপনও করতেন। গত কিছু দিন আগে নূরুল ইসলাম পাখির সঙ্গে দেখা করতে আসলে সুমন মিয়া বাধা দেন এবং তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বুধবার ভোরে নূরুল ইসলাম পাখিদের বাড়িতে এসে দেখে সুমন পাখির ঘরে ঘুমাচ্ছে। পরে নূরুল ইসলাম ঘরে ঢুকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে সুমনকে হত্যা করে। পরে স্থানীয়রা সুমনকে আটক করে পুলিশে দেয়।
ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, ঘাতক নূরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।