চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নূরে আলমের বিরুদ্ধে চাঁবাবাজীর মামলা হয়েছে। ২ মার্চ বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে নয়জনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজীর মামলা করা হয়।
নবীপুর গ্রামের আবু কালামের স্ত্রী লিপি আক্তার বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন। অন্যান্য আসামীরা হলেন, ওই ইউনিয়নের দড়িলাপাং গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে হাদিস মিয়া, জাহের আলী মেম্বারের ছেলে শাহ জালাল, কবির মিয়া, সাইফুল মিয়া, মুর্শিদ মিয়া, রুস্তম আলী ছেলে হযরত আলী, শাহ কামালের স্ত্রী সালেহা বেগম, মৃত রুস্তম আলীর ছেলে আক্তার হোসেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ‘পিবিআই’কে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নে গত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নবীপুর গ্রামের কালাম মিয়ার সাথে চেয়ারম্যান নুর আলম ওরুফে নুরে আজ্জম ও তার গ্রুপের সাথে বিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত ২০ জানুয়ারি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার বাহিনী লিপি বেগমও তার স্বামী কালামকে পথে আটকিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মারধরসহ শ্রীলতাহানী ঘটায় এবং মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ২ ফর্দ নন জুডিসিয়াল খালি ষ্ট্যাম্প তাদের দু’জনের স্বাক্ষর নেয়। এ ঘটনা ‘কাউকে জানালে বা মামলা মোকদ্দমা করলে তার স্বামীকে খুন করে মেঘনা নদীতে ভাসাইয়া দিবে’ প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে চলে যায়।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নূরে আলম তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলার বিষয়টি অবগত নয় জানিয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
চরের ফসলি ও খাস জমির উর্বর মাটি কেটে বাল্কহেড দিয়ে মাটি বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র।
কৃষকরা ইটভাটার মালিক ও তাদের দালালদের প্রলোভনে পড়ে দেদারসে বিক্রি করছে ফসলি জমির উপরিভাগের (টপ সয়েল) উর্বর মাটি। এতে ফসলি জমির আবাদ
হুমকিতে পড়েছে।
আইন অমান্য করে ক্ষমতাসীন দলের কয়েক প্রভাবশালী নেতা ২৪টি পাওয়ার ট্রলির মাধ্যমে দিনরাত চরের ফসলি জমির মাটি কেটে বড় বড় দুটি বাল্কহেডের মাধ্যমে নিচ্ছে বিভিন্ন জেলার ইটভাটায়।
ব্যক্তি মালিকানা জমির পাশাপাশি চরাঞ্চলের সরকারি খাস জমির মাটিও কেটে নিচ্ছে তারা। কেউ প্রতিবাদ করলে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এসব জমির মাটি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ছয় চাকার নম্বরবিহীন পাওয়ার ট্রলির চাপে নষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাস্তাঘাট।
শুধু তাই নয়, চর মানিকনগরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর তীরে অবৈধভাবে অস্থায়ী ফেরি দিয়ে পল্টুন বানিয়ে বড় বড় মালবাহী বাল্কহেডের মাধ্যমে এসব মাটি চলে যাচ্ছে নরসিংদী, নায়ারণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার ইটভাটায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চর মানিকনগরের চরের ফসলি জমি ও সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কেটে তার পাশেই সদ্য খননকৃত একটি বিশাল পুকুর।
স্থানীয়রা জানান, নিষিদ্ধ ভেকুর সাহায্যে প্রায় দেড় মাস ধরে মাটি কেটে বিভিন্ন ভাটায় নেয়া হয়েছে। এখন তারই পাশে ফসলি জমি থেকে এক্সকেভেটরের সাহায্যে মাটি কেটে নিয়ে গভীর গর্ত করা হচ্ছে।
গত দেড় মাস ধরে ২৪টি পাওয়ার ট্রলির মাধ্যমে মাটি কাটা হচ্ছে, এতে ফসলি জমির আয়তন হ্রাস পাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই মাটিকাটার সঙ্গে জড়িত নাসিরাবাদ গ্রামের সাবেক মেম্বার কাদির, নাসিরাবাদ পুরানপাড়ার জামাল, শ্রীঘর গ্রামের যুবলীগ নেতা আলমগীর, চর মানিকনগর ওসমান মিয়া।
স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ইটভাটার মালিকরা কৃষকদের প্রলোভন দেখিযে দেদার ভেকু মেশিন দিয়ে এসব ফসলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে।
এরপরও স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আইন অনুযায়ী, সরকারী নিয়ম অনুযায়ী পুকুর, খাল-বিল, নদ-নদী, চরাঞ্চল, পতিত ও আবাদি জমি থেকে মাটি কাটা নিষিদ্ধ।
অন্যদিকে জমির মাটি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত ছয় চাকার পাওয়ার ট্রলির চাপে নষ্ট হচ্ছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের রাস্তাঘাট।
মাটিকাটার সঙ্গে জড়িত জামাল মিয়া বলেন, আমরা দেড় মাস ধরে মাটি কিনে কেটে নিচ্ছি। সরকারি খাস জমি পাশে হলে আমরা ওই জমি কাটি না। এসব মাটি বিভিন্ন জেলার ইটভাটায় বিক্রি করি ১০ টাকা ফুট হিসেবে।
আমার সঙ্গে অনেক বড় বড় মানুষই এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছে, কিন্তু তাদের নাম বলা যাবে না।
মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা তো কৃষকের কাছ থেকে মাটি কিনে ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করছি। এই জমির পাশে হয়তো খাস জমি আছে, এইসব খাসজমি থেকে মাটি না কাটার জন্য ভেকু চালককে বলে দিয়েছি।
এবিষয়ে শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মেহেদী হাসান জালাল মিয়া বলেন, চর মানিকনগর আমার ওয়ার্ডে পড়েছে। মাটি কাটার বিষয়ে আমি শুনেছি।
শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি এখান থেকে কোন টাকা-পয়সাও নেই না, আমি এসবের সঙ্গে জড়িতও না। ওরা মাটি কাটে শুনছি, তবে খাস জমি নাকি মালিকানা জমি থেকে কাটছে জানি না। দুই একদিনের মধ্যে আমি সরজমিনে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে নবীনগর ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান বলেন, যেহেতু অবৈধ ভাবে মাটি কেটে নিচ্ছে শুনলাম এখন আমি স্থানীয় তহসিলদারকে পাঠাবো ঘটনাস্থলে। যদি ঘটনা সঠিক হয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন, আমি তো বিষয়টা জানি না। এখনই এ্যাসিল্যান্ডকে বলছি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের বাউচাইল গ্রামে আজ ৩০ মে বৃহষ্পতিবার সকালে আম পারতে গিয়ে আম গাছ থেকে সাইফুল ইসলাম (৬০) নামের একজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি মৃত মনাফ মিয়ার ছেলে।
নিহতের মেয়ে ইভা আক্তার বলেন, আজ সকালে বাবা আম পারতে গাছে উঠলে সেখান থেকে পড়ে গুরুত্বর আহত হন। দ্রুত নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মেহেরুনেছা বলেন, সাইফুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি আম গাছ থেকে পড়ে মারা গেছে। তাকে হাসপাতালে আনার সময় পথিমধ্যে তিনি মারা যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে প্রথমবারের মতো সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র সহযোগিতায়, বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে উপজেলা সাহিত্য মেলা-২০২৩ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার এ সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ফিতা কাটার মাধ্যমে উপজেলা সাহিত্য মেলার শুভ সূচনা হয়। এরপর মনোমুগ্ধকর বাউল সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
আজ ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুই দিনব্যাপী সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীনগর পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট শিব শংকর দাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নবীনগর শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সাহা।
উপজেলার সাংবাদিক, শিক্ষকসহ কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন উপস্থিত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান, নবীনগর সরকারি কলেজের প্রভাষক রাশেদুল হক (রাশেদ), কুমিল্লা নজরুল ইনস্টিটিউটে পরিচালক আল আমিন, জেলা কালচার একাডেমির পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন, নবীনগর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু মুসা, সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী ওয়াজেদ উল্লাহ, স্বজনের প্রধান উপদেষ্টা আবু কামাল খন্দকার, গুঞ্জন পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা দিনমজুর স্বপন মিয়া প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিকসহ উপজেলার কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে রয়েছে প্রবন্ধ পাঠ, আলোচনা সভা, লেখক কর্মশালা, স্থানীয় লেখকদের স্বরচিত কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সফিকুল ইসলাম বাদল, নবীনগর :
সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৩ মাসব্যাপী ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সমাবেশের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউনিয়ন কৃষক দলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে রছুল্লাবাদ বাজারে হাজারো নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এই কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষক সমাবেশে নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক হাজী জহিরুল হক জরু মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের উপকমিটির যুগ্ম আহবায়ক কে.এম. মামুনুর অর রশিদ।
প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাবুল।
ইউনিয়ন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক কাজী হেলাল, যুগ্ম আহবায়ক মমিনুল হক পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক মোজাম্মেল হক, ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান শাহিন, সাধারণ সম্পাদক মোসলে উদ্দিন, সহ-সভাপতি আব্দুল হক বেদন, সহ-সভাপতি ও রছুল্লাবাদ বাজার কমিটির সভাপতি দুলু মিয়া ব্যাপারী, বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন নান্টুসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার একটি ডোবা থেকে অজ্ঞাত (আনুমানিক ৪০) এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নবীনগর উপজেলার পৌরশহরের মাঝিকাড়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাস জানান, মাঝিকাড়া গ্রামের একটি ডোবায় এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ ভেসে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, মরদেহটি কয়েকদিন পানিতে থাকার কারণে সারা শরীরে পচন ধরেছে। মরদেহ সনাক্তের জন্য চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।