চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ দেড় মাস পর স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে আইনজীবীরা আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেন। বিচারপ্রার্থীরাও আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। এতে আদালতের স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা আইনজীবী সমিতিতে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় আইনজীবীরা আদালতে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। তবে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালত বর্জন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
এদিকে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা) ছুটিতে থাকায় বিচার কাজ পরিচালনা করেন ট্রাইব্যুনাল -৩ এর বিচারক। ফলে সব আদালতের কার্যক্রমেই অংশ নিচ্ছেন আইনজীবীরা।
এদিন দুপুর ১২টায় জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগারকে তার এজলাসে বসে স্বাভাবিক বিচার কাজ পরিচালনা করতে দেখা গেছে। জেলা জজের এজলাসেও আইনজীবীদের স্বাভাবিক উপস্থিতি ছিল।
এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ছুটিতে থাকায় ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) রবিউল আলম ট্রাইব্যুনাল -১ এর মামলাগুলো পরিচালনা করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী সামসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সোমবারের বিশেষ সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনজীবীর আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সব আদালতের কার্যক্রমেই অংশ নিয়েছেন।
নতুন মামলা রুজু নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১ জানুয়ারি থেকে আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করতে থাকেন।পরে জেলা ও দায়রা জজ ও নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর অপসারণ এবং নাজির মোমিনুল ইসলামের বিচারের দাবিতে গত ৪ জানুয়ারি থেকে আইনজীবীরা দফায় দফায় আদালত বর্জন করেন।
পরে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দুটি আদালত ছাড়া অন্য সব আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিতে থাকেন। এদিকে বেঁধে দেওয়া সময়ে আইনজীবীদের দাবি পূরণ না হওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বাত্মক আদালত বর্জন কর্মসূচির ঘোষণা দেন আইনজীবীরা।
এতে হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী চরম দুর্ভোগের শিকার হন। পরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে স্থানীয় এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আসলাম হোসেন।
গতকাল শনিবার সকালে জেলা পুলিশ লাইনসের ড্রীলশেডে আয়োজিত জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন ওসি আসলাম হোসেনের হাতে সম্মাননা ক্রেষ্ট তুলে দেন।
জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় জেলার ৯টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। সভায় পুলিশের পারফমেন্স বিবেচেনায় এপ্রিল মাসে মোহাম্মদ আসলাম হোসেন জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত এপ্রিল মাসে সদর মডেল থানার পুলিশ ৯৮জন চোর, ছিনতাইকারী ও ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। একই সময়ে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামীসহ ৩১জন সাজাপ্রাপ্ত আসামী এবং গ্রেপ্তারী পরোয়ানার পলাতক ১৫১জন আসামী গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও এপ্রিল মাসে সদর মডেল থানার পুলিশ দুটি ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করে এবং ৫৩৩টি দেশীয় অস্ত্র এবং ১ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করে। এছাড়াও তার এই প্রাপ্তিতে আইন-শৃংখলা রক্ষায় বিরাট ভূমিকা ছিলো। এর আগেও তিনি কয়েক বার জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে পুরস্কৃত হন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, এই সম্মাননার মধ্য দিয়ে আগামী দিনের দায়িত্ববোধ আরো বেড়ে গেলো। এই পুরষ্কার আমাকে আগামীতে সদর থানার জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
বিশেষ প্রতিনিধি :
“স্মার্ট গ্রন্থাগার, স্মার্ট বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশে উদ্যাপিত হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস ২০২৩। এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার এর যৌথ আয়োজনে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকেলে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের হলরুমে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথিা বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জয়নাল আবেদিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মো. আ. কুদদূস, সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক জয়দুল হোসেন। বাচিকশিল্পী ও সাংবাদিক মোঃ মনির হোসেন এর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারি পরিচালক সাইফুল ইসলাম লিমন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, বেসরকারি গণগ্রন্থাগার জেলা কমিটির সভাপতি, কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবনের বিনিময়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। এই বাংলাদেশকে আগামীতে নেতৃত্ব দিবে যে তরুণ প্রজন্ম তাদের সত্যিকারের দেশ্রপ্রেমিক ও আর্দশ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তার জন্য বই পড়া ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন, শুধুমাত্র চাকরির জন্য নয়, বই পড়তে হবে আলোকিত মানুষ হতে। এইজন্য শুধু পাঠ্যবই পড়লেই হবে না। পাঠ্য বইয়ের বাহিরে অন্যান্য বইও পড়তে হবে। বাংলাদেশকে এবং পৃথিবীকে জানতে হবে। বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ নিয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ আমাদের জিততে হবে। আর এই চ্যালেঞ্জ জিততে হলে একটি সক্ষম জনগোষ্ঠি তথা স্মার্ট সিটিজেন গড়ে তুলতে হবে। তারজন্য শুধু ভালো রেজাল্ট করা ছাত্র-ছাত্রী নয়, আমাদের ভালো মানুষও লাগবে। এই ভালো মানুষ গড়ে তুলতে পারে কেবলমাত্র বই।
প্রধান অতিথি নিজের শিক্ষা জীবনের নানান স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাদের সময়ে পাঠ্যবইয়ের পাশাপশি আমরা প্রচুর আউট বই পড়েছি। জ্ঞান যতটুকু অর্জন করেছি তা এই আউট বই পড়ে। নিজের রুমকে লাইব্রেরি বানিয়ে। তিনি রাষ্টের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক উদ্যোগে গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করে শিশু-কিশোর ও তরুণদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার উপর গুরুত্তারোপ করেন। তিনি পাঠাগার পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ পাঠউপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। এসময় তিনি পাঠাগার এবং বই সংশ্লিষ্ট যে কোন কার্যক্রম পরিচালনায় সব ধরনের সহযোগীতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভা শেষে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার ও জেলা শিশু একাডেমি কর্তৃক বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাহিত্য-সংস্কৃতিকর্মী মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ। সহযোগিতায় ছিলেন জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান মোঃ আনিছুর রহমান। অনুষ্ঠানে লেখক-সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন গ্রন্থাগার প্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে মৃত ব্যক্তিসহ পাঁচ ভোটারের ভুয়া স্বাক্ষর দেওয়ার অভিযোগে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ইব্রাহীমের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বাকি পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
আজ ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থীর ক্ষেত্রে মনোনয়ন দাখিলের সময় মোট ভোটারের এক শতাংশ স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। এরমধ্য থেকে নির্বাচন কমিশন দৈবচয়নের মাধ্যমে ১০ জনের স্বাক্ষর যাচাই-বাছাই করা হয়। এ ১০ জনের মধ্যে চারজন কোনো স্বাক্ষর করেননি। তালিকায় একজন মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর রয়েছে।
মনোনয়ন বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান আলম, জাতীয়পার্টির আব্দুল হামিদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. রাজ্জাক হোসেন, স্বতন্ত্রপ্রার্থী জিয়াউল হক মৃধা ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম (জুয়েল)।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৩-১৭ অক্টোবরের মধ্যে প্রার্থী আপিল করতে পারবেন। ১৮ অক্টোবর আপিল নিষ্পত্তি করা হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ অক্টোবর। ২০ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগামী ৫ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। ৪ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রম্য লেখক, নাট্যব্যক্তিত্ব ও ঔপন্যাসিক পরিমল ভৌমিকের নতুন বই ‘রাক্ষুসে বিলাপ’ উপন্যাসের মোড়ক উন্মোচন ও পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকালে চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের আয়োজনে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের হল রুমে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগারের সভাপতি ও কথা সাহিত্যিক আমির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মোঃ আবদুল কুদ্দূস।
সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন সাহিত্য একাডেমির সভাপতি, কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম লিমন, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট অঞ্চল) সাংবাদিক মোঃ মনির হোসেন।
সভায় ‘রাক্ষুসে বিলাপ’ উপন্যাসের উপর বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন সাহিত্য একাডেমির সহ-সভাপতি কবি ও কথাসাহিত্যিক অ্যাডভোকেট মানিক রতন শর্মা, তিতাস সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের উপদেষ্টা মোঃ আব্দুর রহিম, আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক এম.এ হানিফ, জেলা পাবলিক লাইব্রেরির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল আলম বাবু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কবি পরিষদের সভাপতি, কবি ও গল্পকার শৌমিক ছাত্তার।
ঝিলমিল একাডেমির পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের চিকিৎসক মোঃ আব্দুল মতিন (সেলিম)।
সভায় বক্তারা বলেন, পরিমল ভৌমিক একজন নির্ভেজাল মানুষ। তিনি একজন সজ্জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। পেশায় শিক্ষক হয়ে পড়ন্ত বয়সেও পরিমল ভৌমিকের গীতিশীল লেখালেখি তরুণ লেখকদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যোগাবে।
উল্লেখ্য ‘রাক্ষুসে বিলাপ’ পরিমল ভৌমিক ভৌমিকের প্রকাশিত সপ্তম বই (দ্বিতীয় উপন্যাস)। তাঁর বেশ প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থ সমূহ হলো- বহু রূপি ভূত (২০০৮) দৈত্য দানব ভূত (২০০৯), ১০টি রম্য রচনা (২০১০), ‘নাম ফাটুক-মনে কিছু কইরেন না’ (রম্য রচনা-২০২০), ভৌতিক গল্প ‘ভূত গবেষণা ইনস্টিটিউট’ (২০২১) ‘কাহিনির শেষ পাতায়’ (উপন্যাস-২০২২) ‘রাক্ষুসে বিলাপ’ (উপন্যাস-২০২৩) বইগুলো প্রকাশ করেছে জ্ঞানজ্যোতি প্রকাশনী, ঢাকা।