অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্কে ভূমিকম্পের ১৫০ ঘণ্টা পার হলেও এখনও সেখানে উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে উদ্ধারকারীরা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের হাতায় শহরের ধ্বংসস্তূপে ১৩৯ ঘণ্টা আটকে থাকার পর সাত মাস বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছে।
হাতায়ের আরেকটি জায়গা থেকে কুডি নামের এক ১২ বছর বয়সী কিশোরীকে ১৪৭ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকার পর উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারের পর উদ্ধারকারীরা কুডিকে বলেন, ‘তুমি একটা অলৌকিক বিষয়।’
এদিকে গত সোমবারের ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় এ পর্যন্ত নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ২৯ হাজার ছাড়িয়েছে। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহত মানুষের মধ্যে বেশি বিপর্যস্ত তুরস্কে মারা গেছেন ২৪ হাজার ৬১৭ জন। আর সিরিয়ায় সাড়ে চার হাজার।
তীব্র ঠান্ডাসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এখনো অনেককেই ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে।
চলারপথে ডেস্ক :
তেল বিক্রি করে রেকর্ড মুনাফা করেছে সৌদি আরবের কোম্পানি আরামকো। ২০২২ সালে তারা মুনাফা করেছে ১৬১ দশমিক ১ বিলিয়ন বা ১৬ হাজার ১১০ কোটি ডলার।
বিবিসির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানিটি ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি মুনাফা করেছে। শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত হওয়ার পর এটি এক বছরে তাদের সর্বোচ্চ আয়।
শুধু আরামকো নয়, আমেরিকার এক্সনমবিল, ব্রিটেনের শেভরনও গত বছর বিপুল আয় করেছে। এক্সনমবিল মুনাফা করেছে ৫ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার। আর শেভরনের মুনাফার পরিমাণ ৩ হাজার ৯৯০ কোটি ডলার।
২০২২ সালের মাঝের চার মাসে রেকর্ড ৪২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করার কথা জানিয়েছিল আরামকো। ওই সময়ই বিশ্বব্যাপী তেলের দাম সবচেয়ে বেশি ছিল। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত প্রতি ব্যারল তেল ৮২ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরের জুনে তা ১২০ ডলার ছুঁয়েছিল।
ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা শুরু করার পর বিশ্ববাজারে তেল ও গ্যাসের দাম অনেকটা বেড়েছে। সাত বছর পর ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়।
গত বছর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছিলেন, বৈশ্বিক সংকট কাজে লাগিয়ে অনেক তেল-গ্যাস কোম্পানি অনৈতিকভাবে মুনাফার রেকর্ড করেছে। তিনি এসব কোম্পানির ওপর বেশি হারে করারোপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে করের অর্থ চরম অভাবগ্রস্তদের সহায়তায় ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
তবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই বিশ্ববাজারের জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করেছিল। টানা দেড় বছর কোভিডজনিত নানা বিধিনিষেধ থাকার পর উন্নত দেশগুলো তখন কোভিডজনিত সব ধরনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে তেলের দাম আরো বেড়ে যায়।
অনলাইন ডেস্ক :
তুষার আর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া, ম্যাসেচুসেটস, ইলিনয়সহ যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ স্টেটের জনজীবন।
ভয়ংকর এবং হিমশীতল আবহাওয়ার কারণে ৬ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ ১০ হাজারের মতো ফ্লাইট বাতিল অথবা বিলম্বিত হচ্ছে রবিবার থেকে। দূর পাল্লার ট্রেন এবং বাস চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ক্যানসাস, কেন্টাকি, আরকানস, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া, ভার্জিনিয়া, মিজৌরিতে পুরোপুরি এবং নিউজার্সির কিছু অংশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়া এলাকার ১০ লাখের অধিক বাংলাদেশিসহ ৬ কোটি আমেরিকান শনিবার রাত থেকেই এক ধরনের গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন। এসব স্থানের অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল সোমবার। মঙ্গলবারও কোন কোন এলাকার অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তিন লাখের অধিক বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে মিজৌরি থেকে ভার্জিনিয়া পর্যন্ত এলাকায়।
গতকাল রাতে জাতীয় আবহাওয়া দফতরের বুলেটিনে ৬ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয়া হয়েছে। ওয়াইওমিংয়ের একটি পর্বতে হিমবাহের মধ্য এক স্কি চালকের মৃত্যু হয়েছে। বরফে ঢাকা সড়কে গাড়ি দুর্ঘটনায় আরো অনেকে আহত হয়েছেন। মিজৌরির সড়ক-মহাসড়কে ১৭০০ গাড়ি আটকা পড়েছে। ভার্জিনিয়া, ইন্ডিয়ানা, ক্যানসাস, কেন্টাকি, নেব্রাস্কা স্টেটে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে মহাসড়কের যানজটের অবসান ঘটানোর জন্যে। সবচেয়ে বেশি নাজুক অবস্থায় নিপতিত হয়েছে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, ভার্জিনিয়া এবং ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার বিস্তীর্ণ জনপদ। সোমবার রাত পর্যন্ত এক ফুটের অধিক তুষারপাত হয়েছে ডিসিতে। রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্ট সোমবার অপরাহ্ন থেকেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এমন অসহনীয় বৈরি আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে বলেও আবহাওয়া দফতর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।
বৈরি আবহাওয়া তৈরি হয়েছে উত্তর মেরু অঞ্চলের ঘূর্ণিবাত্যার কারণে। এই ঘূর্ণিবাত্যা চরম শীতল বাতাসের একটি এলাকা যেটি আর্কটিক মহাসাগরের চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে। সেখান থেকেই হিমশীতল আবহাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে নেমে আসছে আর তাতে চরম আবহাওয়া পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে এবং তা মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত জনজীবনকে বিপন্ন করতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া দফতর।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা ৪২ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৮টা ৪২ মিনিট) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সূত্র : বাসস
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট রোববার রাত ৯টা ৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) লন্ডনে পৌঁছায়। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে চার ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
রোববার সকাল ১০টার পর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট। সে সময় বিমানবন্দরে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও বিশ্বনেতারা ৭৮তম ইউএনজিএ অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে জমায়েত হবেন। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিশ্বাস পুনর্গঠন ও বিশ্ব সংহতির পুনরুদ্ধার : ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে ত্বরান্বিত পদক্ষেপ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং সবার জন্য স্থায়িত্বের দিকে’।
এ সফরে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদরদপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের প্রথম দিনের বিতর্কে যোগ দেবেন। ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে ভাষণ দেবেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, সাধারণ বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন-অগ্রগতি, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্বশান্তি, নিরাপত্তা, নিরাপদ অভিবাসন, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু ও ন্যায়বিচারের মতো বিষয় তুলে ধরবেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি এই সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও অর্থসহ বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় ও সৌজন্যমূলক বৈঠকে অংশ নেবেন।
এরমধ্যে সোমবার নিউইয়র্কের রকফেলার সেন্টারে ইউএনআইডিও ও ডেলয়েট আয়োজিত ‘খাদ্যের জন্য চিন্তা– খাদ্য সরবরাহ চেইন উদ্ভাবনের জন্য এসডিজিকে ত্বরান্বিত করার জন্য সহযোগিতা’ শীর্ষক একটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মূল বক্তব্য দেবেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লোকবল ও অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ দেখভালের দায়িত্বে থাকা তিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে দায়িত্ব ছাড়তে বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগীরা। বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত দুই আমেরিকান কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দুদিন পরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে ট্রাম্প যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহরে ব্যাপক ওলটপালট ঘটাবেন এই নির্দেশনায় সেই ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। নতুন প্রশাসনের হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রদবদলের দায়িত্বে থাকে এজেন্সি রিভিউ টিম যে তিন কর্মকর্তাকে পদ ছাড়তে বলেছে, তারা হলেন- ডেরেক হোগান, মার্শা বার্নিকাট ও আলেইনা তেপলিৎজ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনে রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্তরা সাধারণত নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পরপর নিজেরাই পদত্যাগ করেন, তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সাধারণত দায়িত্ব চালিয়েই যান। যে তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ট্রাম্পের টিম পদ ছাড়তে বলেছে তারা ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান সব প্রশাসনের আমলেই রাষ্ট্রদূতসহ গুরুত্বপূর্ণ সব দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে বার্নিকাট ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সাড়ে তিন বছর বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ২০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুরে দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। দায়িত্ব নিয়ে তিনি ‘ডিপ স্টেটকে মুছে ফেলতে’ অনুগত নয় এমন কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করবেন বলে নির্বাচনী প্রচারেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বার্নিকাটসহ তিন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব ছাড়তে বলা তারই শুরু, বলছেন অনেকে।
ট্রাম্প টিমের নির্দেশনার সঙ্গে পরিচিত এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘এটি যে আরও খারাপ কিছুর পটভূমি তৈরি করতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগও আছে’’।
এ প্রসঙ্গে মন্তব্য চাইলে ট্রাম্পের ট্রাঞ্জিশন টিমের এক মুখপাত্র বলেন, আমাদের দেশ ও কর্মঠ মার্কিন নারী-পুরুষকে সবার আগে রাখা নিয়ে ট্রাম্পের যে দৃষ্টিভঙ্গি তার সঙ্গে একাত্মতা পোষণকারী কর্মকর্তা খুঁজে বের করাই প্রশাসনে পরিবর্তন আনার দায়িত্বে থাকা দলের জন্য উপযুক্ত কাজ। আমাদের অনেক ব্যর্থতা রয়েছে, সেগুলো ঠিক করতে হবে এবং এজন্য একই লক্ষ্যে মনোনিবেশকারী একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দল প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গে দেওয়ার মতো ঘোষণা তার কাছে নেই।
মন্ত্রণালয়টির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডেরেক হোগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ব্যুরো ও হোয়াইট হাউজের মধ্যে তথ্যের প্রবাহ দেখভাল করা।
বার্নিকাট এখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মহাপরিচালক এবং ব্যুরো অব গ্লোবাল ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক, এই দপ্তর মন্ত্রণালয়ের কর্মীদের নিয়োগ, দায়িত্ব বন্টন ও ক্যারিয়ার উন্নতি দেখভাল করে।
আর সহকারী সেক্রেটারি তেপলিৎজ তিন দশক ধরে দেশে-বিদেশে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন।
পদত্যাগের নির্দেশনা নিয়ে এ তিনজনের কেউই রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পের এবারের প্রশাসন আরও বেশি সংঘাতমূলক পররাষ্ট্র নীতি বেছে নেবে।
২০ জানুয়ারি শপথ নিতে যাওয়া রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট অবশ্য এরই মধ্যে ইউক্রেইন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইসরায়েলকে আরও সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
তিনি গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রভুক্ত করার চেষ্টা ও নেটো মিত্রদেরকে প্রতিরক্ষায় আরও বেশি অর্থ ব্যয়ে তাগাদার মতো কিছু অপ্রচলিত নীতির পক্ষেও অবস্থান নিয়েছেন।তার এসব লক্ষ্য অর্জনে বিরোধিতার বদলে দায়িত্ব নিয়ে কাজ বাস্তবায়ন করতে পারবে এমন কূটনীতিক কর্মীবাহিনীই মূল চালিকাশক্তি হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে প্রশাসনে রদবদল ছিল নিয়মিত ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদই হয়ে উঠেছিল মিউজিকাল চেয়ার। তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে বলে ট্রাম্পের টিম যেন আগের ওই মেয়াদের স্মৃতিই ফিরিয়ে আনছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার সঙ্গে পরিচিত পৃথক দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, নতুন প্রশাসন এসিসটেন্ট সেক্রেটারির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে আরও বেশি রাজনৈতিক নিয়োগ দিতে আগ্রহী। মার্কিন প্রশাসনের এ পদগুলোতে সাধারণত দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ আমলা ও রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের মিশ্রণ দেখা যায়।
২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প যেসব নীতি নিয়েছিলেন তার অনেকগুলোই দীর্ঘদিন ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করা কর্মকর্তাদের কারণে ‘লাইনচ্যুত’ হয়ে পড়েছিল, ট্রাম্পের সহযোগীদের এমন মনোভাবের কারণে এবার মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদেও ট্রাম্পের টিম আরও রাজনৈতিক নিয়োগে আগ্রহী, বলছে সূত্রগুলো।
এজেন্সি রিভিউ টিম এরই মধ্যে এ পদগুলোতে আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়াও শুরু করেছে, বলেছে দুটি সূত্র।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের নতুন বাণিজ্য দূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন। যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন তিনি। আজ ২৯ জানুয়ারি বুধবার ঢাকার যুক্তরাজ্য হাইকমিশন এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তায় উল্লেখ করা হয়, আমরা আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটনকে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের নতুন বাণিজ্য দূত হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
বাংলাদেশে বাণিজ্য দূত হিসেবে নিযুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে ব্যারোনেস উইন্টারটন বলেন, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্য সরকারের বাণিজ্য দূত হিসেবে নিযুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি জানি বাংলাদেশ ব্যবসা, চাকরি এবং উভয় দেশের বাজারে ভোক্তাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ তিন বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি এবং প্রবৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদারিত্বকে আরো উন্নত করার জন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকার, ব্যবসা-বাণিজ্য বিভাগ এবং বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর সােথ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ’।