চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজ এর আয়োজনে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ আবদুল কবির তপন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, কলেজের উদ্যোক্তা হারুন অর রশিদ, শাহীন মৃধা, শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মোট নয়টি স্টলে পাটিসাপটা, পাক্কন পিঠা, মাশরুম পিঠা, মালপোয়া, ভর্তা পিঠা, চকলেট ভেজিটেবল, তালের পিঠা, দুধ পলি, বিবিখানা পিঠা, বেøইড পিঠা, হৃদয় হরণ, গোলাপফুল পিঠা, চিতই, নারকেল পুলি, খাজা পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের ৫৪ জাতের পিঠা প্রদর্শন করা হয়। প্রতিটি স্টলে গড়ে ২২ থেকে ৫৪ ধরণের বাহারি পিঠা প্রদর্শন করা হয়।
পিঠা উৎসবে ঘুরে দেখা যায়, কলেজর নিচ তলায় চোখে পড়ে অর্কিড স্টল। সেখানে টেবিলে ৩০ ধরণের বাহারি পিঠা সাজানো হয়েছে। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বৃষ্টি রানী দাস ও আফিফুল ইসলাম বলেন তারা ৩০ ধরণের পিঠা তৈরি করেছেন।
দ্বিতীয় তলায় বাটার কাপ স্টলের আকরাম মিয়া, সাইমা সরকার ও মারিয়া আক্তার বলেন, তারা ১১জন মিলে এই স্টল সাজিয়েছে। ২২ধরনের পিঠা রয়েছে তাদের স্টলে। বেলা ১১টা পর্যন্ত তারা ১ হাজার ৫০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
অপরাজিতা স্টলের সূবর্ণা আক্তার ছোঁয়া, বন্যা আক্তার ও জান্নাত আক্তার বলেন, তাদের স্টলে ৩৩ ধরণের পিঠা রয়েছে। সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তারা সাড়ে ৩ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন।
ফাল্গুনের পিঠা বিলাস স্টলের উম্মে মাইশা আফরিন, তাহসিন মিম, সাইফুল ইসলাম ও জেবুন্নেছা ইসলাম বলেন, আমরা ২২ধরণের পিঠা নিয়ে এসেছি। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার টাকা বিক্রি করেছি।
ক্যামেলিয়া স্টলের জান্নাতুল হাসান বলেন, ২৬ থেকে ২৭ ধরণের বাহারি পিঠা তাদের স্টলে রয়েছে। পৌনে ১২টা পর্যন্ত তারা ৫ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
টিউলিপের স্টলে রয়েছে ২০ ধরণের পিঠা। লুবাবা আক্তার, মোঃ এমরান ও তানভীর সরকার বলেন, ১৬জন মিলে স্টল সাজিয়েছি। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তারা ১ হাজার ৩০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
গ্রুপ বেলির স্টল সাজিয়েছে ১৬জন শিক্ষার্থী। মিনহাজুল হক, মানসুরা আক্তার ও তাসফিফা তাবাসসুম বলেন, ৫৪ ধরণের পিঠা রয়েছে তাদের স্টলে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা ১০ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল মামুন সরকার বলেন, পিঠা উৎসব এর আয়োজন দেখে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেছে। মা-চাচিরা আগে এসব পিঠা বানাত। এখন আর সেই আমেজ নেই। আয়োজনে খুশি হয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের ২০হাজার টাকা দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ঐতিহ্যবাহী ভাদুঘরের বান্নি (বারুণী) মেলা। আজ ২৮ এপ্রিল শুক্রবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুণ্য স্নানের মধ্যদিয়ে মেলা শুরু হয়।
প্রতি বছর ১৪ বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয় এ মেলা। তবে ঠিক কত বছর আগে এ মেলার যাত্রা শুরু হয়েছে, তার সঠিক তথ্য কেউ জানাতে পারেননি।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর বান্নি মেলাকে কেন্দ্র করে ভাদুঘর এলাকার প্রায় বাড়িতে চলে উৎসবের আমেজ। দূর-দূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজনরা বেড়াতে আসেন। বাড়িতে বাড়িতে বানানো হয় নানা ধরনের পিঠা। তিতাস নদীর পাড়ে বসে বিভিন্ন পণ্যের পসরা।
মেলায় আসা আরিফুল ইসলাম নামের এক যুবক বলেন, ‘বৈশাখ মাসে জেলার বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হলেও ভাদুঘরের বান্নি মেলার ঐতিহ্য রয়েছে। ছোটবেলায় দেখেছি পরিবারের সদস্যরা বান্নিতে আসতেন। বুঝতে শেখার পর বাপ-দাদাদের সঙ্গে এ মেলায় আসতাম। এখন আমরা আসি প্রতিবছর। তবে মেলার সেই জৌলুস আর নেই।’
আতিকুল ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, আগে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় লোকে-লোকারণ্য হয়ে যেতো। বাস-ট্রাকে করে মানুষ আসতে দেখেছি।
এখন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সকালে স্নানের পর বেশিরভাগই চলে যান। তবে এবার বিকেলের দিকে জমজমাট ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, ঐতিহ্যবাহী বান্নি মেলাকে ঘিরে নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন ছিল। দিনব্যাপী পুলিশ সদস্যরা মেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে পৌর এলাকার ভাদুঘর ফাটাপুকুর পাড় সংলগ্ন পালকি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত কাঠের ১টি রামদা এবং ৩টি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলার খুশু মিয়া প্রকাশ খুরশিদ মিয়ার ছেলে এনাতুল ওরফে এনাদুল ওরফে এনামুল ওরফে ইমন (৩৩), পৌর এলাকার দক্ষিণ মৌড়াইলের আবদুর রকিবের ছেলে মোঃ রুবেল ওরফে রাজ্জাক (৩৪) এবং পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডা মিন্দালী পাড়ার শহিদ মিয়ার ছেলে মোঃ শরীফ (২৯)।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির বর্ষপূর্তিতে ফান রান দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে জেলা শহরের পৌর এলাকার লোকনাথ দীঘির ট্যাংকের পাড় থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে বিভিন্ন বয়সী দৌড়বিদেরা অংশগ্রহণ করেন।
ভোরে সূর্যের আলো উঠার আগেই শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন বয়সের দৌড়বিদরা লোকনাথ দীঘির ট্যাংকের পাড়ে জমায়েত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিভূতি ভূষণ দেবনাথ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দিলারা আক্তার খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির প্রধান উদ্যোক্তা সংগঠনের এডমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক রাজন মিয়া।
শহরের লোকনাথ দীঘির ট্যাংকের পাড়ের প্রধান ফটক থেকে প্রতিযোগীতা শুরু হয়ে শহরের তিতাস নদীর বুক চিরে বের হওয়া নতুন সড়ক সীমনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের (শেখ হাসিনা সড়ক) তৃতীয় সেতু পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও বিজয়নগর উপজেলার মনিপুর থেকে শহরের শিমরাইলকান্দি সেতু পর্যন্ত আসা-যাওয়া ১০ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতা চলে। ফান রানে দুই কিলোমিটার দৌড়ে শিশুরা, ৪৫ বছর বয়স থেকে বয়োজ্যেষ্ঠরা ৫ ও ১০ কিলোমিটার এবং নারীরা ৫ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন। ৫ ও ১০ কিলোমিটার সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। ছয় ক্যাটাগরিতে মোট ৮৫ জন অংশ নেন।
দৌড় শেষে সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের শিমরাইলকান্দি সেতুতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক দিলারা আক্তার খান। অংশগ্রহণকারীদের একটি করে শুভেচ্ছা স্মারক, সনদ, টি-শার্ট দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের চ্যাম্পিয়ান ও রানার্সআপ ট্রফি দেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির সমন্বয়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. রাজন মিয়া বলেন, সুস্থ্য দেহ ও সবল মনের জন্য ২০২১ সালে এই সংগঠন করেছিলাম। নিজেদের সুবিধামতো জায়গায় সংগঠনের ৫০ সদস্য প্রতিদিন দৌড়ান। সংগঠনটির সক্রিয় রানার সংখ্যা এখন শতাধিক। এই সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন অন্তত আড়াই হাজার সদস্য। আগামী বছরের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মানের বড় পরিসরে হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি।
উপদেষ্টা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের প্রফেসর দিলারা আক্তার জানান, প্রথমবারের মতো শিশুরা অংশগ্রহণ করেছেন এই প্রতিযোগিতায়। সকলকে এই সামাজিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে নাগরিক সেবাকে সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তি করার লক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূমিসেবা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ সোমবার সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২৩ মে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম, গনপূর্ত বিভাগ,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, জেলা রেজিষ্ট্রার মোঃ লুৎফুর রহমান, জিপি অ্যাডভোকেট ওয়াছেক আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা মুজিব, সাবেরা সোবহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী রতন মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাবেল, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য, তরীর সভাপতি শামীম আহমেদ প্রমুখ।
ভূমিসেবা উপলক্ষে স্লাইডের মাধ্যমে সেবা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসাইন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭৬টি ভূমি অফিস আছেন। সেখানে জনগন যাতে সহজেই ভূমি সেবা পায়, জনগনকে যাতে কোন ধরনের ভোগান্তি পড়তে না হয়, সেজন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে নাগরিক সেবাকে সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে ভূমি সংক্রান্ত কাজ করা গেলেও জনগনকে ভূমি সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র যত্ন করে রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ল্যান্ড সার্ভে কমিশন গঠন করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে যাতে ২০ দিনের মধ্যে ই-নামজারি করা যায় সেজন্য কাজ চলছে। তিনি বলেন, ভূমি অফিসে কোন ধরনের অনিয়ম হলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। সভায় সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন অফিসের শীর্ষ কর্মকর্তাগণ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ, ভূমি অফিসের কর্মচারী, কর্মকর্তাগণসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম ভূমিসেবা সপ্তাহ উপলক্ষে একটি সেবা বুথ উদ্বোধন করেন।