চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ হাজার ৭২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪০৩ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ১০০ কেজি গাঁজা, ২১ বোতল বিদেশী মদ এবং ২৩ বোতল বিয়ার উদ্ধার করেছে বিজিবির সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ ব্যাটালিয়ন) সদস্যরা।
২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দিনব্যাপী জেলার বিজয়নগর ও আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী কালাছড়া, ছানিপুর, নোয়াবাদী, রাজাপুর, কাশিনগর, হীরাপুর, আনোয়ারপুর, কামালমোড়া এবং বিষ্ণুপুর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান এই মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যগুলো ধ্বংসের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে জমা দেয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এখন ঘুষের টাকা ফেরত দেয়া নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছেন ওই কর্মকর্তা। টাকা ফেরত পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী আরিফ সিদ্দিকী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান’র সহায়তায় দাউদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত পিয়ন পদে খণ্ডকালীন কর্মরত অবস্থায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে পরিচয় হয়। পরে তিনি স্থায়ীভাবে নিরাপত্তা প্রহরী পদে চাকরি পাবার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতার নিকট শরণাপন্ন হন। তাকে উপজেলার বুল্লা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা প্রহরী পদে চাকরি পাইয়ে দেয়ার চুক্তিতে দুই ধাপে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন শিক্ষা কর্মকতা। একজন নিরাপত্তা প্রহরী আবশ্যক বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে ভুক্তভোগী আরিফ সিদ্দিকীসহ ৪ জন আবেদন করেন। আবেদনের সাথে সকল কাগজপত্রও জমা নেওয়া হয়। পরে আইডি কার্ডের সাথে সকল কাগজের তথ্য ভুল থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন না করলে চাকরি দেওয়া যাবে না বলে শিক্ষা কর্মকর্তা। পরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে দ্রুত সংশোধনের কথা বলে আরো ৪০ হাজার টাকা নেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে আবেদনের ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানান। এরই মধ্যে বুল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যায়। ভুক্তভোগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট টাকা ফেরত চাইলে তিনি আড়িয়ল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক লিটন দেব ও সাতবর্গ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুক ভুইয়ার মাধ্যমে দুই ধাপে ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দেন। অবশিষ্ট ৭৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়া নিয়ে এখন টালবাহানা শুরু করেছেন অভিযোগ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল জলিল জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ আছে বলে শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কোন লোকের কাছ থেকে টাকা নেয়নি। আমার কথা বলে যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে দোষী প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচরে যায় বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর ও তার পরিবারকে বহনকারি একটি প্রাইভেটকার। তবে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও তারা অক্ষত রয়েছেন।
আজ ২৬মে শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় উপজেলার রামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে প্রাইভেটকারে থাকা ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর, তার স্ত্রী রেহেনা সারোয়ার খোখর, মেয়ে হুদা আব্বাস খোখর ও ছেলে মোহাম্মদ খোখর অক্ষত রয়েছেন। হাইওয়ে পুলিশ পাইভেটকারকে ধাক্কা দেয়া বাসের চালক মোঃ সাইফুল ইসলাম-(৩০) কে আটক করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস জানান, পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার কমর আব্বাস খোখর নিজে প্রাইভেটকার চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ জেলার শ্রীমঙ্গল বেড়াতে যাচ্ছিলেন।
‘বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রাইভেটকারটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার রামপুর এলাকায় পৌছলে হবিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুরন্ত পরিবহনের একটি বাস প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও প্রাইভেটকারে থাকা ডেপুটি হাই কমিশনার এবং তার পরিবারের সদস্যরা অক্ষত থাকে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর ডেপুটি হাই কমিশনার ও তার পরিবারের সদস্যরা হাইওয়ে থানায় কিছুক্ষণ অবস্থান করে একটি ভাড়া মাাইক্রোবাসে করে তিনি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে চলে যান। তিনি বলেন, আমরা বাসের চালক মোঃ সাইফুল ইসলামকে আটক করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘ছাত্র রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ আগস্ট সোমবার সকাল ১১ টায় চম্পকনগর র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজ হল রুমে বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হৃদয় আহমেদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম রাব্বানী রাব্বির সঞ্চালনায় শাহনেওয়াজ শাহ্ এর কোরআন তিলাওয়াত এর মাধ্যমে এ আলোচনা সভা শুরু হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন।
উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা মকাই আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর মৃর্ধা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে তিতাস পাড় থেকে পরিচয়বিহীন এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ২৯ মে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রামপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, তিতাস নদীর তীরে এক যুবকের মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তার গলায় ওড়না বাঁধা ছিল। পড়নে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট ও গোল গলার গেঞ্জি। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
তিনি আরো জানান, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ বলা যাবে। পাশাপাশি তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে।