চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, চিকিৎসার জন্য গ্রামের মানুষকে যাতে ঢাকা-রাজশাহী দৌড়াতে না হয়, সে জন্য প্রতিটি জেলায় আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ডায়ালাইসিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং স্বল্প খরচে সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
আজ ৩ মার্চ শুক্রবার সকালে শহরের আমতলী এলাকায় অত্যাধুনিক জয়পুরহাট ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডায়ালাইসিস সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম, টিএমএস এস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আ. গফুর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সাবেক মেয়র আব্দুল আজিজ মোল্লা, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক তিতাস মোস্তফা, জয়পুরহাট ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডায়ালাইসিস সেন্টারের চেয়ারম্যান একরামুল প্রমুখ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, সরকারি কর্মকর্তা, বিশিষ্টজন ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
চিকিৎসকেরা জানান, জয়পুরহাটে প্রথম ডায়ালাইসিস সেন্টার চালুর মাধ্যমে জেলায় আধুনিক চিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। গরীব রোগীদের জন্য বিশেষ সেবা নিশ্চিত হবে এই সেন্টারে।
চলারপথে রিপোর্ট :
লক্ষ্মীপুরে ভগিনীপতিকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন শ্যালকও। অটোরিক্সার ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. মঞ্জু (২১) ও বিপ্লব হোসেন (১৭) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে শ্যালক ও ভগিনীপতি।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মঞ্জু তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জানা যায়নি। অপর নিহত বিপ্লব একই ইউনিয়নের শহর কসবা গ্রামের নেছার আহম্মদের ছেলে।
স্বজনদের বরাত দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘটনার সময় মঞ্জু তার অটোরিক্সার ব্যাটারি চার্জ দিতে যায়। অসাবধানতাবশত ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার শ্যালক বিপ্লবও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজন মারা গেছেন। তাদের মৃত অবস্থায় পেয়েছি। মরদেহগুলো স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
চলারপথে ডেস্ক :
এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণা করার অভিযোগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগের একটি দল এক কলেজছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার আব্দুর রউফ প্রীতম আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী। অনলাইনে জুয়া খেলার টাকা সংগ্রহ করার জন্যই প্রীতম এই প্রতারণার আশ্রয় নেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে ডিএমপি ডিবি লালবাগ বিভাগের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিম জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সহযোগিতায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বঙ্গবন্ধু বিমানবাহিনী ঘাঁটির সামনে থেকে আব্দুর রউফ প্রীতমকে গ্রেফতার করে। প্রীতম আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করতে পারবে এরকম শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে তার ফেসবুক এবং মেসেঞ্জারে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে নগদ এবং বিকাশ মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
ডিবি সূত্র আরও জানায়, এসএসসি ব্যাচ-২০২৩, এসএসসি শর্ট সিলেবাস-২০২৩ এবং দেশ ভিউ নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে প্রীতম চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত প্রচারণা চালাতে থাকেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকেরা তার এই প্রচারণায় বিশ্বাস করে তার সঙ্গে বিভিন্ন অ্যাপসে যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে তার চাহিদামতো টাকা মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশ, নগদ ও রকেটের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এই প্রতারক ছাত্র তার বাবা ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ এবং তার মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে একাধিক ব্যাংক হিসাব খুলেছিলেন।
ডিবির ডিসি মশিউর রহমান বলেন, চলমান এসএসসি পরীক্ষা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, সংরক্ষণ, পরিবহণ অথবা বিতরণের মতো কোনো কাজেই এই ছাত্র বা তার কোনো আত্মীয় জড়িত ছিল না। তাই তার পক্ষে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা একেবারেই অসম্ভব ছিল। অনলাইন জুয়া খেলায় দীর্ঘদিন ধরে আসক্ত এই ছাত্র জুয়া খেলা ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ফুর্তি করার টাকা সংগ্রহ করার জন্যই এই প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রীতমের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় ও নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাপ্তি হচ্ছে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশন। দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে ল্যান্ড রেকর্ডকে ধীরে ধীরে ডিজিটালাইজেশনের একটি পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
আজ ৮ জুন শনিবার নগরীর এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম হলে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ভূমিসেবা সপ্তাহ-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা সহজীকরণের জন্য সরকার একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছে। যাদের ভূমি আছে বা ভূমি ক্রয়-বিক্রয় করলে ভূমির নিবন্ধনের পাশাপাশি বিদ্যমান দখলে কে আছে, ভূমি কর কে দেবে এসব বিষয়গুলো সহজ করার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ম-নীতি অনুযায়ী যে উদ্যোগ সে উদ্যোগগুলো অনুসরণপূর্বক জেলা প্রশাসন সে দায়িত্বটুকু পালন করে। ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার কারণে আমরা এখন ভূমি অফিসে না গিয়ে ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে খাজনা প্রদান, ই-নামজারীর আবেদন ও ভূমির অবস্থানসহ ভূমি সংক্রান্তে সকল ধরণের সেবা গ্রহণ করছি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সঞ্জয় সরকার, জেলা পুলিশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আহমেদ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ ও জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ হাসান।
অনলাইন ডেস্ক :
মন্ত্রিসভার নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নিলেন। আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন প্রথমে ২৫ জন মন্ত্রী ও পরে ১১ জন প্রতিমন্ত্রীকে পাঠ করান শপথবাক্য।
সাংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের ২ ধারা অনুযায়ী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা এ শপথ নেন।
প্রথমে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে পরে গোপনীয়তার শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো শপথ নিলেন। এর মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠিত হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত আছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার (১০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের তালিকা প্রকাশ করেন। এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীসহ শপথ নেওয়া ৩৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভাই দেশের নতুন সরকার। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেওয়ার পর আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে গেছে।
এর আগে ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ২২২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল–জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি করে আসনে জয় পেয়েছে।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে শপথ নিয়েছেন নতুন নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। শপথ শেষে অনুষ্ঠিত সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনাকে সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়। বুধবার সন্ধ্যার পর বঙ্গভবনে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের সিদ্ধান্ত দেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে সম্মতি দেন রাষ্ট্রপতি।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মন্ত্রিসভার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (নরসিংদী-৪), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান (ঢাকা-১২), সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১), ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), শিক্ষা মন্ত্রণালয় মহিবুল হাসান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৯) এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট) নতুন মন্ত্রিসভার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় মুহাম্মদ ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), অর্থ মন্ত্রণালয় আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), কৃষি মন্ত্রণালয় মো. আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪), গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় মো. আব্দুর রহমান (ফরিদপুর-১), ভূমি মন্ত্রণালয় নারায়ণ চন্দ্র (খুলনা-৫), পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আব্দুস সালাম (ময়মনসিংহ-৯), রেলপথ মন্ত্রণালয় মো. জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২), পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), বস্ত্র ও পাঠ মন্ত্রণালয় জাহাঙ্গীর কবির নানক (ঢাকা-১৩) ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নাজমুল হাসান (কিশোরগঞ্জ-৬)। টেকনোক্র্যাট কোটায় নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টেকনোক্র্যাট), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ডা. সামন্ত লাল সেন (টেকনোক্র্যাট)।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন যারা ১. নসরুল হামিদ- বিদ্যুৎ বিভাগ
২. জুনাইদ আহমেদ পলক- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
৩. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
৪. জাহিদ ফারুক- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়
৫. সিমিন হোসেন (রিমি)- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৬. মোহাম্মদ আলী আরাফাত- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়
৭. মো. মহিববুর রহমান- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
৮. কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়
৯. রুমানা আলী- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
১০. শফিকুর রহমান চৌধুরী- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়
১১. আহসানুল ইসলাম (টিটু)- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
অনলাইন ডেস্ক :
দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ১ মার্চ থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
আজ ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠক শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৭৩ টাকা, এখন ১০ টাকা কমিয়ে তা ১৬৩ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল আগে ছিল ১৬৯ টাকা। তা ১০ টাকা কমিয়ে ১৫৯ টাকা করা হয়েছে।
দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্সের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, আগামী এক মার্চ থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হবে।
নির্ধারিত দামে বিক্রি করা না হলে ১৯৫৬ সালের এসেনশিয়াল কমোডিটি অ্যাক্ট, ভোক্তা অধিকার আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বলেও জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার দেশের বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত ভোজ্যতেল বিক্রি হয় ১৭০ থেকে ১৭৩ টাকায়। এক বছর আগে এই দাম ছিল ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা।
এর আগে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা করা হয়েছিল।