চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাভার্ডভ্যান চাপায় রবিউল চৌধুরী (১৪) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। ১৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিয়াল্লিশ্বর কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে ঘটে এই ঘটনা।
নিহত রবিউল সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাঁন্দপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান চৌধুরীর ছেলে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকুল চন্দ্র বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মহাসড়কের পাশ দিয়ে রবিউল নামের এক কিশোর হেঁটে যাচ্ছিল। এসময় কুমিল্লাগামী একটি কাভার্ডভ্যান তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।
তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে। তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা ওয়ারি জোনের ডিসি (উপ-কমিশনার) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে যাত্রাপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতিকালে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণে এক আনন্দ আড্ডায় মিলিত হন। এ সময় তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মনজুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাদা, সিনিয়র সদস্য মোহাম্মদ আরজু, কোষাধ্যক্ষ আবুল হাসানাত মোঃ সাবেরিন ভূঞা লিটন।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে জামাই ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
৩ নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মোবারক হোসেন (২৫) নামে এ ঘটনা ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
মোবারক হোসেন জেলা শহরের পীর বাড়ির আব্দুল আলীমের ছেলে।
মোবারক দুবাই প্রবাসী ছিলেন।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোবারক গত ৭-৮ মাস আগে শহরের ছয় বাড়িয়ার সফর আলীর মেয়ে তানিয়া (১৮) কে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে শান্তি ছিল না। একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করতো না। মোবারক সন্ধ্যা দিকে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মোবারক শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মোবারকের বাবা আব্দুল আলীমের অভিযোগ, মোবারককে তার স্ত্রী তানিয়া ও শালা আশরাফুল সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। মোবারকের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় তারা। এ ঘটনায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন চারতলা বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী একাডেমিক ভবনের শুভ উদ্বোধন করেছেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে তিনি নতুন একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন। ভবনটির উদ্বোধন শেষে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এস.এম. আর ওসমান গণির সভাপতিত্বে অভিভাবক সমাবেশ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
সন্তানদেরকে সমাজের সৎ ও ভালো মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আমার সন্তান যদি না জানে, সত্য মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা দরকার, তাহলে তো সে সত্য মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে না। বর্তমানে সমাজে টাউট বাটপার ভরে গেছে। এই অবস্থায় আপনার সন্তানদের পক্ষে সঠিক মানুষ বাছাই করা কঠিন। সুতরাং এই বাছাই করার কাজটা আপনারা আপনাদের সন্তানদের শিখাবেন। এছাড়া কোনো পথ নাই। আপনি যদি এটি শিখাতে পারেন তবেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভালো হবে। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া যদি ভালো হয়, তাহলে বাংলাদেশও ভালো হবে। বাংলাদেশটা ভালো হলেই ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’ এই মর্মবাণী সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, সমাজে সৎ মানুষের দরকার রয়েছে এইজন্য, কারণ সৎ মানুষ ছাড়া পৃথিবীর উন্নয়ন হয় না, পৃথিবীর অগ্রযাত্রা হয় না। সৎ মানুষ সবসময় চিন্তা করে, ‘শুধু আমি নয়, আমার পুরো পরিবেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন সাংবাদিক মুহাম্মদ মূসা। তিনি সারা শহর ঘুরে বেড়াতেন, পারত পক্ষে রিক্সায় চড়ার চেষ্টা করেননি। হেঁটে হেঁটে চলতেন। তাঁর মতো মানুষ কত জন এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আছে? আজ তিনি প্রয়াত। আমি অভিভাবকদের বলবো, আপনারা মূসা সাহেবের মতো সৎ ও ভালো মানুষদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখবেন। ভালো মানুষদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলেই আপনি ভালো মানুষ হবেন। আর খারাপ মানুষদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়লে আপনারাও খারাপ মানুষ হয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, একসময় বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল। আর সেজন্য বাংলাদেশের জন্মের ক্ষেত্রে প্রধানতম ব্যক্তিত্ব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। কেননা শেখ মুজিব থাকলে বাংলাদেশ থাকবে, এরকম একটা ধারণা হয়ে গিয়েছিল তাদের। কিন্তু তারা জানত না যে, শেখ মুজিব ছাড়াও বাংলাদেশ থাকতে পারে, কেননা তিনি অগণিত শেখ মুজিব রেখে গিয়েছিলেন, যারা বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে জানে।
মোকতাদির চৌধুরী বলেন, শুধু তাঁর কন্যা শেখ হাসিনার কথা বলছি না। শেখ হাসিনা যখন দেশে আসেন নাই, তিনি যখন কোনো নির্দেশ দেন নাই, তখনও বাংলাদেশে শেখ মুজিবের পক্ষে উচ্চ কণ্ঠে কথা বলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ। তিনি আজ ২৪ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইনে জেলা পুলিশের কুচকাওয়াজে সশস্ত্র বাহিনীর সালাম গ্রহণ করেন এবং কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে জেলা পুলিশ সদস্যদের সাথে পুলিশ লাইন্সের এক কল্যাণ সভায় মিলিত হন।
পরে বেলা ১২টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাবেদুর রহমানসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।