নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগরে নিয়মিত হাঁটুন সুস্থ থাকুন এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে ১৩ বছর পূর্বে সংঘটিত হয়েছিল সামাজিক সংগঠন প্রাতঃভ্রমণ এসোসিয়েশন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সমন্বয়ে গঠিত অত্র সংগঠন আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নবীনগর সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামে পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছেন।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. সাদেক মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নবীনগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুস সুবহান।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু কাওছারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীনগর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রেজাউল করিম, দুপ্রক সভাপতি আবু কামাল খন্দকার, সংগঠনের সহ-সভাপতি মানিক বিশ্বাস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এটিএম রেজাউল করিম সবুজ, কার্যকরী সদস্য আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া রেণু, ডাক্তার মো. দস্তগীর, সহকারী অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া মিনাজ, দৈনিক কালের কন্ঠে নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি মাজেদুল ইসলাম, শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম কালন, সংগঠনের অর্থ সম্পাদক আবু সালেহ।
তত্ত্বাবধানে ছিলেন আবু কাওসার, গোপাল বণিক, মিঠু রক্ষিত, মো. জাকির হোসেন, বিশ্বজিৎ বণিক। পিটা উৎসবে সকল সদস্য অংশ গ্রহণ করেন। আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সংগঠনের কার্যকরী সদস্য শফিকুল ইসলাম। এছাড়া অনুষ্ঠানে চিড়া, মুড়ি, খৈয়, মিঠায় ও মিষ্টি খাওয়া দাওয়া করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় মেঘনা নদী থেকে অবাধে লুট হচ্ছে বালু। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার একটি চক্র অবৈধভাবে প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করছে। বালু লুটের ফলে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো যেমন ভাঙন ঝুঁকিতে, তেমনি বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এছাড়া চড়া মূল্যে বালুমহাল ইজারা নেওয়া বৈধ ইজারাদার প্রতিষ্ঠানও বিপাকে পড়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রশাসন ও নৌপুলিশকে ম্যানেজ করেই দিনের পর দিন চলছে বালু লুট। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ধরাভাঙ্গা এলাকায়ও মেঘনা নদী থেকে বালু লুট করছে রায়পুরার আরেকটি চক্র।
আরও পড়ুন
শীগ্রই ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি এলাকায় মেঘনা নদী থেকে প্রতিদিন অন্তত ১০টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার একটি বালুখেকো চক্র। প্রতিদিন অন্তত ২০ লাখ ফুট বালু উত্তোলন করছে চক্রটি। যার বাজারমূল্য অন্তত প্রায় ৫০ লাখ টাকা। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অবাধে বালু লুট করে বিক্রি করছে ওই চক্রটি। রীতিমতো অস্ত্রে সজ্জিত ক্যাডার বাহিনীর পাহারায় দিনভর চলে বালু উত্তোলন। বালুখেকো চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন যুবদল নেতা কাইয়ূম মিয়া। তার সাথে আছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী। অবাধে বালু তোলার কারণে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দি, কানাইগর ও শান্তিনগর গ্রাম।
অপরদিকে, নবীনগর উপজেলার ধরাভাঙ্গা এলাকায় মেঘনা নদীতে ৫-৭টি ড্রেজার দিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে রায়পুরা উপজেলার অপর একটি চক্র। স্থানীয় বিএনপির কয়েকজনকে নিয়ে এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রায়পুরা উপজেলার মির্জাচর গ্রামের বাসিন্দা নূর ইসলাম। এই চক্রটি কয়েক মাস আগে নবীনগর উপজেলার চরলাপাং এলাকা থেকেও বালু উত্তোলন করে। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাঁচটি ড্রেজার জব্দ করে। সম্প্রতি ড্রেজারগুলো ছাড়ানোর পর আবারও ধরাভাঙ্গা এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করেছে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো। এসব গ্রামের বাসিন্দারা নদীগর্ভে ঘর-বাড়ি বিলীন হওয়ার আতঙ্কে আছেন।
আরও পড়ুন
কসবায় ৫শ টাকার জন্য ফুফাতো ভাইয়ের হাতে মামাতো ভাই খুন
এদিকে, মেঘনা নদীর জাফরাবাদ বালু মহালটি প্রায় ৭৫ কোটি টাকায় ইজারা নিয়ে বিপাকে পড়েছে মুন্সি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ইজারার এক বছরের মধ্যে ইতোমধ্য ৯ মাস পেরিয়ে গেছে। মূলত এই মহালে বালুর জন্য আসা ক্রেতাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রায়পুরার বালুখেকো চক্রটি নিজেদের কাছ থেকে বালু কেনার জন্য বাধ্য করছে বলে অভিযোগ করছে মুন্সি এন্টারপ্রাইজ। এর প্রতিবাদ করায় বালুমহাল সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত মুন্সি এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ওই চক্রটি কয়েকবার এসে হামলাও চালিয়েছে।
মুন্সি এন্টারপ্রাইজের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নবীর হোসেন জানান, বৈধ ইজারাদার হয়েও আমরা নদী থেকে ঠিকমতো বালু উত্তোলন করতে পারছি না। সরকারি কোষাগারে যে টাকা দিয়ে মহাল ইজারা নিয়েছি, মেয়াদ ফুরিয়ে আসলেও সেই টাকা তুলতে পারছি না। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পাশাপাশি রায়পুরার ওই চক্রটি ক্রেতাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে বালু কিনতে বাধ্য করে। যেহেতু তাদের ইজারা মূল্য দিতে হয়নি, সেহেতু তাদের পুরোটাই লাভ।
আরও পড়ুন
জমিতে সেচ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম এর জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। খুব দ্রুতই আমরা বড় রকমের অপারেশনে যাব। যেহেতু এটি বারবার হচ্ছে, সেজন্য শাস্তিও দ্বিগুণ হবে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
নবীনগর প্রতিনিধি :
নবীনগরে টমেটোর বাম্পার ফল হয়েছে। বীরগাঁও ইউনিয়নের শোভারামপুর ও নজরদৌলত গ্রামের ইনজামামুল হক ও রফিকুল ইসলাম- আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরণ করে মাত্র ৩০ হাজার ৫ শত টাকা খরচ করে ৩৩ শতাংশ জমিতে গত বছর প্রায় ১ লক্ষ টাকা আয় করেন। এবারও চলতি মৌসুমে ইনজামামুল ঐ জমিসহ ২০০ শতক জমিতে রাজা জাতের টমেটোর চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। ইনজামামুল ও রফিকের টমেটো চাষের সাফল্যের কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকার লোকজন প্রতিদিন তাদের জমি দেখার জন্য ভিড় করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন তাদের টমেটো চাষের সাফল্যের কারণ সঠিক ভাবে জমি প্রস্তুুত, উন্নত বীজ, পর্যাপ্ত সার ও সেচ এবং প্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার। এতে তাঁদের ব্যাপক সফলতা লাভ করেন। তাঁর এই সাফল্যে এলাকার যুব সম্প্রদায় ও চাষীদের মাঝে উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে, ইনজামামুলের মতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে ২০০ শতক জমিতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারব। সারা বিশ্বে আলুর পরই টমেটো উৎপন্ন হয়, অধিকাংশ দেশেই টমেটো অন্যতম প্রধান সবজি। টমেটো কাঁচা-পাকা এবং রান্না করে খাওয়া হয়। প্রতি মৌসুমে বিপুল পরিমাণ টমেটো সস, কেচাপ, চাটনি, জুস ইত্যাদি তৈরিতে ব্যহৃত হয়,এর রং, রূপ ও স্বাদ অনন্য। টমেটোর পুষ্টির পাশাপাশি ভেষজ মূল্যও আছে,এর শাঁস ও জুস হজম কারক এবং ক্ষুধা বর্ধক, রক্ত শোধক হিসেবে ও কাজ করে।
টমেটো একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি প্রতি ১০০ গ্রামে যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হল – পানি ৯৩.১ গ্রাম, প্রোটিন ১.৯ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, খনিজ ০.৬ গ্রাম, আঁশ ০.৭ গ্রাম, সোডিয়াম ৪৫.৮ মি.গ্রাম, পটাশিয়াম ১.১৪ মি.গ্রাম, কপার ০.১৯ মি.গ্রাম, সালফার ২৪ মি.গ্রাম, ক্লোরিন ০.৩৮ গ্রাম, ভিটামিন-এ ৩২০ মি.গ্রাম, থায়ামিন ০.০৭ মি.গ্রাম, রিবোফ্লাবিন ০.০১ মি.গ্রাম, নিকোটিনিক এসিড ০.৪ মি.গ্রাম, ভিটামিন-সি ৩১ মি.গ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ১৫ মি.গ্রাম, ফসফরাস ৩৬ মি.গ্রাম এবং লৌহ আছে ১.৮ মি.গ্রাম।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উল্লেখযোগ্য জাত গুলো হল বারি টমেটো- ৩, বারি টমেটো- ৪, বারি টমেটো- ৫, বারি টমেটো-৬, বারি টমেটো- ৭, বারি টমেটো- ৯,মানিক, রতন, ইত্যাদি। এ বছর নবীনগর উপজেলায় ৮০ হেক্টর জমিতে টমেটোর চাষ করা হয়। চাষকৃত উল্লেখযোগ্য ইউনিয়ন গুলো হল- বীরগাঁও, বড়াইল, কৃষ্ণনগর, শ্যামগ্রাম, বড়িকান্দি ও সলিমগঞ্জ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
৯ নভেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও নবীনগর উপজেলায় পৃথক অভিযানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো:- সেলিম (৬১), মো. ইসরাইল মিয়া (৫০), মো. হাসান উদ্দিন (৫৩) ও মো. মোরসালিন আহম্মদ চৌধুরী (২৮)।
সেলিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের উলচাপাড়া এলাকার মৃত ছাহেদ আলীর ছেলে। তিনি রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া মো. ইসরাইল মিয়া পৌর শহরের বিরাসার এলাকার মৃত সফর আলীর ছেলে। ইসরাইল মিয়া বিরাসার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
মো. হাসান উদ্দিন নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ৪নং ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এবং আটককৃত মোরসালিন কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকার স্বপন চৌধুরী ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় বিভিন্ন স্থানের অভিযান পরিচালনা করে দুইজন আওয়ামী লীগ নেতা ও একজন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম, ইসরাইল এবং ছাত্রলীগ নেতা মোরসালিনকে হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরদিকে, নবীনগর থানার ওসি হুমায়ূন কবির বলেন, জিনোদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হাসান উদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা ও নাশকতার মামলা রয়েছে। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট ডেস্ক :
নবীনগর পুকুরে পানিতে ডুবে শিবা আক্তার নামে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১৫ এপ্রিল শনিবার সকালে উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের জগনাথপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সে ওই গ্রামের শিপন মিয়ার মেয়ে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শিবা সকালে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে খেলা করার সময় পানিতে পড়ে যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধ্যান পাওয়া যায় নি। পরে পুকুর থেকে অচেতন অকস্থায় উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার পানিতে ডুবে শিশু মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে পুকুর থেকে শিশু হাজেরার মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টায় রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। শিশুটির মা রুমা বেগম নিজেই তার সন্তানকে মধ্যরাতে পুকুরে ফেলে দেন। পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
আজ ২২ অক্টোবর রবিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পরই পারিপার্শ্বিক অবস্থায় নিহত শিশুর মা রুমা বেগমকে সন্দেহ হচ্ছিল। তাই আমরা তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রুমা তার সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
সিরাজুল ইসলাম আরো বলেন, শিশু হাজেরার মরদেহ উদ্ধারের পর রুমা জানান শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ২টায় ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যান রুমা। ঘরে ফিরে আবারো ঘুমিয়ে যান। ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরের দরজা খোলা, পাশে হাজেরা নেই। কীভাবে পুকুরে গেলো জানেন না রুমা। কিন্তু তার এ বক্তব্য ছিল সম্পূর্ণ বানোয়াট।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, তবে জিজ্ঞাসাবাদে রুমা জানান তার স্বামী দেড়বছর আগে আরব আমিরাতের দুবাই গিয়েছেন। তাদের দুটি মেয়ে আছে। বড় মেয়ের বয়স ছয় বছর ও আরেকটির চার মাস বয়স। একান্নবর্তী পরিবারের সব কাজ করতে হয় রুমাকে একাই। এ নিয়ে শাশুড়ি ও নন্দের অনেক কথাও শুনতে হয়। তাই সন্তান হাজেরার সঠিকভাবে যত্নও নিতে পারছিলেন না। এসব নিয়ে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তাই শুক্রবার মধ্যরাতে সন্তান হাজেরাকে বাড়ির কাছাকাছি একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে আসেন।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, রুমা বেগমকে রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এর পেছনে যদি অন্য কিছু থেকে থাকে আশা করছি তদন্তে তা বের হয়ে আসবে।