স্টাফ রিপোর্টার :
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদযাপিত হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাপোস্ট ডটকমের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পিতবার দুপুর ১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্ত্বর থেকে বের হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। এতে অংশ নেন গণমাধ্যম কর্মী, সুশিল সমাজের প্রতিনিধি ও সামাজিব সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। শোভাযাত্রাটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে এসে শেষ হয়। পরে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকাপোস্ট ডটকমের জেলা প্রতিনিধি বাহাদুর আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাবেদ রহিম বিজনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফাইজুর রহমান ফয়েজ, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের প্রচার সম্পাদক ডা. খোকন দেবনাথ এবং আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবু হামেদ বাবু। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান এবং নোঙর এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি শামীম আহমেদ।
সভায় বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র এবং সমাজ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সমাজের অসঙ্গতির পাশাপাশি এখন পজিটিভ বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার খবরগুলোও উঠে আসছে গণমাধ্যমে। এক্ষেত্রে অনলাইন গণমাধ্যমগুলো সবার আগে খবর পৌঁছে দিচ্ছে পাঠকদের কাছে। এক ক্লিকেই এখনকার ঘটনার খবর এখনই মিলছে। বক্তারা আরও বলেন, ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় সরকারের- সেটি বাস্তবায়নে ঢাকাপোস্টের মতো প্রথম সারির গণমাধ্যমগুলো দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা মাধ্যমে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। পরে আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা ঢাকাপোস্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।
কেক কাটা ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সাংবাদিক সৈয়দ মোঃ আকরাম, মফিজুর রহমান লিমন, সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ অপু, মজিবুর রহমান খান, আশিকুর রহমান মিঠু, আজিজুর রহমান পায়েল, শফিকুল ইসলাম, আবুল হাসনাত রাফি, আজিজুল সঞ্চয়, ইফতেয়ার রিফাত, মেহেদী নুর পরশ, আবুল হাসনাত অপু, মাফুকুর রহমান জ্যাকি, আনিসুল হক রিপনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
’মাদককে না বলি’ শ্লোগান নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আগামীকাল ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে সোনালী লাইফ হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা ২০২৩। দেশ-বিদেশের ২৫০ জন দৌড়বিদ এতে অংশগ্রহন করবেন। যার মধ্যে ভারত, জাপান, রাশিয়া এবং নেপালের ৬ জন দৌড়বিদ রয়েছেন।
এ উপলক্ষে আজ ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উদ্যোগে এক প্রেসব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হামজা মাহমুদ। এতে কলেজের উদ্ভিদ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির কর্ণধার দিলারা আক্তার খানমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক এ, জেড, এম আরিফ হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, কলেজেরসহযোগী অধ্যাপক খালিদ হোসেন খান, মোশারফ হোসেন, ট্রাফিক অফিসার অবচ্যুতদাস গুপ্ত, প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি ইব্রাহীম খান সাদত ও সোনালী লাইফের কর্মকর্তা এমদাদুল হক। এছাড়া কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান ম্যারাথন দৌড় সম্পর্কে সার্বিক বিষয় তুল ধরে বক্তব্য রাখেন বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোঃ রাজন মিয়া ওআলী আহাদ রতন।
এ সময় বক্তারা বলেন, ২০২২ সালে স্থানীয়ভাবে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম বৃহৎ পরিসরে এ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আগামীকাল ১০ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন থেকে সকাল ৬টায় শুরু হবে এ হাফ ম্যারাথন। যেখানে ২১.১ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিবেন ৭৭ জন, ১০ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিবেন ৮৪ জন এবং ৫ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিবেন ৮৯ জন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গন শুরু হওয়া ম্যরাথন দৌড় শিমরাইলকান্দি শেখ হাসিনা রোড, চর ইসলামপুরের গঙ্গানগর হয়ে আবার শিমরাইলকান্দি ব্রীজে এসে শেষ হবে। দৌড়কে সুস্থতার হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরতে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া আনুমানিক ১০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা শিশুটি অবশেষে মারা গেছে।
আজ ২২ জুলাই শনিবার বেলা ১১টার দিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। শিশুটি দুইদিন জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অচেতন অবস্থায় ছিলো।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিজয়নগর উপজেলার মেরাশানি রেলওয়ে স্টেশনে অতিক্রমকালে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যায় ১০ বছর বয়সী ছেলে শিশুটি। স্থানীয়রা শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে গ্রাম্য চিকিৎসক ও পরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে শিশুটি মারা গেছে।
তিনি আরো বলেন, শিশুটির নাম-পরিচয় সনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাতিঘর নামক একটি সংগঠনের কাছে তার লাশ দাফনের জন্য হস্তান্তর করেছি।
ভাদুঘরে পৌরসভার বিজয় মেলা’র উদ্বোধন
স্টাফ রিপোর্টার:
মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের মাসকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার আয়োজনে প্রথমবারের মতো ১৫-৩১ ডিসেম্বর ২০২২ “বিজয় মেলা” এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ভাদুঘর বাসটার্মিনাল সংলগ্ন মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর হোসনে আরা বেগম, শাহানা বেগম, মিনারা বেগম, নিলুফা ইয়াছমিন, কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন, শেখ মোঃ মাহফুজ মিয়া, আক্তার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মোঃ আবদুল মালেক, ওমর ফারুক জীবন, ফারুক আহমেদ, মীর মোঃ শাহীন মিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া, মোঃ কাওসার মিয়া, মোঃ সাকিল, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী কাউসার আহমেদ, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামছুদ্দিন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কাউছার, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কাজীসহ পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ৯ মাস যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। আজও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছু মূল নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। এর মূলে ছিল বাঙালী জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করেছিল সেই যুদ্ধে। কিন্তু যারা পাকিস্তানে বিশ্বাস করেছে, যারা বাংলাদেশে বিশ্বাস করেনি এবং যারা ধর্মান্ধ- সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিল, তারাই ‘জয় বাংলা’ শ্লোগানের বিরোধীতা করেছে। এখনো তারা বিভিন্নভাবে স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করছে। তাদের থেকে সকলে সতর্ক থাকতে হবে।
এ সময় তিনি ভাদুঘরে বিজয় মেলার আয়োজন করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা মেয়র মিসেস নায়ার কবির ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার পর ভাদুঘরের উন্নয়নে শহর রক্ষা বাধ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও ভাদুঘর মাহবুবুল হুদা পৌর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা উল্লেখ করেন। এই ধারা অব্যাহত রাখতে ভাদুঘরের বিভিন্ন উন্নয়নে পৌর মেয়রকে সুদৃষ্টি রাখার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, ১৫ ডিসেম্বর থকে শুরু হওয়া বিজয় মেলা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রতিদিন অতিথি শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন পণ্যের স্টল ও লাকি কুপন লটারির আয়োজন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের নন্দনপুর এলাকায় চলতি আমন মৌসুমে জমে উঠেছে ধানের চারার হাট। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখরিত থাকে হাটটি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশ জেলা থেকে কৃষকরা আসেন এই হাটে ধানের চারা কিনতে। প্রতিদিন এই বাজারে প্রায় ৮ লাখ টাকার চারা বিক্রি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে নন্দনপুরের এই ধানের চারার হাটটি বেশ পুরাতন। আমন মৌসুমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত থাকে এই হাটটি। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই হাটে ধানের চারা বেচা-বিক্রি হয়।
সরজমিনে দেখা গেছে, ক্রেতারা বাজারে ঘুরে ঘুরে তাদের পছন্দসই ধানের চারা কিনছেন। বিক্রেতারাও তাদের চারার প্রকারভেদে দাম চাচ্ছেন। এই হাটে ধানের চারা আটি ভেদে বিক্রি করা হয়। ছোট চারার আটি প্রকারভেদে ৭০ টাকা থেকে ১২০ ও বড় চারার আটি প্রকারভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি করা হয়।
এবার এই হাটে বিআর-২২, খাসা, নাজির, ও বিনা ধান-৭ এর চারা বেশী বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা তাদে পছন্দসই চারা কিনে বিভিন্ন যানবাহনে করে নিয়ে যান।
সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মোঃ সফর মিয়া বলেন, তিনি এই বাজারে ধানের চারা কিনতে এসেছেন। প্রতি বছরই তিনি এই বাজার থেকে তার চাহিদা অনুযায়ী ধানের চারা কিনেন।
তিনি বলেন, বিআর-২২ জাতের ২০ আটি চারা ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এই চারা দিয়ে ১ কানি (৩০শতাংশ) জমি রোপন করতে পারব। তবে গত বছরের তুলনায় এই বছর চারার দাম একটু বেশী। তিনি বলেন, এই বাজারের চারার মান অনেক ভালো। চারা ভালো হলে ধানের ফলনও ভালো হয়।
ধানের চারা কিনতে আসা জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের স্বপন মিয়া বলেন, আমন মৌসুমে এই অস্থায়ী ধানের চারার বাজারটি বেশ জমজমাট হয়। আমি গত কয়েক বছর ধরে আমার ৬ কানি জমিতে রোপন করার জন্য এই বাজার থেকেই চারা কিনি। বিআর-২২ জাতের ২৮ আটি চারা ২ হাহার ৮২০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এই চারা দিয়ে দেড় কানি জমি রোপন করতে পারবো।
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা থেকে আসা কৃষক রমিজ মিয়া বলেন, তিনি দুই কানি জমির জন্য চারা কিনবেন। চারা বিক্রেতারা প্রকারভেদে চারার দাম চাচ্ছেন। চারার দাম আমাদের নাগালেই মধ্যেই আছে। প্রকার ভেদে ছোট চারা প্রতি আটি ৮০ টাকা থেকে ১২০ ও বড় চারার আটি ২০০-২৫০ টাকা দাম চাচ্ছেন বিক্রেতারা। এই চারার হাটে কোন দালাল নেই। মহাসড়কের পাশে বাজারটি হওয়ায় যানবাহনও সহজে পাওয়া যায়।
হাটে চারা বিক্রি করতে আসা সদর উপজেলার হারিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবার ২ কানি জমিতে ধানের বীজতলা করেছি। চারা ভালো দামেই বিক্রি করছি। ছোট চারা আটি ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এই হাটে বিআর-২২, খাসা, বিনা ধান-৭সহ বিভিন্ন জাতের ধানের চারা বিক্রি হয়। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ আশপাশের জেলার কৃষকরা এই বাজারে আসেন তাদের পছন্দসই চারা কিনতে।
বাজারে চারা বিক্রি করতে আসা সুহিলপুর ইউনিয়নের মিন্টুর রঞ্জন দাস বলেন, আমন মৌসুমে অস্থায়ী এই ধানের চারার হাটটি ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত থাকে। এই হাটে যে কেউ চারা বিক্রি করতে পারে। তিনি বলেন, দেড় কানি জমিতে বীজতলা করেছি। দেড় কানি জমি বীজতলা করতে তার ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি জমিতেই পাইকারের কাছে ৪৫ হাজার টাকায় চারা বিক্রি করেছেন।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, প্রতিদিনই নন্দনপুরের এই অস্থায়ী হাটে ধানের চারা বেচা-বিক্রি হয়। এই বাজারে মান সম্মত চারা পাওয়া যাওয়ায় আশপাশ জেলা থেকেই কৃষকরা আসেন চারা কিনতে। তিনি বলেন, উন্নত বীজতলা তৈরীর জন্য আমরা কয়েকজন কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে সব ধরনের সহযোগীতা করা হচ্ছে। এই বাজারে প্রতিদিন ৮/ ১০ লাখ টাকার চারা বিক্রি হয়। এবছর এই হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার চারা বিক্রি হবে বলে আশা করি।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হৃদয় (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
আজ ৬ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরের দিকে জেলা পৌর শহরের গোকর্ণঘাট এলাকার পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
হৃদয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নরসিংসার গ্রামের হোসেন মিয়ার ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে গোকর্ণঘাট এলাকার পশ্চিমপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে হৃদয় গোসল করে ভেজা কাপড় বারান্দার রশিতে শুকাতে দিচ্ছিলেন। এ সময় পাশে থাকা বিদ্যুতের তারের সঙ্গে ওই ভেজা কাপড়ের স্পর্শ লাগে। এতে হৃদয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।