চলারপথে ডেস্ক :
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি শীঘ্রই চালু হবে। ফলে সেবাগ্রহীতারা মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) যে কোনো প্রতিষ্ঠান যেমন- বিকাশ, নগদ, রকেটের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া অনলাইনে ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও ফি দেওয়া যাবে।
সম্প্রতি জন্মনিবন্ধনের প্রক্রিয়া সহজীকরণ–সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
জানা গেছে, বৈঠকে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট থেকে ১৬টি সুপারিশ করা হয়। সেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের পরিচালক বলেন, জন্মনিবন্ধন সংশোধন কিংবা আবেদনের ফি ট্রেজারি চালান অথবা নগদ জমা দিতে হয়, যা প্রক্রিয়াকে অনেক জটিল ও সময়সাপেক্ষ করে তোলে। ফি জমা দেওয়ার জন্য যে কোনো মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং প্রক্রিয়া রাখতে হবে।
এর প্রেক্ষিতে রেজিস্ট্রার জেনারেল উল্লেখ করেন, অর্থ মন্ত্রণালয় ও রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের সমন্বয় পেমেন্ট গেটওয়ে চালুর কাজ প্রক্রিয়াধীন। শীঘ্রই এটি কার্যকর হবে বলে অর্থ বিভাগ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আমার কাছে এখনও কোনো কাগজপত্র আসেনি। এজন্য তাদেরকে (বিএনপি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাইতে পারে।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পরেও উনার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে এভার কেয়ার হাসতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন এটা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায়। সেক্ষেত্রে তারা (বিএনপি) আবেদন করার পরে সেটা দেখা যাবে।
বিএনপির হরতাল অবরোধ কর্মসূচির হুমকি প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি আইন ভঙ্গ করে তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে সকাল পৌনে এগারটায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে তিনি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। পরে তিনি সড়ক পথে নিজ এলাকা কসবা উপজেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
চলারপথে ডেস্ক :
বোনের বিয়ে উপলক্ষে দুবাই প্রবাসী বড় ভাই আরেক প্রবাসীর কাছে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন সেট কিনে পাঠান দেশে। কিন্তু এসব মূল্যবান জিনিস পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে আত্মসাৎ করতে বগুড়ায় শ্বশুরবাড়ি চলে যান ওই প্রবাসী। এ ঘটনায় ভেঙে যায় ওই বিয়ে। উপায়ান্তর না দেখে প্রবাসীর পরিবার থানায় মামলা করে। শেষ পর্যন্ত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আত্মসাৎ করা সামগ্রী উদ্ধার করে।
আজ ২ মার্চ রবিবার সেই মালপত্র প্রবাসীর মা-বাবার কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ডিবির লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, প্রতারক শাওন আহমেদের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি বগুড়ায়। ওই মামলায় গ্রেপ্তারের পর তিনি এখন কারাগারে।
জানা যায়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। বিয়ে ঠিক হলে দুবাই প্রবাসী বড় ভাই তাঁর বোনের জন্য স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন কেনেন। আর হবু বরের জন্য কেনেন আইফোন। দেশে ফেরার সময় শাওন নামে প্রবাসীর হাতে তা তুলে দেন। নির্দিষ্ট দিনে বিমানবন্দরে মালপত্র গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন কনের বাবা। কিন্তু প্রতারক ফাঁকি দিয়ে চলে যান বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। সব বিক্রি করে দিয়ে একতলা বাড়ি নির্মাণের কাজ ধরেন, কেনেন দামি মোটরসাইকেলও।
এ ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন ভুক্তভোগী কন্যার বাবা। পরে উদ্ধার করা মালপত্র আদালতের অনুমতি নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
নাটোর সদর থানার ভেতরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের ঘটনায় অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরিফুল ইসলাম। এর আগে ঐ দিন সন্ধ্যায় ঘুষ নেওয়ার সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করে।
শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে (এস.আই আমিনুল) সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে নাটোর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা চলতে থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবারে ধারণ করা এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কাগজপত্র দিতে আসা এক সেবাপ্রার্থী সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলামের সাথে হাত মেলানোর ছলে ঘুষ দেন। পরে আমিনুল তা ড্রয়ারে রেখে দেন। এই ভিডিওটি ধারণ করেন মামুন হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী।
মামুন হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার তিনি তার পরিচিত মোবারক হোসেনের হয়ে সম্প্রতি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে থানায় আসেন। এ সময় থানার ভেতরেই ক্লিয়ারেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম তার কাছে ঘুষ দাবি করেন। অন্য এক আবেদনকারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি। পরে পুনরায় তার কাছে ঘুষ দাবি করলে প্রতিবাদ করে থানা থেকে বেড়িয়ে আসেন। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
চলারপথে রিপোর্ট :
অবশেষে জাপানের অর্থ সহায়তায় নির্মিত হতে যাচ্ছে মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়ায় পদ্মাপারের প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
সেই সঙ্গে উপজেলায় প্রায় ৪৬২ একর জমিতে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাপানের ৩০ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র ও প্রতিনিধি দলের প্রধান সুতোমো সাসাগাওয়া।
গতকাল বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাপানের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা শিবালয় উপজেলার বোয়াল ও পদ্মাপার পাটুরিয়া এলাকা পরিদর্শন করেন।
বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের ফুটস্টুল কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক হায়াসি বলেন, জাপান ও বাংলাদেশ সুন্দর সম্পর্কের এক বন্ধন। আমরা এখানে বিনিয়োগ করতে চাই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে জানা গেছে, প্রায় এক হাজার কোটি টাকা দিয়ে স্টেডিয়ামটি তৈরি করে বাংলাদেশকে উপহার দিতে চায় প্রতিনিধি দল।
এ সময় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাপানি প্রবাসী নেওয়াজ শরীফ জানান, শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করে বাংলাদেশকে উপহার দিতে চায় তারা। শুধু স্টেডিয়ামের জন্য প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। আমরা চাই, মানিকগঞ্জে অর্থনৈতিক উন্নয়ন জোনে বিনিয়োগ করতে। পাশাপাশি টুরিজম সেক্টরে বিনিয়োগ করতে। এর আগেও তারা দুইবার এসে ঘুরে দেখেছেন স্থান দুটি।
পরিদর্শন শেষে জাপানের বাংলাদেশি প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের অন্যতম শরিফ নেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান, আগামী অর্থবছরে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাপান সরকারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের সঙ্গে জাপানি বিনিয়োগকারীরা সংহতি প্রকাশ করেছে। প্রস্তাবিত এ স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজে শরিক হওয়ায় জাপানিরা গর্ববোধ করবেন।
শিবালয় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুর রহমান বলেন, ৪৬২ একর জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে তাদের। তাতে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয় এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, জাপানের ৩০টি প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা স্টেডিয়াম ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বিনিয়োগ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন জাপান সফর করেন, তখন তারা শিবালয়ের এই দুইটি স্থানে বিনিয়োগের কথা জানান। সেই অনুসারে তারা জায়গা পরিদর্শন করেছেন। বর্তমান সরকার মানিকগঞ্জের শিবালয়ের বোয়ালীতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও পদ্মাপারে আন্তর্জাতিকমানের স্টেডিয়াম করার ঘোষণা দিয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, প্রতিনিধি দলের প্রধান সুতোমো সাসাগাওয়া, হায়শি নবুয়া, জাপানের বাংলাদেশি প্রবাসী শরিফ নেওয়াজ, শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনিসুর রহমান প্রমুখ।