চলারপথে রিপোট :
নাসিরনগরে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার সকালে উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে একটি র্যালি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ চত্বরে শান্তি সমাবেশে মিলিত হয়।
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রায়হান আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি. এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক ভানু চন্দ্র দেবের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগ নেতা জানে আলম ভূঁইয়া সায়েম, নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, রিয়াজুল ইসলাম চৌধুরী বকুল, তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া, আমির হোসেন, জাসুক ভূঁইয়া, রতন শাহাজী প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। বিএনপি-জামাত যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয় করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করেই ঘরে ফিরবে যুবলীগ।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশব্যাপী ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে নাসিরনগর উপজেলা অডিটরিয়াম হল রুমে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে নাসিরনগর উপজেলা গাউছিয়া কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন- জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন, প্রথমবারের মতন ইমাম সাহেবদের তালিকা করে ভাতা দেওয়া চালু করেছেন। এছাড়াও তার বক্তব্যে তিনি ইসলামের খেদমতে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের নানান কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
গাউছিয়া কমিটি নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মো. এখলাছুর রহমানের সভাপতিত্বে সভার প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা হাফেজ মুফতি নেছার উদ্দিন।
উপজেলা গাউছিয়া কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, গুণিয়াউক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জিতু মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপু, খান্দুরা দরবার শরীফের পীর সৈয়দ আহমদ বখত মতিন ও পীর সৈয়দ জোবাইর কামাল, নাসিরপুর দরবার শরীফের পীর সৈয়দ আশ্রাফুল আবদাল মুকাল্লিদ, নাসিরনগর নূরে মদিনা দরবার শরীফের পীর মাওলানা গোলাম মোহাম্মদ খান, দাঁতমন্ডল আজিজিয়া দরবার শরীফের পীর মাওলানা আনোয়ারুল আজিজ, নাসিরনগর সদর খানকায়ে গাউছিয়া চকদার মঞ্জিল এর পীর শাহজাহান হোসাইন চকদার প্রমুখ।
এছাড়াও সভায় মাওলানা সৈয়দ অলি হায়দার, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা হুসাইন আশ্রাফী, মাওলানা নূর আলম রেজা, মুহাম্মদ মতিউর রহমান, মাওলানা ক্বারী মনিরুল ইসলাম শান্তিপুরীসহ উপজেলার অন্যান্য পীর মাশায়েখ, আলেম-ওলামা ও স্থানীয় মুসল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী রুমা আক্তার। ৮ মে বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষনা করা হয়। এ ফলাফলে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী রুমা আক্তার পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো: ওমরাও খান পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৮০ ভোট।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবু আহাম্মদ কামরুল হুদার টিউবওয়েল প্রতীকে ৩৭ হাজার ৯২৬ ভোট জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ভানু চন্দ্র দেব মাইক প্রতীক পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৭ ভোট।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রিটা আক্তারের ফুটবল প্রতীকে ৩২ হাজার ২৩৭ ভোট জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রুবিনা আক্তার কলস প্রতীক পেয়েছেন ২২ হাজার ৩৬৩ ভোট। নিবার্চনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আজ ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকালে স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
সাবেক ইউপি সদস্য মধু মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলন উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ অলি মিয়া। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরে আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, কৃষকলীগ নেতা আলী আশরাফ ও আমির হোসেন ফারুক ।
বক্তব্য রাখেন কৃষকলীগ নেতা এম.এ কাশেম, মোহাম্মদ গোলাম আলী, মো: ইলিয়াছ মিয়া, গৌরদাস ভোমিক, নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
সম্মেলনে মোঃ গোলাম হোসেনকে সভাপতি ও ইউনুস মিয়া ও সোহরাব হোসেনকে সহ-সভাপতি, মোঃ ইলিয়াছ মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া,শাহেদ মিয়াকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক , মোখলেছুর রহমানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট সদর ইউনিয়ন কৃষকলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুইপক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ ১০জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
আজ ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে উপজেলার সদরের পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- মীর ফাহাদ (৩৮), মীর বশির আহমেদ (৬০), মীর আলতাফ হোসেন (৪০), মীর রাসেল (৫২), মীর মিনহাজ (৫০), মীর জালাল (৪৫), মীর রুবেল (৩৮), মীর নাসির (১৮), বাসিরুন্নেসা (৭০), মীর মাসুমা (২২)। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় মীর ফাহাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। তারা সবাই পারিবারিকভাবে একে অপরের আত্মীয় ।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা মীর বশিরের সাথে চাচাত ভাই মীর কাশেমের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় একযুগ আগে মীর কাশেম সদর ইউনিয়নের কুলিকুন্ডা গ্রামের মীর আফতাজ উদ্দিনের কাছে জমি বিক্রি করে। পরবর্তীতে দেড় বছর আগে আফতাজের কাছ থেকে সেই জায়গা ক্রয় করে মীর বশির। কিন্তু মীর বশির জায়গার দখল নিতে পারছিল না। ঘটনার দিন উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সেই জমি মাপার কথা ছিল। বেলা ১১টার দিকে উভয়পক্ষ উপস্থিত হলে তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয়পক্ষের নারীসহ প্রায় ১০জন আহত হয়।
আহত এডভোকেট মীর রাসেল জানান, আমার ভাই মীর বশির একটি জায়গা ক্রয় করে। কিন্তু সেই জায়গা মীর কাশেম দখল করে রেখেছে। আজ জায়গাটি দখল করতে গেলে মীর কাশেমের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে মীর কাশেমের ভাতিজা মীর জালাল জানান, আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। আমরা কাউকে আক্রমণ করিনি, তারাই আমাদের উপর হামলা করেছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনার সাথে জড়িত দোষী ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে জমি থেকে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, শান্তাকে তাঁর স্বামী হত্যা করেছে। ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরপুর গ্রামের ফসলি জমি থেকে গৃহবধূ শান্তা আক্তারের (২৩) মরহেদ উদ্ধার করা হয়।
শান্তা পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মিনহাজ মিয়ার স্ত্রী ও উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাতমণ্ডল গ্রামের শিরু মিয়ার মেয়ে। তাঁর স্বামী মিনহাজের দাবি, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। তবে শান্তার পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করেছেন মিনহাজ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছয় বছর আগে মিনহাজ ও শান্তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই মিনহাজ যৌতুকের জন্য শান্তাকে মারধর করতেন। বিভিন্ন সময় পরিবারের কাছে টাকা দাবি করতেন। টাকা না দিলে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। এ নিয়ে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মিনহাজের বিরুদ্ধে মামলাও করেন শান্তা। সম্প্রতি আদালত শান্তার পক্ষে রায় দেন এবং ৭ লাখ টাকা জরিমানাও করেন মিনহাজকে। এ নিয়ে মিনহাজ ক্ষুব্ধ ছিলেন।
আরো জানা গেছে, গত বুধবার শান্তার চাচি মারা যান। এ সময় তাদের বাড়িতে আসেন মিনহাজ। তিনি শান্তাকে আদালতের মামলা তুলে নিতে বলেন এবং তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। পরদিন বৃহস্পতিবার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হন মিনহাজ ও শান্তা। পর দিনই শান্তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শান্তার মা নাসিমা বেগম বলেন, ‘আমার মাইয়াডারে যৌতুকের টাকার লাইগ্যা মাইরালাইছে। আমরা না করছিলাম হের জামাইরে (স্বামী) যেন বিশ্বাস না করে। আমি আমার মাইয়্যার (মেয়ে) খুনের বিচার চাই।’
নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা বলেন, লাশের মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। তার বুকের ওপর পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া গেছে। দেখে মনে হচ্ছে এটি হত্যা। তদন্তের প্রয়োজনে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হবে।