চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে, বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অংশিদারিত্বে ও বৃটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ এর পিফোরডি প্রকল্পের আওতায় ডিষ্ট্রিক্ট পলিসি ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে স্টেকহোল্ডার সভা আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিষ্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জয়নাল আবেদীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিষ্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরীফউদ্দিন।
বাল্য বিবাহের প্রতিরোধ বিষয়ে আলোচনা করেন জেলা রেজিষ্টার লুৎফুল কবির, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফরহাদ হোসেন ভূঁইয়া, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, আ. ফ. ম কাউছার এমরান, অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল, প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহিদুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, কাজী ইয়াহিয়া মাসুদ, পুরোহিত উজ্জ্বল চক্রবর্তী, ইপসার জেলা কো অর্ডিনেটর গোলাম সারওয়ার, পাদ্রী তিতাস দাস গুপ্ত প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বাল্য বিবাহের কুফল তুলে ধরে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
সভায় জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি, ইমাম, কাজী, পুরোহিত, পাদ্রী, ভুক্তভোগীগনসহ পিফরডি প্রকল্পের রিজিয়ন কো-অর্ডিনেটর মোঃ আলমগীর মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
ভায় সঞ্চালক ছিলেন ডিপিএফর সদস্য এস.এম শাহীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিতাস ও নরসিংদী গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ বাড়িয়ে উত্তোলন ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে স্থাপন করা হচ্ছে পাঁচটি ওয়েলহেড কম্প্রেসর। ইতোমধ্যে তিনটি কম্প্রেসর স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি দুইটি কম্প্রেসর বসানোর জন্য ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কম্প্রেসরগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত পাঁচটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ডটি অন্যতম বৃহৎ। প্রতিদিন তিতাসের ২৩টি কূপ থেকে ৩৯২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়। তবে প্রাচীন এই গ্যাস ফিল্ডের কূপগুলোতে গ্যাসের চাপ ক্রমাগত কমছে।
বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের চাপ ৭০০ পিএসআই হলেও তিতাসের কূপগুলোতে কমে দাঁড়িয়েছে ৬০০ পিএসআই। ফলে জাতীয় গ্রিডে চাপের সাথে সমন্বয় রেখে গ্যাস উত্তোলন এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন ‘এ’ ও ‘সি’- তে দুইটি কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। একই কারণে নরসিংদী গ্যাস ফিল্ডেও একটি ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া তিতাস গ্যাস ফিল্ডের লোকেশন ‘ই’ এবং ‘জি’- তে আরো দুইটি কম্প্রেসর বসানো হচ্ছে। যার ফলে জাতীয় গ্রিডে চাপের সাথে সমন্বয় রেখে গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। কম্প্রেসরগুলো স্থাপনে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। অর্থায়ন করছে জিওবি এবং জাইকা।
বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান সাংবাদিকদের জানান, তিতাস সহ অন্যান্য গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ হয়ে যাওয়া কূপগুলো ওয়ার্কওভার এবং নতুন কয়েকটি কূপ খনন করা হচ্ছে। এগুলোর কাজ সম্পন্ন হলে সামগ্রিকভাবে গ্যাস ফিল্ডগুলোতে গ্যাসের উৎপাদন বাড়বে।
ওয়েলহেড কম্প্রেসর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন উপলক্ষে জেলা শহরের ঘাটুরাস্থ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ‘এ’ লোকেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সুলতান, মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) উত্তম কুমার সরকার ও কোম্পানি সচিব মো. হাবিবুর রহমানসহ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত গরমে আবারো বাঁকা হয়ে গেছে রেললাইন। আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার পর আবারো সদর উপজেলার দাড়িয়াপুর এলাকায় ফের রেল লাইন বাঁকা হয়ে যাওয়ার খবর পায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম। এর পর পরই চট্টগ্রাম ও সিলেটের সাথে ঢাকা অভিমুখী (আপ লাইনে) ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে এই লাইন দিয়ে উপক‚ল এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকায় যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাষ্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম বিকেল পৌনে ৬টার দিকে বলেন, অতিরিক্ত গরমে দাড়িয়াপুর এলাকায় রেললাইন আবারো বাঁকা হয়ে গেছে। পরে রেল লাইনটি ঠান্ডা হওয়ার সাথে সাথে এর মেরামত কাজ শুরু হয়। তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর পরই চট্টগ্রাম ও সিলেটের সাথে ঢাকা অভিমুখী (আপ লাইনে) ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট অভিমুখী (ডাউন লাইনে) ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তিনি বলেন, ডাউন লাইনের অবস্থাও ভালো নেই। গরমে বেঁকে যেতে পারে। রেল মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ট্রেনের সর্বোচ্চ ৩০/৪০ কিলোমিটর গতিসীমায় চলাচল করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, ইতিমধ্যেই বেঁকে যাওয়া রেল লাইনের মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। প্রচন্ড গরম থাকায় লাইনটি ঠান্ডা করতে পানি ঢালা হয়েছে এবং কচুরিপানাও দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, অতিরিক্ত গরমের কারণে গত বৃহস্পতিবার দুপুর গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার দারিয়াপুর এলাকায় কনটেইনার ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনার ২৭ ঘন্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লাইনচ্যুত হওয়া ৭টি বগি উদ্ধার করা হয়। পরে ঘটনার ৩০ ঘন্টা পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্ষতিগ্রস্থ লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
এঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা খাইরুল কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীর প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী মোঃ সৌমাক শাওন, বিভাগীয় প্রকৌশলী ঢাকা- ২ সিরাজ জিন্নাত ও বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী মোঃ রাসেল।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে ঈদের বেচা কেনা। শহরের প্রতিটি মার্কেট, শপিংমল ও বিপনী বিতানগুলোতে এখন ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা।
মাকের্টের দোকান গুলোতে রয়েছে সব বয়সী মানুষেরই কাপড়-চোপড়ের বিপুল সমাহার। ক্রেতারাও পছন্দসই কাপড় কিনে হাসি মুখে বাড়ি ফিরছেন।
পবিত্র ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে ক্রেতারা যাতে কোন ধরনের ভোগান্তিতে না পড়েন সে জন্য মার্কেট কমিটিগুলোর পাশাপাশি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে পুলিশী ছাউনী। এছাড়াও সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে দোকানগুলো।
প্রতিটি মার্কেটেই নারী ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশী লক্ষ্য করা গেছে।
শহরের নিউ মার্কেট, পৌর আধুনিক সুপার মার্কেট, সমবায় মার্কেট, আশিক প্লাজা, ফরিদ উদ্দিন আনোয়ারা টাওয়ার, গ্রীণ সুপার মার্কেট, সিটি সেন্টার, বি-বাড়িয়া টাওয়ার, গোলাপ সুপার মার্কেট, সড়ক বাজার, পৌর হকার্স মার্কেটসহ প্রতিটি মার্কেটেই এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এছাড়াও পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠা বিভিন্ন কাপড়ের দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
দোকানগুলোতে দেখা গেছে মেয়েদের জন্য ডিসপ্লেতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে স্কার্ট, টপস, থ্রিপিস, জিন্স প্যান্ট, জামদানি শাড়ি, বেনারশি, কাতান, সিল্ক, জর্জেট শাড়ী, জয়পুরি শাড়ী, লেহেঙ্গা, পার্টি গাউন, সফট কাতান, বেনারসি, ঢাকাই জামদানি, ভারতীয় জামদানি, রাজশাহী সিল্ক ও টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি।
ছেলেদের জন্য শার্ট, জিন্সের প্যান্ট, নবাবী পাঞ্জাবী, শেরওয়ানী, ফতুয়া, কাতুয়া, বিভিন্ন ধরনের গেঞ্জি।
সরজমিনে মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৯টার পর থেকেই মার্কেটগুলোতে ক্রেতারা আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে ভীড়। বিকেল ৫টার পর ভীড় একটু কমলেও ইফতারের পরে আবার বাড়তে থাকে ভীড়। বেচা-বিক্রি চলে গভীর রাত পর্যন্ত। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
শহরের সড়ক বাজারের শাড়ীর দোকান কমলালয়, ইলোরা, জান্নাত ফ্যাশন, শাড়ি বিচিত্রা, নীলাচল, আঁচল নামের দোকানগুলোতে দেখা গেছে মহিলাদের উপড়েপড়া ভীড়।
নিউ মার্কেটের পাঞ্জাবীর দোকান “পাঞ্জাবী ফ্যাশন” এ গিয়ে দেখা যায় হরেক রকমের পাঞ্জাবীর সমাহার।
শহরের কান্দিপাড়ার বাসিন্দা বরকত উল্লাহ ও রুমা আক্তার বলেন, ছেলে-মেয়েদের জন্য কাপড় কিনতে মার্কেটে এসেছি। এ বছর কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
সদর উপজেলার সুহিলপুরের বাসিন্দা, ফরিদ মিয়া বলেন, ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এসেছ কাপড় কিনতে। কয়েকটা দোকান ঘুরে মেয়ের জন্য একটা থ্রি-পিস ও ছেলের জন্য একটা শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট কিনেছি। তিনি বলেন, এ বছর কাপড়-চোপড়ের দাম একটু বেশী।
মধ্যপাড়ার রুবি বলেন, প্রচন্ড গরম ও দিনের বেলা মার্কেটগুলোতে অনেক ভীড় থাকায় রাতের বেলা কিনতে এসেছি। তবে এবার কাপড়ের দাম বেশী। ফরিদ উদ্দিন আনোয়ারা টাওয়ারের সুপার সপ লাইক ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী মোঃ এমরানুল হক বলেন, গত কয়েক বছরে করোনার কারনে বেচা-কেনা কম হয়েছে।
তবে এবার বেশ ভালো হচ্ছে, আগামী দিন গুলোতে আরো ভালো হবে বলে আশা করি। তিনি জানান, তার শো-রুমে শার্ট, গেঞ্জি, পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট ও মহিলাদের থ্রি-পিস ও বাচ্চাদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।
নিউ মার্কেটের এলিগেন্স গার্মেন্টসের মালিক মাসুম শেখ জানান, আলহামদুলিল্লাহ বেচা-কেনা ভালো হচ্ছে। আগামীদিন গুলোতে আরো ভালো হবে বলে আশা করি।
নিউ মার্কেটের পাঞ্জাবীর দোকান পাঞ্জাবী ফ্যাশনের মালিক মোঃ রুহুল আমিন বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। গরমের জন্য সূতি পাঞ্জাবির চাহিদা একটু বেশী।
শহরের অভিজাত শাড়ীর দোকান কমলালয়ের মালিক আশিষ সাহা বলেন, পোশাক তৈরির সব উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁরাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে এবার ঈদের বেচাকেনা ভালো। বিশেষ করে থ্রি-পিসের বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। এছাড়াও তার দোকানে সব ধরনের শাড়ীই বিক্রি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সদর ও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ কাজ করছে। ঈদ বাজারের নিরাপত্তায় পুলিশের ১৫ টি পেট্রোল টিম, ৫ টা হোন্ডা টিম কাজ করছে।
পাশাপাশি জরুরি সেবার জন্য ৪টি টিম সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পৌর মার্কেটের সামনে পুলিশের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। রাতে মার্কেটে আসা কোন মানুষের যাতে কোন ধরনের কষ্ট না হয় সেজন্য পুলিশ টহল দিচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শিক্ষার মান উন্নয়নে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক মতবিনিময় সভা ২০২৪ আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র শিক্ষক সাবিনা ইয়াছমিন, জাকির হোসেন, শফিকুর রহমান, অর্জুন, বরকত উল্লাহ্, অভিভাবকদের পক্ষে সোনালী ব্যাংক পিএলসি’র সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মোঃ শহিবুর রহমান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এ এফ এম আব্দুস সাকির।
সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলোওয়াত করেন ৭ম শ্রেণির ছাত্র সাফায়েত ভূঁইয়া, পবিত্র গীতা পাঠ করেন ৭ম শ্রেণির ছাত্র অর্পণ মিত্র ভৌমিক।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা নাজমীন বলেন, শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্র হচ্ছে একটি পরিবারের মতো এক জন ছাড়া আর এক জন চলতে পারবে না, তাই আমাদের পাঠ দানে আরো আন্তরিক হতে হবে। ছাত্রদের নৈতিকতা শিক্ষা দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার পাশাপাশি বাকি সময়টুকু কোথায় যাচ্ছে, কি করছে সে দিকেও অভিভাবকগণ যেন খেয়াল রাখে। এছাড়াও পড়াশুনার পাশাপাশি কিভাবে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটবে সেই দিকে নজর রাখতে হবে অভিভাবকদের। তিনি আরো বলেন, একমাত্র সুশিক্ষা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তবেই শিক্ষার্থীরা মানসন্মত শিক্ষা অর্জন করে ভবিষ্যতে এদেশের উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যাগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে ও সাবেক জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলী আজমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ.বি.এম. মমিনুল হক, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আনিসুর রহমান মঞ্জু, সাবেক কোষাধক্ষ্য জসিম উদ্দন রিপন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট তারিকুল ইসলাম রুমা, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি হেবজুল বারী, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাজিদুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে সকল নেতাকর্মীদের নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। পরে নির্যাতিত ত্যাগীদের বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির চলমান রাজনীতি নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়ে বক্তারা বলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র ও ত্যাগী এবং কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি করে জেলার কাক্সিক্ষত সম্মেলন করতে যাচ্ছে। তাই প্রশ্ন জাগে সিনিয়র নেতাদের কি অপরাধ তারা আজ বঞ্চিত।
বক্তারা সম্মেলনকে সামনে রেখে একটি স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়নসহ বিগত ফ্যাসিস সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ত্যাগীদের নিয়ে তালিকা করার দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, প্রত্যেকটি উপজেলায় ত্যাগীদের বঞ্চিত করে নিজস্ব পকেটের লোক দিয়ে সম্মেলনের চিত্র বারবার কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব ও সাংগঠনিক সম্পাদকে জানানো হয়েছে। দলের ৯০ ভাগ ত্যাগী নির্যাতিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সম্মেলন কখনো স্বচ্ছ হবে না।
সমাবেশে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে উপস্থিত হয়।