চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা অতিমারী ও ইউক্রেন যুদ্ধ- সবকিছু মিলিয়ে সারা বিশ্বের অর্থনীতি মন্দার কবলে, সেখানে আমাদের প্রচেষ্টা দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখা। সেজন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ একদিন উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে।’
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকাল ১০টায় প্রয়াত ডা. এস এ মালেকের স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এস এ মালেক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। গত বছরের ৬ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল জীবন থেকে রাজনীতি করি। কলেজে ছাত্রলীগ করতাম, কলেজে ভিপিও ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রলীগে সম্পৃক্ত ছিলাম। কখনও নেতৃত্ব নেওয়ার চিন্তা করিনি। দলের জন্য যখন প্রয়োজন হয়েছে, আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটাই পালন করেছি। পঁচাত্তরের পরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তখনও আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিতে হবে- সেটা ভাবিনি। বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠন হয়েছে শুনে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করেছি। ডা. মালেক আমাকে চাপ দিতেন, তোমাকে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিতে হবে। সত্যি কথা বলতে, আমি দলের দায়িত্ব নেওয়ায় ডা. মালেকের অনেক অবদান রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডা. মালেককে আমরা ছোটবেলা থেকে চিনি, তার সঙ্গে আমাদের পারিবারিকভাবে সম্পর্ক রয়েছে। তিনি সবসময় রাজনীতি সচেতন ছিলেন। দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তার ভূমিকা ছিল। মুক্তিযুদ্ধে নিজের হাতে অস্ত্র তুলে প্রতিরোধ করেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর মুশতাক সংসদ সদস্যদের বৈঠকে ডাকে। তবে ডা. মালেকসহ অনেক সংসদ সদস্য সে বৈঠকে যোগ দেননি। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। সেখানে টিকতে না পেরে তিনি ভারতে চলে যান।’
এস এ মালেকের স্মৃতিচারণ করে সরকারপ্রধান আরো বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ডা. মালেক আমার রাজনৈতিক উপদেষ্টা থাকাকালে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তার মধ্যে কোনো অহমিকা ছিল না। তিনি হোমিওপ্যাথির প্র্যাকটিস করতেন, বিনামূল্যে ওষুধও দিতেন। তিনি অনেক বৈরী পরিবেশে জাতির পিতার আদর্শকে এগিয়ে নিয়েছেন এবং নেতাকর্মীদের মধ্যেও সেটি দক্ষভাবে ছড়িয়ে গিয়েছেন। লেখালেখিতেও তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রচার করেছেন।’
বঙ্গবন্ধু পরিষদ নিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ও তার আদর্শ তুলে ধরতে ঢাবি উপাচার্য মতিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধু পরিষদ গড়ে তোলেন। সেসময় বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়াও নিষিদ্ধ ছিল। সে সময় তারা একটি বইও প্রকাশ করেন। বিভিন্ন লেখনীতে বঙ্গবন্ধুর কর্ম জাতির সামনে তুলে ধরেন। তবে তাদেরকে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
সভায় আলোচনায় অংশ নেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আবদুল খালেক, বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অর্থনীতিবিদ লিয়াকত আলী মোড়ল ও অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম।
বক্তারা বলেন, ডা. এস এ মালেক ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক ও বলিষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সকল প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন তিনি। সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তিনি নিজের জীবনকে পরিচালিত করেছেন। নতুন প্রজন্ম যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তাদের জীবন পরিচালিত করতে পারে তাহলে প্রয়াত ডা. এস এ মালেকের আত্মার শান্তি পাবে। এ সময় বক্তারা তার নামে দেশের একটি সড়ক নামকরণের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে এস এ মালেকের স্মরণে ‘তুমি রবে নীরবে’ গান পরিবেশিত হয়। ‘ডা. এস এ মালেক: বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আলোয় আঁকা একজন সাহসী মানুষের প্রতিকৃতি’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অজিত কুমার সরকার।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় কোমলমতি শিশুদের নিরাপত্তা বিবেচনায় পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আজ ৪ আগস্ট রোববার থেকে ধাপে ধাপে খোলার কথা থাকলেও সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয় বলে জানান তিনি।
মাহবুবুর রহমান জানান, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ধাপে ধাপে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
৪ আগস্ট থেকে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এবং নরসিংদী জেলার পৌর এলাকা ব্যতীত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় লার্নিং সেন্টারগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম অনুমোদিত সময়সূচি অনুযায়ী চালু হবে বলে জানিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অনলাইন ডেস্ক :
বিদেশিদের পরামর্শে নয়, নিজেদের প্রয়োজনে ও দেশের বাস্তবতায় শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানের এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে এ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আজ ১৪ মে মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আইন মন্ত্রণালয়ের উভয় বিভাগের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আইএলওর বিশেষজ্ঞ টিমসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের তিনদিনের টানা আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা শ্রম আইন সংশোধন করছি। তবে আইএলওর সুপারিশ অনুযায়ী শ্রম আইন সংশোধনে কিছু কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে। সুপারিশগুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা ও মতবিনিময় হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক মানের ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় শ্রমিক অধিকার, যেটি বঙ্গবন্ধু বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন, সেভাবেই শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আইন সংশোধনে সরকারের উদ্যোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আইএলও। তাদের সুপারিশগুলোর মূল উদ্দেশ্য শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানের করা। শ্রমিক সংগঠন (ট্রেড ইউনিয়ন) করার ক্ষেত্রে শতভাগ শ্রমিকের সম্মতির ব্যাপারে তাদের সুপারিশ থাকলেও ১৫ শতাংশের সম্মতি নেওয়ার বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলহত্যা দিবস আজ। ইতিহাসের আরেক কলঙ্কময় বেদনাবিধুর দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নিভৃত প্রকোষ্ঠে বন্দি অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়। মধ্যরাতে কারাগারের ভেতরে এমন জঘন্য ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। সেদিনের ওই ঘটনা দেশবাসীসহ সারাবিশ্ব স্তম্ভিত হয়েছিল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ৩ নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এ চার নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও চেতনাকে নির্মূল করা। কিন্তু মুক্তিকামী মানুষ সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র এবং হত্যার রাজনীতিকে পরাজিত করেছে। তারা আরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতাকে।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ও সেখানকার শরণার্থীরা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকট থেকে মনোযোগ সরিয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ (ইউক্রেনে) পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। পুরো ফোকাস (দৃষ্টি) এখন যুদ্ধ এবং ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীদের দিকে।’
কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি ৫) ফাঁকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি এবং সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আজ ৮ মার্চ বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৪ মার্চ কাতারে পৌঁছান শেখ হাসিনা এবং আজ বিকেলে তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। সূত্র : বাসস
প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে বলেন, ঢাকা সমস্যা সমাধানে আলোচনায় নিয়োজিত থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে ইতিবাচক নয়।
আল জাজিরার সাংবাদিক নিক ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন। সাক্ষাৎকারের একটি সংক্ষিপ্ত অংশ ইতোমধ্যেই সম্প্রচার করা হয়েছে এবং পূর্ণাঙ্গ অংশটি আল জাজিরাতে আগামী ১১ মার্চ শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে সম্প্রচার করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমারে নিপীড়ন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড এবং পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে যখন রোহিঙ্গা নিপীড়ন শুরু হয়, রোহিঙ্গারা নির্যাতন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয় তখন আমরা তাদের জন্য দুঃখ অনুভব করেছি। এরপর আমরা সীমান্ত খুলে দিয়েছি, আমরা তাদের আসতে দিয়েছি। এছাড়াও, আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের সকলের জন্য আশ্রয় ও চিকিৎসা দেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারের সঙ্গেও কথা বলতে শুরু করি। আমরা তাদের বলি, আপনারা তাদেরকে (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে নিন। দুর্ভাগ্যক্রমে তারা ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু এটা সত্যিই খুব কঠিন। আমরা তাদের জন্য আলাদা জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। ভাসান চর একটি ভালো জায়গা, থাকার জন্য ভালো জায়গা… আমরা সেখানে শিশুদের জন্য ভালো থাকার ব্যবস্থা এবং চমৎকার সুবিধার ব্যবস্থা করেছি।’
রোহিঙ্গা শিবিরে জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং আগুনে ১২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার আশ্রয় হারানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তারা (রোহিঙ্গারা) একে অপরের সাথে লড়াইরত। তারা মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত। তারা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাকে প্লাস্টিকের বোতলমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিতায় প্লাস্টিকের বোতলের পরিবর্তে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে কাচের জগ আর গ্লাস। এই উদ্যোগের নেতৃত্ব দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। উপদেষ্টা পরিষদের সহকর্মী সদস্যদের প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি। প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস এই প্রস্তাবকে সমর্থন করে যমুনাকে প্লাস্টিকের বোতলমুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রায় এক সপ্তাহ ধরে প্লাস্টিকের বোতলজাত পানি ব্যবহার বন্ধ বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি আরো বলেন, প্রথমে আমি ভেবেছিলাম এটি সম্ভব হবে না। তবে এই পরিবর্তনের পরে প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেছে।