বিজয়নগর প্রতিনিধি :
বিজয়নগর উপজেলার কৃতি সন্তান, উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তানবীর ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির পরপর দুইবারের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে ফুলের সংবর্ধনায় সিক্ত হয়েছেন।গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকাল ৫ টায় উপজেলার বেগম মরিয়ম মেমোরিয়াল মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে সংগঠনের সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ খান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কামরুল হাসান শান্তের সঞ্চালনায় এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আজ্জম, সাংগঠনিক সম্পাদক আলা উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মাহিদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক শাহনেওয়াজ, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আশিকুর রহমান মাস্টার, আপ্যায়ন সম্পাদক মহিউদ্দিন রুবেল, সহ-সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ইলিয়াস সরকার, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অ্যাডঃ আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া, আল মামুন রমজান, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সাদ্দাম দেওয়ান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর গ্রামের আপন দুই ভাইসহ চারজন নিহত হয়েছে।
গত বুধবার (ঈদের দিন) বাংলাদেশের সময় দুপুর ১২টায় (মালয়েশিয়ার সময় সকাল সাড়ে ১০টায়) এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, এক্তারপুর গ্রামের করিম সর্দারের ছেলে মোঃ আবদুল্লাহ (২৫) ও হাফেজ মোঃ হুমায়ূন কবির ওরফে সোহেল (২৭), একই এলাকার মোঃ শাহাব উদ্দিনে ছেলে মোঃ সোহেল (২৫) ও মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ আশকর আলী- (৪০)।
নিহতদের পারিবারিক সূত্র জানায়, ঈদ-উল ফিতরের নামাজ আদায় করে গাড়ি নিয়ে মালয়েশিয়ার ক্যামেরুন থেকে কুয়ালালামপুরে যাওয়ার পথে তাদের গাড়িটির চাক্কা ফেটে গেলে গাড়িটি ধীর গতিতে চলতে থাকে। এমন সময় পিছনে থাকা মালবাহী একপি লড়ি গাড়িটিকে ধাক্কা দিলে সাথে সাথেই গাড়িটি দুমড়ে-মুচরে গিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
এদিকে সন্তানদের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের চলছে শোকের মাতম। পরিবার গুলোতে ঈদের আনন্দ যেন বিষাদে পরিণত হয়। আহাজারি করে সরকারের কাছে নিজের সন্তানদের লাশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে হরষপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ অলিউল্লাহ বলেন, মোঃ আবদুল্লাহ, হাফেজ মোঃ হুমায়ূন ওরফে সোহেল এবং মোঃ সোহেল আমার ভাতিজা, এবং আশকর আলী আমার গ্রামের জামাই হয়। ঈদের দিন নামাজ শেষে ঘুরতে গিয়ে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তারা মারা গেছেন। আমরা এই শোক সইতে পারছিনা। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, পরিবারের কাছে যেন লাশ গুলা ফিরিয়ে দেয়াহয়।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমি স্থানীয়ভাবে জানতে পেরেছি। লাশ যখন দেশে আসবে থানার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দুই মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার হরযপুর ইউনিয়নের নিদারাবাদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের ফায়েজ ভুঁয়ার ছেলে সাহেদ ভুঁইয়া (৪০)।
জয়নগর থানার এএসআই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয় ।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ রওশন আলী জানান, সাহেদ ভুঁইয়া দীর্ঘদিন যাবত পলাতক ছিলেন। তার নামে দুইটা গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর সীমান্তে বিএসএফের বিরুদ্ধে মুরাদুর রহমান মুন্না নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ করছে নিহতের স্বজনরা।
৮ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামুড়া সীমান্তে জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মুন্না ওই গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, বিকেলের দিকে মুন্না তার ধানি জমি দেখতে সেজামুড়া সীমান্তের কাছে যান।
এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়।
এ সময় তাকে গুরুতর অবস্থায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তারা এ ঘটনায় সরকারের কাছে বিচার দাবি করেছেন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসক ডা: আরাফাত জানান, হাসপাতালে আনার পর তার শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করা হয়।
সরাইল ২৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, যতটুকু খবর পেয়েছি মুরাদ নামে একজন অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। সে কি কারণে সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন, বিএসএফ তাকে ধরেছে কি না, না অন্য কেউ মেরেছে তা এখনও জানা যায় নি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
বিজিবির টহল টিমের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, মুরাদ ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশের পর সুস্থভাবে ফিরে এসেছিলো। তখন তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় একজনের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। বিএসএফের সাথে কথা বলে আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঁইয়া ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ ৩০ অক্টোবর সোমবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো (৬৫) বছর।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই কণ্যাসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান। বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, তানভীর ভূঁইয়া বেশ কয়েক মাস ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। গত দুই সপ্তাহ আগে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তিনি মারা যান।
তিনি বলেন, তানভীর ভূঁইয়া গত কয়েক মাস ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। দুই সপ্তাহ আগে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে জেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তিনি মারা যান।
এদিকে সোমবার বাদ জোহর শহরের লোকনাথ উদ্যান (টেংকেরপাড়) জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে মরহুমের প্রথম জানাযার নামাজ ও বাদ আসর তার নিজের গ্রাম বিজয় উপজেলার চর-ইসলামপুরে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, বিজয়নগর উপজেলার চর-ইসলামপুরের বাসিন্দা বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে তুচ্ছ ঘটনায় বাড়ির উঠানে ফেলে পুত্রবধূ ও শাশুড়িকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় প্রধান আসামীসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের আতকাপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন আতকাপাড়ার ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া (৪০) ও নান্নু মিয়া (৪৫)।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আতকাপাড়ার আবদুল আলীর ছেলে নাসির মিয়া ইটভাটায় কাজ করার সুবাদে চট্টগ্রামে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। গত দুই মাস আগে নিজের গ্রামে বাড়ি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
বাড়িতে নাসির মিয়া, তার স্ত্রী, স্কুল পড়–য়া মেয়ে এক ৬ মাস আগে বিয়ে হওয়া পুত্রবধূ থাকেন। নাসির মিয়ার বাড়ির সামনে একটি নালায় ফিরোজ মিয়ার ছেলে বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া ও সিরাজ মিয়ার ছেলে মানিক এবং সবুজ অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করে আসছিলো।
গত শনিবার তাদের জালের বাঁধের বাঁশ কে বা কারা নিয়ে যায়। এনিয়ে নাসির মিয়ার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় বাক্কু মিয়া, নান্নু মিয়া, মানিক এবং সবুজ নাসিরের বাড়িতে গিয়ে নাসিরের স্ত্রী শিউলি বেগম, তার পুত্রবধূ শারমিন (২০) কে উঠানে ফেলে বেদড়ক মারধোর করে। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় নাসির মিয়া ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার প্রধান আসামী বাক্কু মিয়াসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।