চলারপথে রিপোর্ট :
বিশেষ প্রতিনিধি ॥ নাসিরনগর উপজেলা সদরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ফিল্ড অফিসার হিসেবে চাকরি করেন। জেলা শহরের মধ্যপাড়ায় বসবাস করেন পরিবার নিয়ে। গত ৫ বছর ধরে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে নিজের মোটর সাইকেল দিয়ে কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করেন। কিন্তু এখনো নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারেননি তিনি। গত তিন বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অফিসে কাগজপত্রসহ ফি জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু অফিস থেকে নানা জটিলতা দেখিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে মোটর সাইকেল নিয়ে চলার পথে অসংখ্যবার জরিমানা দিতে হয়েছে তাকে।
সরেজমিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরটিএ অফিসে গিয়ে শরিফ উদ্দিনের মতো আরো বেশ কয়েকজনকে নানা সমস্যা নিয়ে আশপাশে পায়চারি করতে দেখা যায়। কথা হয় তৌফিক আহমেদ নামের এক ভুক্তভোগীর।
তিনি বলেন, আমি একটি বেসরকারি সংস্থায় (আশা) লোন অফিসার হিসেবে নবীনগর উপজেলায় কর্মরত। ২০২০ সালে মোটর সাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করি। সব প্রক্রিয়া শেষ করার পর ভাইভাতে আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আমি কার লোক বা কারও মাধ্যমে লাইসেন্স করতে এসেছি কি না? আমি না সূচক উত্তর দেওয়ায় আমাকে বের করে দেওয়া হয়। পরে সরকারি লাইসেন্স ফি আড়াই হাজার টাকার স্থলে বিআরটিএ’র স্টাফ আবু বক্করের সঙ্গে নয় হাজার টাকায় চুক্তি করি। তারপরও গত তিন বছর ধরে ঘুরতে হচ্ছে। আজ আমাকে আবার নতুন করে আবেদন করতে বলা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সার্কেল অফিস দালালদের জন্য উন্মুক্ত। এখানে চিহ্নিত কয়েকজন দালালের আধিপত্য রয়েছে। এর মধ্যে আজাদ, শাহ আলম, মোস্তাকিম, আবুল, মেড্ডার খোকন, শরীফ, কসবার শাহ আলম, সামীর ও আহসানের নাম উল্লেখযোগ্য। তারা অফিসের ফটকের সামনেই বেঞ্চ পেতে বসে থাকেন। অফিসের মূল স্টাফদের সঙ্গে তাদের সখ্যতা রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতেও কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা উপস্থিত থাকেন। এছাড়া মফিজ ও আবু বক্কর নামে দুজন নিজেদের স্টাফ পরিচয় দিয়ে কাজ করেন। অথচ তাদের কোনো নিয়োগপত্র নেই। তারা দালালদের সহায়কের ভূমিকায় কাজ করেন।
কাছে আবু বক্কর নিজেকে এই অফিসের সিল মেকানিক হিসেবে দাবি করেন। এছাড়া কোনো দালালের সঙ্গেও তার কোনো সম্পর্ক নেই বলেও জানান।
জানা যায়, নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার পর প্রাথমিক অবস্থায় লার্নার লাইসেন্স প্রদান করা হয়। পরে ধাপে ধাপে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা, ভাইভা ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নেওয়া হয়। কিন্তু দালাল ছাড়া এই প্রক্রিয়া করা প্রায় অসম্ভব। পদে পদে বিভিন্ন অজুহাতে অফিস থেকে লাইসেন্স আবেদনকারীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বাধ্য হয়ে দালালের দারস্থ হতে হয় আবেদনকারীদের। তারা লাইসেন্সপ্রতি ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। এর মধ্যে ডোপ টেস্ট থেকে শুরু করে ভাইভা, ফিঙ্গার প্রিন্ট সবকিছু দালালরাই ম্যানেজ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ১৫ হাজার থেকে ১৮ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চলাচল করছে। এর মধ্যে মাত্র পাঁচ হাজার ২৫০টি সিএনজিচালিত অটোরিক্সার লাইসেন্স আছে।
বিজয়নগর উপজেলার কালাছড়া গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক রোমান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ২০১৮ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে এক দালালকে ১২ হাজার টাকা দেন। কয়েক দিন ঘোরানোর পর তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরে কসবার কামালপুরের দালাল শাহ আলমের সঙ্গে ১৮ হাজার টাকায় চুক্তি করি। এরপরও প্রায় তিন বছর কেটে গেল। লাইসেন্স পাওয়া হলো না।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন সিদ্দিক বলেন, আমি এই কার্যালয়ে সম্প্রতি যোগ দিয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে। প্রয়োজনে দালালদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হবে।
নিজেকে সিল মেকানিক হিসেবে দাবি করা আবু বক্করের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার তো সরকারি কোনো নিয়োগ নেই। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এভাবে এখানে কাজ করছেন বলে জানতে পেরেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে শাহিন মিয়া (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের লালুয়াটুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা জানান, সকালে লালুয়াটুক গ্রামের মোঃ সাজু মিয়ার ছেলে মোঃ শাহিন মিয়া বাড়ির পাশে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরানুল হক ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রার্থী বদরুদ্দোজ্জা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে হুমকি দেওয়া আওয়ামী লীগ নেত্রী রোমা আক্তারকে শোকজ করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ রেজাউল হক এই বিষয়ে শোকজ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই আদালতের পেশকার শাহজাহান বলেন, রোমা আক্তারকে ৩১ ডিসেম্বর বিকেল পাঁচটার মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
অনুসন্ধান কমিটির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, রোমা আক্তারের দেওয়া বক্তব্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৭৭ (১) অনুচ্ছেদ ও সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ১১ বিধির সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন মর্মে কমিটির নিকট প্রতীয়মান হয়।
গত বুধবার রাতে নাসিরনগর উপজেলা সদরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী সভা থেকে এ হুমকি দেওয়া হয়। সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। রোমা আক্তার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নাজির মিয়ার স্ত্রী।
এ সময় রোমা আক্তারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা নাসিরনগরের মানুষ সহজ সরল মানুষ। দাঙ্গা হাঙ্গামা চাই না। আমাদের নেতৃবৃন্দ যে জেল খেটেছেন সেটা আমাদের কলঙ্ক। আপনাদের কাছে আকুল আবেদন ভোট দিয়ে অধিকার ছিনিয়ে নিবেন। উনি যে বেইজ্জতি করেছেন তার জন্য ধিক্কার জানাই। তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হয়রানি করেছেন। উনি নাসিরনগর এসেছেন প্রবীণ নেতৃবৃন্দের নাম মুছে ফেলার জন্য। আরে নাম মুছে ফেলা এত সহজ নয়। এটা কাগজে লেখা নাম নয়। মানুষের হৃদয়ে লেখা নাম, মুছে ফেলতে পারবেন না। তবে আপনার নাম কেন, সাত তারিখের পর নাসিরনগরের মাটিতে আমরা আপনাকে পা রাখতে দেবো না।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বালুবাহী ঠেলাগাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা লেগে সঞ্জিত দেব (৫৬) নামের এর চালক নিহত হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের আধুনিক হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সঞ্জিত দেব উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরনগর নমসুদ পাড়ার সরাজ দেবের ছেলে।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সঞ্জিত দেব দীর্ঘদিন ধরে ঠেলাগাড়ি চালিয়ে আসছিল। বিকেলে বালু নিয়ে সদর ইউনয়নের আধুনিক হাসপাতালের এলাকার মাটির রাস্তা দিয়ে নিচে নামার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে সঞ্জিত গুরুত্বর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল মৃত ঘোষণা করে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহাগ রানা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
“ধর্ম, বর্ণ ভিন্ন মত, সবার জন্য খেলাফত” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নাসিরনগর উপজেলা শাখার ঈদ পুনর্মিলনী ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নাসিরনগর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আবদুস ছাত্তারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বি এম গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় ঈদ পূর্ণমিলনী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি মাওলানা মঈনুল ইসলাম খন্দকার। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা শাখার প্রধান উপদেষ্ঠা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী শায়েখ হাফেজ মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ আল-মাদানী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের শুরার সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা সামছুদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তাজুল ইসলাম কাসেমী, উপদেষ্ঠা হাফেজ হোসাইন আহমেদ, মাওলানা আবদুল কাদির, হাফেজ ইকবাল হোসেন, মো: মাজারুল হক কাসেমী, মাওলানা মোজাহিদুল ইসলাম ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান, জামায়াতের প্রতিনিধি মো: রমজান আলী, মাওলানা আবু আহমদ কল্যাণ ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান অ্যাড. আবু বকর সিদ্দিক ও নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি সাইফুজ্জামান জনি। এছাড়াও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা হোসাইন আহমদ নুরপুরী, যুব মজলিসের ফখরুদ্দিন বিশালসহ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নাসিরনগর উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে ইয়াবা বিক্রির টাকা নিয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে কমপক্ষে শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। হামলার হাত থেকে রেহাই পায়নি গবাদি পশুও। প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট চালায় দাঙ্গাবাজরা। আহতের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের কামাল দিঘী পাড়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ফান্দাউক গ্রামের শাহজানের ছেলে রুবেল শাহ একজন মাদক কারবারী। একই গ্রামের আজদন মিয়ার ছেলে শাফায়েত মিয়া রুবেলের কাছ থেকে কিছু ইয়াবা কেনেন। এ নিয়ে কিছুদিন পর পর পাওনাদারদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে, গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে মাদক কারবারি রুবেল শাহ ও শাফায়েতের আত্মীয় পারভেজ মিয়ার মধ্যে মাদকের টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এসময় উভয় পক্ষের নারী-পুরুষসহ ৭০ জন আহত হয়। পরদিন আজ বৃহস্পতিবার সকালে পশুর হাটে যাওয়ার সময় শাফায়েতের পক্ষের মারুফ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় রুবেল শাহের লোকজন। এসময় দুই পক্ষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। এতে আরো ৪০ জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় শাফায়েতের পক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠে।
অভিযুক্ত রুবেল মাদকের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার বড় ভাই নাইম শাহ পাশের বাড়ির শাফায়েত ও পারভেজের কাছে ৭০ হাজার টাকা পায়। সে টাকা ফেরত চাওয়ায় আমাদের উপর হামলা করে শাফায়েতের লোকজন। দু’দফা হামলায় আমাদের প্রায় ৭০-৮০ জন আহত পরে।
আহতরা হলো-বক্কর শাহা, ফকরুল শাহা, সাফিউল শাহ, সালাউদ্দিন শাহ, আলামিন শাহা, সালমান শাহ, ইয়ামিন শাহ, ইমন শাহ, জাকির শাহ, মেরাজ শাহ, মবিন শাহ, হৃদয় শাহ, লালন শাহ, মহিন শাহ, রায়হান শাহ, নিজাম শাহ, মুন্না শাহ, মুক্তাদির শাহ, মুন্নী শাহ, সজল শাহ, ফয়সাল শাহ, শিফন শাহ, শামীম শাহ, বাদল শাহ, ইধন শাহ, নাজুল শাহ, আলম শাহ, শাকিল শাহ, ইমন শাহ, মাসুক মিয়া, কামরুল মিয়া, নিজাম মিয়া, জুবায়ের মিয়া, শাহনাজ মিয়া, আবদুল্লাহ মিয়া, বক্কর মিয়া, হুমায়ুন মিয়া, তানভির ফয়সল মিয়া, লীমা বেগম, রাকিবা বেগম, নাসুমা, নাছিমা বেগম, ফারহানা বেগম, লীজা বেগম, কল্পনা বেগম, আকলিমা বেগম, তানজু বেগম, শেলিনা বেগম, খুদেজা বেগম, রাকিবা, সিমু বেগম, সুমাইয়া বেগম, জান্নাত বেগম, ইভা বেগম ও নুসরাত বেগম।
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার সাইফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের পর দু’পক্ষের আহত লোকরাই চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। মাদকের টাকা নিয়ে সংঘর্ষের বিষয়টি আমার জানা নেই। ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা আছে।