চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ভাষা শহীদদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু নক-আউট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে উপজেলার গোকর্ন ইউনিয়নের সূচীউড়া স্পোর্টিং ক্লাবের আয়োজনে চৈয়ারকুড়ি আলীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে গোর্কণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বেলায়েত ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা যুবলীগ নেতা বকুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা দিলীপ বন্ধু বিশ্বাস, বিপ্লব দেব, গোর্কণ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ, ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক জহির খান প্রমুখ।
উদ্বোধনী ম্যাচে গোর্কণ সিক্সার্স ক্লাব বনাম চৈয়ারকুড়ি কাকলী স্পোটিং ক্লাব অংশ গ্রহণ করে। খেলায় চৈয়ারকুড়ি কাকলী স্পোটিং ক্লাব নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৭৫ রান করে অল আউট হয়।
জবাবে গোর্কণ সিক্সার্স ক্লাব ১৪ ওভারে ৮ উইকেটে ৭৬ রান করতে সক্ষম হয়। আম্পায়ার ছিলেন মাহিদ চৌধুরী, জলিল মিয়া। স্কোরার ছিলেন শেখ আনিসুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু নক-আউট ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের মোট ৩২টি দল অংশ গ্রহন করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় ৫৫ কিলোমিটার সড়কের পিচ উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে এসব রাস্তা আরো বেহাল হয়ে পড়েছে। গর্তে যানবাহন আটকে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব সড়কে হেঁটে চলা দায় হয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর।
নাসিরনগর উপজেলার ধরমন্ডল, হরিপুর, চাতলপার, গোয়ালনগর, চাপরতলা, গোকর্ণ, কুন্ডা ও সদরের বিভিন্ন সড়কে চালক-যাত্রী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক বেহাল। সংস্কারও নেই। চার বছরে এসব সড়কে দুই শতাধিক যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। ঝাঁকুনি থেকে বাচতে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকে। রোগী, বয়স্ক ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের নিয়ে পথ চলতে বেশি সমস্যা হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলায় এলজিইডির ১০৩ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে গত বছরের বন্যায় প্রায় ৫৫ কিলোমিটার সড়ক, ১০টি সেতু-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব সড়কের অধিকাংশ সংস্কার হয়নি। তবে ২০২১-২২ ও ২৩ অর্থবছরে সদর থেকে তিলপাড়া হয়ে চিতনা পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার রাস্তা মেরামত করা হয়েছে।
নাসিরনগর থেকে ধরমন্ডল ইউনিয়নে যেতে ৯ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এ রাস্তা ব্যবহার করে পাশের লাখাই উপজেলার ২০টি গ্রামসহ ধরমন্ডল ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ইট, বালু ও কার্পেটিং উঠে গিয়ে সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে মানুষ হেঁটে যেতেও ভয় পায়।
ধরমন্ডল ইউনিয়নের বাসিন্দা আতর চান বিবি বলেন, ‘গাড়িত উঠলে ঝাক্কি লাগে। মাজায় ব্যথা করে। তাই হাইট্ট্যা (হেঁটে) বাড়িত যাইতাছি।’
সদরের কলেজ মোড় থেকে গোকর্ণ ও হরিপুর ইউনিয়ন হয়ে পাশের উপজেলা মাধবপুর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সড়কে প্রায় ১৮ হাজার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। তিন ইউনিয়নের ৩৫টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তিতে আছে। কলেজ মোড় থেকে গোকর্ণ ইউনিয়নের ছৈয়ারকুড়ি বাজার পর্যন্ত সাত কিলোমিটার সড়কের প্রতি পাঁচ ফুট দূরত্বে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
গোকর্ণ সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী তায়েবা আক্তার বলল, তারা তিন কিলোমিটার হেঁটে বাড়িতে যাওয়া-আসা করে প্রতিদিন। যানবাহন থাকলেও ঝাঁকুনির ভয়ে কেউ গাড়িতে উঠতে চায় না।
হরিপুর ইউনিয়নের মঞ্জুর আলী বলেন, ‘রাস্তার অবস্থা এত খারাপ যে এক দিন গাড়িত উঠলে তিন দিন ঘুমান লাগে। ভোটের সময় নেতারা রাস্তা কইরা দেওনের কথা কইলেও ভোট চইলা গেলে দেয় না।’
স্বস্তিতে নেই কুন্ডা, ফান্দাউক ও চাপরতলা ইউনিয়নের লোকজনও। তাঁদের অভিযোগ, কুন্ডা ইউনিয়নের তুল্লাপাড়া থেকে মছলেন্দপুর পর্যন্ত সাত কিলোমিটার, মছলেন্দপুর থেকে রানিয়াচং আশ্রয়ণ প্রকল্প পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার পাকা রাস্তা এখন কাঁচা সড়কে পরিণত হয়েছে।
গোকর্ণ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের রাস্তা এবং ওই এলাকার দুটি সেতু ভেঙে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বর্ষায় অতিরিক্ত পানি হলে বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকার বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হবে বলে শঙ্কা স্থানীয়দের।
বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বেনীপাড়া গ্রামে হবিগঞ্জ-নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক মহাসড়কের একটি সেতুর রেলিং ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাঁশ দিয়ে বেঁধে সেতুটি রক্ষার চেষ্টা করছে সংশ্লিষ্টরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ডেইজি রায় টুম্পা বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না তাঁর। তবে সেতুর অবস্থা দেখে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান বলেন, কুন্ডা ও গোকর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় নতুন করে সেতু নির্মাণ করছেন না তারা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুটি দেখভাল করবে।
উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল হোসাইন বলেন, এসব রাস্তা ও সেতুর টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান। বর্ষায় যেন জনদুর্ভোগ কমানো যায়, সে জন্য কিছু রাস্তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপির চেয়ারপার্সনের পদ থেকে বহিষ্কৃত সৈয়দ একে একরামুজ্জামানকে সমর্থন দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শাহানুল করিম গরিবুল্লাহ সেলিম।
গতকাল রবিবার দুপুরে সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের নাসিরনগর সদরের বাসভবনে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে সৈয়দ একে একরামুজ্জামানকে সমর্থন জানান।
শাহানুল করিম গরিবুল্লাহ সেলিম এই আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী। সমর্থন জানানোর পর শাহানুল করিম গরিবুল্লাহ সেলিম জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদেরকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
এ সময় জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহানুল করিম গরিবুল্লাহ সেলিম বলেন, আমি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হলেও এখন পর্যন্ত প্রচারনা চালাইনি। এই নিবার্চনে সৈয়দ একরামুজ্জামানকে সমর্থন দিচ্ছি।
আজ থেকে কলার ছড়ি প্রতীকের বিজয়ের জন্য আমরা কাজ শুরু করবো। জাতীয় পার্টির প্রতিটি কর্মী সৈয়দ একে একরামুজ্জামানকে বিজয়ী করতে প্রচারণা চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি ভোটও দেবে। এ সময় উপজেলা ও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের স্বাগত জানিয়ে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান বলেন,জাতীয় পার্টির সমর্থন পেয়ে আমি তাদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। আমাকে নির্বাচিত করলে এলাকার উন্নয়ন ও মূল্যায়নের ধারাবাহিকতা থাকবে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাজী তারেক মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে পাগলা কুকুরে কামড়ে নারী পুরুষসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। সোমবার বিকাল থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত জনতা একটি কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
স্খানীয়রা ও কুকুরের কামড়ে আক্রান্তরা জানায়, গত সোমবার দুপুরে উপজেলার ফান্দাউক গ্রামে একটি বেওয়ারিশ কুকুর আসে। পরে কুকুরটি রাস্তায় যাকে পেয়েছে তাকেই কামরায়। প্রথমদিন কুকুরটি ১৩ জনকে কামড়িয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কুকুরটি আরো ৭ জনকে কামড়ায়। আক্রান্তদেরকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় জানান, ১৪ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। আমাদের হাসপাতালে অ্যান্টি রেবিস ভ্যাকসিন নেই তবে ইমিউনোগ্লোবুলিন ডোজ রয়েছে। ৩ জন এ ডোজ নিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে বাজার মনিটরিং করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।
আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদর বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে বাজারে যান উপজেলা তিনি।
এসময় তিনি মুদির দোকান, সবজির দোকান, ফলের দোকান, মুরগির দোকানে অভিযান চালান। অভিযানে মূল্য তালিকা না রাখায় চার ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরকে সর্তক করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়া অভিযানের কথা স্বীকার করে জানান, রমজান মাস উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়।
নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন অসাধু ব্যবসায়ী যদি বাজার অস্থিতিশীল করতে চায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।