চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও দূষণমুক্ত পরিবেশের জন্য বাইসাইকেল চালিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের ৮ জন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস স্মরণে বাংলাদেশে ভ্রমণে এসেছেন তারা।
চলতি মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী প্রদেশের চন্দননগর থেকে তারা বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি রানাঘাট দর্শনা হয়ে আলমডাঙ্গা দিয়ে কুষ্টিয়া প্রবেশ করেন তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি দর্শন করে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ঘাট হয়ে নদীপথে প্রবেশ করেন জেলা শহর পাবনাতে।
আজ ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল থেকে পাবনার উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করে কাজিরহাট হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরবেন নিজ দেশে। ইন্দবাংলা বাইসাইকেল র্যালি নামে এই সংগঠন বাংলাদেশে চতুর্থ বারের মতো ভ্রমণ করছে।
১০ দিনের এই বাইসাইকেল ভ্রমণকালে বিভিন্ন জেলা শহরের দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শনসহ সাধারণ মানুষের সাথে তারা সংযোগ স্থাপন করবেন। ভ্রমণের দল প্রধান হিসাবে রয়েছেন দলের একমাত্র নারী সদস্য মহুয়া ব্যানার্জি। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন তার স্বামী শিক্ষক শৈবাল ব্যানার্জি। এছাড়া যারা এসেছেন তাদের মধ্যে দুইজন ব্যবসায়ী ও ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। যে সকল সদস্য এবারের এসছেন তারা হলেন, শিক্ষক শ্রীকান্ত মন্ডল, শিক্ষক প্রণব মাইতি, শিক্ষক প্রসনজিৎ সরকার, শিক্ষক রমজান আলী, ব্যবসায়ি অঞ্জন দাস ও সত্যব্রত ভান্ডারী।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটে ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটককৃত ডাকাতরা রাজশাহী ও রংপুরের আলোচিত একটি ডাকাতির সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতাররা হচ্ছেন, বাগেরহোট সদর উপজেলার পাতিলাখালী এলাকার নূর মোহাম্মাদের ছেলে জালাল শেখ (৫৭), একই এলাকার আবুল কালাম শেখের ছেলে কাদের শেখ (২৮), যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধনিরগাতী এলাকার মোতালেবের ছেলে কামরুল ইসলাম (৪০), একই জেলার কোতায়ালী উপজেলার হামিদপুর এলাকার মোকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ইকতিয়ার বিশ্বাস (৪২), ও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুন্দসী এলাকার ধলা গাজীর ছেলে জাকির গাজী (২৮)।
আজ ১২ আগস্ট শনিবার দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপার আরিফুল হক প্রেস বিফিংএ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল, গুলিসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম এবং পূর্বে ডাকাতি করে আনা মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গত ২৫ জুলাই রাজশাহীতে স্টোর ভেঙে ডাকাতি ও রংপুরের একটি আলোচিত ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে রাজশাহী ও রংপুরে ডাকাতি ছাড়াও অন্য কোথায় কোথায় ডাকাতি করেছে তা জানা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সোমবার চিফ অফ জেনারেল স্টাফ এবং প্রধান নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক উপদেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি শীর্ষ পদে নতুন লোক নিয়োগ দিয়েছেন।
ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, অফিসিয়াল গেজেটে প্রকাশিত এক ডিক্রি অনুযায়ী এরদোগান আকিফ চাগাতায়ে কিলকে নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক নতুন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেছেন।
অপরদিকে তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীর (টিএসকে) ল্যান্ড ফোর্সেস কমান্ডের প্রধান মুসা অ্যাভসেভারকে অন্তর্বর্তীকালীন চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি তার অন্তর্বর্তী মেয়াদে বর্তমান পদেও বহাল থাকবেন।
অন্যদিকে তুরস্কের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাসেলসানের সিইও হালুক গর্গুন রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত প্রধান প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা শীর্ষ প্রতিরক্ষা সংস্থা ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজের (এসএসবি) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
অনলাইনে প্রেম, এরপর প্রেমিকার সাথে দেখা করতে অবৈধভাবে বাংলাদেশে এসে ধরা পড়ে ৩ বছর কারাভোগ। প্রেমের জন্য এমন ইতিহাস এ কালের। কারাভোগ শেষে আফফান শেখকে ২৫ মে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার একটি মেয়ের সাথে মোবাইলে আনলাইনে প্রেম হয় ভারতের পম্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলংঙ্গি থানার কলেজ ছাত্র আফফান শেখ্রে। এরপর প্রেমিকার সাথে দেখা করতে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসে আফফান শেখ। ফিরে যাবার সময় ধরা পড়ে বিজিবির হাতে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৩ মাসের জেল হয় তার। এরপর বন্দি ফেরত প্রক্রিয়ার আইনি জটিলতায় ৩ বছর জেলে থাকতে হয় তার।
আফফান শেখ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলংঙ্গি থানার সরকার পাড়া গ্রামের ইসমাইল শেখের ছেলে।
এ সময় আফফান শেখ বলেন, ‘আসলে অনলাইন প্রেম একটি আবেগ আর প্রতারনা। আমার জীবন থেকে ৩টি বছর ঝরে গেল। আমি আমার প্রেমিকার সাথে দেখা করে ফিরে যাবার সময় তার ভাইয়েরা আমাকে বিজিবির হাতে ধরিয়ে দেয়। আমার মতো কেউ যেন এভাবে ফাঁদে না পড়ে আর অবৈধভাবে কেউ যেন বাংলাদেশে না আসে।’
আফফান শেখের বাবা ঈসমাঈল শেখ বলেন, ‘আমি ফার্নিচার মিস্ত্রী। ফার্নিচারের নকশা কাটি। ছেলে আমার কলেজে বিএ পড়তো। আমাকে হাতের কাজে সাহায্যও করতো। হঠাৎ একদিন বাংলাদেশে চলে আসে। ধরা পড়ে বিজিবির হাতে। বিজিবি আমাকে ফোন দিয়ে জানায়। এরপর অনেক চেষ্টা করে হাই কমিশনে দৌঁড়াদৌড়ি করে আজকে ছেলেকে ফেরত পেলাম। আমার বুকের ধন বুকে ফিরে এসেছে।কি যে ভাল লাগছে বোঝাতে পারব না।’
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ আবু নাঈম জানান, ২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার কারণে বিজিবি তাকে আটক করে দৌলতপুর থানায় সোপর্দ করেন। দৌলতপুর থানা পুলিশ মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠালে আদালত আফফান শেখকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে সাজা ভোগ শেষে দর্শনা সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)’র পতাকা বৈঠকের পর তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দর্শনা আইসিপি বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল ও গেদে বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার এসি মহেশ পোদ্দারের নের্তৃত্বে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা দর্শনা ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু নাঈম, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ গোপাল চন্দ্র , গেঁেদ কাস্টমস ইনচার্জ সুব্রত মন্ডল, দর্শনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার, কৃষ্ণগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন কুমার ঘোষ, ডিএসবি কামাল হোসেন, এনজিও কর্মী চিত্ত রঞ্জনসহ আফফান শেখের পরিবারের লোকজন।
অনলাইন ডেস্ক :
মালিকপক্ষ শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলেই সাজা হিসেবে জরিমানা পাঁচ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি।
তিনি বলেন, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলে তাদের সাজা বাড়ানোর বিষয়ে আইনে একটা ধারা আছে, সেখানে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ছিল।
সেটা এখন ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। হয়তোবা সেটা ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে।
আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের (আইএলও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগেও শ্রম আইন নিয়ে আইএলওয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, আজকেও শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে বিদেশিদের সঙ্গে দর কষাকষি হচ্ছে এ বিষয়টিকে আপনারা কিভাবে দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো দর কষাকষির মধ্যে নেই। আইএলও হচ্ছে সারা বিশ্বের একটি সংগঠন। এখানে সব সময় শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। সে বিষয়ে তাদের বক্তব্য সব সময় তাদের থাকে। তাদের সঙ্গে আমরা আজকে বসেছিলাম।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমরা এখন শ্রম আইন সংশোধন করছি। এটা সংশোধিত হয়েছিল গত সংসদে। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে যায়, সেখানে পৌঁছানোর পরে দেখা যায় কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি ছিল, যে জন্য এটা আবার ফেরত আনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন যখন প্রণয়ন করা হয়, তখন বিশ্বের প্রাকটিসগুলো আমরা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছি। সেখানে আইএলওয়ের একটি অংশগ্রহণ থাকে। আপনারা এও জানেন যে, আইএলওয়ের যে গর্ভনিং বডিতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কিছু দেশ নালিশ করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। তারপর আমরা বহুবার আইএলওয়ের গর্ভনিং বডির মিটিংয়ে বলেছি, আমাদের শ্রমিকদের শুধু অধিকার রক্ষাই হয়নি। শ্রমিকদের অধিকার আরও সুদৃঢ় হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিরুদ্ধে যে অহেতুক একটা নালিশ করা হয়েছে, সেটা শেষ হওয়া উচিত। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ও আমাদের শ্রম আইন নিয়ে কথা বলার জন্য তাদের সঙ্গে বসেছি।
তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রম আইনটাকে সঠিকভাবে সম্পূর্ণভাবে সংশোধন না করছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্টেক হোল্ডার এবং আন্তর্জাতিক যেসব সংস্থা আছে, যারা শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলে তাদের কথা শোনাব। তার কারণ হচ্ছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী, তার নির্দেশনা অনুযায়ী যে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা হয়। তার সঙ্গে নতুন যারা পরামর্শ দিচ্ছেন তার কোনো মৌলিক পার্থক্য আছে কি না। আমরা কিন্তু কোনো মৌলিক পার্থক্য খোঁজে পাইনি।
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয় সেজন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করবো। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, সংরক্ষণসহ যা কিছু করার জন্য যার যার কথা শোনা দরকার আমরা শোনাবো। সেই কারণেই আমরা আলোচনায় বসেছি। আমরা তাদের পরামর্শ শুনেছি। আজকের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ৭ মে আইএলওয়ের যে কিছু পরামর্শ আছে সেটা তারা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যে টেকনিক্যাল কমিটি আছে সেখানে তারা উপস্থাপন করবেন। ১২ মে সেটা সম্পন্ন করার জন্য একটি সভা ডাকবো এবং সেখানে আমরা শ্রম আইন সংশোধনের বিষয়ে আইএলওয়ের যে বক্তব্য বিষয়ে চূড়ান্ত বক্তব্য রাখবো।
আইএলওয়ের কি পরামর্শ ছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে তারা যে পরামর্শ দিয়েছেন সেগুলোর সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আগে ৩০ হাজারের অধিক শ্রম আছে যেসব কারখানায় সেখানে শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন বা সংগঠন করতে হলে ২০ শতাংশ সমর্থনের প্রয়োজন হতো। এখন সেটা কমিয়ে সব কারখানার জন্য ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। আমরা তাদেরটা মেনে নিয়েছি। এছাড়া আন্তর্জাতিক মানে সংঘ কিছু সার্বিক পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে সেটা করা হবে।
আইএলও তো ১০ শতাংশের কথা বলেছিল, সেটার কি হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, সেটা নিয়ে আজকে কোনো কথা হয়নি। তারা ১৫ শতাংশেই রাজি হয়েছেন। কারণ আমি অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি, এখন ১৫ শতাংশ হবে। কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য ১০ শতাংশে যাওয়া সেটা আমরা ধীরে ধীরে যাবো।
আইএলও মালিকদের সাজার জরিমানা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন, সেই বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, মালিকদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে, তাদের বিচার হচ্ছে, এখানে মালিকদের সাজা বাড়ানোর কথা ঠিক না। বিষয়টা হচ্ছে, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘন করলে তাদের সাজা বাড়ানোর বিষয়ে আইনে একটা ধারা আছে সেখানে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ছিল। সেটা এখন ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। হয়তোবা সেটা ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে, তবে সেটা সব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলাপ করে, মালিক, শ্রমিক এবং অন্যান্য স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ করেই করা হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আইএলওয়ের সর্বশেষ মিটিংয়ে আমরা আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে গিয়েছিলাম। সেখানে তাদের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আমার মনে হয়নি, আমাদের সাথে তাদের কোনো পার্থক্য আছে। আমরাও চাই আমাদের বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের শ্রমিকদের সব চাহিদা পূর্ণ করে, শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে কাজ করবো? আইএলও যেসব পরামর্শ দিচ্ছে সেগুলোর সঙ্গে আমাদের আইন একই আছে। কোনো পার্থক্য আছে বলে আমার মনে হয় না। আমরা চাচ্ছি, শ্রমিকদের ভালো রাখতে। এরমধ্যে যদি তাদের কোনো পরামর্শ থাকে যদি সেটা নেওয়ার মতো হয় তাহলে নেবো।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিফিনে আগামী মাস থেকে রুটি, দুধ, কলা ও ডিম দেওয়া হবে। বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার বিদ্যালয় দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এরপর ধাপে ধাপে সব বিদ্যালয়েই চালু হবে মিড–ডে মিল।
শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, এই প্রকল্প চালু হলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসার আগ্রহ বাড়বে।
দেশের অনেক শিশুই খালি পেটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। অনেক পরিবারেরই টিফিন দেওয়ার সামর্থ্য নেই। ২০১০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের টিফিন হিসেবে বিস্কুট দেওয়া হতো। কিন্তু গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে এই কর্মসূচি বন্ধ। শিক্ষকরা বলছেন, অনেক শিক্ষার্থীই পেটে ক্ষুধা নিয়ে ক্লাসে মনযোগ দিতে পারছে না।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন বলেন, ‘দারিদ্র–পীড়িত শিক্ষার্থীদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে। তাই অতিসত্ত্বর কর্তৃপক্ষের নিকট স্কুল ফিডিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা জোর অনুরোধ করছি।’
এ অবস্থায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ১৫০টি উপজেলার ৩৭ লাখ শিক্ষার্থীকে দুপুরে খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে স্কুল ফিডিংয়ের কর্মসূচি আগামী মাসেই চালু হচ্ছে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার ১ হাজার ৯৫টি স্কুলে। এরপর ধাপে ধাপে সব উপজেলায় দেওয়া হবে এই খাবার। প্রকল্পটির জন্য এরই মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ১৫১ কোটি টাকা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘বনরুটি, ডিম, কলা এবং স্থানীয় যে মৌসুমী ফল আছে সেগুলো পাবে এবং একটা মডালিটিতে এটা পরিচালিত হবে। ধাপে ধাপে সকল উপজেলায় আমরা এই কর্মসূচি সম্প্রসারণের চেষ্টা করব।’
শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, স্কুলে মিড–ডে মিল আবার চালু করা জরুরি। কারণ অনেক স্কুলেই শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম। এটি চালু হলে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমে যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শাহ শামীম আহমেদ বলেন, ‘বাচ্চারা এখানেই টিফিনটা করবে। সকালে যে বাচ্চাগুলো ছিল সেসব বাচ্চাদের সংখ্যা, আগে যে বাচ্চা ছিল, টিফিনের পর বাচ্চার সংখ্যা কমে গেছে। এর কারণ হচ্ছে, ওই যে সে টিফিনে গিয়েছে, গিয়ে আর আসেনি। এই জায়গাটা মিনিমাইজ করা যাবে।’
দেশে ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেড় কোটির মতো শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে।