চলারপথে ডেস্ক :
আগামীকাল সোমবার সারাদেশে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সোমবার সকাল ১০ টায় রাজধানীর জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম) অডিটোরিয়ামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। দিনব্যাপী সারা দেশের ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সোমবার দিনব্যাপী এ কার্যক্রম চলবে। এ কার্যক্রম মোট ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী এক কোটি ৯৫ লাখ।
জাহিদ মালেক বলেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে দেশের প্রত্যেক জেলা, সিটি কর্পোরেশন ও মাঠপর্যায়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি টিভি ও রেডিও, জাতীয় পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা করা হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব ইমামকে মসজিদে এবং হিন্দু-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মাধ্যমে মন্দিরে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর তথ্য জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। এতে ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেবেন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা হয়, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়াও সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ কমায় ‘এ’ ক্যাপসুল। এ ছাড়াও হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যুও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দু’বার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখছে।
বিটিআরসির মাধ্যমে দেশব্যাপী সব মোবাইল ফোন অপারেটরের মধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের তথ্য সম্বলিত খুদে বার্তাও দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল শিশু বিশেষজ্ঞদেরকে (সরকারি বেসরকারি) তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এসএমএস-এর মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, চুকনগর বধ্যভূমি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আজ ৬ জুলাই শনিবার দুপুরে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বধ্যভূমি প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা একাত্তর’ এর উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাঙালির ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে উৎসাহিত করতে হবে। পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাঙালির ওপর পরিচালিত হত্যাযজ্ঞ এদেশের একটি গোষ্ঠী স্বীকার করতে চায় না। তারা জাতীয় সংগীত গাইতে ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে অনীহা প্রকাশ করে। তারা স্বাধীনতা বিরোধী ও দেশবিরোধী নানা ধরনের চক্রান্তে লিপ্ত। তাদের সব চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের বর্তমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে আরও সমুন্নত করতে হবে, তার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
বধ্যভূমি সংরক্ষণে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে চুকনগর ছিল ভারতে যাওয়ার অন্যতম প্রধান পথ। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভারতে পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশে আগত ১০ থেকে ২০ হাজার মানুষকে ১৯৭১ সালের ২০ মে এখানে হত্যা করে তাদের লাশ স্থানীয় ভদ্রা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। ইতিহাসে এমন পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নজির বিরল। শুধু চুকনগর নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি হানাদার গোষ্ঠী এমন হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে যার বেশিরভাগই এখনও পর্যন্ত অজানা। প্রয়োজনীয় গবেষণা ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে। তরুণ প্রজন্মের কাছে এসব ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও সংস্কারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে মন্ত্রী বধ্যভূমির মূল বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডুমুরিয়া উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিক, জেলা কমান্ডার মাহবুবুর রহমান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রজন্ম ৭১ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মাহবুব জামান ও হেলাল ফয়েজী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ। সমাবেশে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এর সব সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। দলীয় কার্যক্রম গতিশীল এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তারা দলের নেতা কর্মীদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
দুপুরে মন্ত্রী খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সাতক্ষীরা সড়ক ও সিটি বাইপাসকে সংযুক্ত করে সংযোগ সড়কসহ তিনটি লিংক রোড নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুনু রেজা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলাম, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জিওবি এবং খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যৌথ অর্থায়নে ৭১৭ কোটি ৮০ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে উল্লিখিত প্রকল্পের আওতায় তিনটি লিংক রোড নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় নিরালা আবাসিক এলাকা থেকে সিটি বাইপাস পর্যন্ত ২.৫ কিলোমিটার (প্রথম লিঙ্ক রোড), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রায় মহল পর্যন্ত সংযোগ সড়ক ৪.৯০ কিলোমিটার (দ্বিতীয় লিংক রোড) এবং বাস্তুহারা থেকে পুরাতন সাতক্ষীরা সড়ক সংযোগ সড়ক ২.৭০ কিলোমিটার (তৃতীয় লিংক রোড) মোট ১০.১০ কিলোমিটার দুই লাইন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ করা হবে। ২০২৫ সালে ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাটোরের সিংড়ায় পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অপরাধে মোঃ রুমন আলী (৩৫) ও বিধান কুমার সরকার (৩০) নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫।
আজ ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এরআগে বুধবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিংড়া বাজারে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে র্যাবের একটি অপারেশন দল।
গ্রেফতার হওয়া মোঃ রুমন আলী জেলার সিংড়া পৌরসভার কতুয়াবাড়ী বাগানপাড়ার মৃত আঃ রাজ্জাকের ছেলে ও বিধান কুমার সরকার একই এলাকার মৃত বিষ্ট চন্দ্র সরকারের ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতার হওয়া মোঃ রুমন আলী ও বিধান কুমার সরকার দীর্ঘদিন ধরে সিংড়া বাজারে পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ এবং অর্থের বিনিময়ে এলাকার যুবক ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিকট বিক্রয় করে আসছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানী অধিনায়ক, মেজর, আশিকুর রহমান এবং কোম্পানী উপ-অধিনায়ক, সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ নুরল হুদার নেতৃত্বে বুধবার সন্ধ্যায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় ২টি সিপিইউ, ৭টি হার্ডডিক্স ও একটি এসএসডি কার্ড জব্দসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় মামলা করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে।
র্যাব-৫, সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প কোম্পানী অধিনায়ক, মেজর, আশিকুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র্যাব। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভোলার তজুমদ্দিন থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচ জুয়াড়িকে আটক করেছে। আটক ৫ জনের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা গেছে, তজুমদ্দিন থানার এস আই রাসেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১ টায় চাচড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড’র আনন্দ বাজারের পুর্ব পাশে গিয়াস উদ্দিনের মুদি দোকানের মধ্যে প্রকাশ্যে জুয়া খেলার সময় তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বালিয়াকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সোহাগ (২৫), আব্বাসের ছেলে ঈমন (১৯), মান্নানের ছেলে জসিম (৩৭), সামছুল হকের ছেলে আলাউদ্দিন (৪৫) ও মনোয়ার আলীর ছেলে আলাউদ্দিন (৪৬)।
এসময় গ্রেফতার ব্যক্তিদের জুয়া খেলার স্থান হতে নগদ টাকা, জুয়া খেলার খোলা তাস আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে আটক ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কোর্টে চালান দেয়া হয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, প্রকাশ্য জুয়া খেলা রোধে জুয়া আইনে মামলা করা হয়।পাঁচ আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
চলারপথে ডেস্ক :
‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়নে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রেলওয়ে এবার সহযাত্রীর নাম উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক করেছে। যার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সহযাত্রীদের টিকিট কেনা হবে, সেখানে সহযাত্রীদের নামও উল্লেখ করতে হবে।
আজ ১ এপ্রিল শনিবার থেকে এটি সংযোজন করা হয়েছে। বিষয়টি জানিয়েছেন রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন-জেভির সিইও সন্দ্বীপ দেবনাথ।
তিনি বলেন, আজ থেকে টিকিট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহযাত্রীদের নাম (জাতীয় পরিচয়পত্র/ ফটো আইডিতে দেওয়া নাম) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভ্রমণের সময় সব যাত্রীকে অবশ্যই তাদের এনআইডি/ফটো আইডি সঙ্গে রাখতে হবে।
রেলওয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, ২/৩/৪টি টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সিট সিলেক্ট করার পরের স্টেজে গিয়ে প্যাসেঞ্জার এক- এর ক্ষেত্রে যে অ্যাকাউন্ট দিয়ে সিলেক্ট করা হয়েছে, তার নাম বসানো আছে। প্যাসেঞ্জার ২/৩/৪ এর জায়গায় স্টার মার্ক করা একটি করে নামের জায়গা খালি রাখা হয়েছে। সেখানে নাম না লেখা পর্যন্ত ‘প্রসিড’ অপশন আসবে না। অর্থ্যাৎ টিকিটগুলো কেনার কাজ সম্পন্ন করতে নাম লিখতে হবে।
এর আগে গত ২২ মার্চ রেল ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, একজন যাত্রী ঈদের অগ্রিম টিকিট ও ফেরত যাত্রার টিকিট উভয় ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ একবার এবং প্রতিক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। একজন নিবন্ধিত যাত্রী সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহযাত্রীদের এনআইডি অথবা জন্ম নিবন্ধন নম্বর ইনপুট দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৭ মে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশে ফেরেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নৃশংসভাবে নিহত হওয়ার সময় শেখ হাসিনা ছিলেন জার্মানিতে তার স্বামীর কাছে। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানাও। এ কারণে ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা। পরবর্তী সময়ে তাদের ঠাঁই হয় প্রতিবেশী ভারতে। এক পর্যায়ে শেখ রেহানা লন্ডনে চলে যান। আর ভারতের নয়াদিল্লিতে নির্বাসিত জীবন কাটে শেখ হাসিনার। সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ ভূমিতে ফেরেন শেখ হাসিনা। ততদিনে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার স্বদেশে ফেরার ওইদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একনজর দেখার জন্য বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর এলাকা জুড়ে ঢল নামে মানুষের। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’ স্লোগানে মুখরিত হয় ঢাকা। জনতার কণ্ঠে বজ নিনাদে সেদিন ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ওই বছর (১৯৮১) সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। এ অবস্থায় তিনি সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজের দেশের মাটিতে পা রাখেন।
কিন্তু দেশে ফেরার পর শেখ হাসিনার পথ মসৃণ ছিল না। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে তাকে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে। ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তিনি টানা চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার দৃঢ়তায় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এখন তিনি জাতির পিতার আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ সব প্রতিকূলতা এবং দুর্যোগ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।