চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় মাটির নীচ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি মর্টারশেল বিষ্ফোরণ ঘটনো হয়েছে। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুর দেড়টার সময় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামের হেলিপ্যাডে মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটায়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে উত্তর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের একটি জমি থেকে ড্রেজারে মাটি কাটার সময় প্রায় সাড়ে তিন কেজি ওজনের এই মর্টার শেলটি উদ্ধার করা হয়েছিল। দুপুরে মেজর ফৌজিয়া সুলতানার নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দল শেলটির বিস্ফোরণ ঘটায়। তিনি বলেন, ধারনা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই মর্টার শেলটি এখানে পড়েছিল। যা অবিস্ফোরিত অবস্থায় থেকে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় মাদক বিরোধী অফিযানে রেলওয়ে থানা সংলগ্ন রেলওয়ে ক্লাবের জুয়ার আসর থেকে এক পৌর কাউন্সিলরসহ ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
৬ জুলাই বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় জুয়ার খেলার নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ১০৪টি তাস উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো আখাউড়া পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর রাধানগরের সুজন মিয়া (৩০), উপজেলার নুরপুর গ্রামের বাবুল মিয়া (৬০) ও সোহাগ খান (৩০) কুড়িপাইকা গ্রামের সবুজ খন্দকার (৩৫) ও মোঃ রবিউল (৩০), শান্তিনগরের আমজাদ হোসেন (৩০), ধরখারের আব্দুর রউফ (৪৪), হীরাপুরের এমদাদ ভূইয়া (৫০), ছয়গড়িরার মুজিবুর (৫৫), এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার বরিশল গ্রামের ফরিদ মিয়া (৬০), সুহিল পুরের ফুল মিয়া (৬৮), চানপুরের ফখরুল মিয়া (৪৫) ও বাগেরহাট জেলার মোঃ ইমরান (৪৮)। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর আবু ছালেক এবং সাব ইন্সপেক্টর মাহমুদ মঈনের নেতৃত্বে আখাউড়া থানার একটি টিম রাত সাড়ে ১১টার দিকে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনের পশ্চিমে রেলওয়ে ক্লাবে অভিযান চালায়। এসময় ক্লাবের পশ্চিম পাশের একটি রুমে জুয়া খেলা অবস্থায় ১৩ জুয়ারিকে আটক করে। এসময় জুয়ার খেলার সরঞ্জামন এবং নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় নিরাপদ খাদ্য, খাদ্য নিরাপত্তা, খাদ্য স্বাস্থ্যবিধি, রক্তলপ্ততা, অপুষ্টি এবং স্বাস্থ্যকর বার্ধক্য বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে আজ ০২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে কর্মশালার উদ্বোধান করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হিমেল খান। কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডাঃ জান্নাতুল মাওয়া।
এসময় বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নাজবাহুল ইসলাম, স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ মোশাররফ হোসেন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ রফিকুল ইসলাম, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ হান্নান খাদেম, সাংবাদিক বিশ^জিৎ পাল বাবুল, জালাল হোসেন মামুন, আশীষ সাহা, মিশু প্রমুখ।
কর্মশালায় নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ, ভেজাল খাদ্য পরিহার করা সঠিক খাদ্যাভাস গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় বক্তারা ভেজালমুক্ত খাদ্য উৎপাদনের উপর গুরত্ব দিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে শাক সবজি চাষ, পশু পালনের আহবান জানান। খাবার ঢেকে রাখা যাতে ধুলা বালি না পরে। খাবারের আগে হাত ধোয়া। নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
বক্তারা বলেন স্বাস্থ্যই সুখের মুল, আর সুস্বাস্থ্যের জন্য দরকার নিরাপদ খাদ্য। তাই ভেজাল খাদ্য উৎপাদন রোধে কঠোর আইন তৈরি এবং নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা প্রয়োজন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। কেউ অপরাধ করলে তার বিচার হবে। আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স দ্বারা বিচার থেকে বাচিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। সেই জামানা আর নাই। এখনের জামানা ভিন্ন। এখন বাংলাদেশে আইনের শাসন আছে।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে আখাউড়া আজমপুর রেলস্টেশন চত্বরে উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠন আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি নোবেল বিজয়ী ডঃ ইউনুস এর বিচার প্রসঙ্গে তিনি এসবকথা বলেন।
হিলারি ক্লিনটনকে ইঙ্গিত করে আইনমন্ত্রী বলেন, একজন দুইবার চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। যার নির্বাচনে ডঃ ইউনুস টাকা দিয়েছিলেন উনি এখন ডঃ ইউনুসকে বাঁচানোর সংগ্রামে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে বলছেন। এটা কিসের সংগ্রাম। বাংলাদেশের মানুষের সাথে সংগ্রাম। বাংলাদেশের মানুষ বিচার চায় এটা কি অন্যায় প্রশ্ন তাঁর। আমাদেরকে এটা অপমান করার সামিল। তিনি বলেন আমরা সুষ্ঠু বিচার করতে জানি। উনি (ডঃ) ইউনুস যদি অন্যায় না করে থাকেন তাহলে তিনি খালাস পাবেন।
আর যদি অনুচিত হয়, বিচারক বিচার করবেন। বাংলাদেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন। তিনি বলেন, আপনারা কোন উছিলায় বাংলাদেশকে অপমান করবেন, বিচার বিভাগকে অপমান করবেন সেই চেষ্টা বন্ধ করুন।
সভা শেষে সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে টিআইবি’ট মন্তব্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের সাথে তিনি বলেন, টিআইবি যা বলেছে এর কোনটায় সত্য নয়। সাংবাদিকরা এবং জনগণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পাশে সিকিউরিটি আইন রেখে পড়লে তারা বুঝতে পারবে কতটা পরিবর্তন করা হয়েছে। এবং যেখানে উনাদের (টিআইবি) আপত্তি ছিল সেগুলো দূর করা হয়েছে।
নির্বাচনে খরচ করার জন্য সরকার সার্বজনীন পেনশন স্কীম করেছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মাথায় গিলু থাকলে কেউ এ কথা বলে।
উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রাশেদুল কাওছার জীবন, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ভূইয়া স্বপন প্রমুখ।
এর আগে তিনি আখাউড়া-সিঙ্গারবিল পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়কের মেরামত কাজ উদ্বোধন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাদক পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে থানা পুলিশের এক এএসআইসহ দু’জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই অভিযুক্ত দুই পুলিশ মিলে আন্ত:নগর ট্রেনে করে আখাউড়া থেকে ময়মনসিংহে গাঁজা পাচার করছিলেন।
এরা হলেন ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় কর্মরত কনস্টেবল সোহেল রানা (২৬) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় কর্মরত এএসআই তারেক আলী। এরমধ্যে সোহেল রানার কাছ থেকে তিন কেজি নয়শ’ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। রেলওয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর সে জানায়, তারেক আলীর কাছ থেকে সে গাঁজা বুঝে নেয়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, তারেক আলীকে বরখাস্ত করার কথা জানানো হয়েছে। তবে কি কারণে বরখাস্ত হয়েছে সেটি আমি জানি না। গাঁজা পাচারের সঙ্গে তার জড়িত থাকার বিষয়টিও আমার জানা নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী আখাউড়া উপজেলায় এ বছর লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন বাজারে পুরোদমে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন জাতের লিচু। রসালো, সুমিষ্ট ও মুখরোচক ফল হিসেবে লিচু পছন্দ বাঙালি সব শ্রেণির মানুষের কাছে। দাম হাতের নাগালের মধ্যে থাকায় খুশি বাগান মালিক ও ক্রেতারা। সেই সঙ্গে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি বেশ চাহিদাও বেড়েছে। বেড়েছে বেচাকেনাও।
এদিকে গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা পাকা লিচু বাগানগুলোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটক। লিচু বাগানে তারা প্রিয়জনদের সঙ্গে সেলফি তুলছেন। ফেরার সময় কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন লিচু।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লিচুর চাষ শুরু হয়েছে গত দুই যুগ আগে। উপজেলার সীমান্তঘেঁষা মনিয়ন্দ, আখাউড়া উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের ধর্মনগর, কর্মমঠ, রাজমঙ্গলপুর, নোয়ামুড়া, ঘাগুটিয়া, শিবনগর, খারকোট, মিনারকোট, আজমপুর, আমোদাবাদ, রামধন নগর, চানপুর, রাজাপুর, কল্যাণপুর, আনোয়ারপুর, হীরাপুর, কুড়িপাইকাসহ আখাউড়ায় প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামে লিচুর চাষ হয়ে থাকে।
এ উপজেলায় উৎপাদিত লিচুর মধ্যে পাটনাই, বোম্বাই, এলাচি, চায়না-২, চায়না-৩, বেদানা ও স্থানীয় জাতের লিচু রয়েছে। এখানকার মাটি লিচু চাষের উপযোগী হওয়ায় চলতি মৌসুমে লিচুর ভাল ফলন হয়েছে। এছাড়াও লিচু বিক্রি করে ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি এখানকার চাষিরা।
আখাউড়ার লিচু বেশ রসালো ও সুমিষ্ট হওয়ায় জেলার বাইরেও বেশ কদর রয়েছে। প্রকারভেদে বাগান থেকে একশ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ – ৩০০ টাকা দরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এসে তা নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
এদিক লিচু বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন জেলা ছাড়াও রাজধানী ঢাকা থেকেও পরিবার পরিজনদের নিয়ে আসছে ভ্রমণপিপাসু পর্যটক।
আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের গ্রিন ভিলেজ পার্কের মালিক অ্যাডভোকেট মনির হেসেন চৌধুরী বলেন, আমার লিচু বাগানে বিভিন্ন জাতের শতাধিক লিচু গাছ রয়েছে। লিচু গাছে এবার অনেক ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর গাছে ফুল আসার পরপরই দুই লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। যারা কিনেছেন তারা অনেক লাভবান হয়েছেন।
আখাউড়ায় প্রধান লিচুর বেচাকেনা হচ্ছে পৌরশহরের সড়ক বাজারে। এছাড়াও আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন এবং স্টেশন সড়কের দুই পাশে প্রতিদিন লিচুর বাজার বসছে। ফলে স্টেশন সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রেলওয়ে স্টেশনগামী ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেটগামী ট্রেনযাত্রীদের।
কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এ উপজেলায় প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে ফল চাষ হয়ে থাকে, তার মধ্যে চলতি মৌসুমে প্রায় ৭৫ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছ।
এ বছর তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে কিছু কিছু বাগানে ফলন কম হলেও উৎকৃষ্ট লিচু উৎপাদনে কৃষি বিভাগ থেকে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া।
তিনি আরো জানান, আখাউড়া উপজেলা থেকে এ বছর অন্তত দেড় কোটি টাকার লিচু বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।