অনলাইন ডেস্ক :
বিয়ে মানে যে কারও জন্যই বিশেষ দিন। এমন একটি স্মরণীয় দিন নির্ঝঞ্ঝাট কাটুক, সেটাই সবাই চায়। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ দিনেই লিফটের ভেতর আটকা থাকতে হলো পানভ ঝা এবং ভিক্টোরিয়া ঝা নামে এক যুগলকে। তাদের উদ্ধারে ডাকতে হয় দমকল বাহিনীকেও।
সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার শার্লট শহরে। সেখানে গ্রান্ড বোহেমিয়ান হোটেলের লিফটে আটকা পড়েছিলেন বর, কনে এবং তাদের পরিবারের আরও চার সদস্য।
জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছিল পানভ-ভিক্টোরিয়ার বিয়ের দিন। সেদিন বিয়ের পর্ব শেষ হওয়ার পরে বাকি আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে হোটেলের ১৬তলায় উঠছিলেন বর-কনেসহ ছয় আরোহী।
পানভ সিএনএন’কে জানান, মাত্র পাঁচ ফুট ওপরে উঠতেই হঠাৎ আটকে যায় লিফট। সেটি প্রথম ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি ঝুলতে থাকে এবং এর ভেতর আটকা পড়েন তারা ছয়জন।
পানভ বলেন, এরপর দরজাগুলো খুলতে শুরু করে। ফলে আমার সামনে ও পেছনে কংক্রিটের দেওয়াল দেখতে পাচ্ছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল, এটি স্বাভাবিক নয়!
এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে শেষপর্যন্ত শার্লট দমকল বিভাগকে ডাকা হয়। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, তারা লিফটে আটকেপড়া নিয়ে বহু ফোনকল পান। তবে এবারের পরিস্থিতি বেশ কঠিন ছিল।
ডেভিড বাড নামে এক দমকলকর্মী বলেন, লিফটে আটকাপড়া কলের ক্ষেত্রে সাধারণত যেসব বিষয় চেষ্টা করা হয়, আমরা তার সবই করেছিলাম। কিন্তু কোনো কিছুই কাজ করছিল না।
পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দড়ি দিয়ে টেনে বর-কনেসহ ছয় আরোহীকে বের করে আনে দমকল বাহিনী। তবে ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
উদ্ধারকাজ শেষে বর-কনের সঙ্গে হাসিমুখে ছবি তোলেন দমকলকর্মীরা। ঘটনার বর্ণনাসহ সেই ছবি শেয়ার করা হয়েছে শার্লট দমকল বিভাগের ফেসবুক পেজেও।
ছবিতে দেখা যায়, কনে একটি ঝলমলে লেহেঙ্গা এবং বর একই রঙের শেরওয়ানি পরে দমকলকর্মীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। নতুন জীবনের জন্য তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে দমকল বিভাগ।
লিফটে আটকে পড়ার কারণে বিয়ে পরবর্তী ওই অনুষ্ঠানে আর অংশ নেওয়া হয়নি বর-কনের। তবে এ নিয়ে খুব বেশি আফসোস নেই কনের। লিফটে একা আটকে না পড়াতেই খুশি ভিক্টোরিয়া। তার কথায়, অন্ততপক্ষে সময়টা আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছি।
আর পানভ স্বীকার করেছেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও ভবিষ্যতে সন্তানদের বলার জন্য দারুণ গল্প হবে। তিনি বলেন, আমি বাচ্চাদের বলবো, তোমাদের মা এতো সুন্দরী ছিলেন, যে দমকল বাহিনীকে আসতে হয়েছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি’র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার টোকিওতে জাইকা সদর দপ্তরে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাওয়ামুরা কেনিচির সাথে সাক্ষাত করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলাম এবং দূতাবাসের ইকনমিক মিনিস্টার সৈয়দ নাসির এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতকালে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মধ্য দিয়ে দুই বন্ধু প্রতীম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় ভিত্তি পায়। তিনি দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন সময়ে জাপান সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ জাপান সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়েছে।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে জাইকার সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি ভূমিকম্প সহনশীল নগর অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানি মডেলের কথা উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের আবাসন খাত ও নগর উন্নয়নে জাপানের এ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে জাইকার সহায়তা কামনা করেন।
জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাওয়ামুরা কেনিচি জাইকার সদর দপ্তরে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পিকে স্বাগত জানান। তিনি নাগাসাকিতে শান্তি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ উদ্যোগ পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় দু’দেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি বাংলাদেশে জাইকার চলমান প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জাইকার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে দু’পক্ষের মারামারির দুই মাস পর আহত হারুন মিয়া (৬০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি তার নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে হারুন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে সে মারা যায়। গত অক্টোবর মাসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর ভাবে আহত হয়েছিলেন হারুন মিয়া। হারুন মিয়ার মৃত্যুর পর উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হারুন মিয়া উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লক্ষীমুড়া গ্রামে মৃত কিতাব আলীর ছেলে। হাসপাতাল ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত লক্ষীমুড়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হারুন মিয়ার পরিবার ও মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে করিম মিয়ার পরিবারের জমিতে গরুর ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে করিম মিয়ার পক্ষের লোকেরা হারুন মিয়াসহ তার পরিবারের ৪-৫ জনকে পিটিয়ে জখম করে। তারপর বিজয়নগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর করিম মিয়ার লোকজন হারুন মিয়াকে হত্যা করার হুমকি দেন? পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যান দু’পক্ষের লোকদেরকে ডেকে তা আপস করার চেষ্টা করেন। পরে হারুন মিয়া তার ছেলে-ভাতিজাকে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে শেখ হাসিনা সড়কের উত্তর পাশে করিম মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা করেন। তাতে হারুন মিয়ার একটি হাত ও একটি পা ভেঙ্গে যায়। পরে তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হারুন মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে এক মাস হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। পরবর্তীতে বাড়িতে তার চিকিৎসা চলে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়- এই হামলার ইন্দনদাতা পত্তন ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়া।
নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়ার উপর হামলা হয়েছে। আমার চাচার হত্যা সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মারা গেছেন বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো সক্ষমতায় উৎপাদন বুঝিয়ে দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।
আজ ১৫ জুলাই শনিবার তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে টুইট বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আদানি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পুরো সক্ষমতায় উৎপাদন বুঝিয়ে দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। ভারত ও বাংলাদেশের সাহসী সেই দলকে আমি স্যালুট জানাই যারা করোনা মহামারির মধ্যেও কাজ শুরু করে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদনে নিয়ে এসেছেন।
জানা গেছে, স্বল্প সময়ের জন্য ঢাকা সফর করে ফিরে গেছেন ভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় আদানি গ্রুপের নির্মিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন তিনি।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে নিজস্ব উড়োজাহাজে করে ঢাকায় নামেন গৌতম আদানি। বেলা ১১টার দিকে তিনি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর দুপুর সোয়া ১টার দিকে আবার নিজস্ব উড়োজাহাজে করে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের প্রতিনিধি দল। পৃথকভাবে আসা পরিদর্শন দলে ইইউর চার সদস্য এবং অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের তিন সদস্য ছিলেন। সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পরিদর্শন টিম ক্যাম্পে ছিলেন।
আজ ১৩ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পে আসা ইইউর প্রতিনিধি দলে চার সদস্যর নেতৃত্ব দেন ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি ও অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের তিন সদস্যরের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ফার্স্ট সেক্রেটারি ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার এমিলি ম্যাকডোনাল্ড।
ইইউর প্রতিনিধি দলটি প্রথমে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৪ এ পৌঁছে। সেখানে ইউএনএইচসিআর পরিচালিত রেজিস্ট্রেশন সেন্টার ও পরে এক্সটেনশন-৪ এর ডাটা এন্ট্রি সেন্টার পরিদর্শন করেন।
এরপর ক্যাম্প-৪ এ ইউনিসেফ পরিচালিত লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করেছেন তারা। পরে উখিয়ার কুতুপালংয়ের ১৮ ও ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে দুপুর ২টায় ক্যাম্প থেকে কক্সবাজারের দিকে রওনা দেন। প্রতিনিধি দল বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজারের শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
অপরদিকে, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার এমিলি ম্যাকডোনাল্ডের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি সকাল ১০টার দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৩, ১৫ ও ১৯ পরিদর্শন শেষে শরণার্থী কমিশনার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে প্রতিনিধি দলটি সাধারণ কোনো রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেনি।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন ইইউর চার এবং অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ফার্স্ট সেক্রেটারিও ছিলেন। প্রতিনিধি দলটি এনজিও সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তারা বিকালে ক্যাম্প ছেড়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েল সফরে গিয়ে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল সফর করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। সফরের পর হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধ বিরতিতে অগগ্রতির আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার লাইভ আপডেট প্রোগ্রামে এ তথ্য জানায় আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, দক্ষিণ ইসরায়েলের কিবুতজ বেইরি শহর পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবারই তিনি ইসরায়েলে পৌঁছান। এরপর তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনসহ কিবুতজ বেইরি পরিদর্শনে যান।
গত ৭ অক্টোবর কিবুতজ বেইরি শহরে হামলা চালায় হামাস। ওই হামলায় প্রায় ১০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছিল। পরিদর্শনের সময় এলি কোহেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে হামলার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানান।
পরে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে নিজের পরিদর্শনের বিষয়ে একটি পোস্ট দেন ডেভিড ক্যামেরন। তিনি লেখেন, আমি নিজের জন্যই জায়গাটি পরিদর্শনে আসতে চেয়েছিলাম। আমি এমন কিছু শুনেছি এবং দেখেছি যা কখনই ভুলব না।
ওই পোস্টে তিনি হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতিতে ‘অগ্রগতির’ আশা প্রকাশ করেন। ক্যামেরন লিখেছেন- আজ এমন একটি দিন যেখানে আমরা মানবিক বিরতির অগ্রগতি দেখতে আশা করি। এটি জিম্মিদের বের করে আনা ও গাজায় সাহায্য করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। এটি ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সাহায্য করার সুযোগ, যেখানে মানুষ ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল পরিদর্শন করবেন বলেও পোস্টে জানান পশ্চিমা বিশ্বের এ নেতা।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো বলছে, ডেভিড ক্যামেরন তার সফরের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তবে, কখন, কোথায় তাদের এ সাক্ষাৎ হবে সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।